প্রাক্তন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরমকে আইএনএক্স মিডিয়া মামলায় আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিহার জেলে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। চিদম্বরম জানিয়েছেন, তিহারে থাকতে তাঁর আপত্তি নেই, কিন্তু তাঁকে প্রয়োজনীয় কিছু সুযোগসুবিধা দিতে হবে। প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীর আইনজীবী তথা আর এক শীর্ষ কংগ্রেস নেতা কপিল শিব্বল চিদম্বরমের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের যে তালিকা দিয়েছেন, তা নিয়েই শুরু হয়েছে আলোচনা।
শিব্বল দিল্লির আদালতে এই মর্মে একটি আবেদন জমা দিয়েছেন। সেখানে বলা হয়েছে চিদম্বরম দীর্ঘ দিন যাবৎ দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে ঠিকই, কিন্তু তিনি তদন্তে সম্পূর্ণ সহযোগিতাও করছেন। তাই তাঁর পদমর্যাদা এবং স্বাস্থ্যের অবস্থা বিবেচনা করে অত্যাবশ্যক জিনিসপত্র ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হোক।
চিদম্বরম জানিয়েছেন, তাঁর কোমরের সমস্যা রয়েছে। তিনি মাটিতে বসতে পারেন না। তাই তাঁর জন্য একটি পাশ্চাত্যের ধাঁচে তৈরি করা টয়লেটের ব্যবস্থা করতে হবে। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর আবেদন, আদালত যেন তাঁর চশমাগুলি ব্যবহার করার অনুমতি দেয়। কারণ তাঁর চোখের সমস্যা অত্যন্ত গুরুতর। চিদাম্বরম দীর্ঘ কাল জেড ক্যাটেগরির নিরাপত্তা পেয়ে থাকেন। তাঁর আবেদন, আদালত যেন সে বিষয়টি মাথায় রেখে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেন।
উপরোক্ত দাবিগুলির অধিকাংশ মেনে নিতেই আদালত বা জেল কর্তৃপক্ষের কোনও আপত্তি নেই। কিন্তু সমস্যা তৈরি হয়েছে চিদাম্বরম পৃথক সেলের জন্য আবেদন করায়। জেল ম্যানুয়াল অনুযায়ী তিহারে পৃথক সেল বরাদ্দ করা যায় না। এই প্রসঙ্গে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রীর আইনজীবী শিব্বলের যুক্তি, চিদাম্বরম জেড ক্যাটেগরির নিরাপত্তা পান। তাই তাঁর প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জেল কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব। যদি পৃথক সেল বরাদ্দ না হয় তাহলে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব হবে না। শিব্বলের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি জানিয়েছেন, জেল ম্যানুয়াল অনুযায়ী যাবতীয় সুযোগ সুবিধা দেওয়া হবে চিদাম্বরমকে। সলিসিটর জেনারেল জানিয়েছেন, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিরাপত্তায় কোনও ফাঁক থাকবে না।
বিশেষ বিচারপতি অজয়কুমার কুহার চিদাম্বরমকে বিচারবিভাগীয় হেফাজতে থাকার নির্দেশ দিয়েই জানিয়েছিলেন, তিনি যে ওষুধগুলি খান সেগুলির সবই তিহারে নিয়ে যেতে পারবেন। প্রসঙ্গত, গত ২১ অগস্ট চিদাম্বরমকে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার করে সিবিআই। কংগ্রেসের অভিযোগ, বিজেপি-র প্রতিহিংসার রাজনীতির কারণেই হেনস্থার শিকার হচ্ছেেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।