Teacher


















(Teacher)
পয়সার অভাবে ছাড়তে হয়েছিল লেখাপড়া। পরিবারের জন্য বেছে নিতে হয়েছিল মাছ বিক্রেতার কাজ। নিজে পড়তে পারেন নি। কিন্তু গরিব ঘরের ছেলেমেয়েরা যাতে শিক্ষার অধিকার থেকে বঞ্চিত না হয়, তাই ৪০ বছর ধরে বিনা পয়সার স্কুল চালাচ্ছেন বিশ্বনাথ নাড়ু।
ভোরে উঠে পাইকরি বাজার থেকে মাছ কেনা, তারপর বাজারে বসে হাঁকাহাঁকি করে সেই মাছ বিক্রি করা। কিন্তু ১১টা বাজলেই আর মন বসে না মাছ-বাজারে। বাড়ি ফিরে তড়িঘড়ি তৈরি হয়েই ছোটেন শ্যামনগরের নন্দীপুর স্বামী বিবেকানন্দ বিদ্যামন্দিরে। বিশ্বনাথ নাড়ু ৫১ বছর ধরে এই রুটিনেই চলেছেন। তিনি ওই কচিকাঁচাদের স্কুলের প্রধান শিক্ষক।
১৯৭৪ সালের ৭ জানুয়ারি ২৩১ জন ছাত্র-ছাত্রী নিয়ে এই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়। সেই থেকেই তাঁর জীবন আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে রয়েছে এই স্কুলের সঙ্গে।
বিশ্বনাথ নাড়ুর কথায়, “এই স্কুল প্রথমে ছিল টালির চাল, ছিটে বেড়া। মেঝে ছিল মাটিতে ইঁট পাতা। এই স্কুল থেকে বহু ছাত্র-ছাত্রী জীবনে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। মোড়ায় বসতেন শিক্ষকরা। খেঁজুর পাতার চাটাই, বস্তা পেতে বসতে হত ছাত্র-ছাত্রীদের। এখন বহু মানুষের সহযোগিতায় দোতলা ভবন, চেয়ার টেবিল, স্মার্ট ক্লাস, কম্পিউটার ক্লাস – বিশেষ মাত্রা পেয়েছে আমাদের স্কুল”।
তিনি আরও বলেন, “অনেক আশা নিয়ে স্কুল তৈরি করেছিলাম। বহু চিঠিচাপাটি, যোগাযোগ করেও সরকারি অনুমোদন পায়নি, সেই আক্ষেপ একসময় ছিল। এখন আর কোনও আক্ষেপ নেই। বহু ব্যক্তি ও সমাজসেবী সংস্থার সহযোগিতায় এখন স্কুল ভালই চলছে”। (Teacher)
নেশা ও পেশা ফটোগ্রাফি। ডকুমেন্টারি স্টোরি টেলিং, স্ট্রিট ও ট্র্যাভেল ফটোগ্রাফিতে আগ্রহী।