Generic selectors
Exact matches only
Search in title
Search in content
Post Type Selectors

বরফে ঢাকা রাশিয়ার ‘মুরমন্সক’ আর মেরুজ্যোতি: পর্ব ১

বিদ্যুৎ দে

এপ্রিল ১৮, ২০২৩

Murmansk travel and Arora borealis
Murmansk travel and Arora borealis
Bookmark (0)
Please login to bookmark Close

মুরমন্সক (Murmansk) নামটা মনে রাখা বেশ মুশকিল। তাই ‘ময়ূরের মন’ মনে করে রাশিয়ার উত্তর-পশ্চিম প্রান্তের এই শহরটাকে চট করে ধরে ফেলতাম। কিন্তু অদ্ভুতভাবে সেই শহরের সঙ্গে ময়ূরের একটা প্রসঙ্গ মিলে গেল। 

তেমনই আরও এক ভাবনার চাক্ষুষ সমাপতন।

রাশিয়া শব্দটা প্রথম শুনেছিলাম স্কুলবেলায় কেকের দৌলতে। চাকা লাগানো ডালায় কাচের বয়ামে রাখা সাদা ডাবল-ডেকার বিস্কুটে নারকেলের ঝুরো মাখানো রাশিয়ান কেক। বারো পয়সা দামে তখন তা মহার্ঘ বস্তু। সাতদিনের পয়সা জমিয়ে হাতে পাওয়ার পর ধারণা হয়েছিল, সে দেশটা সাদা তুষারের দেশ। আর ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারির শেষে সাত বছরের রোজগার থেকে বাঁচিয়ে রাশিয়ায় পৌঁছে আমার মনে হল, অপুর বয়সী সেই বালকের ভাবকল্পনার সাথে সাতান্নর প্রৌঢ়ের চাক্ষুষ দেখার কোনও ভেদ নেই।

রাশিয়া ভ্রমণের প্রথাগত ছক ছেড়ে সেই উত্তর মেরুর নিকটতম মুরমন্সককে ছকে গাঁথার কারণ, মেরুজ্যোতি। সে এক অতুলনীয় মহাজাগতিক সৌন্দর্য। 

অভিভাবকদের হাত ধরে কলকাতা দেখার প্রচলিত অঙ্গ ছিল বিড়লা প্ল্যানেটোরিয়াম। তার জাঁকজমক, তথ্য ইত্যাদির থেকেও একটি আলোকচিত্র কিশলয়ে স্থায়ী ছাপ ফেলেছিল। বৃত্তাকার গ্যালারির দেওয়াল-জোড়া এক আলোকচিত্র। উপবৃত্তাকারে আশ্চর্য সব রং। লেখা ছিল অরোরা বোরিয়ালিস। এটা কী জিনিস? বড়রা বলেছিল, মেরুপ্রদেশের আকাশে দেখা যায়। সে তো তখন স্বপ্নেরও ওপারে। তাই হয়ত অধরার তুলিতে অরোরার রং কাঁচা মনে পাকা ছাপ ফেলেছিল।

তারপর সেই বিড়লা তারামণ্ডলে অ্যাস্ট্রোনমির প্রশিক্ষণে শ্রী দেবীপ্রসাদ দুয়ারী স্যারের সৌজন্যে জানলাম, এ শুধু সুন্দর নয়, এ এক ভয়ংকর মহাজাগতিক ঘটনা। যার চুম্বনে পৃথিবীর প্রাণসংহার মুহূর্তেই ঘটে যেত যদি না চুম্বকীয় আবরণে মোড়া থাকত এই সুন্দরতম প্রাণস্পন্দিত গ্রহটি। সূর্য থেকে যে আয়ন মারণাস্ত্র ছড়িয়ে পড়ছে, তার সঙ্গে পৃথিবীর চুম্বকীয় বলরেখার ঢালের সংঘাতে সৃষ্টি হয় মেরুজ্যোতি। ভয়ংকরতম যুদ্ধের সুন্দরতম বর্ণময় আলোকপ্রভা।

এমন বর্ণময় আলোকের এই ঝরণাধারা প্রত্যক্ষ করার প্রচলিত প্রকৃষ্ট স্থান হল নরওয়ে। যা অত্যন্ত ব্যয়বহুল বলে মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে। সেই নরওয়ে থেকে মুরমন্সক হাজার দুয়েক কিমি দূরে হলেও মুরমন্সক কিন্তু উত্তর মেরুর আরও কাছে। রাশিয়ার উত্তর-পশ্চিম প্রান্তে ব্যারন সাগরের পাড়ে মেরুবৃত্তের অন্তর্গত। তাই আমাদের সপ্তরথীর মূল লক্ষ্য শীতকালীন জমাট বৈকাল লেকে পদচারণা হলেও শুধু বোরিয়ালিসের আশায় এই সুদূরে আসা। সে প্রত্যাশাও অনিশ্চয়তায় পূর্ণ। কারণ মহাজগতের মর্জি, আকাশের মেজাজ, কুয়াশা, তুষারপাতের বিঘ্ন ইত্যাদি। তাই ভাগ্যের ভরসায় মহার্ঘ তিনটি রাত বরাদ্দ করেছিলাম মেরুজ্যোতির মন পাওয়ার আশায়।

arora borealis
অরোরা বোরিয়ালিস

নয়াদিল্লি থেকে মাঝরাতের উড়ানে একলাফে দ্বিপ্রহরে মস্কো। তার কয়েকঘণ্টা পর আর এক উড়ান যখন মুরমন্সকের মাটি, থুরি বরফ ছুঁলো তখন সূর্য হেলে পড়েছে দিগন্তে। নীল আকাশ, সাদা বরফ আর পোতাশ্রয়ের রঙিন আলোর কম্বিনেশনে যে চিত্রটির সৃষ্টি, তাতে মন ফিদা হুসেন। ক্যাবলার মতো মুভিক্যামেরা হাতে হতভম্ব। ভাড়ার ক্যাব থেকে দলনেতা টলস্কির হাঁক, “ঠান্ডায় মরে যাবে যে! গাড়িতে ঢোকো…”। সাত মাথার দলনেতা টলদা। রাশিয়ান হাওয়ায় টলস্কি নামকরণ অম্লানবদনে মেনে নিয়েছেন। আমিও নেতার কথা মেনে রূপকথার আবহ থেকে টয়াটোর অভ্যন্তরে। আহ কী আরাম! বাইরে মাইনাস দশ। ভিতরে প্লাস বিশ। 

আরও পড়ুন: পাহাড়ের কোলে ঝান্ডি-সুনতালে

গাড়ি উড়ছে সেঞ্চুরি পার হওয়া গতিতে। মাখনের মতো না বলে বলি মসৃণ ইস্পাতের মতো পথ। দু’পাশে সরিয়ে রাখা অবাঞ্ছিত তুষারের স্তুপ, পথের দু’পাশের দূরদর্শনে বাধা। সামনের কাচে দেখা গেল আলোজ্বলা প্রকাণ্ড একটা শহরকে এত্তটুকু মাপে। যেন প্রচণ্ড শীতে কুঁকড়ে এত্তটুকু হয়ে আছে। প্রশস্ত রাজপথ, ওভারব্রিজ‌, আলোর সারি। পথের ওপর ছুটন্ত লাল টেল ল্যাম্প। শহর ক্রমে বড় হয়ে উঠে যেন আমাদের আলিঙ্গনের জন্য দাঁড়িয়ে। মনে পড়ে গেল পাহাড়ের ওপর যোধপুর কেল্লার মুখোমুখি হওয়ার কথা। শহরের ভেতরে ঢুকে প্যাঁচানো পথ বেয়ে চড়তে চড়তে প্রায় শীর্ষে। সারা পাহাড় জুড়ে পরপর আটতলা টাওয়ার। তারই দুটি অ্যাপার্টমেন্ট আমাদের জন্য বরাদ্দ। কেতাবি নাম নর্থলাইট হোস্টেল। 

Murmansk airport
মুরমন্সক বিমানবন্দর

এত বড় কমপ্লেক্সের কেউ কাউকে চেনে না। সারা পৃথিবীর কত শত মানুষজন আসছে যাচ্ছে। কোনও বিরোধ নেই, অভিযোগ নেই, সমস্ত নিঃশব্দ যন্ত্রচালিত এক সুষম পদ্ধতি। সস্তার আবাস হলে হবে কী, এমনই সুসজ্জিত ও নিপুণভাবে সাজানোগোছানো আসবাব ও সরঞ্জামে পরিপূর্ণ যে, নিজের বাড়িতেও এত সুবিধা নেই। কিন্তু একটি জিনিস নেই, যা ভারতীয়দের কাছে অপরিহার্য– হিউম্যান সার্ভিস। নিজের কাজ সাফসুতরো সব নিজেকেই করে নিতে হবে। চেক-আউটের সময় চেক-ইনের মতো সব যথাস্থানে গুছিয়ে যেতে হবে। নইলে জরিমানা। যদিও কেউ নিরীক্ষণে আসেননি। ছোট্ট অফিসের একটি গবাক্ষের ভেতর দু’জন মহিলা কাগুজে কাজ ও চাবি দেওয়া নেওয়া করেন। ও হ্যাঁ, মনে পড়ে গেল, তিনটি বড় শহর, মুরমন্সক, ইরকুটস্ক আর মস্কোর কোথাও তালা-চাবির ব্যবস্থা নেই। চিপ দেওয়া দুটো কার্ড আর একটা চিচিং ফাঁক মন্ত্র। সেটি ভুলে গিয়ে রাত্তিরে মহা বিপদে পড়েছিলাম। ভাগ্যিস একজন ঢুকলেন, নইলে বরফের স্থাপত্যে পরিণত হতাম সদরে। আর হোস্টেলের প্রবেশ পথ যেন ব্যাঙ্কের ভল্ট। ত্রিস্তর নিরাপত্তা।

North light hostel
নর্থ লাইট হস্টেল

কাচের জানালার বাইরে ধাপিতে বরফ পাহাড়ের মিনিয়েচর। দেখা যাচ্ছে, সারা শহর ঢালে গড়িয়ে নেমেছে কোলাবে নদীর দিকে। ওপারে আবার পাহাড়ের সারি। উত্তরে খুব কাছে ব্যারন সাগর, কিন্তু দৃশ্যমান নয়। সেদিকে তাকিয়ে দাঁড়িয়ে এক অতন্দ্র প্রহরী। নাম আলেওশা। সে তাকিয়ে আছে সাগরের দিকে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আক্রমণ সেদিক থেকেই ধেয়ে এসে এ শহরকে চুরমার করে দিয়েছিল যে! ফিনিক্স পাখির মতো ছাইয়ের স্তুপ থেকে আবার মাথা তুলেছে ঐতিহ্যমণ্ডিত মুরমন্সক, ঐতিহাসিক মুরমন্সক, বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী মুরমুন্সক। 

তিনটে দিন পায়ে হেঁটে টইটই করেছি বলেই এই হিমশীতল নগরী তার অন্তরের উষ্ণতা দিয়েছিল অকাতরে। পথপ্রান্তর প্রায় জনশূন্য হওয়া সত্ত্বেও দেখেছি শিশুদের মায়েদের নিয়ে পার্কে খেলতে। এমনকি পেরাম্বুরেটারে দুধের শিশুকে বরফ হাওয়াতে অভ্যস্ত করাতে। কতিপয় পথচলতি হাসিমুখে হাত নেড়ে অভ্যর্থনা জানিয়েছেন। আবার প্রবীণাকে বাজারের থলি হাতে যেতে দেখেছি টলমলে পদক্ষেপে। বিষণ্ণ বৃদ্ধ ঘণ্টার পর ঘণ্টা একা বসে আছেন পথের ধারে কীসের অপেক্ষায় কে জানে? প্রাণস্পন্দিত পথচলতি পরিরা চুম্বন ছুড়ে দিয়েছে অতিথি পর্যটকদের দিকে। ওয়াইন শপের খোঁজ করাতে গাড়িতে রাখা কনিয়াকের বোতল বাড়িয়ে দিয়েছে। যাতে বরফ ভেঙে চড়াই-উতরাই পেরোতে না হয় বিদেশি অভ্যাগতদের। এসব তো বর্তমানের ব্যাপার। 

Murmansk People
বিষণ্ণ বৃদ্ধ ঘণ্টার পর ঘণ্টা একা বসে আছেন পথের ধারে কীসের অপেক্ষায় কে জানে?

অতীতের পথে পা বাড়ালে মুরমন্সক ঐতিহ্যময় বৈচিত্রের জ্যোতিতে ঝলমল করে ওঠে। ১৮৭০-এর আগে এক গ্রামের নাম ছিল সেমেনোভাস্কায়া। তা ছিল এক উৎকৃষ্ট মৎস শিকারের আখড়া মাত্র। তৎকালীন শাসক এই মেরুবৃত্তে এক বন্দর তৈরির পরিকল্পনা করেন। এত উপকূল ছেড়ে এই জায়গাটি নির্বাচনের প্রধান কারণ উষ্ণ উপসাগরীয় সমুদ্রস্রোত। ফলে এখানকার তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নয় ডিগ্রিতে বাঁধা পড়ে। তাই আজও রাশিয়ার একমাত্র বরফমুক্ত বন্দর হিসেবে মুরমন্সক সর্বাধিক ব্যবহৃত ও বৃহত্তম। এরপর প্রথম বিশ্বযুদ্ধের প্রয়োজনে পেট্রোজাভোডস্ক থেকে উত্তর মেরু সংযুক্তি সহ যুদ্ধের রসদ সরবরাহের জন্য রেলপথ নির্মান। কোলা নদীর পাড় বরাবর গড়ে উঠল বন্দর, যে নদী লেক কোলোজিরো থেকে বেরিয়ে ৮৩ কিমি পথ পেরিয়ে ব্যারেন উপসাগরের কোলে আশ্রয় নিয়েছে। ক্রমে ছড়িয়ে পড়ল শহর। পরিবহন মন্ত্রী ট্রিপভের সুপারিশে নাম হল ‘রোমানভ অন মুরমন’। রোমানভ হল সে সময়ের রাজবংশ। আর ‘মুরমন’ হল পোমর জনজাতির কথ্য ভাষায় ব্যারন সাগরের ডাক নাম। এবং এটিই রাজবংশের প্রতিষ্ঠিত শেষ শহর। কেন? ১৯১৭-র মহান ফেব্রুয়ারির বিপ্লবের পর নাম থেকে খসে গেল রাজবংশের ছাপ। শুধু মুরমন্সক নামে সম্মানিত হল আদি জনজাতি পোমর সম্প্রদায়। তবে কি এই শহর রাজপ্রভুত্বের কফিনের শেষ পেরেক? বঙ্গের বাম জমানার সিঙ্গুরের মত? সে নামকরণের ঠিক ১০১ বছরে আমাদের পদার্পণ।

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের দামামা থামার পর মুরমন্সক ক্রমশ ম্রিয়মান হতে হতে প্রায় পরিত্যক্ত হয়ে গেল। কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের জন্যে ও আটলান্টিক সাগরপথে বিশ্ববাণিজ্যের প্রয়োজনে আবার হয়ে উঠল সমৃদ্ধশালী বন্দর নগরী। যে আগুন প্রমিথিউস সে অগ্নিই যেমন নেরো হয়ে ওঠে, তেমনই বিশ্বযুদ্ধের আগুন গ্রাস করল মুরমন্সককে। হিটলারের আক্রমণে এ শহর চাপা পড়ে গেল ধ্বংসস্তূপের তলায়। ধ্বংশের শেষ আছে কিন্তু সৃষ্টির শেষ নেই। সে সতত সঞ্চারী। ১৯৫০ থেকে চারাগাছের মতো বেড়ে উঠতে উঠতে ১৯৭০-৮০ তে আবার উত্তরের শ্রেষ্ঠ শহর হয়ে ওঠা। এ শহরের বর্তমান এলাকা মাত্র ১৫৪ বর্গ কিমি। দৈর্ঘ্য মাত্র ২০ কিমি। কোলা নদীর পূর্ব দিকের পাথুরে পাহাড়ের ধার বরাবর। জনসংখ্যা মাত্র ৩ লক্ষ (২০১৪)। 

Murmansk city
শহর

মুরমন্সকের প্রথম ভোর। কাচঘেরা বারান্দায় নীলচে আলোর আভা। পাশের পাহাড়টা এখনও টপকাতে পারেননি দিনমণি। তাই যতদূর দেখছি হালকা নীলাভ তুষারে ঢাকা। বাইরে পত্রহীন বৃক্ষ। ডালে ডালে লাইট শেডের মতো নতমুখে ঝুলন্ত একগুচ্ছ ফল। এর ওপর তুষারের স্তূপ, যেন বরফের বৃন্ত থেকে একটি ফুলের স্তবক আমাদের ভোরের অভিবাদন জানাচ্ছে। আর একদল পাখির কণ্ঠস্বর গার্ড অফ অনারের বাজনার মতো। ফুল বা ফলের বৃত্তান্ত বিষয়ে সিধু জেঠুমণি থুরি গোগোল দাদামণির দ্বারস্থ হয়ে আমি ফেলু হলেও পাখিদের কিঞ্চিৎ পরিচয় পেলাম। 

নাম ফিল্ড ফেয়ার (Tuudas Pilarios)। নামের সাথে কাম মিলিয়ে এরা মাঠে মানে তুষার ক্ষেত্রে মেলা বসায়। ছাতারে পাখির মতো মাপ। দর্শনে চড়ুই পাখির মতো বুটিদার। হলুদ ঠোঁট লম্বাটে ও তীক্ষ্ণ। মাথা, পিঠ, লেজ ধূসর-কালচে। বুক থেকে লেজ সাদা। গলা হলদেটে কমলা। উড়লে লেজের পালক হাতপাখার মতো মেলে দেয়। এরা সামাজিক ও দলবদ্ধ। খাদ্য হল পোকামাকড়, কেঁচো, বেরি জাতীয় ফল। তবে কি ওই লাল থোকা কোনও বেরি বা চেরি পর্যায়ভুক্ত! কে জানে! প্রচণ্ড ঠান্ডায় অন্য পাখিরা পরিযায়ী হলেও এরা অসহনীয় শীতলতায় স্বচ্ছন্দ। অথচ তেমন পুরু ফারের কোট না পাওয়া সত্ত্বেও। ডাকছে চকচক, চকচকচক। আমার কানে বাজছে ওঠওঠ, ওঠোঠোঠ। ঘুম ভাঙানোর গান। 

Murmansk nature
যেন বরফের বৃন্ত থেকে একটি ফুলের স্তবক আমাদের ভোরের অভিবাদন জানাচ্ছে

আমরা বেরিয়ে পড়েছি পায়ে হেঁটে ঘুরতে। এক বৃদ্ধা তাঁর একমাত্র জীবনসঙ্গী সারমেয়টির সঙ্গে ঘুরতে বেরিয়েছেন। পথের ধারে বেঞ্চের ওপর বরফের স্তূপ থাবড়ে নিয়ে বসে রইলেন প্রত্যাশাহীন নজর ছড়িয়ে। চোখদুটি থেকে যেন রক্তক্ষরণ হচ্ছে। হয়ত চিকিৎসার অর্থ নেই। নয়তো সারাবার ইচ্ছেটাই নেই। সেই অসহায়ত্ব ক্যামেরার ফ্রেমে ধরার চেষ্টাটা তিনি ধরে ফেলেছিলেন। তাই আত্মাভিমানী প্রবীণা ঘুরে বসলেন। পাশেই চাপা পড়া গাড়িকে বরফমুক্ত করছেন মালিক।

 

 

ছবি সৌজন্য: অপূর্ব বণিক 

*পরের পর্ব প্রকাশ পাবে ১১ মে

Bidyut Dey

ভ্রামণিক, আড্ডাবাজ মানুষ। বেড়াতে ভালোবাসেন, আর ভালবাসেন শব্দে গেঁথে রাখতে সেই ভ্রমণকাহিনি

Picture of বিদ্যুৎ দে

বিদ্যুৎ দে

ভ্রামণিক, আড্ডাবাজ মানুষ। বেড়াতে ভালোবাসেন, আর ভালবাসেন শব্দে গেঁথে রাখতে সেই ভ্রমণকাহিনি
Picture of বিদ্যুৎ দে

বিদ্যুৎ দে

ভ্রামণিক, আড্ডাবাজ মানুষ। বেড়াতে ভালোবাসেন, আর ভালবাসেন শব্দে গেঁথে রাখতে সেই ভ্রমণকাহিনি

2 Responses

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Subscribe To Newsletter

কথাসাহিত্য

সংস্কৃতি

আহার

বিহার

কলমকারী

ফোটো স্টোরি

উপন্যাস

Banglalive.com/TheSpace.ink Guidelines

Established: 1999

Website URL: https://banglalive.com and https://thespace.ink

Social media handles

Facebook: https://www.facebook.com/banglaliveofficial

Instagram: https://www.instagram.com/banglalivedotcom

Twitter: @banglalive

Needs: Banglalive.com/thespace.ink are looking for fiction and poetry. They are also seeking travelogues, videos, and audios for their various sections. The magazine also publishes and encourages artworks, photography. We however do not accept unsolicited nonfiction. For Non-fictions contact directly at editor@banglalive.com / editor@thespace.ink

Time: It may take 2-3 months for the decision and subsequent publication. You will be notified. so please do not forget to add your email address/WhatsApp number.

Tips: Banglalive editor/s and everyone in the fiction department writes an opinion and rates the fiction or poetry about a story being considered for publication. We may even send it out to external editors/readers for a blind read from time to time to seek opinion. A published story may not be liked by everyone. There is no one thing or any particular feature or trademark to get published in the magazine. A story must grow on its own terms.

How to Submit: Upload your fiction and poetry submissions directly on this portal or submit via email (see the guidelines below).

Guidelines:

  1. Please submit original, well-written articles on appropriate topics/interviews only. Properly typed and formatted word document (NO PDFs please) using Unicode fonts. For videos and photos, there is a limitation on size, so email directly for bigger files. Along with the article, please send author profile information (in 100-150 words maximum) and a photograph of the author. You can check in the portal for author profile references.
  2. No nudity/obscenity/profanity/personal attacks based on caste, creed or region will be accepted. Politically biased/charged articles, that can incite social unrest will NOT be accepted. Avoid biased or derogatory language. Avoid slang. All content must be created from a neutral point of view.
  3. Limit articles to about 1000-1200 words. Use single spacing after punctuation.
  4. Article title and author information: Include an appropriate and informative title for the article. Specify any particular spelling you use for your name (if any).
  5. Submitting an article gives Banglalive.com/TheSpace.ink the rights to publish and edit, if needed. The editor will review all articles and make required changes for readability and organization style, prior to publication. If significant edits are needed, the editor will send the revised article back to the author for approval. The editorial board will then review and must approve the article before publication. The date an article is published will be determined by the editor.

 

Submit Content

For art, pics, video, audio etc. Contact editor@banglalive.com