Generic selectors
Exact matches only
Search in title
Search in content
Post Type Selectors

রানিক্ষেতের দেড়শ বছরের হোম ফার্ম হেরিটেজ     

চিরশ্রী বন্দ্যোপাধ্যায়

এপ্রিল ২, ২০২৪

Ranikhet travelogue cover
Bookmark (0)
Please login to bookmark Close

কিছু কিছু জায়গা প্রথম দেখাতেই ভালো লেগে যায়রানিক্ষেতের (Ranikhet) হোম ফার্ম রিসোর্ট দেখে সে কথাই মনে হয়েছিল আমারসৌন্দর্যের মোড়কে যেন এক বিরাট জগৎ ধরা আছে তার দুই বাহুর মাঝেরয়েছে এক রহস্য রোমাঞ্চ মাখানো শিহরণ জাগানো অজানার হাতছানিএর আগে বেড়াতে গিয়ে নানান ছোট বড় সাজানো হোটেল রিসোর্টে (Resort) থেকেছিকিন্তু এমন কোনো বিশেষ অনুভূতি হয়নি, যাকে আমাদের ভাষায় স্পেশাল ফিলিং বলেকিন্তু এখানে এসে প্রথমেই মনে হল যেন হঠাৎ করে এক ইতিহাসের মাঝে এসে দাঁড়ালামযেন এক ভিন্ন সভ্যতাসংস্কৃতির মাঝে নিজেকে হারিয়ে ফেললাম এক নিমেষেরানিক্ষেতের অপূর্ব হিমালয়, সেই অনন্য রিসোর্টের ছায়া হয়ে জায়গা করে নিল আমার মানসপটে। 

Holm Farm Heritage resort, Ranikhet
রানিক্ষেতের অপূর্ব হিমালয়, সেই অনন্য রিসোর্টের ছায়া হয়ে জায়গা করে নিল আমার মানসপটে

সেবারে কুমায়ুন হিমালয়ের (Kumaon Himalaya) এক সুন্দর অংশকে ঘুরে দেখব বলে আকাশপথে পন্তনগর বিমানবন্দর (Pantnagar Airport) দিয়ে ভীমতাল নৈনিতালের পথে এগিয়েছিলামধাপে ধাপে দেখেছিলাম দিনাপানী কৌশানীর সীমান্তে সাজানো দিগন্ত জোড়া দুধসাদা শৈলশিখরদেরঅবশেষে কালানুক্রমে বিখ্যাত অভিজাত শৈলশহর রানিক্ষেত ঘুরে যাত্রা সাঙ্গ করব ভেবেছিলামসেই কথামত কৌশানী থেকে যাত্রা শুরু করে নানান ভালো লাগার জায়গায় থামতে থামতে  লেন্সবন্দি করতে করতে যখন রানিক্ষেতে এসে ঢুকছি তখন বেলা বেশি না গড়ালেও, মধ্য নভেম্বরে পাহাড়ের উঁচু পাঁচিলের পিছনে সূর্য আড়াল হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেশীতল সোনা রোদের ছায়া ছড়িয়ে পড়ছে চারিধারেসোনালী ঝিল্লির গালিচা পাতছে  কুমায়ুনের বন্যপ্রান্তরে

এককালের শৈলসুন্দরী রানিক্ষেতকে দেখার সৌভাগ্য আগে আমার হয়নিতাই অদেখার আশা উন্মাদনায় পরিপূর্ণ ছিল মনকিন্তু শহরে ঢোকার মুখে থামতে হলআমাদের বুক করা রিসোর্টটা ছিল বিশাল রানিক্ষেত শহরের একপাশে, মূল বড় রাস্তা থেকে এক কিলোমিটার ভিতরে, জঙ্গলের মধ্যেবড় পথের সেই বাঁক পর্যন্ত পৌঁছতে বাধাপ্রাপ্ত হলামবাঁকের কাছেই পাহাড়ের গায়ে ছিল একটি সুবিস্তৃত মিলিটারি ক্যাম্প, যেখানে সেদিন তাদের বিশেষ কোনো অনুষ্ঠান চলছিলফলে হয়ে গিয়েছিল ট্রাফিক জ্যামকিন্তু মিলিটারিদের দেখাশোনায় থাকার জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হল নাতাদের সাজানো ক্যাম্পাসে কুচ্‌কাওয়াজের প্যারেড দেখতে দেখতে বড় রাস্তা ছেড়ে আমাদের গাড়ি বাঁক নিল আর এসে ঢুকল জঙ্গল কেটে তৈরি করা প্রশস্ত কাঁচা মাটির পথে। 

Way to Holm Farm Heritage resort, Ranikhet
গাড়ি এসে ঢুকল জঙ্গল কেটে তৈরি করা প্রশস্ত কাঁচা মাটির পথে

আরম্ভ হল কুমায়ুনের ঘন গহীন পথের যাত্রাশীতের দেশের বড় বড় গাছের ছাউনি ঘেরা নির্জন পাহাড়ি মেঠো পথের উঁচুনিচু পাথুরে পরতে টাল খেতে খেতে এগিয়ে চলল আমাদের গাড়িনিঝুম প্রান্তরএকটা পাখির ডাকও শোনা যায় নামনে হয়, আমাদের এই অযাচিত যন্ত্রযানের ঘরঘর শব্দে তারাও মুকবধির হয়ে গেছেঅন্য কোনো গাড়ির আসাযাওয়া চোখে পড়ে নাদেখা মেলে না কোনো পথচারীরজঙ্গল কাটা পথবিহীন পথ যেন আর ফুরায় নাযথেষ্ট বিব্রত বোধ করিসন্দিগ্ধ হয়ে পড়ি অনলাইনে বুক করা আস্তানার ওপরএমনি যখন দ্বন্দ্বের দোলায় দুলছে মন তখন হঠাৎ দেখি ঘন জঙ্গলের নিবিড় আবেষ্টনীর বাঁধন শিথিল হয়েছেএসে দাঁড়িয়েছি তারই আরেক উন্মুক্ত প্রান্তেসরে গেছে বন্য প্রান্তরসামনে কুমায়ুনের বনানী আবৃত শিখরমালার সারি, যার পিছনে দেখা যাচ্ছে তুষার শৃঙ্গদেরআর তাদেরই মুখোমুখি সুদৃশ্য বাগিচার মাঝে দাঁড়িয়ে রয়েছে সেই ভিন্টেজ বাংলোটা —- যার দর্শনমাত্র ইতিহাসের বহু পাতা টেনে উল্টে দেয়টেনে নিয়ে যায় অতীতের দিকে, এক নিমেষে!

Himalayan peaks at Ranikhet
সামনে কুমায়ুনের বনানী আবৃত শিখরমালার সারি, যার পিছনে দেখা যাচ্ছে তুষার শৃঙ্গদের

কুমায়ুন বিখ্যাত তার বন্য সম্ভারের জন্যচারিদিকের শিখরমালাগুলো, সামান্য থেকে অসামান্য সব বনস্পতি ভেষজের পরতে ঢাকাতার ওপর সূর্যের আলো প্রতিফলিত হয়ে এক মায়াবী পরিবেশের সৃষ্টি করেএমনিই এক পাহাড়ির শিখরে দুশো সত্তর একর চার্নউড ফরেস্টের মাঝে দাঁড়িয়ে রয়েছে সাহেবী আমলের সেই বিশাল বাংলোটাহোম ফার্ম হেরিটেজ’ (Holm Farm Heritage Resort)-এর নাম নিয়েগভীর জঙ্গলের ভিতরের এই সাহেব বাংলোবাড়ি দেখে প্রাথমিকভাবে চমক লাগেসাহেবী যুগের বাংলোটা সাজানো রয়েছে সম্পূর্ণ সে সময়ের আসবাব পত্তর দিয়েঅথচ ভিতরে তার আধুনিকীকরণ হয়েছে, যাতে পর্যটকদের কোনো রকম অসুবিধা না হয়

আমাদের বুকিং যেহেতু আগে থেকেই করা ছিল তাই বেশিক্ষণ সময় লাগল নাওরা সুটকেস নিয়ে প্রথমেই দোতলার একটা ঘরে গিয়ে ঢুকিয়ে দিলবিশাল বড় ঘরটায় এখনকার এক কামরার একটা ফ্ল্যাট বাড়ি অনায়াসে ঢুকে যাবেএকটু স্যাঁতস্যাঁতে ঠান্ডা, অন্ধকারাচ্ছন্নসাজানো সে কালের সাহেব মেমদের আসবাব দিয়েছেলেবেলা থেকে পড়া সমস্ত রহস্য রোমাঞ্চের গল্পকাহিনীকে যেন ছাপিয়ে যায়মেমসাহেবের কাঠের কারুকার্যের ফ্রেমে লাগানো বিশালাকৃতি মুকুরের দিকে চাইতে ভয় লাগেমনে হয় যেন এখুনি গাউন পরিহিতা সুদর্শনা পশ্চিমী ললনা তার নীল চোখে হাসির ঝিলিক মাখিয়ে চেয়ে দেখবে আমার দিকেএক কথায় দুতলার ঘর পেয়ে খুশি না হয়ে বেশ বিব্রত বোধ করিছেলেটি পাশের দরজা খুলে একটি আণ্টিরুম পেরিয়ে তেমনই একটা বড় সুন্দর ওয়াশরুম দেখায়সেটাও সাজানো কিন্তু অতি আধুনিক সাজসজ্জা দিয়ে। 

British time Furniture at Holm Farm Heritage resort, Ranikhet
ব্রিটিশ আমলের লাল কার্পেটে মোড়া কাঠের সিঁড়ি

সব কিছু এত ভালো হওয়া সত্ত্বেও ছেলেটি চলে যেতে উদ্যত হলে তাকে থামাইবলি, ‘ দাঁড়াও ভাইআচ্ছা, দুতলায় আর কি কেউ আছে?’ ছেলেটি জানায় যে, এখন রিসোর্টটা প্রায় পুরোটাই ফাঁকাআগামীকাল মিলিটারিদের এক বিরাট অনুষ্ঠান আছে এখানেতখন আমি মনে মনে প্রমাদ গুনিতাকে আমার সুটকেস নিচের তলার ঘরেই নিয়ে যেতে বলিসেখানে অন্তত রিসেপশনের ভদ্রলোক বা ক্যান্টিন স্টাফদের ক্বচিত কদাচিৎ বিচরণ লক্ষ্য করা যাবে! ছেলেটি আমার সাহসের বহর দেখে দাঁত বের করে হাসেসে আমার সুটকেস নিয়ে এগোলে আমি তার পিছনে ব্রিটিশ আমলের লাল কার্পেটে মোড়া কাঠের সিঁড়ি দিয়ে নামি তেমনই আরেকটি বিশাল ঘরে ঢুকে আস্তানা গাড়ি। 

সাঁঝের বাতি জ্বলতেই নিজের ঘরে এসে ঢুকলাম। রিসোর্টের ছেলেটি চা দিতে এলেই ধরলাম তাকে। বাঘের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করাতে সে অনায়াসে বলল, “হাঁ, রাতকো ইধর ঘুমতা হ্যায়। লেকিন বাংলো মে বাত্যি জলতা হ্যায় না, ইসলিয়ে উপর নেহি আতা।..” আমার তো শুনে আক্কেল গুড়ুম। বললাম, “দেখেছ কখনো তাকে?” সে বলল, “হাম তো ইধর নয়া হ্যায়, কুছ মহিনা হুয়া কাম করতা হ্যায়”। তারপর জানাল যে, চার-পাঁচদিন আগে রাত সাড়ে সাতটা নাগাদ বাংলোর পাশেই সে কী বিকট চিৎকার! একটা বাঘ একটা হরিণকে ধরেছিল। আর সেই যুদ্ধের ভয়াবহ আওয়াজে কাঁপছিল গোটা বাংলোটা। এইসব বলে সে কাজে চলে গেল আর স্থবির হয়ে বসে রইলাম আমি।

রানিক্ষেতের একপাশে, ঘন গভীর কুমায়ুনের জঙ্গলের মাঝে ১৩ একর উন্মুক্ত জমিতে এই বাংলো বাড়ি তৈরি হয়েছিল ১৮৭০ সালের প্রথমের দিকে নর্মান ট্রুপ নামের এক ব্রিটিশ আর্মি অফিসারের হাতেতিনি তাঁর অতি প্রিয় শৈলশহর রানিক্ষেতে প্রকৃতির কোলে একটি পছন্দের গ্রীষ্মকালীন আবাস গড়ে তোলার আগ্রহে তৈরি করেছিলেন এই বাংলোটিকেসময়ের প্রবাহে দিন বদলায়ব্রিটিশ রাজতন্ত্রের অবসান হলে সম্পত্তি ভারত সরকারের হাতে আসে পরে তার স্বত্বাধিকারী হন মদনমোহন উপাধ্যায় নামের এক স্বদেশীলেডি মাউন্ট ব্যাটেন, আচার্য নরেন্দ্র দেবের মতো বহু স্বনামধন্য মানুষ এসেছেন এই বাংলো বাড়িতেগ্রহীত হয়েছেন এক বিরল প্রাকৃতিক পরিবেশ আতিথেয়তায়ঝলমলে সাজানো ডাইনিং হলের দেওয়ালের গায়ে নেহেরুর সঙ্গে তোলা তাঁদের অগাধ ছবি  রয়েছেতাঁদেরই উত্তরসূরিদের দেখাশোনায় রয়েছে এখনকার হোম রিসর্টরিসর্টের প্রাচীন কলোনিয়াল অবয়ব সযত্নে সংরক্ষিত ভিক্টোরিয়ান যুগের সাজসজ্জার মাঝে নিজের উপস্থিতি অনুভব করতে ভালো লাগে। 

Lawn at Holm Farm Heritage resort, Ranikhet
ছাঁটা সবুজ লন ও অপরূপ ফুলের বাগিচা দিয়ে ঘেরা গোটা বাংলোটা

সমস্ত রিসোর্টটা পাইন, সিডার চেস্টনাট গাছের পার্বত্য বনস্পতি দিয়ে ঘেরাঘর ছেড়ে ঢাকা বারান্দা পেরিয়ে কাঠের সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামিছাঁটা সবুজ লন অপরূপ ফুলের বাগিচা দিয়ে ঘেরা গোটা বাংলোটাধাপে ধাপে পরিখা কাটা, যেখানে ওয়াটার লিলির ঝাঁক শোভা পাচ্ছেলনের মাঝে মোরাম পথের ধারে বসার বেঞ্চি পাতা আর তারই একপাশে লাগানো ঝালরের ঢাকনা দেওয়া বিশাল দোলনাটাএখানে বসে থাকলেই যেন সময় কেটে যায়বাংলোর মুখোমুখি বাগানের পাশে এক ধাপ নেমে জালি দিয়ে ঘেরা লন টেনিস কোর্টআর তাকে ছাপিয়ে চোখে পড়ে বর্ণাঢ্য সবুজের ছাউনি মোড়া দিগন্ত স্পর্শ করা কুমায়ুনি বনস্পতি, যার অপর পারে আঁকা থাকে হিমালয়ের শুভ্র শিখরসারিগুলোঐক্যবদ্ধভাবে! ছাড়াও এই রিসোর্টকে ঘিরে বিলাসবহুলতা আনন্দ বিনোদনের অগাধ সুবিধা যেমন, টেবিল টেনিস, পুল টেবিল, ব্যাডমিন্টন, গল্ফ ড্রাইভিং নেট, ক্যাম্পিং সাইট, এডভেঞ্চার ওয়াক, বার্ড ওয়্যাচিং ইত্যাদি মজুত আছেসমস্ত আধুনিক সুখ সুবিধা রয়েছে ঘরেরয়েছে ইলেকট্রিক হিটিংএর উষ্ণ স্পর্শে মোড়া আরামপ্রদ বিছানা ফ্রি  ওয়াইফাই। 

Lunch at Balcony, Holm Farm Heritage resort, Ranikhet
অদূরের বন্য পার্বত্যশ্রেণীর দিকে চেয়ে সাঙ্গ করি আমাদের ভোজনপর্ব

সাহেবী বাংলোর অন্যদিকটা সবুজের ছাউনী দিয়ে ঢাকা পথ মতো করাবাগানে ঘুরে বেড়াচ্ছি, হঠাৎ দেখি সেই পথ দিয়ে লাঠি নিয়ে একজন বয়স্কা মহিলা আসছেনইভিনিং ওয়াকে প্রদক্ষিণ করছেন গোটা বাংলোটাকেমনুষ্যবিহীন অঞ্চলে তাঁর সঙ্গে চোখাচোখি হতে তিনি আলাপ করলেনবাংলোবাড়ির সাম্প্রতিক মালকিনদেখালেন পাহাড়ি পথের এক ধাপ নিচের কোণায় অবস্থিত ওনার ছোট্ট বাড়িটিবললেন, ‘ এখন আমি আর আমার কর্তা থাকি আর থাকে আমাদের দুটি কুকুরকিন্তু এখানে রাতে বাঘভালুকের উপদ্রব আছে বলে রাতে কুকুর দুটোকে আমরা বাইরে রাখি না, বরং ঘরের মধ্যে ঢুকিয়ে রাখি।‘ এরপর আরো অনেককিছু বললেন, কিন্তু সে সব কথা আমার কানেই ঢুকল নাপ্রতিধ্বনির মতো শুধু বাজতে লাগলো বাঘভালুকের আনাগোনার গল্পটাই। 

সাঁঝের বাতি জ্বলতেই নিজের ঘরে এসে ঢুকলামরিসোর্টের ছেলেটি চা দিতে এলেই ধরলাম তাকেবাঘের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করাতে সে অনায়াসে বলল,  “হাঁ, রাতকো ইধর ঘুমতা হ্যায়লেকিন বাংলো মে বাত্যি জলতা হ্যায় না, ইসলিয়ে উপর নেহি আতা।..” আমার তো শুনে আক্কেল গুড়ুমবললাম, “দেখেছ কখনো তাকে?” সে বলল, “হাম তো ইধর নয়া হ্যায়, কুছ মহিনা হুয়া কাম করতা হ্যায়”তারপর জানাল যে, চারপাঁচদিন আগে রাত সাড়ে সাতটা নাগাদ বাংলোর পাশেই সে কী বিকট চিৎকার! একটা বাঘ একটা হরিণকে ধরেছিলআর সেই যুদ্ধের ভয়াবহ আওয়াজে কাঁপছিল গোটা বাংলোটাএইসব বলে সে কাজে চলে গেল আর স্থবির হয়ে বসে রইলাম আমি। 

Dining Hall at Holm Farm Heritage resort, Ranikhet
ঝলমলে ডাইনিং হলে সুস্বাদু পদ সহকারে ডিনার পর্ব সারা হয়

ডিনারের ডাক পড়লে দরজা খুলে এদিক সেদিক চেয়ে মাঝের রিসেপশনের ফাঁকা জায়গাটুকু কোনোরকমে পেরিয়ে সামনের ডাইনিং হলে ঢুকি রিসেপশন থেকেই সিঁড়ি নেমে গেছে লনে, যাকে ঘিরে রেখেছে নিশ্ছিদ্র ঘন জঙ্গলসাহেবী আমলের কিউরিও আর সেকালের পরবর্তীকালের ছবি দিয়ে সাজানো আলো ঝলমলে ডাইনিং হলে সুস্বাদু পদ সহকারে ডিনার পর্ব সারা হয় সে রাতটা কাটে। 

পরদিন সকাল সকাল প্রাতরাশ সেরে আমরা রওনা হলামআবার পেরোলাম সেই জঙ্গলকাটা এক কিলোমিটার জনমানবহীন পথহোটেলের ছেলেটি বলছিল সে নাকি প্রায় সময়ই একা হেঁটে আসা যাওয়া করে পথে! তার কথায় সাবাসী দেবো নাকি শঙ্কিত হব, সে ধন্দেই পেরিয়ে যায় সময়জঙ্গল ছেড়ে গাড়ি এসে ওঠে রানিক্ষেতের জনবহুল পথে…!! 

ছবি সৌজন্য: লেখক

Chirasree Banerjee

বিশ্বভারতী থেকে ভূগোলে স্নাতকোত্তর ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট।
পেশায় লেখক। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠিত বাংলা ও ইংরেজি পত্র পত্রিকায় নিয়মিত লেখা প্রকাশ। তা ছাড়া পনেরটি বাংলা ও একটি ইংরেজি বই প্রকাশিত। বিবেকানন্দ-নিবেদিতা গবেষক। এই বিষয়ে এবং আরো অন্যান্য বিষয়ে আমন্ত্রিত বক্তৃতা দিয়ে থাকেন।

Picture of চিরশ্রী বন্দ্যোপাধ্যায়

চিরশ্রী বন্দ্যোপাধ্যায়

বিশ্বভারতী থেকে ভূগোলে স্নাতকোত্তর ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট। পেশায় লেখক। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠিত বাংলা ও ইংরেজি পত্র পত্রিকায় নিয়মিত লেখা প্রকাশ। তা ছাড়া পনেরটি বাংলা ও একটি ইংরেজি বই প্রকাশিত। বিবেকানন্দ-নিবেদিতা গবেষক। এই বিষয়ে এবং আরো অন্যান্য বিষয়ে আমন্ত্রিত বক্তৃতা দিয়ে থাকেন।
Picture of চিরশ্রী বন্দ্যোপাধ্যায়

চিরশ্রী বন্দ্যোপাধ্যায়

বিশ্বভারতী থেকে ভূগোলে স্নাতকোত্তর ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট। পেশায় লেখক। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠিত বাংলা ও ইংরেজি পত্র পত্রিকায় নিয়মিত লেখা প্রকাশ। তা ছাড়া পনেরটি বাংলা ও একটি ইংরেজি বই প্রকাশিত। বিবেকানন্দ-নিবেদিতা গবেষক। এই বিষয়ে এবং আরো অন্যান্য বিষয়ে আমন্ত্রিত বক্তৃতা দিয়ে থাকেন।

2 Responses

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Subscribe To Newsletter

কথাসাহিত্য

সংস্কৃতি

আহার

বিহার

কলমকারী

ফোটো স্টোরি

উপন্যাস

Banglalive.com/TheSpace.ink Guidelines

Established: 1999

Website URL: https://banglalive.com and https://thespace.ink

Social media handles

Facebook: https://www.facebook.com/banglaliveofficial

Instagram: https://www.instagram.com/banglalivedotcom

Twitter: @banglalive

Needs: Banglalive.com/thespace.ink are looking for fiction and poetry. They are also seeking travelogues, videos, and audios for their various sections. The magazine also publishes and encourages artworks, photography. We however do not accept unsolicited nonfiction. For Non-fictions contact directly at editor@banglalive.com / editor@thespace.ink

Time: It may take 2-3 months for the decision and subsequent publication. You will be notified. so please do not forget to add your email address/WhatsApp number.

Tips: Banglalive editor/s and everyone in the fiction department writes an opinion and rates the fiction or poetry about a story being considered for publication. We may even send it out to external editors/readers for a blind read from time to time to seek opinion. A published story may not be liked by everyone. There is no one thing or any particular feature or trademark to get published in the magazine. A story must grow on its own terms.

How to Submit: Upload your fiction and poetry submissions directly on this portal or submit via email (see the guidelines below).

Guidelines:

  1. Please submit original, well-written articles on appropriate topics/interviews only. Properly typed and formatted word document (NO PDFs please) using Unicode fonts. For videos and photos, there is a limitation on size, so email directly for bigger files. Along with the article, please send author profile information (in 100-150 words maximum) and a photograph of the author. You can check in the portal for author profile references.
  2. No nudity/obscenity/profanity/personal attacks based on caste, creed or region will be accepted. Politically biased/charged articles, that can incite social unrest will NOT be accepted. Avoid biased or derogatory language. Avoid slang. All content must be created from a neutral point of view.
  3. Limit articles to about 1000-1200 words. Use single spacing after punctuation.
  4. Article title and author information: Include an appropriate and informative title for the article. Specify any particular spelling you use for your name (if any).
  5. Submitting an article gives Banglalive.com/TheSpace.ink the rights to publish and edit, if needed. The editor will review all articles and make required changes for readability and organization style, prior to publication. If significant edits are needed, the editor will send the revised article back to the author for approval. The editorial board will then review and must approve the article before publication. The date an article is published will be determined by the editor.

 

Submit Content

For art, pics, video, audio etc. Contact editor@banglalive.com