“হংসপৃষ্ঠে আরোহণী চতুর্ভুজা ত্রিনয়নী সহস্র ফণা শোভিছে মস্তকে”
ছিদামের মুখ থেকে হঠাৎ পদ্মপুরাণের এই শ্লোক শুনে চমকে ওঠে সীমা। ওদের নাগ বাড়িতে খুব চর্চা আছে এই পুরাণের। বাঁকুড়ায় তাদের দেশের বাড়িতে নাগেরা হলেন শাঁখারি অর্থাৎ বংশ-পরম্পরায় শাঁখের কাজ করে। তারা আবার শ্রাবণ সংক্রান্তিতে অগস্ত্যমুনির পুজোও করে। অবাক মুখ করে সীমা বলে, “তুই তো খুব মুখস্থ রাখতে পারিস!”
সায়নদের বাড়িতে এসবের চর্চা নেই। তাই অনেকদিন বাদে ছিদামের মুখে এই শ্লোক শুনে সীমার তখন বিগলিত করুণা, জাহ্নবী যমুনা দশা। মেয়েদের এমনই হয়। বাপের বাড়ির যা কিছু হোক, প্রবাসে অথবা দৈবের বশে… সুখ সবেতেই। বেড়ালটাও। আলুসেদ্ধটাও। পুজোর মন্ত্রটাও। এমনিতে আউট অফ সাইট, আউট অফ মাইন্ড। কিন্তু ছিদামের মুখে হঠাৎ ছেলেবেলার চেনা শ্লোক শুনে কেমন যেন আনচান করে উঠল তার মন।
“তোর তো দেখি বেশ গড়গড় করে মুখস্থ!” সীমা বলে ওঠে।
ছিদাম বলে, “মুখস্থ না রেখে উপায় কী? পেট চালাতে তো হবে। এত কথা বলছি, গল্প শোনাচ্ছি বলেই না আমাকে আপনারা এতক্ষণ সঙ্গে রেখেছেন!”

সাপের প্রসঙ্গ এলেই কথা ঘোরায় সায়ন। ছিদামের মুখে মনসার শ্লোক শুনে এবারেও যথারীতি কথা ঘুরিয়ে দিল।
পকেটে হাত দিতেই সেই তান্ত্রিকের টকটকে লাল গ্লসি পেপারের ঝিনচ্যাক কার্ডটা বেরিয়ে আসে। খানিক কিন্তু কিন্তু করে ছিদামকে তান্ত্রিক রাজাবাবার কথাটা জিজ্ঞাসা করেই ফেলে সায়ন। ততক্ষণে সীমা মৌলীক্ষা দেবীর মন্দিরে ঢুকেছে পুজোর প্রসাদ আর প্রসাদী ফুল নিতে। এটাই সুযোগ। সীমার অনুপস্থিতিতে এসবের খোঁজ নেওয়াই ভালো। নয়তো আবার সে গোল বাধাতে পারে। হয়তো বলে বসবে, বিজ্ঞানের ছাত্র হয়ে এই যুগে তান্ত্রিকের খোঁজ! এসবে তোমার তো জন্মেও বিশ্বাস ছিল না!
মন্দিরের বাইরে দাঁড়িয়ে ছুতোয়নাতায় কথাটা ছিদামকে জিজ্ঞেস করে নিল সায়ন। রাজাবাবার ব্যাপারটা কতটা সত্যি, জানা দরকার।
ছিদাম বলল, “আছে তো! কত বাবা, কত শাস্ত্রী, কত তান্ত্রিক সব!” তবে এঁদের খপ্পরে একবার পড়লেই শেষ। দুয়ে নেবে এক্কেবারে। আভাসে ইঙ্গিতে সে কথা বুঝিয়েও দিল ছিদাম। তবুও সায়নের ইচ্ছে, তাই সে যাত্রায় রাজাবাবার আশ্রম চিনিয়ে দিতে হল ছিদামকে।
সবচাইতে কাটতি নাকি ওঁরই এখানে! ছিদামের কথা থেকেই স্পষ্ট, ম্যাক্সিমাম ক্লায়েন্ট যায় এই রাজাবাবার আশ্রমেই।
সায়ন বুঝল, বেশ জাঁকিয়ে বসেছেন এই তান্ত্রিক গুরু মলুটীর মন্দির অঞ্চলে। ঠিক মাঘের শীতের মতোই। দুহাতে রোজগার। সেখানেও চ্যাংড়া ছেলেপুলের দল তাদের ভিডিও ব্লগের জন্য ভিডিও তুলতে ব্যস্ত। তান্ত্রিক, জ্যোতিষদের দালাল না কই এরা! রাজ্যের চারদিকে বেকারত্বের হাহাকার। এরাই বা আর কী করবে? এইসব বাবারা তাঁদের সারাবছর ধরে পোষেন। তাই তারাও বাবাদের বিজ্ঞাপনে খামতি রাখে না। নিজেদের ভ্লগে গরগরে সব কথা বলবে তান্ত্রিক বাবাদের নামে, আর হইহই করে তাদের চ্যানেলের ভিউয়ারশিপ বেড়ে যাবে। সেই ভ্লগ যেইমাত্র কমেন্ট আর লাইকে বানভাসি হবে, রাজাবাবা হয়তো ছেলেগুলোকে বেশ কিছু টাকাপয়সা দেবেন। এভাবেই রোজগার তাদের। কাটমানির যুগ, দালালির যুগে বেকারদের এভাবেই বেঁচে থাকা। তবে এ যুগেও মানুষের এসব অলৌকিক গল্পে বিশ্বাস! অবাক হয় সায়ন।

ছিদাম বলল, “আপনারা যাবেন ওখানে? নাম লেখানো আছে? এই দেখুন! কী বলেছি! যারা ভিডিও করে আশ্রমের ভিড়ের ছবি তুলছে ওদের বলতে হবে গিয়ে। ছেলেগুলোর সব চুলের রং দেখুন, পোশাক দেখুন! চুল কাটার কায়দা দেখুন!”
সায়ন ভাবে, তাই না তাই। কমবয়সী কিছু ছেলে নানা রকমের মুখবিকৃতি করে, অঙ্গভঙ্গি করে ভিডিও তুলতে ব্যস্ত। মোদ্দা কথা হল অহোরাত্র পেটের দায়ে রাজাবাবার মোসায়েবি করা ।
সব দেখেশুনে অবশেষে সায়ন বলেই ফেলে, “নাহ! তার আর দরকার নেই। ভেবেছিলাম একবার দেখতে পেলে ভালো হত লোকটাকে।”
সায়ন বুঝে পায় না, কীসেরই বা এত ভিড় এখানে আর কেনই বা ইশকুলের রমেশবাবুর এত বিশ্বাস এই রাজাবাবার ওপর। সেটাই দেখার আগ্রহ ছিল। মনে মনে ভাবে সায়ন। তবে সে সাধ আপাতত মিটে গেছে এসব দেখে।
ছিদাম বলল, “হেব্বি চার্জ নেয়। একটা কোশ্চেন জিজ্ঞেস করলেই ৫০০ টাকা নেয়। আর একবার সেই টোপ গিললে কম সে কম হাজার পাঁচেক বেরিয়ে যাবে আপনার পকেট থেকে।”
শুনতে শুনতে হতবাক সায়ন ভাবল, এইটুকুনি ছেলে ছিদামের যে সুবুদ্ধি আছে, সায়নের তাও নেই? সেই জন্যই সীমা বলে, “এসবে বিশ্বাস কোরো না কোনোদিনও।”
ধুস! সে কিছুতেই আর এই ভেকধারী বাবার ত্রিসীমানায় যাবে না।
ছিদা্মের দিকে তাকিয়ে সায়ন ভাবল, এই গরিব ছেলেটাকে আজ অন্তত ৫০০ টাকা দিতেই হবে। ছেলেটার এলেম আছে। বেচারি পায়ে হেঁটে হেঁটে এতক্ষণ তাদের সবকিছু ঘুরে দেখিয়েছে। পুরাণ থেকে ইতিহাস, কত কিছু শুনিয়েছে। ঠিক প্রফেশনাল গাইডদের মতো। কত এমন জ্যোতিষী, তান্ত্রিক বাবারা আমাদের দেশে লোক ঠকানোর ব্যবসা ফেঁদেছে। মানুষের মাথায় হাত বুলিয়ে দুয়ে নিচ্ছে। অন্যদিকে ছিদামের মতো একটা সরল ছেলে, অথচ সে প্রকৃত অর্থেই ভালো কাজ করছে। তাহলে অভাবী ছিদামকে বঞ্চিত করা কেন?
সঙ্গে সঙ্গে পকেট থেকে একটা ৫০০ টাকার নোট বের করে ছিদামের হাতে ধরিয়ে দিয়ে সায়ন বলল, “আজকের মতো আমাদের ঘোরা শেষ। তুই এবার চাইলে অন্য ক্লায়েন্ট খুঁজে নিতে পারিস। আরও দুটো পয়সা হবে তোর। ভালো থাকিস রে।”

ছিদাম স্বপ্নেও ভাবেনি অতবড় একটা নোট পাবে। আজ অবধি মলুটী, মল্লেশ্বরে বেড়াতে এসে এত টাকা কেউ দেয়নি তাকে, বড়জোর দুশো। সেই টাকাটাই অনেক বেশি মনে হয়েছে ওর। তবে আজ সকালে উঠে প্রথম একটা ঢোঁড়া সাপের মুখ দেখেছিল সে। তার জন্যেই না সে এমন বরাত পেয়েছে! সায়নকে একগাল হেসে ছিদাম বলল, “মল্লেশ্বর যাবেন না আপনারা? সেখানেও অনেক মন্দির আছে দেখার মতো। ভালো ছবি তুলতে পারবেন।”
সায়ন বলল, “ফেরার পথে আমরা নাহয় ওটা দেখে নেব। তুই বরং আয় এবার। খদ্দের আর না পেলে এবার বাড়ি গিয়ে খাওয়াদাওয়া করে নে।” ছিদামের শীর্ণ শরীর দেখে মায়া হয় সায়নের।
“আপনারা কোথায় খাবেন? ভাতের হোটেলও আছে এখানে।” ছিদামের আতিথেয়তার কোনও তুলনা নেই।
— “আমরা? ওই যে মলুটী ঢোকার পথে তুই গরম তেলেভাজার দোকান দেখালি! মন্দিরের বাইরে! ওখানে তেলেভাজা, মুড়ি আর চা খেয়ে নেব আমরা। তোদের ঝাড়খণ্ডের বড় বড় লংকার চপটা খাই আগে। ওটা দেখে খুব লোভ হয়েছিল তখন।”
আসার সময় সীমা নির্জলা উপোস ছিল। মন্দিরে পুজো না দিয়ে কিছুতেই খাবে না। তাই সায়নেরও খাওয়া হয়নি।
— “দুপুরে ভাত খাবেন না? চলুন না আমাদের ঘরে। আমাদের খেতের মোটা চালের ভাত, বিরির ডাল। আমার মা হেব্বি রান্না করতে পারে। আমার মাও বানাতে পারে এই লংকার চপ। যাবেন বাবু?”
অনাত্মীয় ছিদামের গলায় যেন এক নিবিড় আপ্যায়নের সুর। সায়ন হেসে ছিদামের মাথায় হাত রেখে স্নেহের সুরে বলে, “পরের বারে নিশ্চয়ই যাব রে। কথা দিলাম।” মনে বড় আনন্দ হয় তার। ভারতের এক কোণে পড়ে থাকা প্রায় অখ্যাত এক গ্রাম, অথচ কী গভীর তাদের আতিথেয়তা! অতিথি তাদের কাছে দেবতা যেন! এমন কত আছে আমাদের দেশে। মানুষের এই আদি অকৃত্রিম সারল্য দেখে মন ভরে যায় সায়নের।

ছিদামের যেন সেখান থেকে যেতে আর মন সরে না। বাবুরা কী খাবে? কোথায় ফিরবে আবার? কেমন করে ঘুরবে? অতগুলো টাকা দিল ওর হাতে… এসব ভাবতে ভাবতে পথ হাঁটে সে, নিজের বাড়ির দিকে। কিন্তু তার মন পড়ে থাকে মলুটীর মন্দিরের বাইরে সায়নের লাল টুকটুকে ছোট গাড়িটার দিকে। যাইহোক মাস্টারবাবু আর দিদিমণিটা সত্যিই খুব ভালো। এমন ক্লায়েন্ট তার জীবনে প্রথম।
সারাটা দিন সায়ন আর সীমার সঙ্গে ঘুরে ঘুরে তাদের উপর বেশ মায়া পড়ে গেছে ছিদামের। গ্রামের সরল ছেলেটার চোখমুখ দেখে সেই টানটা বেশ বুঝতে পারে সায়ন। ধুলোমাখা চোখমুখ, উসকোখুসকো চুল, কালো চুলের ফাঁকে ফাঁকে তামাটে আভা— দেখেই বোঝা যায়, শরীরে পুষ্টির অভাব। হাতে-পায়ে খড়িমাটি দিয়ে যেন কেউ আঁচড়ে দিয়েছে। তবুও যেন আলো আলো চাহনি ছিদামের। সারল্য আর প্রতিভা মিলেমিশে একাকার তার কৈশোরের চেহারায়। চেহারার সঙ্গে নামটিও বেশ মানানসই— শ্রীদাম। কৃষ্ণের প্রিয় বন্ধু ছিলেন শ্রীদাম সখা। এ ছেলের নাম সার্থক। এদ্দিন ধরে শহরের ইস্কুলে ছেলে ঠেঙিয়ে এইটুকুন দিব্য বুঝতে পারে অংকের মাস্টারমশাই। তার স্কুলের সব ছেলেদের থেকে ছিদাম অন্যরকম, আজকের যুগের হিসেবে খানিক বেমানানও। অদ্ভুত একটা সারল্য আছে ছেলেটার ভিতর, আর সবচাইতে বড় কথা হল তার মধ্যে অনেক গুলো গুণ দেখতে পেয়েছে সায়ন ওইটুকু সময়ের মধ্যে। মনে মনে সে ছিদামের জন্য প্রার্থনা করে। ছেলেটাকে আশীর্বাদ করুক ঈশ্বর। ভালো হোক ছেলেটার। আরও বড় হোক সে।
ইতিমধ্যে সীমা পুজো দিয়ে হন্তদন্ত হয়ে ফিরে এসে খুঁজে আর পায় না সায়ন বা ছিদাম কাউকেই। সায়নই তাকে দেখতে পেয়ে হাত নেড়ে ডাকে। পুজোর ফুল সায়নের মাথায় ঠেকিয়ে ছিদামকে খুঁজতেই সায়ন বলে, “ওকে টাকা দিয়ে ছেড়ে দিলাম, বুঝলে!”
সীমা বলল, “এ বাবা! আমি একটু প্রসাদ দিতাম ওর হাতে। ছেলেটা বড় ভালো গো।”
সায়ন বলল, “এতক্ষণ ঘুরছে ছেলেটা, খিদে পেয়ে গেছে হয়ত। মায়া হল তাই।”
সীমা মাথা নাড়ে, “সে বেশ করেছো। আমারও কিন্তু পেটে ছুঁচো ডনবৈঠক দিচ্ছে এবার।”
সায়ন বলে, “তোমার এইসব উপোস টুপোসের চক্করে আমিও ফেঁসে গেছি। এসব কেউ মানে? কোথায় লেখা আছে, পুজো দেবার আগে উপোস করতে হয়?”
সীমা বলে, ” আরেহ! এসব হল ছুতো। সেই ফাঁকে, দুজনের বডি ডিটক্সিং হয়ে গেল তো! আর সঙ্গে বোনাস মৌলীক্ষা মায়ের আশীর্বাদ। যদি আদৌ তিনি আমার ভক্তিতে গদগদ হয়ে আশীর্বাদ করেন আর কি!”
“এবার চল দিকিনি…” সায়ন তাড়া দেয়।
— “মনে আছে, মৌলীক্ষা মায়ের মন্দির থেকে বেরিয়ে রাস্তার ধারে অজস্র তেলেভাজার দোকান দেখেছিলে!”
— “হুম, ঠিক যেমনটি বলেছিলেন আমাদের অফিসের রমেশবাবু। জানো, ছিদামও বলে গেল এটা চপ মলুটীর অন্যতম ডেলিকেসি!”
— “পাতি তেলেভাজার আবার ডেলিকেসি কী? আমিও বানাতে পারি।” মুখ বাঁকায় সীমা।
কথা বলতে বলতেই ওরা এগিয়ে গেল একটা দোকানের দিকে। স্মার্ট স্বামী-স্ত্রীর তেলেভাজার দোকান। বাংলায় কথা বলে তারা। তবে বাংলার তেলেভাজার দোকানের চেয়ে আরেকটু স্মার্ট আর আপগ্রেডেড। স্মার্ট সাজগোজ করা বৌ হরেক কিসিমের তেলেভাজা ভাজে গুছিয়ে, আর তার হ্যান্ডসাম বর ক্যাশে বসে। ডিজিটাল ওয়ালেটে অভ্যস্ত। পাশে ছোট্ট মেয়ে বেঞ্চিতে বসে লেখাপড়া করছে। মাঝেমাঝে বাবা মা’কে জিজ্ঞেস করছে বই খুলে।
দোকানে নানা ধরনের চপ থরে থরে সাজানো। ঝাড়খণ্ডি সবুজ লম্বা লংকার মধ্যে আলুর পুর ঠেসে দিয়ে বেসনের গোলায় ডুবিয়ে জম্পেশ ভাজছে। সঙ্গে আছে আলুর চপ, বেগুনি, মুড়ি আর চা। সেই মুহূর্তে খিদের মুখে সত্যিই লোভ লাগল সীমা আর সায়নের।
মোবাইলে তেলেভাজার দোকানের কিউ আর কোড স্ক্যান করে পেমেন্ট করে সায়ন। তারপর ঠোঙা ভরে মুড়ি আর তেলেভাজা কিনে গুছিয়ে গাড়ির দিকে এগোয়। ফাঁকা একটা গাছের নীচে বসে সেদিনের মতো লাঞ্চ হয়ে গেল সায়ন আর সীমার। শীতের দুপুরের বেশ অন্যরকম লাঞ্চ।
সায়ন বলে, “জানো, ছিদাম জাস্ট ভাবতেই পারে না ভাতের বদলে আমরা দুপুরে কী করে মুড়ি খেয়ে থাকব!”
সীমা বলল, “ইশ! ও থাকলে একটু খেতে পারত আমাদের সঙ্গে। খুব সপ্রতিভ ছেলে।”
সায়ন বলল, “ওকে নাম্বার দিয়েছি। ফোন করতে বলেছি।”
ফোনের কথায় সীমা আনন্দ পায়। বলে, “ইশ! আমার সঙ্গে তো দেখাই হল না।”
অলংকরণ: শুভ্রনীল ঘোষ
*পরের পর্ব প্রকাশ পাবে ১২ এপ্রিল, ২০২৩
রসায়নের ছাত্রী ইন্দিরা আদ্যোপান্ত হোমমেকার। তবে গত এক দশকেরও বেশি সময় যাবৎ সাহিত্যচর্চা করছেন নিয়মিত। প্রথম গল্প দেশ পত্রিকায় এবং প্রথম উপন্যাস সানন্দায় প্রকাশিত হয়। বেশ কিছু বইও প্রকাশিত হয়েছে ইতিমধ্যেই। সব নামীদামি পত্রিকা এবং ই-ম্যাগাজিনে নিয়মিত লেখেন ছোটগল্প, ভ্রমণকাহিনি, রম্যরচনা ও প্রবন্ধ।