(Arunachal Pradesh) আবার চলার শুরু। লেকের ধার ঘেঁষে উতরাই পথ। এদিক ওদিক ছড়িয়ে আছে বিক্ষিপ্ত বরফ। খুচরো বরফেই গড়াগড়ির আনন্দ নিচ্ছে পর্যটকরা। রাস্তার ধারে বেশ কিছু ঝোরা জমাট বেঁধেছে, যেন দুধপ্রপাত। এমনই এক প্রপাতের কাছে এসে দাঁড়ালাম। মাথার উপরে ঝুলে আছে পুরু বরফ, সেখান থেকে নেমে এসেছে শত শত বর্শার ফলা।

যশবন্ত গড় ওয়ার মেমোরিয়াল যখন পৌছলাম, বেলা আরো গড়িয়েছে। উচ্চতা ১০,৯৬০ ফুট। সেলা পাস থেকে দূরত্ব ২০ কিলোমিটার। ১৯৬২ সালে চীন-ভারত যুদ্ধের সময়, সেলা পাস ছিল উল্লেখযোগ্য অভিযানের মধ্যে একটি। স্থানীয় কিংবদন্তী, ভারতীয় সেনাবাহিনীর একজন সিপাহী যশবন্ত সিং রাওয়াত ‘সেলা’ এবং ‘নুরা’ নামে দুই স্থানীয় মোনপা মেয়ের সাহায্যে এই পাহাড়ি গিরিপথে ৭২ ঘন্টা ধরে লড়াই করে চীনা সেনাবাহিনীকে প্রতিহত করেছিলেন। পরে সেলা নিহত হয় এবং নুরা বন্দী হয়। অসীম বীরত্বের সঙ্গে লড়াইয়ের পর রাওয়াত শহীদ হন। তার সাহস এবং কর্তব্যের প্রতি নিষ্ঠার জন্য তাকে মরণোত্তর মহাবীর চক্র প্রদান করা হয়।

তাঁর আত্মত্যাগের জন্য ভারতীয় সেনাবাহিনী যশবন্ত সিং-এর স্মৃতিতে যশবন্ত গড় যুদ্ধ স্মারক তৈরি করেছে। সেলার নামে গিরিপথ, সুড়ঙ্গ এবং হ্রদের নামকরণ করা হয়েছে। জং থেকে ২ কিমি পূর্বে নুরানাং জলপ্রপাতের নামকরণ করা হয়েছে নুরার নামে।

যশবন্ত সিং-এর একটা মূর্তি ছাড়াও রয়েছে তাঁর ব্যবহৃত আর্মি ইউনিফর্ম, কিছু চিঠি, দেওয়ালে টাঙানো সেনা শহীদদের ছবি। এসব দেখে যখন বেরিয়ে এলাম, বেলা প্রায় সাড়ে তিনটে। উল্টোদিকের আর্মি ক্যান্টিনটাতেও বেশ ভিড়। ডাল চাউল আর ব্রেড পাকোড়া ছাড়া আর কিছু মিলবে না। তবে জাওয়ানরা হাসিমুখে সবার অর্ডার সামলাচ্ছে।

ব্রেড পাকোড়া খেয়ে সাময়িক খিদে মিটল। সৈয়দ বলল, “জং পর্যন্ত চলুন, ওখানেই ভালো করে লাঞ্চ করবেন”। আরও প্রায় ৪৫ মিনিট জিগজ্যাক রোড। জং পৌঁছে একটি হোটেলে ঢুকলাম। কিন্তু হোটেল মালকিন ভিড় সামলাতে না পেরে মেজাজ হারাচ্ছেন। বুঝলাম, এখানে লাঞ্চ করতে গেলে অনেক দেরি হয়ে যাবে। অগত্যা শুধু বিস্কুট আর কফি খেয়ে সন্তুষ্টি।
আরও পড়ুন: চল অরুণাচল – পর্ব ১
আর কোথাও থামা নয়। তাওয়াং আরও ৪০ কিলোমিটার। খিদে ক্লান্তি নিয়ে তাওয়াং শহরে পৌঁছলাম সন্ধ্যে নামার পর। মার্কেট এলাকা থেকে খানিকটা দূরে তাওয়াং মনাস্ট্রির কাছে দোলমা গেস্ট হাউস। এখানেই দুরাতের অস্থায়ী ঠিকানা। তাপমাত্রার অভিমুখ হিমাঙ্কের দিকে। হাড় কাঁপানো ঠান্ডা, গরম গরম ধোঁয়া ওঠা মোমো আর থুকপা, দীর্ঘ যাত্রাপথের ধকল তখন শুধু উষ্ণতা খুঁজে চলেছে। পরের দিনের জন্য নিজেকে শারীরিক ও মানসিকভাবে প্রস্তুত করা, প্রয়োজন শুধু একটা লম্বা বিশ্রাম।
পরদিন সকাল সকাল তৈরি হয়ে বেরিয়ে পড়া বুমলা পাসের পথে। সব দুশ্চিন্তায় জল ঢেলে খবর এসেছে বুমলা পাস পর্যন্ত রাস্তা খোলাই আছে। বেশ কদিন যাবৎ বৃষ্টি হয়নি। আবহাওয়া পরিষ্কার। ফলে তুষারপাত হয়ে রাস্তা অবরুদ্ধ নয়। সৈয়দের গাড়ি নয়, আজ স্থানীয় গাড়িতেই যেতে হবে।

তাওয়াং শহরের উচ্চতা ৮৭৫৭ ফুট। সেখান থেকে যাত্রা শুরু করে পৌঁছে যাব ১৫২০০ ফুট উচ্চতায়। এক ধাক্কায় অনেকটা উচ্চতা সয়ে নেওয়া। জিগজ্যাক রাস্তায় অনেক হেয়ার পিন বাঁক। মাথা ঘোরা, গা বমি ভাব এসবের সম্ভাবনা প্রবল। আবার একেবারে খালি পেটে পাহাড়ি পথে ওঠা উচিত হবে না। তাই তেলে ভাজা পুরি-সবজি নয়। ম্যাগি আর সেদ্ধ ডিম, এই হালকা জলখাবারটুকুই আজকের জন্য উপযুক্ত।
দিনের আলোয় শহরটাকে বেশ লাগছে। লম্বা বুদ্ধ মূর্তি, চোর্তেন, স্টেডিয়াম সবকিছুকে পাস কাটিয়ে চলতে চলতে একটা সময় ক্রমে ঘরবাড়ি কমতে লাগলো। আরো কিছুটা এগিয়ে গাছপালাও কমতে শুরু করল। রুক্ষতা বাড়ছে। রাস্তায় ইতি-উতি বরফ ছড়িয়ে আছে। মিলিটারি ছাউনি, বুটের শব্দ।

প্রথমবার বরফে ঢাকা শৃঙ্গ নজরে এলো। বুমলা রোড ধরে চলেছি। এ তল্লাটে ছোট ছোট জলাশয় বা লেক যাই বলি না কেনো, সংখ্যায় প্রচুর। একটা শেষ হয় তো আরেকটা শুরু। দুধের ওপর সর পড়ার মতো উপরিভাগ জমেছে। কোনটায় কিছু অংশ বরফ আর বাকিটা টলটলে জল।
এমনই এক লেকের ধারে এসে থামলাম। পিটিসো লেক, উচ্চতা ১৩০০০ ফুট। তাওয়াং থেকে দূরত্ব ১৬ কিলোমিটার। বাঁধানো পথ গিয়েছে জলের কিনারা পর্যন্ত। পারাপারের জন্য আছে কাঠের সেতু। গাড়ি থেকে নামতেই ঠান্ডা কনকনে হাওয়া কামড় বসাতে শুরু করল।
আবার চলা। বাঁক ঘুরতেই নজরকাড়া শোভা। নীলরঙা লেকের জলে সাদা ধবধবে জমাটি বরফ, মাঝে মাঝে সরু ফাটল। দূর থেকে মনে হচ্ছে সাদা চাদরের ওপর যেন কেউ আঁকিবুকি কেটেছে। নেপথ্যে মেঘমুক্ত নীল আকাশ, রুক্ষ পাহাড় আর সেনা ছাউনি।

সপ্তাহখানেক আগে থেকেই হোমিওপ্যাথি ওষুধ কোকা থার্টি খাওয়া শুরু করেছিলাম। এখন বারেবারে জল খাওয়া আর কর্পূর শোঁকার পালা চলছে। পাহাড়ের উচ্চতাকে মানিয়ে নেওয়ার এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি। তবু যেন মনে হচ্ছে মাথাটা হালকা ধরেছে।
আরও কিছুটা এগিয়ে নাগুলা লেক। প্রাচীন তাওয়াং লাসা রোড ধরে চলা। পৌঁছলাম ওয়াই জংশনে। আর্মি ক্যাম্প আর চেকপোস্ট। একটা ক্যান্টিন দেখে শীতের আমেজে একটু কফি খেতে মন চাইলো। (Arunachal Pradesh)

এখান থেকেই পথ বিভাজন। বামহাতি রাস্তা গেছে সাঙ্গেতসর লেকের দিকে আর ডানদিকের চড়াই বুমলা সীমান্ত অভিমুখে। রুক্ষ পাহাড় ঘেরা উতরাই পাকদন্ডী পথ। প্রায় কুড়ি কিলোমিটার চলার পর ওপর থেকেই দেখতে পেলাম, নিচে সাঙ্গেতশর লেককে। ট্যুরিস্ট গাড়ির লম্বা লাইন। আমাদের চালক বলল, “এখানে বেশি সময় নেবেন না। বুমলা পাসে তাহলে অনেক পেছনে পার্কিং করতে হবে। আপনাদের অনেকটা পথ তখন হেঁটে যেতে হবে”। (Arunachal Pradesh)
মাধুরী দীক্ষিত অভিনীত হিন্দি ছবি ‘কোয়লা’র একটি গানের দৃশ্য শুট করা হয়েছিল এখানে। তারপর থেকেই এই স্থানের জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। নাম বদলে হয়েছে মাধুরী লেক। অরুণাচল বেড়াতে আসা পর্যটকরা আগেই খুঁজে বেড়ান মাধুরী লেক। স্বাভাবিকভাবেই পর্যটক সমাগমও খুব বেশি। (Arunachal Pradesh)

প্রবেশ পথের দুপাশে বাগান। লেকের ধার বরাবর বাঁধানো রাস্তা। প্রার্থনা পতাকা উড়ছে। পাহাড় ঘেরা লেকটার একদিকে বরফ জমা সাদা চাদরের পুরু আস্তরণ। অন্যদিকে পাড়ের কাছে অবশ্য জল রয়েছে। তবে শীতকাল বলেই বোধহয় সে জল অগভীর। ব্রাহ্মণী হাঁস খেলে বেড়াচ্ছে। নীল আকাশের প্রতিচ্ছবি। মরা গাছের খোঁচা খোঁচা ডাল মাথা উঁচিয়ে আছে লেকের বুকে। (Arunachal Pradesh)
চালকের কথা মাথায় রেখে ওখান থেকে বেরিয়ে এলাম। আবার ওয়াই জংশন পর্যন্ত এসে বুমলা সীমান্তের চড়াই পথ ধরে এগিয়ে চলা। রাস্তায় খানাখন্দ নেই, তবে বন্ধুর। (Arunachal Pradesh)

ওয়াই জংশন থেকে বুমলা দূরত্ব প্রায় ১৫ কিলোমিটার। বছরের ছ মাস খোলা থাকে। নভেম্বর থেকে মার্চ পর্যন্ত তুষারপাত হওয়ার ফলে অনেক সময়ই রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। এ বছর সেভাবে বরফপাত হয়নি। নির্ঝঞ্ঝাট যাত্রায় পৌঁছে গেলাম বুমলা টপে। বোর্ডে লেখা আছে ১৫,২০০ ফুট। (Arunachal Pradesh)
গাড়ি পার্কিং খুব বেশি দূরে হয়নি। অল্প হেঁটেই ইনারলাইন পারমিট দেখিয়ে নাম রেজিস্ট্রেশন করানোর জায়গা। বোর্ডে লেখা আছে ‘বুমলা ক্যাফে’, নীচে তীরচিহ্নে লেখা ‘এন্ট্রি পয়েন্ট’। বড় ঘর। একপাশে সেনাবাহিনীর ক্যান্টিন। চা, কফি, ম্যাগি, স্যুপ ইত্যাদি বিক্রি হচ্ছে। তার পাশেই আর্মি জ্যাকেট, জুতো, টুপি ইত্যাদি বিক্রির কাউন্টার। ঘরের অন্যদিকে আরেকটা দরজা আছে। সেখানে লোকজন ভিড় জমিয়েছে। লম্বা খাতা নিয়ে বসে আছেন একজন সেনা জওয়ান। এখান থেকেই ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে পর্যটকরা যেতে পারবেন ১০০ মিটার দূরে ভারত চীন সীমান্ত পর্যন্ত। এক দল ফিরে এলে আবার আরেক দলকে ছাড়া হবে। (Arunachal Pradesh)

যা বুঝলাম দেরি হবে, এক প্লেট মোমো আর কফি নিয়ে সময়ের জন্য অপেক্ষা করতে লাগলাম। আধঘন্টা এভাবেই কাটলো। অল্প বিস্তর উচ্চতাজনিত শারীরিক সমস্যা হচ্ছে। একে অক্সিজেন কম, ভিড়ে ঠাসা ঘরে দম বন্ধ অবস্থা। একটু বাইরে এসে দাঁড়ালাম। দু মিনিটের মধ্যেই ডাক এলো। শুনলাম, পরেরবার আমাদের টার্ন। (Arunachal Pradesh)
এবার গেটের কাছে এসে অপেক্ষা করতে লাগলাম। ঘরে দুটো ঘড়ি একটা ভারতীয় সময় দেখাচ্ছে আর একটা চীনের । দুই দেশের সময়ের পার্থক্য আড়াই ঘন্টা। ভারতীয় ঘড়িতে সময় তখন সোয়া বারোটা। পর্যটকদের যে দল গেছে, অনেকক্ষণ হলো তাদের ফেরার নাম নেই। এভাবে আরও আধঘন্টা কেটে গেল। সকলের ধৈর্যের বাঁধ ভাঙছে। ঘরের মধ্যে ঠেলাঠেলি শুরু হয়েছে। সামলানোর কেউ নেই। (Arunachal Pradesh)
আগের টিম ফিরেছে। দরজার দড়িখানা খুলতেই হুড়মুড়িয়ে পর্যটকরা বাইরে বেরিয়ে এলো। গুঁতোগুঁতি করে কোনমতে এই টিমেই আমরাও জায়গা করে নিলাম। (Arunachal Pradesh)
বাঁক ঘুরতেই নজরকাড়া শোভা। নীলরঙা লেকের জলে সাদা ধবধবে জমাটি বরফ, মাঝে মাঝে সরু ফাটল। দূর থেকে মনে হচ্ছে সাদা চাদরের ওপর যেন কেউ আঁকিবুকি কেটেছে। নেপথ্যে মেঘমুক্ত নীল আকাশ, রুক্ষ পাহাড় আর সেনা ছাউনি।
এবার সকলকে নিয়ে সেনা অফিসার কিছু নিয়মাবলীর কথা বললেন। প্রথমত, বাঁধানো রাস্তার দু’ধারে জমিতে কোথাও পা দেওয়া যাবে না, কারণ বিভিন্ন জায়গায় ল্যান্ড মাইন্স পাতা আছে। দ্বিতীয়ত, বর্ডারে নিজেদের মোবাইল বা ক্যামেরায় কোনও ছবি তোলা যাবে না। যদি তুলতেই হয় তাহলে ছবি প্রতি ৪০০ টাকা দিতে হবে। তারাই ছবি তোলা এবং প্রিন্টের ব্যবস্থা করে দেবে। বেশিক্ষণ ওখানে দাঁড়ানো যাবে না। ছবি তোলা হয়ে গেলেই ফিরে আসতে হবে। তৃতীয়ত, সবার মোবাইল এরোপ্লেন মোডে রাখতে হবে অথবা সুইচ অফ করতে হবে। যাদের শ্বাসকষ্ট হবে তাদের জন্য মেডিকেল ক্যাম্পে অক্সিজেনের ব্যবস্থা আছে। (Arunachal Pradesh)
চারদিক পাহাড় ঘেরা। মাঝখানে অনেকটা এলাকা জুড়ে সমতল। বাঁধানো রাস্তা সোজা চলে গেছে বর্ডারের কাছে। কোনও কাঁটাতার নেই। আছে একটা তোরণ আর গেট। ইন্দো-চীন সৌহার্দের বোর্ড লাগানো। চীন দেশের তুষারাবৃত শৃঙ্গ দৃশ্যমান। চীনা সৈনিকরা কখনও আমাদের দেখে হাত নাড়ছেন, কখনও জুম লেন্স লাগানো ক্যামেরা দিয়ে ছবি তুলছেন। (Arunachal Pradesh)

সীমান্তের ওপারে কোনও ট্যুরিস্ট নেই। ওদেশের কারোর বোধহয় বর্ডার দেখার আগ্রহ নেই। কিন্তু এ পাড়ের মানুষদের উৎসাহে কোনও কমতি নেই। টাকা দিয়ে টোকেন নিয়েছিলাম ছবি তুলব বলে। আমাদের নম্বর ধরে ডাকতে দাঁড়িয়ে গেলাম তোরণের সামনে। ভারত চীন সীমান্তে দাঁড়িয়ে থাকার স্মরণিকা। (Arunachal Pradesh)
তাওয়াং-এ ফিরে হোটেলে পৌঁছলাম, বিকেল সাড়ে তিনটে। সকলেই ক্লান্ত, ক্ষুধার্ত। গরম গরম স্যুপ আর একটু বিশ্রামের পর সকলেই চাঙ্গা। বর্ষ শেষের রাত। পরদিন নিউ ইয়ার উপলক্ষ্যে তাওয়াং বাজারের অধিকাংশ দোকানই বন্ধ থাকবে। মার্কেট ঘুরে খুচরো কিছু কেনাকাটা সেরে রাত আটটার মধ্যে ঘরে ঢুকে যাওয়া। (Arunachal Pradesh)
তাপমাত্রার পারদ ক্রমে নামছে। গুগল বলছে মাইনাস চার। এই শৈত্যপ্রবাহেও বাজি পোড়ানোর শব্দে ঘুম ভেঙে যায়। নতুন বছরকে স্বাগত। (Arunachal Pradesh)
প্রয়োজনীয় তথ্য:
অরুণাচল প্রদেশ ভ্রমণে ইনারলাইন পারমিট লাগে। অনলাইনে পারমিট পেতে ওয়েবসাইট দেখুন – https://eilp.arunachal.gov.in/
থাকা: তাওয়াং-এ থাকার জন্য অনেক হোটেল আছে। যোগাযোগ করতে পারেন – দোলমা গেস্ট হাউস (৯৪৩৬০-৫১০১১)
যাতায়াত: ট্রেনে বা বিমানে গুয়াহাটি পৌঁছে সেখান থেকে ভাড়াগাড়িতে অরুণাচল বেড়ানো সুবিধাজনক। তেজপুর থেকেও ভ্রমণ শুরু করা যেতে পারে। গাড়ির জন্য যোগাযোগ – সৈয়দ ইসলাম (৬০২৬৫ ৭২৬০৬, ৯৯৫৭০ ৫৭৫১৬)
ছবি: লেখক, বুমলা পাসের ছবিটি তুলেছেন রেশমী চক্রবর্তী, Wikimedia Commons
পরবর্তী পর্ব: ১৫ এপ্রিল, ২০২৫
দীর্ঘদিন ধরে ভ্রমণ সংক্রান্ত লেখালিখির সঙ্গে যুক্ত। ভ্রমণ, আনন্দবাজার ই-পেপার, ভ্রমী পত্রিকার নিয়মিত লেখক। এছাড়া যারা-যাযাবর, তথ্যকেন্দ্র, লেটস্-গো, আজকাল, প্রতিদিন, গণশক্তি প্রভৃতি পত্র-পত্রিকায় ভ্রমণকাহিনি প্রকাশিত। ট্র্যাভেল রাইটার্স ফোরাম ইন্ডিয়ার সদস্য। প্রধান শখ ও নেশা বেড়ানো আর ট্র্যাভেল ফটোগ্রাফি।
One Response
দারুন লেখা। পরের সংখ্যার অপেক্ষায় রইলাম। ♥️