লঙ্কা বিজয় শেষ করে সীতাকে সঙ্গে নিয়ে অযোধ্যায় ফিরে এলেন রামচন্দ্র। এতদিন তাঁর রাজ্য সামলেছেন ভাই ভরত, সিংহাসনে তাঁর পাদুকা রেখে তাঁর-ই নামে। এবার রাম তাঁর অধিকারী। ইতিমধ্যেই সীতাকে অগ্নি পরীক্ষা দিয়ে নিজের সতীত্ব প্রমাণ করে তবে অযোধ্যার প্রাসাদে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।(Short Story)
কেটে গেল আরও চারমাস। সীতা অন্তঃসত্বা। জানা মাত্রই প্রাসাদ থেকে দূরে গভীর অরণ্যে সীতাকে রেখে আসার নির্দেশ দিলেন রাম। সেই রাম যিনি স্ত্রীর মর্যাদা রক্ষার তাগিদে ত্রিভুবন জয়ী লঙ্কেশ্বর রাবণকে বধ করে বিভীষণকে লঙ্কার সিংহাসনে বসিয়েছেন ন্যায় প্রতিষ্ঠার লক্ষে।
রাম যিনি বিশ্বাস করেন, সত্যের নামে ধর্ম রক্ষার্থে প্রজাদের মঙ্গলার্থে সব কিছু করতে হবে। সেই রাম অসতীর অভিযোগে প্রজাদের জন্য তাঁকে ত্যাগ করলেন।
বাল্মিকীর আশ্রমে সীতা একা। আশ্রম কন্যা। অধিকাংশ দিন সকাল থেকে তমসা নদীর পাড়ে বসে আনমনে জলে নিজের ছায়া দেখেন। সেই ছায়া কখনও ঢেউয়ের কম্পনে ভেঙে যায় একটু একটু করে। আবার কখনও স্থির, যেন জলের ওপরেই বসে সে।

চারপাশ থেকে ভেসে আসা পাখির ডাক, ময়ূরের পাশাপাশি হরিণের ইতস্ততঃ বিক্ষিপ্ত ঘুরে বেড়ান দেখে সে সেখানে বসে। সবকিছুই কেমন স্বপ্নের মতো মনে হয় এখন তার। চিত্রকূট পর্বতে দণ্ডকারণ্যে থাকার সময় তার মন আনন্দে ভরে থাকত রাম সঙ্গে আছে বলে। লঙ্কাতেও সে নিশ্চিত ছিল রাম আসবেই তাকে উদ্ধার করতে।
কিন্তু এই বনবাসে সে একা। তাকে বেঁচে থাকতে হচ্ছে অনাগত সন্তানদের কথা ভেবে। একদিন না একদিন রাম তার বাচ্চাদের নিজের বলে মেনে নেবেই- এই ধারনাই তাকে এখনও এই প্রতিকূল পরিবেশে বাস করার শক্তি যুগিয়ে রেখেছে।
মাঝে মাঝে তার মনে হয় এই জীবন আসলে তার নয়। এক ধার করা জীবন সে বয়ে চলেছে নিয়তির পরিহাসে। জন্মমাত্র মা তাকে ত্যাগ করে গিয়েছিল, জনক রাজ আর সুনয়না তাকে আশ্রয় দিয়ে বড় করে তুলেছিল। এই অবস্থাতেও তারা তাকে বারবার নিয়ে যেতে চেয়েছিল নিজেদের কাছে।
কিন্তু সে আর কারোর করুণার পাত্রী হয়ে বেঁচে থাকতে চায় না। এই ভূমিই তার আসল স্থান। বসে বসে সীতা এসবই ভাবে। যতক্ষণ না সন্ধে নেমে আসে পাটে।
ক-দিন ধরেই সে লক্ষ করছে নদীতে তার ছায়া ছাড়া আরেকটি ছায়াও ভাসমান। বুদবুদের মতো এক ঝলক দেখা দিয়েই তা মিলিয়ে যাচ্ছে। এই বনে আশ্রমিকদের সংখ্যা কম। তারা সকালে নদীর ধারে প্রাত্যহিক কাজ সেরে কলসি ভরে জল নিয়ে ফিরে যায় আশ্রমে। সারাদিন কাজের পর অন্ধকার নামার আগেই স্নান সেরে প্রদীপ জ্বালায় আশ্রমে। তারাই খেয়ালও রাখে।
কিন্তু এই যে ছায়ামূর্তি, এ যেন নীরবে অনুসরণ করছে তাকে। শুধু জলে তার ছায়া নয়, পাতার মর্মর ধ্বনীর মধ্যেও তার পায়ের শব্দ অনুভব করছে সে। পিছন ফিরে যতবার তাকিয়েছে ততবার সেই মূর্তি নিঃশব্দে সরে গিয়েছে। সীতার মন বলেছে এ তার অনিষ্ট করতে এখানে আসেনি। তাকে সে কিছু বলতে চায়।
সে কে এই প্রশ্ন বারংবার ভাবিয়েছে।
জলে ছায়াটা পরা মাত্র পিছনে না তাকিয়েই সে বলল- যেই হও সামনে এসো। আমি তোমাকে ভয় পাচ্ছি না। তুমিও ভয় পেও না। কাছে এসো।
ছায়ামূর্তি যেন এই অভয়টুকুর প্রত্যাশায় ছিল। সে সীতার পাশে এসে বসল নীরবে। সীতার মুখ থেকে বেরিয়ে এল- মন্থরা!
অভিষেক পর্বের শুরুর মুহূর্তে রাম-সীতা জেনেছিল তৃতীয় রানি কৈকেয়ীর দুই বর চাওয়ার কথা। শর্ত অনুযায়ী সিংহাসনে বসবে ভরত, তাঁর গর্ভজাত পুত্র, আর রাম যাবে বনবাসে চোদ্দ বছরের জন্য। সেই মতো রামের সঙ্গে সে এবং লক্ষণ চিত্রকূট পর্বতে রওয়ানা হয়েছিল। তখনই শেষ দেখা হয়েছিল মন্থরার সঙ্গে। তার হাতেই ছিল গাছের বাকলের পোশাক। আগে কখনো এমন পোশাক পরার অভিজ্ঞতা ছিল না তার। অথচ কৈকেয়ীর নির্দেশ অনুযায়ী রাজকীয় আভরণ ছেড়ে সেটাই পরতে হয়েছিল তাকে। সে দেখেছিল মন্থরার মুখে নিষ্ঠুর হাসি। ভবিষ্যৎ রাজার মায়ের প্রধান দাসী সে। এই রাজ্য লাভে তার গুরূত্ব আরও বৃদ্ধি পাবে।
বনবাসে থাকাকালীন ভরত যেদিন রামের পাদুকা নিয়ে ফিরল, সেদিন সে জেনেছিল কৈকেয়ীর মনে এই লোভ, তাদের প্রতি এত নির্দয় হবার পেছনে ছিল মন্থরা। তাকে রাজ্য থেকে তাড়িয়ে দিয়েছিল ভরত ও শত্রুঘ্ন।
অযোধ্যায় ফিরে মন্থরার কথা তার একবারও মনে পড়েনি। এতদিন বাদে তাকে এইখানে দেখে অবাক হল সীতা।

-মন্থরা, তুমি এখানে? এত বছর পরেও তুমি অযোধ্যা বা কেকেয়া কোথাও ফিরে যেতে পারনি! রাম তো মাতা কৈকেয়ীকে ক্ষমা করে দিয়েছিল।নিশ্চয়ই তোমাকেও করত। সীতা বিস্মিত হয়ে জিজ্ঞেস করল।
মন্থরা বলল- সীতা আমি রামের নয়, তোমার-ই অপেক্ষায় এতদিন ছিলাম।
-তুমি জানতে আমি এখানে আসব?
-জানতাম। তোমার আসাটা অনিবার্য ছিল। যেমন রামের চোদ্দ বছর চিত্রকূট পর্বতে দণ্ডকারণ্যে কাটান অনিবার্য ছিল।
সীতা তার কথার মানে বুঝতে না পেরে জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল তার দিকে।
-অবাক লাগছে? স্বাভাবিক। প্রথম থেকেই যে আমাকে সন্দেহের চোখেই দেখেছ তোমরা। কিন্তু আমি কখনও তোমাদের ক্ষতি চাইনি।
-মাতা কৈকেয়ীর মাথায় তুমিই ভরতের সিংহাসন পাওয়া উচিত-এই লোভ ঢুকিয়েছিলে মন্থরা। বলেই সীতা লক্ষ করল মন্থরার মুখ বিষাদে ভরে উঠল।
-নাহ! সীতা। কৈকেয়ী আমারই কোলে পিঠে চড়ে বড় হয়েছে। আমি তাকে যতটা ভালো করে চিনি আর কেউ সেভাবে চেনে না। আমি জানি তার চরিত্রে কোনো লোভ নেই। কেকেয়া রাজ যখন তাঁর স্ত্রীকে প্রাসাদ থেকে বের করে দিলেন তাঁর অতিরিক্ত কৌতূহলের জন্য, তখন থেকে কৈকেয়ীকে আমি আগলে রেখেছি। আমি তাকে জন্ম দিইনি, তবু সে আমার কন্যা।
-তাহলে সে এই অন্যায় আচরণ করল কেন?
-সীতা সেদিন এই আচরণ না করলে যে অযোধ্যার সিংহাসন অরক্ষিত হয়ে যেত, এমনকি রামের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পার…।
– কী বলছ তুমি?
মন্থরা ধীর স্বরে বলতে শুরু করল- কেকেয়া রাজ পাখি, পশু এমনকি গাছেদের ভাষাও বুঝতে পারতেন। তিনি একদিন দুই পাখির কথা শুনতে পান। তারা বলাবলি করছে- “অযোধ্যার রাজা দশরথের ভাগ্যে পুত্রশোকে মৃত্যু। ঋষি শ্রবণের অভিশাপ রয়েছে তাঁর উপর। অন্য পাখিটি জিজ্ঞেস করল-দশরথের কোনও সন্তানই নেই। তাহলে কী করে তিনি শোক পাবেন? পাখি তার উত্তরে বলছিল- বৃহত্তর কারণে এই শোক তাকে পেতে হবে। তাঁর চার পুত্র জন্মাবে। বড় পুত্র রাম পৃথিবী থেকে রাক্ষস জাতিকে উৎখাত করার জন্য দীর্ঘদিন বনবাসী হবে। ঋষি বিশ্বামিত্র তাকে এই লড়াই করার জন্য উপযুক্ত করে গড়ে তুলবেন।”
কেকেয়া রাজ এই কথোপকথন শুনে নিজের জ্যোতিষরত্নর সঙ্গে আলোচনায় বসেন। এ কথা সত্যি হবে কী না জানার জন্য। ততদিনে কেকেয়ার সঙ্গে দশরথের রাজনৈতিক বন্ধুত্ব তৈরি হয়ে গেছে। এরপর কৈকেয়ী যখন স্বয়ংবর সভায় সবাইকে নাকচ করে বৃদ্ধ দশরথকেই বেছে নিল পতি হিসাবে, শুধু ভালবাসা পাবার আশায়, তখন তিনি নিরুপায় হয়ে আমাকেই নির্দেশ দেন কৈকেয়ীর কানে সঠিক সময়ে সঠিক পরামর্শ দিতে যাতে দেখে মনে হয় আমার-ই পরামর্শে কৈকেয়ী এত অমানবিক হয়ে উঠল।

-তুমি জেনে শুনে এই অপবাদ, নির্বাসন স্বেচ্ছায় মেনে নিলে?
-যে রাজা আমাকে আশ্রয় দিয়েছেন, যে কন্যা আমাকে মায়ের মতো ভালোবাসা সম্মান দিয়ে বিশ্বাস করেছে পরিবারের কল্যাণের জন্য এই কাজ আমাকে করতেই হত।
-মন্থরা, রাবণ বধ হল, রাম সিংহাসনেও বসল। অথচ আমি সেখান থেকে বিতাড়িত। সীতার কণ্ঠস্বরে রিক্ততা।
-সীতা তুমি কোথাও থেকে বিতাড়িত নও। কোশলের প্রতিটি মানুষের মনের মধ্যে তুমি। রাম নিজেও প্রতিমুহূর্তে তোমাকে স্মরণ করে।
-কিন্তু কেন মন্থরা? মনের মধ্যে থাকা আর পাশাপাশি বাস করে সব কিছু ভাগ করে নেওয়ার অধিকার থেকে কেন আমাকে এভাবে বঞ্চিত করা হচ্ছে? কেন এই অরণ্যে আমার সন্তানরা জন্মাবে? তাদের শরীরে রামের-ই রক্ত বইছে।
-হ্যাঁ, রাম তা জানে। সে এটাও জানে এখানে জন্ম নিলেও তোমার সন্তানদের তুমি সমস্ত রকম শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলবে। পর্বতের মতো শক্তিশালী, এই বনরাজির মতো আশ্রয়দাতা হয়ে উঠবে তারা।
-মন্থরা আমি তোমাকে যত দেখছি অবাক হচ্ছি। এত কিছু হয়ে যাওয়ার পরেও তুমি এখনও রামের গুণ-গান করবে? তোমার প্রতিও তারা অন্যায় কিছু কম করেনি।
-ন্যায়-অন্যায়, নীতি সব কিছুই প্রয়োজনের ভিত্তিতে নিজের মতো রূপ নেয় সীতা। তুমি নিশ্চয়ই শুনেছ বিশ্বামিত্রের নির্দেশে রাম তাড়কাকে বধ করেছিল। রাম প্রথমে এক নিরীহ নারীকে হত্যা করতে চায়নি। কিন্তু বিশ্বামিত্র! তিনি ক্ষমতা লোভী, পুরো অরণ্যের দখল তাঁর চাই। কিন্তু একা তা পারবেন না। একদিকে তিনি ঋষি অন্যদিকে নারী বিদ্বেষীও। তাই দরকার একজন ক্ষত্রিয় যে তাঁর কথা অনুযায়ী চলবে। রামকে বেছে নিলেন তিনি।
নারীকে হত্যা করা শাস্ত্র বিরুদ্ধ কাজ নয়। নারী বহুভোগ্যা। সে জাতি হিসাবে নিকৃষ্ট। তাকে গাভী, মূল্যবান সামগ্রীর মতোই দান করা হয়। দান করা জিনিসের উপর নিজের আর কোনও অধিকার থাকে না। কিন্তু এই রাক্ষস সম্প্রদায়ভুক্ত মেয়েরা নিজস্ব পরিচিতি নিজেরাই গড়ে তুলছিল। তা পুরুষতন্ত্র কিভাবে মেনে নেবে? বিশেষ করে এই ঋষিরা যাঁরা নিজে প্রয়োজন অনুযায়ী নারীকে ব্যবহার করেন!
সীতার মনে পড়ল অহল্যা, রেণুকার কথা। দুজনেই বিনা অপরাধে আপন স্বামীর দ্বারাই নির্যাতিত। সেও তো এখন তাদের মতোই নিজের পতি, প্রাণ সখা, ভালোবাসার মানুষ রামের কাছে অসতী। কিন্তু কোন বিচারে এমন! এ প্রশ্ন সে কাকে করবে? এই অরণ্যে নদীর ঢেউয়ে তার প্রশ্নগুলো যেন খড়কুটোর মতো ভেসে গেল।
সে বলল, মন্থরা তুমি কেকায়ায় কেন ফিরে গেলে না?
-বিষ্ণু আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছিলেন, রামকে ভোগী হওয়া থেকে বাঁচিয়ে দক্ষ প্রশাসক বানানোর, আমার সেই কাজ সমাপ্ত।
-ভগবান বিষ্ণু?
-হ্যাঁ। বলতে বলতে মন্থরা নিজের রূপ পরিবর্তন করে দেবী সরস্বতীতে পরিণত হল। স্নিগ্ধ হেসে সে বলল- তুমি না থাকলে রাম ভুল পথে চালিত হত বলেই আমাকে এই রূপ নিতে হয়েছিল। আমাকে এবার বিষ্ণুলোকে ফিরতে হবে। কিন্তু একটাই অনুতাপ রইল সীতা।
-কী?
-যতদিন পৃথিবী থাকবে ততদিন এই রাম গাথায় আমি কুচক্রী, কুব্জ মন্থরা রূপেই অভিহিত হব। কেউ জানবে না রাম রাজ্য প্রতিষ্ঠার জন্য আমার এই ত্যাগকে।
সীতা এতক্ষণে হাসল। মন্থরা, ত্যাগই সতী নারীর ধর্ম। এভাবেই শাস্ত্র আমাদের চিহ্নিত করেছে। নিজেদের চিন্তাধারা না পাল্টালে এই প্রথা চলতেই থাকবে।
মন্থরা অপেক্ষা করল সীতার পরবর্তী কথার জন্য।
সীতা বলল- আমাদের এক জন্মের নিয়তি অন্য জন্ম পাওয়ার আগেই নির্ধারিত হয়ে যায়। কিন্তু সেই নিয়তি অন্য কেউ নির্ধারণ করে বলে বিশ্বাস করি না। আমরাই ভাগ্যের দোহাই দিয়ে চুপ করে সহ্য করি যা ঘটছে তাকে। যেমন আমিও করছি এখন। কিন্তু রাবণ মারা যাওয়ার পর আমার ভূমিকা কী? যদি তাঁকে শেষ করার জন্যই আমার জন্ম হয়, এবং সেই জন্মদাতা তিনিই হন, তবে তাঁর মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে আমারও যাত্রা শেষ হওয়া উচিত। কিন্তু যতক্ষণ না সন্তানদের তাদের পিতার হাতে তুলে দিচ্ছি, ততক্ষণ আমাকে থাকতে হবে।
-সীতা তোমার নিজের ঘরে ফিরে যাওয়ার সময় এসে গেছে।
-আমার ঘর? সীতা হাসল।
নির্ধারিত সময়ে লব-কুশকে তাদের পিতা রামের হাতে তুলে দিয়ে সীতা তাঁর যাত্রা শেষ করল নিজের শর্তে, যা তার নিয়তি ছিল না, সে নিজে ঠিক করেছিল।
অলংকরণ : যামিনী রায়ের আঁকা
বিতস্তা ঘোষাল গল্পকার, কবি,প্রাবন্ধিক ও অনুবাদক। আধুনিক ইতিহাসে এম এ, লাইব্রেরি সায়েন্সে বিলিস। কলেজে সাময়িক অধ্যাপনা। প্রকাশনা সংস্থা ভাষা সংসদের কর্ণধার। ও অনুবাদ সাহিত্যের একমাত্র পত্রিকা ‘অনুবাদ পত্রিকা’-র সম্পাদক।
'বাংলা আকাডেমি' ,'সারস্বত সম্মান' 'বিবেকানন্দ যুব সম্মান', ‘একান্তর কথাসাহিত্যিক পুরস্কার,'কেতকী' কবি সম্মান, ‘চলন্তিকা’, দুই বাংলা সেরা কবি সম্মান, 'বিজয়া সর্বজয়া' 'মদন মোহন তর্কালঙ্কার সম্মান', 'বই বন্ধু সেরা লেখক ২০২৪ ' সহ একাধিক পুরস্কার ও সম্মান প্রাপ্ত।
বিতস্তার প্রকাশিত বই ৩৪টি। তাঁর কবিতা ও গল্প হিন্দি, ওড়িয়া, অসমিয়া ও ইংরেজি,ইতালি, গ্রীক ও স্প্যানিশে অনুবাদ হয়েছে। সম্প্রতি ওড়িয়া ভাষায় প্রকাশিত তার গল্প সংকলন রূপকথার রাজকন্যারা।
দেশ বিদেশে কবিতা ও গল্প পড়ার ডাক পেয়েছেন একাধিকবার।বাংলা সবকটি জনপ্রিয় পত্রিকা ও সংবাদপত্রে তার লেখা নিয়মিত প্রকাশিত।
নিজের কাজের গণ্ডীর বাইরে অফিস ও পরিবারেই স্বচ্ছন্দ বিতস্তা কাজের ফাঁকে অবসর সময় কাটান নানান সামাজিক কাজে।
ভালোবাসা ছাড়া বাকি সব কাজ গুরুত্বপূর্ণহীন। তার নিজের কথায় ভালোবাসা ছাড়া কেউ কী বাঁচে?
One Response
অনেক ধন্যবাদ