ছেলেটির নাম সৌমিক। আমার স্কুলজীবনের বন্ধু।
প্রতি বছর তেরোই ফেব্রুয়ারি এক আশ্চর্য ঘটনা ঘটত। কুইক কমার্স তখন কল্পবিজ্ঞানের গল্পের মতো। দেখতাম, নাগেরবাজার মোড়ে যে ফুলবিক্রেতার মস্ত দোকান রয়েছে, তিনি ওই দোকানের ঝাঁপ বন্ধ করে চলে আসতেন আমাদের স্কুলের সামনে, দমদম রোডের মতিঝিলে। আমাদের উচ্চ বিদ্যালয় বালক অনলি! রাস্তার উল্টোদিকেই এক প্রখ্যাত বালিকা বিদ্যালয়। বিখ্যাত সংস্থার প্রশ্ন বিচিত্রায় ওই স্কুলের প্রশ্ন থাকে। আমাদের স্কুলের থাকে না! দোকানি এক বালতি গোলাপ নিয়ে বসে যেতেন আমাদের স্কুলের সামনের ফুটপাথে। রাস্তার উল্টো ফুটে বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে ওঁর শাগরেদ, আর এক বালতি গোলাপসহ। (Valentine’s Day)
আরও পড়ুন: প্রতিবেশী: তোমার পাশে বসত করে কয়জনা
শ্রীহরিকোটা থেকে উৎক্ষেপিত রকেটের মতো ফুলগুলো উড়ে যেত নিমেষে। আমরা যারা টুকটাক ছিপ ফেলার চেষ্টা করছি তখন, সৌমিককে জিজ্ঞেস করতাম, ‘কী রে? চোদ্দ তারিখের প্ল্যান কি? গোলাপ কিনলি না?’ সেভেনে পা রাখার পরেই তখন আমাদের সবার হাতে গোলাপ ফুল। মহম্মদ বিন তুঘলক শুধু ইতিহাস বইতে আটকে নেই! আকাশের দিকে তাকিয়ে সৌমিক উদাত্ত গলায় বলত, ‘আমি যাকে ভালবাসি, তার গল্প শোনাব, তার কাহিনি শোনাব। হবে, সব হবে।’ (Valentine’s Day)
নাগেরবাজার মোড়ে যে ফুলবিক্রেতার মস্ত দোকান রয়েছে, তিনি ওই দোকানের ঝাঁপ বন্ধ করে চলে আসতেন আমাদের স্কুলের সামনে, দমদম রোডের মতিঝিলে।
পঁয়ত্রিশ পেরিয়েও সৌমিক চিরকুমার। বাড়াবাড়ি রকমের মিতব্যয়ী। সেরা কিপটের শিরোপা পেয়েছে বন্ধুমহলে। সম্প্রতি ঘরোয়া আড্ডায় ওর আলমারি থেকে এক ডায়রির সন্ধান মিলল। বহু পুরনো ডায়রির কভারে লেখা —যদি প্রেম দিলে না প্রাণে। কভার উল্টোতেই চোখে পড়ল, ‘বাঁচি তোমারই আহ্বানে।’ নিচে একটা একশ টাকার নোটের ছবি, হাতে আঁকা। গান্ধিজীর মুখে হাসি। চোখ বড় বড় করে দেখি, এটি সৌমিকের ভ্যালেন্টাইন ডে স্পেশাল ডায়রি। অর্থাৎ প্রতি বছর শুধুমাত্র ১৪ই ফেব্রুয়ারি ওই ডায়রিতে একটি করে এন্ট্রি পড়ে। প্রতি পাতারই শিরোনাম —আজ কত টাকা বাঁচালাম। কয়েকটা পাতা তুলে দিই। সালের পরে ব্র্যাকেটের লেখাগুলো আমার, বোঝার সুবিধার জন্য। (Valentine’s Day)
আরও পড়ুন: আয় আয় চাঁদমামা টিপ নিয়ে যা
১৯৯৯ (তখন আমাদের ক্লাস নাইন)
ক্যাডবেরি চকোলেট– ৫ টাকা
ন্যাকা ন্যাকা ফুচকা– ৫ টাকা
গোলাপ– ৫ টাকা
বাবুল গাম– ৪ টাকা
২০০৫ (কলেজ)
চকোলেট- ২৫ টাকা
জব্বর সেভিংস, নাইট টাইম বেনিফিট প্রিপেড রিচার্জ কার্ড– ২৯৯ টাকা
এবারে এটাই হট কেক। সবাই সবাইকে দিচ্ছে। ভাগ্যিস আমার কেউ নেই।
২০১১ (সদ্য চাকরি)
চিকেন বিরিয়ানি– ৯০ টাকা। ঠ্যাং দেখলে প্রেম বাড়ে।
আইনক্সে জড়াজড়ি করে দেখা সিনেমার টিকিট– ১৫০ টাকা
চকোলেট– ৫০ টাকা
মন্দারমনিতে নাইট স্টে, ফস্টি নস্টি সহ– ৫০০০ টাকা
২০২৪ (শেষ তিরিশের যাত্রী)
ফরেভার ডায়মন্ডের হার– ১ লক্ষ টাকা। চোদ্দ তারিখ হলেই হীরের আগে ফরেভার শব্দটি বসে যায়, দিনকয়েকের জন্য। যত্তসব ন্যাকার দল। সেন্টিমেন্টে সুড়সুড়ি দিয়ে আরও বেশি করে পকেট খসানোর ধান্দা।
ভি ডে স্পেশাল নেকু ডিনার- ২৯৯৯ টাকা
লো ক্যালরি চকোলেট– ৩৯৯ টাকা
গোলাপের বোকে, রুপোলি প্রেম রাংতা সহ– ৫৯৯ টাকা
(Valentine’s Day)
ফরেভার ডায়মন্ডের হার– ১ লক্ষ টাকা। চোদ্দ তারিখ হলেই হীরের আগে ফরেভার শব্দটি বসে যায়, দিনকয়েকের জন্য।
অট্টহাসির রোল পড়েছিল। কিন্তু সৌমিক নির্বাক। উদাসীন। কোলাহল থামলে বাড়ির পাঁচিলের সামনে রাখা সদ্য কেনা নীল রঙের অল্টো গাড়ির দিকে তাকিয়ে চোখ নাচিয়েছিল। বলল, ‘হিসাব করে দেখলাম, শুধুমাত্র ভালবাসা দিবসে খরচ না করে যতটুকু বেঁচেছে, তা দিয়ে আমার এই গাড়িটা হয়ে গিয়েছে।’ অবিশ্বাস করার কোনও উপায় রাখেনি সৌমিক। ১৯৯৭ থেকে ২০২৪-এর পাতাগুলো ওর বাঁচার এবং বাঁচানোর খতিয়ান দিয়েছে।
আমরা ‘সাবাস’ বলে উঠেছিলাম, সমস্বরে। কয়েকজনের দীর্ঘশ্বাসও পড়েছিল। (Valentine’s Day)
রোমান সম্রাট দ্বিতীয় ক্লডিয়াস আর সন্ত ভ্যালেন্টাইনের মধ্যে টেলিভিশনের সান্ধ্য অধিবেশনে ঘণ্টাখানেক তর্ক দেখতে ইচ্ছে করে খুব! ধর্মযাজক ভ্যালেন্টাইন গোপনে বিয়ে দিতেন প্রেমিক প্রেমিকাদের। আর প্রবল প্রতাপশালী ক্লডিয়াস মনে করতেন, বিয়ে করে ফেললে পুরুষদের যুদ্ধে যেতে কিছুতেই রাজি করানো যাবে না। যুবকদের বিয়ে নিষিদ্ধ করেছিলেন তিনি। রাজার আদেশে বন্দি হলেন সন্ত। ২৬৯ সালে মৃত্যুদন্ড হল। দিনটি ছিল ১৪ই ফেব্রুয়ারি। যে জেলখানায় সন্তকে রাখা হয়েছিল, সেখানকার এক পাহারাদারের নাম ছিল অস্টেরিয়াস। তাঁর মেয়ে ছিল দৃষ্টিশক্তিহীন। (Valentine’s Day)
আরও পড়ুন: আয় আয় চাঁদমামা টিপ নিয়ে যা
অনেকে বলেন, অস্টেরিয়াসের মেয়ের সুস্থতার জন্য গরাদের অন্দরে প্রার্থনা করতেন যাজক ভ্যালেন্টাইন। মেয়েটির অন্ধত্ত্ব চিরতরে ঘুচে গিয়ে দৃষ্টিশক্তি ফিরে আসে। ইতিহাসবিদদের অন্য একদল বলে থাকেন, মারা যাওয়ার আগে অস্টেরিয়াসের কন্যার জন্য একটি চিঠি লিখেছিলেন সন্ত। চিঠির শেষে লেখা ছিল, ‘ফ্রম ইওর ভ্যালেন্টাইন।’ এর পরে কেটে যায় আরও দু’শতক। (Valentine’s Day)
৪৯৬ খ্রীষ্টাব্দে গেলাসিয়াস নামক এক পোপ সন্তের মৃত্যুদিনটির কথা মাথায় রেখে, তাঁকে সম্মান জানিয়ে ১৪ ফেব্রুয়ারিকে সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের দিন হিসেবে ঘোষণা করেন। সেই শুরু। কোনও এক অজানা কারণে সবচেয়ে দৃপ্তভাবে এই দিনটিকে আপন করে নেন প্রেমিক প্রেমিকারাই। এক সমাজতাত্ত্বিককে বলতে শুনেছিলাম, ‘শুধু তুমি আমি আমি তুমি পারমুটেশন কম্বিনেশন নয়, ভ্যালেন্টাইনস্ ডে এক সর্বজনীন ভালবাসার কথা বলে। মায়ের প্রতি ছেলের ভালবাসা কিংবা রাস্তার কোনও সারমেয়কে ভালবেসে বিস্কিট খাওয়ানোটাও এই দিনটির মাহাত্ম্যের সিলেবাসের মধ্যে পড়ে। তবে এ পোড়া সময়ে কে কার কথা শোনে!’ (Valentine’s Day)
গেলাসিয়াস নামক এক পোপ সন্তের মৃত্যুদিনটির কথা মাথায় রেখে, তাঁকে সম্মান জানিয়ে ১৪ ফেব্রুয়ারিকে সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের দিন হিসেবে ঘোষণা করেন।
পশ্চিমী দেশগুলোর কথা ছেড়েই দিলাম এ যাত্রায়। শূন্যের সংখ্যা দেখে মগজে কারফিউ হবে। হে মৃত্যুদন্ড পাওয়া সন্ত, জানলে না তুমি কিছুই। পরিসংখ্যান বলছে, শুধুমাত্র ভারতবর্ষে ভ্যালেন্টাইন দিবসকে কেন্দ্র করে ব্যবসার পরিমাণ ৩০ হাজার কোটি টাকা ছুঁয়েছে। ২০০৭-এ ছিল ১২০০ কোটি। ২০১৫তে ১৮ হাজার কোটি। বিপণন দুনিয়ার ম্যাজিশিয়ানদের মতে, প্রতি বছর ৯ থেকে ১০ শতাংশ হারে বাড়তে থাকবে এই ভালবাসার বাজার। তৈরি হয়েছে ভালবাসার ব্যাকরণ! এ যেন খুঁটিপুজোর দিন থেকেই দুর্গাপুজোর শুরু। (Valentine’s Day)
ভ্যালেন্টাইন ডে-র আগের সাতটি দিনও কিন্তু ভালবাসার জন্য কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। সাতই ফেব্রুয়ারি থেকে তেরোই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত যথাক্রমে পালিত হয় রোজ ডে, প্রোপোজ দিবস, চকোলেট ডে, টেডি ডে, প্রমিস ডে, হাগ ডে এবং কিস ডে। অনলাইন খুচরো বিপণিতে কাজ করা এক বন্ধু বলছিল, ‘গর্ভনিরোধক, মানে কন্ডোম বিক্রিতে এবার আমরা হায়েস্ট এভার করব। ভি ডে কে নিয়ে দ্য ক্রেজ ইজ জাস্ট অ্যামেজিং।’
মনের মানুষকে ভ্যালেন্টাইন দিবসে সেরা কি উপহার দেওয়া যেতে পারে, এ ধরণের প্রশ্নে গুগল আপাতত জর্জরিত। শপিং মলে কান পাতলেই শোনা যায়, ‘না না, এটা তো আমার আছে।’ আমরা সব পেয়েছির দেশে থাকি। ভ্যালেন্টাইন ডে-তে প্রিয়জনকে উপহার দেওয়াকে কেন্দ্র করে আমার একটি গল্পের কথা মনে এল হঠাৎ। সম্ভাব্য উপহারের সমস্ত অপশন ব্যর্থ হয়ে যাওয়ার পরে প্রেমিক ও প্রেমিকা দুজনেই দুজনকে উপহার দেয় অনলাইন অন্তর্বাস বিপণির গিফ্ট কুপন কোড। চোখ বুজতে বলে একে অন্যের হাতে লিখে দেয় সেই কোড। উত্তেজনায় শিহরিত হয়। ঘামতে থাকে। আলিঙ্গন করতে ইচ্ছে হয় খুব। পারে না। হাতে লেখা কোড যদি এর ফলে মুছে যায়! গিফট অফ ম্যাজাইয়ের ডেলা আর জিম তো গরীব ছিল বড়। ওদের অত অপশন ছিল না। বেচারা! (Valentine’s Day)
শপিং মলে কান পাতলেই শোনা যায়, ‘না না, এটা তো আমার আছে।’ আমরা সব পেয়েছির দেশে থাকি।
ভালবাসার দিনকে কাজে লাগাতে বাজারে নেমে পড়েছে প্রতিটি সংস্থা। গোলাপ কোম্পানি, চকোলেট কোম্পানির দম ফেলার যো নেই। নেমে পড়েছে বীমা সংস্থাও। বিজ্ঞাপনের মর্মার্থ ছিল, ‘গোলাপ শোকায় একদিনে। পাঁচহাজারি ক্যান্ডললাইট ডিনারও পরের দিন সকালে সাফ! বাথরুমে। থেকে যায় শুধু পলিসির কাগজ, সুরক্ষার অভয়বাণী নিয়ে। ভ্যালেন্টাইন দিনে প্রিয়জনকে বীমা করান। কল করুন এখনই।’
ভালাবাসাকে কেন্দ্র করে যত দার্শনিক উক্তি শুনেছি আজ অবধি, তার সেরার সেরাটি উপহার দিয়েছিল আমার এক কবিবন্ধু। বলেছিল, ‘পরিস্কার না করা, ধুলো পড়ে যাওয়া গাড়ির কাচ দেখলেই আমাদের আঙুল দিয়ে লাভচিহ্ন লেখার শখ হয় কেন? পরিস্কার জায়গায় নয় কেন? হার্টরুপী বেলুনের পেট চিরে যে তীরচিহ্নটি বেরিয়ে থাকে, তার গায়ে লেগে থাকা নাম কি আসল প্রেমিক কিংবা প্রেমিকার? নাকি ধুলো মেখে সেখানে বসে থাকে না পাওয়া কোনও মানুষ, স্বপ্ন?’
এর উত্তর আমি খুঁজে চলেছি আজও। আপনারা কিছু জানতে পারলে আমায় জানাবেন প্লিজ। (Valentine’s Day)
আরও পড়ুন: প্রতিবেশী: তোমার পাশে বসত করে কয়জনা
এই ভ্যালেন্টাইন দিবসেই কিন্তু বহু মানুষ নচিকেতার মতো গর্জে উঠে বলছেন, ‘অ্যাই তুমি কি আমায় ভালবাসো? যদি না বাসো, তবে পরোয়া করি না।’ এই পরোয়া না করার বাসনার ইচ্ছেও গায়ে জড়িয়ে ধরছে জরির চাদর। মাখছে ডলার। ঘেঁটে যাওয়া ভালবাসা ভুলিয়ে দেওয়ার জন্যও শোনা যাচ্ছে বাণিজ্যিক আহ্বান। একটি মার্কিন সংস্থার অদ্ভুত বিজ্ঞাপনের কথা জানতে পারলাম। ‘আপনার এক্স যে ফালতু প্রমিসগুলো করেছিল, সেগুলো এই ভ্যালেন্টাইন ডে-তে আসল কাজে লাগান! ওদের লেখা পুরনো চিঠি-ফিঠি-পদ্য-কবিতা কি আছে একটাও? দেরি না করে আমাদের পাঠান। সেগুলো ছেপে দেব আমরা, পরিবেশবান্ধব টয়লেট রোলে। ফ্লাশ ইওর এক্স!’(Valentine’s Day)
যদি না বাসো, তবে পরোয়া করি না।’ এই পরোয়া না করার বাসনার ইচ্ছেও গায়ে জড়িয়ে ধরছে জরির চাদর।
এগিয়ে এসেছিল একটি হোটেল বুকিং সংস্থাও। জানতে চেয়েছিল, ‘আপনার সঙ্গে ভুল করা কিংবা আপনারই ভুলে যাওয়া প্রাক্তন কেন একটি জঞ্জালের ভ্যাটে থাকারই যোগ্য তা লিখে জানান।’ পাওয়া যাচ্ছিল বুকিং কনফার্মেশন ইমেলও। ভ্যালেন্টাইন দিবসে আমার এক্স জঞ্জালে ঘেরা, দেখেও সুখ।
পরশপাথর বলেছিল, ভালবাসা মানে গোপন গোপন খেলা।
রাজা হীরক, আমি অর্থ কোনও খুঁজে নাহি পাই রে। ভি ডে পার্বনে তোমার হীরের যে দারুণ ডিমান্ড। ফরেভার। আপনার প্রেম যত খাঁটি, হীরেও খাঁটি তেমনই। সুতরাং, বুক ইমিডিয়েটলি।
কতই রঙ্গ দেখি দুনিয়ায়।
ভাই সৌমিক, তুই কোটিপতি হয়ে ওঠ্। (Valentine’s Day)
অম্লানকুসুমের জন্ম‚ কর্ম‚ ধর্ম সবই এই শহরে। একেবারেই উচ্চাকাঙ্খী নয়‚ অল্প লইয়া সুখী। সাংবাদিকতা দিয়ে কেরিয়ার শুরু করলেও পরে জীবিকার খাতবদল। বর্তমানে একটি বেসরকারি সংস্থায় স্ট্র্যাটেজি অ্যানালিস্ট পদে কর্মরত। বহু পোর্টাল ও পত্রপত্রিকায় নিয়মিত লেখেন। প্রকাশিত হয়েছে গল্প সংকলন 'আদম ইভ আর্কিমিডিস' ও কয়েকটি অন্য রকম লেখা নিয়ে 'শব্দের সার্কাস'।