সম্ভাবনা
এই ঋতু কিছু বুনোফুলের, এই ঋতু ব্যভিচারী পারফিউম। অ্যাসফল্ট ফুঁড়ে ওঠা ফুলগাছ থেকে উন্মত্ত পাপড়িরা কেউ ফিরে আসে মসৃণ কালোয়। কেউ কেউ পদপিষ্ট হয়, কেউ যায় বারমুডা বালকের অবাক করতলে। কেউ ড্রেনে মুখ থুবড়ে পড়ে খুব গোঙায়। কত টিয়ারগ্যাস, বুলেট, গানপাউডার, ওয়াটারহোস পেরিয়ে কেউ গিয়ে বসে কোনো কিশোরীর যমুনাপাড়ে। তারপর কেউ জলে নেমে জল হয়ে যায়, কেউ রক্ত। কেউ উর্দ্ধগামী হয়ে বাকল, কেউ ছন্দ। কেউ কেউ পূর্বপুরুষের সমাধিফলকে ঠেস দিয়ে বসে। একদিন এরা সকলেই পচে সার হয়ে যাবে তুমি জানো।
তবু মনে রেখো কেউ কেউ ভ্রমরের পেছনপায়ে পরাগদাগও রেখে যায়, রেখে যাবে।
অতৃপ্ত
যাবতীয় মৌলিক পাপ ঢেকে দিলো আলোকপ্রণালী।
বিদ্বেষী অন্ধকার হাওয়া ঘষে তুলে নিলো সেই মুখ দৃশ্যপট থেকে।
চিতাকাঠ দর্শক পেয়ে যাবে ঠিক―
আর বাহাত্তর ঘন্টা পর অন্যরকমভাবে প্রেমই লিখবো আবার।
মৃত্যু, দিলরুবা, মল্লার
বহু সম্ভোগ সেরে রাত এখন সিদ্ধির দিকে। জলসাঘরের পর্দা ছুঁয়ে কত শতাব্দীর রক্ত। গোপন ঘৃণা ধুয়ে ঢুকে পড়ছি ভাষার চাদরে। চিরপ্রবাহে টেনে নিচ্ছেন পূর্বপুরুষেরা। হাড়ের সমাধি থেকে বহু দূরে, রক্ষক শিবির থেকে বহু দূরে, অ্যাঞ্জেলসুলভ দৃপ্ত যাওয়া অসহ্য আলোর ভিতর।
বহু সম্ভোগ সেরে রাত এখন সিদ্ধির দিকে, ফেলে যাওয়া স্খলিত তন্ত্রীতে লেগে থাক ঘুম ও প্রেমের পবিত্র অন্ধকার।
সঞ্চালিকা পেশায় সিনিয়র এপিডেমিওলজিস্ট। সিঙ্গাপুরের ট্যান টক সেঙ হাসপাতালে কর্মরত। ছোটবেলা কেটেছে উত্তরবঙ্গের ডুয়ার্সে। কিছু বছর যাবৎ কবিতাপ্রয়াসী। বিভিন্ন লিটল ম্যাগাজিন এবং ওয়েব ম্যাগাজিনে লেখা প্রকাশিত।
4 Responses
তিনটিই চমৎকার
ভালো লাগলো
চমৎকার লিখেছ সঞ্চালিকা💐💐
বেশ বেশ।