
















মহালয়া (Mahalaya) হলো পিতৃপক্ষ এবং দেবীপক্ষের সন্ধিক্ষণ। এর মাধ্যমে দুর্গা পূজার উৎসবের সূচনা হয়। দেবী দুর্গা এই দিন পৃথিবীতে অবতরণ করেছিলেন বলে বিশ্বাস করা হয়। বাঙালিরা ঐতিহ্যগতভাবে দেবীমাহাত্ম্যম শাস্ত্র থেকে স্তোত্র পাঠ করতে মহালয়ার দিন ভোরবেলা ঘুম থেকে ওঠে।
মহিষাসুরমর্দিনী (Mahalaya) নামের পরিচিতি গান ও মন্ত্র গুলি শোনার জন্যে ভোরবেলা রেডিও কিংবা টেলিভিশন-এর সামনে বসেন। এটি দেবী দুর্গার জন্ম ও অসুর রাজা মহিষাসুরের থেকে স্বর্গ বিজয়ের বর্ণনা দেয়।
আরও দেখুন: ফটো স্টোরি: মহালয়া
পুরাণ মতে ব্রহ্মার নির্দেশে পিতৃপুরুষরা এই ১৫ দিন মর্ত্যের কাছাকাছি চলে আসেন। তাই এই সময়ে তাদের উদ্দেশ্যে কিছু অর্পণ করা হলে তা সহজে তাদের কাছে পৌঁছায়। তাই গোটা পক্ষকাল ধরে তাদের স্মরণ ও মননের মাধ্যমে তর্পণ করা হয়, যার চূড়ান্ত প্রকাশ বা মহালগ্ন হলো মহালয়া (Mahalaya), পিতৃপক্ষের শেষ দিন। তাই এদিন পিতৃপক্ষ প্রয়াত পূর্বপুরুষদের আত্মার শান্তি কামনা করে ‘জলদান’ বা তর্পণ করা হয়।
পরের দিন শুক্লা প্রতিপদে দেবীপক্ষের (Mahalaya) সূচনা হয়। মানুষ তর্পণ করতে আসেন এই দিনে, কলকাতার বিভিন্ন গঙ্গার ঘাটে। অনেক কারিগর এই দিনে দেবী মূর্তির চক্ষুদান করেন। বাঙালিদের কাছে এই দিনে প্রকৃতপক্ষে দুর্গা পুজোর সূচনা হয়।
সাধারণ জনজীবনের ফটো ও তথ্যচিত্রমূলক ছবি তোলার কাজ করে চলেছেন। উৎসব এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সংবাদের ছবি ধরা পড়েছে তাঁর ক্যামেরায়। বর্তমানে নুর ফটো এজেন্সির ফটোগ্রাফার হিসেবে নিযুক্ত এবং ফটোসাংবাদিক হিসেবে কলকাতায় কর্মরত।