ও হে গদাই, সঙ্গে ও কে?
তোমার বোনাই?
ঠিক ধরেছেন।
রসগোল্লা আনব বলে
যাচ্ছি জনাই।
রসগোল্লা? বা বা বা
ফিরছ কখন?
সেই অনেক আগে তোমার বাবা
নারায়ণের সিন্নি দিলেন
গিন্নি আমার আজও বলেন
সেসব কথা যখন তখন।
তারপরে আর
তোমার বাড়ি হয়নি যাওয়া
আজ যাব’খন
বেশ, আসুন তবে
রাত বারোটায়
একটুও ভুল হয়না যেন
ফিরতে ফিরতে রাত গড়াবে
একশো হাঁড়ি মিষ্টি নইলে
চলবে কেন?
জনাই যাওয়ার খবর জেনেই
পাড়ার সবাই আসছে বাড়ি
খবর নিতে, নরম গরম,
কড়া তেজি
নতুন দোকান দিচ্ছি কিনা
শুভদিনে কিনতে হবে
দু‘ চার কেজি
হুঁ হুঁ ভারী তোমার রসগোল্লা
সে বেচে ওই পাগলা রতন
চললাম হে
রতন আমায় রোজই দুটো
চাখায় কিনা
বিনে পয়সায়, বুঝলে বাপু
পয়সা বিনা। নিখরোচায়
চললাম হে, দেখা হবে এ এ এ
এমনই করেই
আবার কোথাও।
কোত্থেকে যে এমন অপগণ্ড জোটে
জনাই গাঁয়ে রসগোল্লা রসের বশে
উপচে ওঠে
গদাই তার বোনাই নিয়ে
হাসতে হাসতে জনাই ছোটে
রসিকলাল জন্ম-অলস। ফলে চিরকালের কাঠবেকার। তবে পরনিন্দা পরচর্চায় তাঁর বিশেষ আগ্রহ ও বুৎপত্তি লক্ষণীয়। আর বাচ্চাদের সঙ্গ ভারী পছন্দ করেন।