(এই লেখাটির প্রত্যেকটি ঘটনা সত্যি। নিরাপত্তার কারণে চরিত্র, জায়গা এবং প্রতিষ্ঠানের নামবদল করা হল)
রাত্রি আড়াইটে নাগাদ এল ফোনটা। আপাদমস্তক চমকে দিয়ে। ধড়মড় করে উঠে বসে, প্রথমেই নিনা দেখল তার ফোন বাজছে না। স্বামীরও নয়। তারপর বুঝতে পারল, যে গার্হস্থ্য হিংসা-বিরোধী সংস্থাতে সে কাজ করে সেখান থেকে দেওয়া ফোন, যাতে শুধুমাত্র তার ক্লায়েন্টরা ফোন করে- সেটা বাজছে। এক-দেড় বছর কাজের জীবনে এই প্রথমবার। এত গভীর রাত্রে।
এক ঝটকায় অনেক কথা মনে এল তার; এখন যাদের সঙ্গে কাজ করছে, তাদের মধ্যে একজন ক্লায়েন্ট তাকে উইকেন্ডে মাঝে মাঝে ফোন করে। বলে খুব জরুরি দরকার; কিন্তু অনেকসময় নিনা বোঝে, একটু সাপোর্টের জন্যই ফোন করেছে। প্রশ্ন বা প্রয়োজনটার জন্য সোমবার পর্যন্ত অনায়াসে অপেক্ষা করা যেত। সে বোঝে… মানুষটা হয়তো একটু জোর পেতে চায়, অতিমারীর এই বিচ্ছিন্ন সময়ে।
এই নম্বরটা চেনা নয়। তার এই নম্বরটা পেল কোথায়? শুধুমাত্র ক্লায়েন্ট, সহকর্মী ছাড়া তো এই নম্বর সম্পূর্ণ গোপনীয়। তার একটা অনিশ্চিত ‘হ্যালো’র পর ওপার থেকে ভেসে আসে স্প্রিংফিল্ড পুলিশ ডিপার্টমেন্ট থেকে কথা বলছেন অফিসার লুইস। এক মুহূর্তে সমস্ত শরীর দিয়ে ঠান্ডা স্রোত বয়ে গেল নিনার। তিনি জানালেন, একটি ডোমেস্টিক ভায়োলেন্সের অভিযোগে এই বাড়িতে এসেছেন এবং ভিকটিম তার সঙ্গে কথা বলতে চাইছে। ‘ভিকটিম আছে, এবং সে কথা বলার অবস্থায় আছে।’
নিনার প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়া নিশ্বাস বেরিয়ে এল সাময়িক স্বস্তিতে। ওদিকে পুলিশ অফিসার বলে চলেছেন, ভিকটিমকে অনেকবার বোঝানোর চেষ্টা করেছেন, যে তারা এরকম পরিস্থিতিতে ফোনে অন্য কারও সঙ্গে কথা বলেন না, সেটা প্রোটোকল নয়। শেষে হার মেনে এই নম্বরে কল করেছেন। নিনা এক মুহর্তে বুঝতে পারল পরিস্থিতি এবং পুলিশ অফিসারকে প্রাণপন বোঝানোর চেষ্টা শুরু করল।
– অফিসার আমি পিঙ্ক পাওয়ার অর্গানাইজ়েশনে একজন ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স ভিকটিম অ্যাডভোকেট হিসেবে কাজ করি, আপনি প্লিজ ওদের ওয়েবসাইটে গিয়ে আমার প্রোফাইল দেখুন। আর আপনাকে আমার সঙ্গে ফোনেই কাজ করতে হবে, কেননা আমার ক্লায়েন্ট লিলি, ইংরেজি জানে না; আর এই মুহূর্তে ও আমাকে ছাড়া অন্য কাউকে বিশ্বাস করে না।
– ঠিক আছে দেখছি।
কিছুক্ষণ কেটে গেল উৎকণ্ঠায়; অফিসার লুইসের ফোন এল আবার।
– নিনা, আমরা পাশের ঘরে ওর স্বামীর কাছে যাচ্ছি, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য, আপনাকে আপডেট করব।
শেষ খবর এল স্ত্রীকে মেরে জখম করার অভিযোগে লিলির স্বামীকে গ্রেফতার করে পুলিশ নিয়ে গেছে। সে যেন পরের দিন তার বিরুদ্ধে রিস্ট্রেনিং অর্ডার সংগ্রহ করে।
এখন যাদের সঙ্গে কাজ করছে, তাদের মধ্যে একজন ক্লায়েন্ট তাকে উইকেন্ডে মাঝে মাঝে ফোন করে। বলে খুব জরুরি দরকার; কিন্তু অনেকসময় নিনা বোঝে, একটু সাপোর্টের জন্যই ফোন করেছে। প্রশ্ন বা প্রয়োজনটার জন্য সোমবার পর্যন্ত অনায়াসে অপেক্ষা করা যেত।
আমেরিকায় যে কোনও গার্হস্থ্য হিংসার ঘটনা ঘটার পর আক্রমণকারীর বিরুদ্ধে নিজেকে এবং পরিবারকে বাঁচানোর জন্য খুবই প্রয়োজনীয় আদালত থেকে পাওয়া রিস্ট্রেইনিং অর্ডার। এই অর্ডার পেলে আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী আক্রমণকারী আক্রান্তের কাছাকাছিও যেতে পারবে না। আক্রান্ত নিজের বাড়িতে থাকতে পারে, এবং সেক্ষেত্রে বাড়ি যদি আক্রমণকারীর নিজের হয় অথবা তার নামে ভাড়া থাকে, তাহলেও তাকে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতে হবে। আক্রান্তের কাজের জায়গায়, ছেলেমেয়ের স্কুলেও যেতে পারবে না আক্রমণকারী এবং ছেলেমেয়ের খরচ দিতে বাধ্য থাকবে। এই জাতীয় আরও কিছু আইনি নির্দেশ |
লিলির জীবনে এরকম ট্রমা এই প্রথম। প্রথমবার সে অত্যাচারিত হবার সময়ে সমস্ত মনের জোর সঞ্চয় করে পুলিশকে ডাকতে পেরেছে। তাই স্বামী থানায় চলে যাবার পর, যখন সে একটু স্বাভাবিক অবস্থায় এল, ফোনে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলে নিনা প্রথমেই জানতে চাইল, এইরকম মনের অবস্থায়, এই মুহূর্তে, ‘রিস্ট্রেইনিং অর্ডার’-এর মতো আইনি পদক্ষেপ সে নিতে চায় কিনা। লিলি জানাল তার ধৈর্যের সীমা ছাড়িয়ে গেছে, এবার সে ঘুরে দাঁড়াতে চায়। সৌভাগ্যবশতঃ, অতিমারীর সময়ে এখন এই সমস্ত কাজ অনলাইনে করা সম্ভব। তাই ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে একই স্টেটের দুই শহরে বসে ‘রিস্ট্রেইনিং অর্ডার’-এর অ্যাপ্লিকেশনের কাজ শেষ করে লিলি আর নিনা। এই পুরো সময়টাতে লিলির মনে হাজার শঙ্কা। কীভাবে সে সংসার চালাবে দুটো ছোট ছেলেমেয়ে নিয়ে; তাই নিনাকে একইসঙ্গে ক্লায়েন্টের মনের জোর বাড়ানোর কাজটাও করে চলতে হয়।
অফিসার আমি পিঙ্ক পাওয়ার অর্গানাইজ়েশনে একজন ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স ভিকটিম অ্যাডভোকেট হিসেবে কাজ করি, আপনি প্লিজ ওদের ওয়েবসাইটে গিয়ে আমার প্রোফাইল দেখুন। আর আপনাকে আমার সঙ্গে ফোনেই কাজ করতে হবে, কেননা আমার ক্লায়েন্ট লিলি, ইংরেজি জানে না; আর এই মুহূর্তে ও আমাকে ছাড়া অন্য কাউকে বিশ্বাস করে না।
সকালে কোর্ট খোলার পর, ফোন করে নিনা জানতে পারে, রিস্ট্রেইনিং অর্ডার পাবার জন্য লিলিকে কোর্টে হাজিরা দিতে হবে। বিচারকের সামনে। এরপর শুরু হয় আর এক টানাপোড়েন। নিনা কোর্ট অফিসারকে ফোনে প্রাণপণ বোঝাতে থাকে, গতকাল রাত্রে এতবড় একটা ঘটনা হয়ে গেছে আক্রান্তের সঙ্গে, সে গাড়িও চালাতে পারে না। তার দুটো ছোট বাচ্চা এবং এরকম অতিমারীর মধ্যে বাচ্চাদের নিয়ে সে কিছুতেই কোর্টে পৌঁছতে পারবে না। দশ মিনিট বাদে ফোন আসে, বিচারক অনলাইনে লিলির সঙ্গে সেশন করবেন। কিন্তু সেই সেশনে নিনা থাকতে পারবে না যেহেতু আদালতে অনুবাদক হবার লাইসেন্স তার নেই। মানসিকভাবে অপ্রস্তুত আর টেকনোলজিতে অত্যন্ত কাঁচা লিলিকে অনেকভাবে বুঝিয়ে জ়ুম সেশনে বিচারকের সামনে উপস্থিত করানো হয়। সারাদিন আশঙ্কায় কাটানোর পর বিকেলের মধ্যে রিস্ট্রেইনিং অর্ডার লিলির হাতে আসে; কিন্তু পরিস্থিতি ভাল হবার বদলে হয়ে যায় অনেকটা জটিল।
বিদেশে মেয়েরা, যাদের ভিসা স্টেটাস, মূল আর্থিক সংস্থান স্বামীর ওপর নির্ভরশীল; নিজেদের মাতৃভাষা ছাড়া অন্য ভাষা জানে না এবং অবশ্যই নিজের অধিকার বিষয়ে কিছুই জানে না, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তারা মুখ বুজে অত্যাচার সহ্য করে। অনেকক্ষেত্রে ছোট সন্তানদের নিয়ে পায়ের তলার জমিটুকুর কথা ভেবে এবং যাবার জায়গা না থাকার জন্য। এক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হল না। কারণ, মাত্র এক বছরের রিস্ট্রেইনিং অর্ডার পেয়েছে লিলি, এরপর কী হবে? প্রচণ্ড অনিশ্চয়তায় অস্থির হয়ে পড়ল সে। যদি স্বামী টাকাপয়সা না দেয়, তারা খাবে কী? ভাড়া না দিলে কাল সে থাকবে কোথায়? সন্ধ্যেবেলা সে যে কাজটা করে, বাচ্চাদের নিয়ে সেটা করবে কী করে? সেক্ষেত্রে কে তাকে আর্থিক সাহায্য করবে?

সৌভাগ্যক্রমে একটা বড় সমস্যার সমাধান হল পরদিন স্কুলে বাচ্চাদের কাস্টডি চেঞ্জের কথা জানাতে গিয়ে। লিলির বড় মেয়েটির শিক্ষিকা অনেকদিন থেকেই অনলাইন ক্লাসে মেয়েটির গুটিয়ে যাওয়া ব্যবহারে এবং রেজাল্টের পরিবর্তনে, বাড়ির পরিস্থিতি নিয়ে আঁচ করছিলেন কিছু। সমস্ত কথা জানার পর একটা বিরাট সাহায্যের হাত এসে পৌঁছল লিলির কাছে। মেয়ের ক্লাসটিচার এবং স্কুলের বাকি শিক্ষিকারা একত্র হয়ে পরের দু’দিনের মধ্যে সংসার চালানোর জন্য গ্রোসারি স্টোরের গিফট কার্ড, নষ্ট হয় না এরকম প্রচুর খাবার আর যে কোনও দরকারে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি নিয়ে পৌঁছে গেলেন লিলির বাড়ির দরজায়। যাবার আগে ছাত্রীকেও দেখে গেলেন বাইরে থেকে। আর বলে গেলেন কোভিড-পরবর্তী সময়ে বেশিরভাগ স্কুলে লাঞ্চ এবং ব্রেকফাস্ট ফ্রিতে দেওয়া হচ্ছে, যেটা তুলে নিয়ে আসা যায় এবং বাড়িতে বানানো যায়।
এরপর চিন্তা আশ্রয়ের। যদি লিলির স্বামী বাড়িভাড়া না দেয় অথবা তার কাজ না থাকে? নিনা তাদের সংস্থা পিঙ্ক পাওয়ারের উকিলের পরামর্শ নিয়ে, লিলির হাউসিং কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে সমস্ত পরিস্থিতি জানিয়ে, লিলির জন্য অ্যাপার্টমেন্টের ভাড়ায় ভর্তুকির আবেদন করল। যে শহরে লিলি থাকে সেই শহরের আবাসন কর্তৃপক্ষের কাছে, লো ইনকাম হাউসিংয়ের জন্যও আবেদন করল। এছাড়া পিঙ্ক পাওয়ার নিজেরাই স্টেট গভর্নমেন্টের কাছ থেকে অতিমারী পরিস্থিতিতে পাওয়া গ্রান্ট থেকে লিলিকে কয়েমাসের ভাড়া, ইলেট্রিক বিল এবং অন্যান্য খরচবাবদ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিল। অবশেষে দু’তিনদিনের মধ্যে লিলির পরিবারে কিছুটা আশ্বাস আর স্থিতি এল।
এ পর্যন্ত পড়ে মনে প্রশ্ন আসতেই পারে যে এ দেশের ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স অর্গানাইজ়েশনের, ‘ভিকটিম অ্যাডভোকেট’দের কি প্রত্যেকটি দিনই এরকম ঘটনাবহুল, নাটকীয় হয়? উত্তর হল, সেটা নাও হতে পারে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, এর থেকে অনেক বেশি ঘটনাবহুলও হতে পারে। অবিশ্বাস্য শোনালেও এটাই সত্যি। এই পুরো প্রক্রিয়াটা চলাকালীন নিনা তার আর একজন ক্লায়েন্ট, যার এদেশে থাকার ভিসা তার স্বামীর ওপর নির্ভরশীল, তার জন্য উকিলের সঙ্গে কথা বলছিল, বিশেষ ভিসা অ্যাপ্লিকেশনের ব্যাপারে। তাই এ কথা বলাই যায় যে এদের প্রত্যেকটা দিনই অত্যন্ত অপ্রত্যাশিত। কারণ যে মুহূর্ত থেকে তাদের হটলাইনে প্রথম ফোন কলটা আসে যে একটা মানুষ তার বাড়ির চার দেওয়ালের মধ্যে শারীরিক, মানসিক বা যৌন নির্যাতনের জেরে আটকে আছে, একটা বিপর্যয়ের আশঙ্কাও বাড়তে থাকে এদের মধ্যে। কোনও মারাত্মক পরিণতির ভয় মনে সবসময় আসতে থাকে, যেহেতু বন্দুক কেনা এবং ব্যবহার করা এখানে শক্ত নয়।
টাইম ম্যাগাজিনে প্রকাশিত একটি প্রবন্ধ অনুযায়ী, ২০২০ সালে আমেরিকার বিভিন্ন শহরে সংক্রমণের কারণে বাড়ির চার দেওয়ালের মধ্যে আটকে পড়া পরিবার, বিশেষতঃ যেখানে আগে থেকেই গার্হস্থ্য হিংসা চলছিল, বেড়ে গেছে অনেকগুণ। আমেরিকান জার্নাল অফ মেডিসিনের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, পোর্টল্যান্ড শহরে বেড়ে গেছে ২২%, স্যান আন্তোনিওতে ১৮%, নিউ ইয়র্ক সিটিতে ১০%। ২০২০ সালের মার্চ থেকে মে মাসের মধ্যে, বস্টনের বিখ্যাত একটি হাসপাতালের রিপোর্ট অনুযায়ী, গার্হস্থ্য হিংসার ফলে হওয়া রেডিওলোজি বিভাগের স্ক্যান আর কোনও বাইরের আঘাত থেকে হওয়া ক্ষতের সংখ্যা, আগের দু’বছরের ওই সময়ে হওয়া মোট সংখ্যার চেয়ে বেশি।
এখন এ দেশে, এই অতিমারীর সময়ে দাঁড়িয়ে, নিনার মতো অজস্র কর্মীরা তাদের ক্লায়েন্টদের কাছে পৌঁছতে পারছে না। কিন্তু আইনি ব্যবস্থা নিতে সাহায্য করা, থাকার জায়গার ব্যবস্থা করা, বাচ্চাদের স্কুলের সঙ্গে কাজ করা, ফুড স্ট্যাম্প, স্বাস্থ্য বিমার আবেদন করা, ড্রাইভিং লেসন, ইংরেজি বলতে না পারলে সে বিষয়ে সাহায্য করা আর যে কোনও সময় তাদের ক্লায়েন্টদের সঙ্গে কথা বলে তাদের ভরসা দেওয়া তাদের রোজকার কাজ। লিলির মতো অবস্থা আরও খারাপ হলে পরিস্থিতি অনুযায়ী আক্রান্তদের পায়ের তলার মাটি শক্ত করছে তারা প্রত্যেকদিন। প্রাণপন।

কিন্তু নিনার সঙ্গে যখন আমার কথা হচ্ছিল, তখন বুঝলাম যেটা তার কাছে আরও অনেক বেশি চিন্তার বিষয়, সেটা টাইমসে বেরনো ওই প্রবন্ধেও একইভাবে উঠে এসেছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের অনেক ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স কর্মীদের কাছ থেকে। তাদের শেল্টারের হটলাইন যতই চালু থাকুক, বাড়ুক অথবা পুলিশ বা আদালতের সঙ্গে কাজ করতে হোক, সেটা তারা করছে এবং করবে। তাহলে কোন বিষয়টা তাদের আশঙ্কা বাড়াচ্ছে?
যখন হটলাইনে সাহায্যের জন্য ফোন আসা কমে যায়।
নিনার কথায়, ‘যখন ব্যক্তিগত ফোনে আসা কোনও নিয়মিত ক্লায়েন্ট কল বন্ধ হয়ে যায়।’ জানার কোনও উপায় থাকে না, একই বাড়ির চার দেওয়ালের মধ্যে চব্বিশ ঘণ্টা পাশাপাশি থাকা আক্রমণকারীর সঙ্গে কেমন আছে তারা প্রত্যেকদিন? কী করছে? সবকিছু শেষ হবার আগে ফোনটা আসবে তো নিনার কাছে? নিনাদের কাছে?
মহুয়া সেন মুখোপাধ্যায় বস্টন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী। মূলতঃ ছোট গল্প এবং আর্টিকেল লেখেন। ছোট গল্প সংকলন ক্যালাইডোস্কোপ এবং অপরাজিতা প্রকাশিত হয়েছে, কমলিনী,দেজ পাবলিকেশন থেকে।একটি ছোট গল্পের অনুবাদ শর্টলিস্টেড হয়েছে, ‘Armory Square Prize for women writers in South Asian literature’ এ। অনুদিত গল্পটি প্রকাশিত হয়েছে বিখ্যাত Words Without Borders এর পাতায় ।আনন্দবাজারের বিদেশ পাতার নিয়মিত লেখেন তাছাড়া রোববার-সংবাদ প্রতিদিন, বাংলা লাইভ, গুরুচণ্ডালী এবং আরো কিছু ম্যাগাজিনে গল্প এবং ছোট বড় প্রবন্ধ নিয়মিত লেখেন।
2 Responses
Excellent depiction of ever present domestic violence on women and problems faced by immigrants
3xcellant subject bad luck in8ndia5his type of korganisations are not available and of course the public support is not at all supportive mashima fr Delhi