[ছবিগুলো ফুল স্ক্রিনে (Full screen mode) দেখুন]
রাত পোহালেই মহালয়া (Mahalaya)। পিতৃপক্ষের শেষলগ্ন এবং দেবীপক্ষের সূচনার সময়কেই মহালয়া বলা হয়। ভাদ্র মাসের কৃষ্ণ প্রতিপদ শুরু হয়ে পরবর্তী অমাবস্যা পর্যন্ত সময়কে পিতৃপক্ষ বলে। গোটা পক্ষকাল ধরে পিতৃপুরুষদের স্মরণ ও মননের মাধ্যমে তর্পণ করা হয়, যার চূড়ান্ত প্রকাশ বা মহালগ্ন হল মহালয়া। অনেকেই এই দিনটিকে দেবীপক্ষের সূচনা বলে থাকেন। মহালয়ের অর্থ পরমাত্মা। বৃহৎ বা মহান আলয়। পুরাণে কথিত আছে যে, অমৃত-মন্থনের সময়ে দেবী মোহিনীর কৃপায় দেবতারা অমৃত পান করে অমর হন, আর অসুরেরা অমৃত বঞ্চিত হয়ে মরণশীল। দেবী মোহিনীকে দেবতারা মহালয়া তিথিতে আরাধনা করেছিলেন। দেবী মোহিনী মহালয়া নামে স্বীকৃতি পেলেন। দেবতাদের কাছে তাই তিনি মহালয়া— আশ্রয়স্থল – মহৎ আলয়। সেই থেকে দেবী দুর্গাও মর্ত্যবাসী ও দেবতাদের কাছে আশ্রয়স্থল। আপামর বাংলায় ঐদিন সাজো সাজো রব। ভোররাতে আকাশবাণী কলকাতায় বাণী কুমারের রচনা ও প্রবর্তনায় মাতৃসাধক বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের অমর কণ্ঠের গ্রন্থনা ও শ্লোকপাঠে আবাহন হবে জগত্জননী দেবী দুর্গার। দেবীপক্ষের প্রথম সূর্যোদয় হচ্ছে, এ বাঙালির বড় আনন্দের দিন। ঘর থেকে অনেক দূরে থাকা মানুষগুলোর ঘরে ফেরার দিন। মহালয়ার তর্পণ শেষে, কুমারটুলিতে মায়ের চক্ষুদান পর্ব।শুভ শারদীয়ার সূচনা।
পেশায় আলোকচিত্রশিল্পী এবং অধ্যাপক। প্রায় গত পনেরো বছর ধরে বিভিন্ন বিখ্যাত ইনস্টিটিউশনে অধ্যাপনা করছেন ফটোগ্রাফি, মাস কমিউনিকেশন, পাবলিক রিলেশন ইত্যাদি বিষয় নিয়ে। এছাড়া, প্রায় পঁচিশ বছর ধরে ছবি তুলে বেড়াচ্ছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। তাঁর ছবি জিতে নিয়েছে নানান পুরস্কার, প্রকাশিত হয়েছে জাতীয়স্তরের বিভিন্ন সংবাদপত্রে এবং ম্যাগাজিনে। তিনি কাজ করেছেন ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের মতো পৃথিবী-বিখ্যাত সংস্থার সাথে।
6 Responses
বাহ্!❤️🙏🏿
দারুণ! 🙂
সাদা কালোয় অসাধারণ!
ছবিগুলো সব জীবন্ত, অসাধারণ! আর লেখনীটাও।
Amazing
অসাধারণ 👌