(Kali Puja Bhog)
হিন্দুধর্মে এক অদ্ভুত সনাতনী সংস্কৃতি আছে, যা আবহমানকাল ধরে নানান ভাঙাগড়ার মধ্যে দিয়ে বিবর্তিত ও প্রবাহিত। সেখানে যেমন আছে ব্রাহ্মণ্যবাদের ধ্বজাধারীদের নানাবিধ পুজোপার্বণে আমিষ গ্রহণে ছুঁতমার্গ, তেমনি আছে বৈচিত্র্যময় বারব্রতের ধর্মীয় উপবাসে বিজ্ঞানসম্মত আধুনিক ডিটক্সিফিকেশনে সুস্থতার বার্তা। আমিষের চাইতে সেখানে নিরামিষ ভোজনের পাল্লা বেশি হলে আমাদের পুরাণ বা মহাকাব্যে মাছ-মাংস গ্রহণে কিন্তু তেমন বাধানিষেধ নেই। রামায়ণের বিষ্ণুর অবতার রামচন্দ্রের ত্রেতাযুগে হরিণ শিকার করে বনবাসে শূলপক্ব কাবাব সেবন থেকে দ্বাপরযুগে মহাভারতের নলরাজার সুসিদ্ধ মাংসোদন বা পলান্ন বা বিরিয়ানির অনুরূপই হোক।
আরও পড়ুন: আরন্ধের রাঁধাবাড়া কি বর্ষাশস্যের থ্যাংক্সগিভিং?
যদিও কান্যকুব্জ থেকে এখানে আসা কট্টর বৈদিক ব্রাহ্মণেরা মাংস খেতেন। কিন্তু এখানে এসে তাঁরা মাছ খাওয়া শিখলেন।আর সেই ব্রাহ্মণদের আরোপিত নিষেধাজ্ঞার কোনও যুক্তিই ধোপে টেঁকেনি। তা সে উওরপ্রদেশের বামুনরাও আজ বাঙালিদের দেখলে ‘ওহ! ফিশ’ বা ‘মছলিখেকো’ বলে ধরিত্রী রসাতলে পাঠাক।

পুরাণবিদ নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ীর মতে, ষোড়শ শতকের সর্বশেষ বিখ্যাত স্মার্তপণ্ডিত রঘুনন্দনও বিধান দিয়েছিলেন বৈকি, মাছ ভক্ষণ সর্বপ্রকার মাংস খাওয়ার সামিল। কারণ নদীর মাছ মৃত শবদেহের সংস্পর্শে আসে। তবে সে ভাবনায় ইতি টেনে রঘুনন্দন বলেছিলেন, শুধু আঁশহীন মাছেই নিষেধাজ্ঞা, আর নিরামিষ পঞ্চমৎস্য – ইলিশ, চিংড়ি, রুই, মাগুর আর খলসে মাছে কোনও বাধা নেই। এরপর নিরামিষ আর আঁশহীন মাছগ্রহণের নিষেধাজ্ঞাও উঠে গেছিল কালের স্রোতে। যুগধর্ম মেনে “বার্তাকু সহযোগেন সর্বে মতস্যানি নিরামিষাঃ”, মানে বেগুন দিয়ে রাঁধা সব ধরণের মাছও পরিণত হল নিরামিষে। তাই আমাদের প্রোগ্রেসিভ ধর্মে এমন সুন্দর ব্যবস্থাই চিরাচরিত। এর নামই হল সনাতন ধর্মের ভাবনার বিবর্তন।
কিন্তু আমরা অনেকেই হয়ত জানিনা যে, বৈষ্ণবী মা কালীর ভোগের নিবেদিত বলিপ্রদত্ত পাঁঠার নিরামিষ মাংস বা মাছভোগ কিন্তু মায়ের জন্য নয়, সহচরী ডাকিনী, যোগিনীদের। আর কালীপুজোর দিনে কালী স্বয়ং শ্রীস্বরূপিণী দীপান্বিতা লক্ষ্মী। তাঁর জন্য নিরামিষ ভোগ।
দীপাবলির সময় কালীপুজোর ‘নিরামিষ আমিষ’ রান্না নিয়ে সোচ্চার আজকের সোশ্যাল মিডিয়া। কেনো রে ভাই? দীপাবলির আগের দিন ভূতচতুর্দশীতে শারীরিক সুরক্ষাকবচ, মানে, বাৎসরিক টিকাকরণের মতো কার্তিকের ঋতুপরিবর্তনে শরীরের ফিটনেস কোশেন্ট ঠিক রাখতে চোদ্দরকমের শাক (শুধুই শাক নয়, আনাজও) গেলানোর আইডিয়াও তো আমাদের দেশীয় আয়ুর্বেদের অহঙ্কার ও অলঙ্কারও। পরদিন দীপান্বিতা লক্ষ্মীপুজোয় লক্ষ্মী, কুবের আর নারায়ণের পুজোতে নানাবিধ নিরামিষ ভোগরাগ হলেও, কার্তিক অমানিশির আঁধারে তামসিক দেবী কালীর পুজোয় কিন্তু পাঁঠাবলির রেওয়াজ অতীব সুপ্রাচীন। (Kali Puja Bhog)

এখন নাহয় পশু সুরক্ষা আইনের কবলে পড়ে পাঁঠার প্রতীকি আনাজ বলি হয় অনেক স্থানে। আমাদের ষড়রিপু, কামনা বাসনা সব মায়ের পায়ে উজাড় করে দিই আমরা। কিন্তু বাংলার অন্যতম তিন কালীক্ষেত্র মানে কালীঘাট, দক্ষিণেশ্বরে ভাবতারিণী আর তারাপীঠের তারামায়ের ভোগে কিন্তু সেই পশুবলি এখনও অব্যাহত। আর সেই প্রসঙ্গেই ‘নিরামিষ আমিষ’ রান্না। মানে পিঁয়াজ, রসুন পড়বে না সেই মাছ মাংসে। (Kali Puja Bhog)
আয়ুর্বেদে পলান্ডু বা পিঁয়াজ আর সুকুন্দক বা রসুন নাকি গুরুপাক ও কামোত্তেজক। ইন্দ্রিয়দের বশে রাখতেই হয়। নয়ত মায়ের পুজোয় এমনিতেই অনেক স্থানে মদ্য নিবেদনের রীতি, সেখানে মদ্য ও মাংস এই দুয়ে মিলে হয়ত ভক্তের বিপত্তি হতে পারে। মায়ের মূল পুজো থেকে কিছুটা হলেও তাদের চিত্ত চাঞ্চল্য হতে পারে। তাই হয়ত পিঁয়াজ রসুনেই আপত্তি তাবড় পন্ডিতদের। যে কারণে সে যুগের পুরুষতন্ত্রে বিধবাদের পিঁয়াজ, রসুন, মুসুরডাল ও পুঁইশাক সেবনে ফতোয়া জারি ছিল। (Kali Puja Bhog)

কিন্তু আমরা অনেকেই হয়ত জানিনা যে, বৈষ্ণবী মা কালীর ভোগের নিবেদিত বলিপ্রদত্ত পাঁঠার নিরামিষ মাংস বা মাছভোগ কিন্তু মায়ের জন্য নয়, সহচরী ডাকিনী, যোগিনীদের। আর কালীপুজোর দিনে কালী স্বয়ং শ্রীস্বরূপিণী দীপান্বিতা লক্ষ্মী। তাঁর জন্য নিরামিষ ভোগ। এসব গল্প শোনা আমার শাশুড়িমায়ের কাছে, যার মামাবাড়ি দক্ষিণ কলকাতার কালীঘাটের এক সেবায়েত মুখুজ্জ্যে পরিবার। পাতপেড়ে সেই আমিষভোগ গ্রহণের সৌভাগ্যও হয়েছে একাধিকবার। (Kali Puja Bhog)
প্রলয়কালে সব রং নিজের মধ্যে বিলীন করে দেন যে কালী, তিনি নিজের দাঁতসমূহ চেপে রেখে জিহ্বা বের করে আমাদের আত্মনিয়ন্ত্রণেরও শিক্ষা দেন। সেখানে তাঁর সহচরীবর্গ বা তাঁর ভক্তরা আমিষ খেল কী না সে ব্যাপারে চিরবৈরাগ্যময়ী মাকালীর হেলদোল না থাকলেও মহানিষ্ঠাচারে এই আমিষ রান্না করা হয়।
সাদাভাতের সঙ্গে কাজু কিশমিশ, পেস্তা দেওয়া হলুদ বা সাদা পুষ্পান্ন বা ঘিভাত, ৫ রকমের আনাজ ভাজার পাশাপাশি সময়ের আনাজ অর্থাৎ ফুলকপি বা বাঁধাকপির ডালনা, সুক্তো, ভাজা মশলা ছড়ানো আলুবখরা, খেজুর, আমসত্ত্বের চাটনি হবেই কালীপুজোর দিনে দীপান্বিতা লক্ষ্মীর ভোগে। তবে কোনোমতেই বহিরাগত বিলাতি বেগুন বা টমেটোর চাটনি নয়। সেইসঙ্গে যার যেমন পালা পড়ে, সেই সেবায়েতরা কেউ দেন ছানার ডালনা। এখন সুবিধের জন্য পনীরের ডানলাও দেন। আগে পনীর বা ছানাকে শুদ্ধ মনে না করা হলেও, এসব ধীরে ধীরে ঢুকে পড়েছে মায়ের হেঁশেলে। (Kali Puja Bhog)

দরিদ্র ভোজনের দিন একটা পাঁচমিশালি তারকারি দিয়ে নিরামিষ ছ্যাঁচড়াও হয় খিচুড়ির সঙ্গে। সুজির হালুয়া, দই, মিষ্টি ছাড়াও ছোটএলাচের গন্ধ দেওয়া গোবিন্দভোগের পায়েস থাকবেই। আমিষভোগে পার্শে বা বাটা মাছ ভাজা দেওয়া হয় ডালের পাশাপাশি। এই ডাল সাধারণত ভাজা মুগ ডাল। ইচ্ছে করলে কেউ ছোলা, মটর বা অড়হর দিতেই পারেন, তবে কোনোমতেই মুসুর নয়। চিংড়ি মাছ দিয়ে আলু-পটলের নিরামিষ ডালনা, ভেটকিমাছের ঝালও হয় রাই বা সাদা সরষেবাটা দিয়ে। কেউ আবার নিরামিষ আলুরদমও দেন। (Kali Puja Bhog)

তবে আগেকার রীতি মেনে কালীঘাটের ভোগে শিলে বাটা মশলা দিয়েই এখনও মায়ের ভোগের রান্না হয়। এসব যাবতীয় তথ্য জানালেন, মন্দির লাগোয়া এক সেবায়েত মানে আমার শাশুড়িমায়ের মামা শ্রীযুক্ত রামচন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের (পৈতৃকবাড়ি ২৬৯ কালীঘাট রোডের ভগবতী ভবন) পুত্রবধূ আমার মামীশাশুড়িমা শ্রীমতি নন্দিতা মুখোপাধ্যায়। স্মৃতি থেকে গড়গড় করে বলে গেলেন অশীতিপর মামীমা। ভোগ রান্নার ব্যাপারে তিনি যেমন শিখে এসেছেন তাঁর শাশুড়িমা পার্বতী দেবীর কাছ থেকে, তেমনি ধারা আজও অব্যাহত। (Kali Puja Bhog)

তাঁদের পালা পড়লে মামীমা আগেভাগে ভোগের জন্য বলির কচিপাঁঠার মাংস নিজের ঘরে আলাদা একটি প্রেসার কুকারে সেদ্ধ করে দিতেন। কালীঘাটের ঠাকুরঘরের রান্নার বামুনরা কাঁচা মাংস হয়ত টকদই আর কাঁচা পেঁপে দিয়ে কিছুক্ষণ ম্যারিনেট করে রেখেই রান্না করে। (Kali Puja Bhog)
কার্তিকমাসের চতুর্দশীর রাতে ভয়ানক অত্যাচারী নরকাসুরকে বধ করে দেবী কালী পুজো পান ভক্তদের কাছে। আসলে আমাদের দেশে সুপ্রাচীন শক্তিপুজোয় যেন দেবীদের পাল্লা ভারী। রজগুণের দেবী দুর্গা মহিষাসুর বধ করে, তমোগুণের দেবি কালী তারকাসুর বধ করে আর সত্ত্বগুণের জগদ্ধাত্রী করিন্দ্রাসুর বধ করে, একে একে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে আসেন আর মহাসমারোহে পুজো পান। আর এদের মধ্যে এই সাত্ত্বিক বৈষ্ণবীরূপিণী তামসিক কালীর পুজোতেই এই নিরামিষ-আমিষ ভোগ। (Kali Puja Bhog)

প্রলয়কালে সব রং নিজের মধ্যে বিলীন করে দেন যে কালী, তিনি নিজের দাঁতসমূহ চেপে রেখে জিহ্বা বের করে আমাদের আত্মনিয়ন্ত্রণেরও শিক্ষা দেন। সেখানে তাঁর সহচরীবর্গ বা তাঁর ভক্তরা আমিষ খেল কী না সে ব্যাপারে চিরবৈরাগ্যময়ী মাকালীর হেলদোল না থাকলেও মহানিষ্ঠাচারে এই আমিষ রান্না করা হয়। শিবের বুকে দাঁড়িয়ে অনড়, অচল ও সুপ্তজ্ঞানকে জাগরিত করে জাগতিক রূপ দেয় যে শক্তি, সেই তো কালী। তাই কালী তো মত্ত নিজের প্রকাশে। এই দুয়ের সমন্বয়েই জগতের ভাঙাগড়া অব্যাহত থাকে। শিব হল অপার, অসীম সমুদ্র যা মূলত স্থির। এবং কালী হল সেই বিশাল সমুদ্রের উত্তাল ঢেউ, যা সৃষ্টি হয় দাপটের সঙ্গে সাগরের বুকেই আর বিলীন হয়ে যায় মুহূর্তেই সাগরের গভীরেই। (Kali Puja Bhog)
তবে তারাপীঠের মায়ের ভোগে শোলমাছ পুড়িয়ে দেওয়া হয় এখনও। এর সঙ্গে তান্ত্রিককালীর সম্পর্ক আছে। দেখেছি, মাছ বা মাংস ভোগের কোনও রান্নাতেই বেশি ঝোল থাকেনা, নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে।
তাই আমিষ মাংস বা মাছে পেঁয়াজ রসুন পড়ল কী না এসব নিয়ে মাথা ঘামানোর সময় তাঁর নেই। বরং সেইফাঁকে নিজের কোমরবন্ধনী হস্তমেখলা দিয়ে মানুষের কৃত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কর্মফলের ভাগ বাঁটোয়ারা করে হিসেব নিকেশ মেলান পাপপুণ্যের। ততক্ষণ মায়ের দুপাশে দুই ভয়ঙ্কর ছায়াসঙ্গী মানে, ডাকিনী যোগিনী বা বর্ণিনী, নিবেদিত সুগন্ধি আমিষ ভোগরাগে দৃষ্টি দিয়ে আমজনতার মতই লালা নিঃসরণ করেন। হিন্দু পুরাণ ও তন্ত্রেযোগ অভ্যাসে দক্ষ নারীরা, যোগিনীরাই হলেন স্বয়ং দৈবশক্তির আধার! আমাদের মতই যাদের লোভ, লালসার প্রাবল্য আছে। (Kali Puja Bhog)

তাই বলির পাঁঠার মাংসে মানুষের স্বাদকোরকের কথা মাথায় রেখেই, আধুনিককালে টকদই দিয়ে অনেকক্ষণ ম্যারিনেশনও আবশ্যক ভক্তকুলের কথা মাথায় রেখে। কচিমাংস টেন্ডার হবে। কেউ পেঁপে কোরাও দেয়, আর দেয় নানাবিধ মশলা – মানে ভারতীয় হেঁশেলের ইমিউনিটি ব্যুস্টার হলুদ, নুন, ধনে, জিরে, গোলমরিচ, শুকনো লংকাবাটা (আধুনিককালের গুঁড়ো) আর গরমমশলা গুঁড়ো। সঙ্গে অবশ্যই আদার রসে ভেজানো হিং, কারণ আয়ুর্বেদ বলছে আদার সঙ্গে হিংয়ের সুগন্ধি রসায়নে পেঁয়াজের গন্ধের উদ্ভব হয়। টমেটো বা কাঁচালঙ্কা পুরীর জগন্নাথের ভোগের মতই ব্রাত্য ভোগে। পুরাকালে সেসবের আমদানিও ছিলনা। ভাগ্যিস ছিল হরিদ্রা আর শুঁঠ বা আর্দ্রক। সামান্য চিনিও পড়বে এই নিরামিষ মাংসে। (Kali Puja Bhog)
এবার সর্ষের তেলে (জানি না, পুরাকালে ঘৃতে বা প্রাচীনতম তৈলবীজ তিল তেলে পাক হত কিনা) গোটা গরমমশলা মানে ছোটএলাচ, লবঙ্গ, দারচিনি আর তেজপাতা ফোড়ন দিয়ে সেই ম্যারিনেটেড মাংস ঢিমে আঁচে রান্না হবে। আলুর চল ছিল না। এবার জল ঢেলে ঢিমে আঁচে মাংস সেদ্ধ হয়ে এলেই তেল ছাড়ার পালা আর ওপর থেকে ঘি আর গরমমশলার গুঁড়ো দিয়ে পেতলের হাঁড়িতেই নিবেদন কালীপুজোর ভোগে। (Kali Puja Bhog)

আর কালীঘাট বা দক্ষিণেশ্বরে মায়ের ভোগে রুইমাছ বা চারাপোনা ভাজাও যেমন দেখেছি, তেমনি মাছভাজা দিয়ে নিরামিষ কালিয়াও অবশ্যই দেওয়া হয়। এই কালিয়াটি আমার মা বাড়িতে নিত্য রাঁধতেন। সেখানেও পিঁয়াজ, রসুন, টমেটো ব্রাত্য। মাছ ভাজা তেলেই জিরে, তেজপাতা ফোড়ন দিয়ে আদায় মেশানো হিং, নুন, হলুদ আর শুকনো লঙ্কাবাটা আর সামান্য চিনি দিয়েই মাছ ছেড়ে দিতে হবে। নামানোর সময় ঘি আর গরমমশলা গুঁড়ো। তবে তারাপীঠের মায়ের ভোগে শোলমাছ পুড়িয়ে দেওয়া হয় এখনও। এর সঙ্গে তান্ত্রিককালীর সম্পর্ক আছে। দেখেছি, মাছ বা মাংস ভোগের কোনও রান্নাতেই বেশি ঝোল থাকেনা, নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে। (Kali Puja Bhog)
ছবি সৌজন্য: লেখক, Latestly moha-mushkil.com, Instragram, Wikimedia Commons, Zeenews, YouTube
রসায়নের ছাত্রী ইন্দিরা আদ্যোপান্ত হোমমেকার। তবে গত এক দশকেরও বেশি সময় যাবৎ সাহিত্যচর্চা করছেন নিয়মিত। প্রথম গল্প দেশ পত্রিকায় এবং প্রথম উপন্যাস সানন্দায় প্রকাশিত হয়। বেশ কিছু বইও প্রকাশিত হয়েছে ইতিমধ্যেই। সব নামীদামি পত্রিকা এবং ই-ম্যাগাজিনে নিয়মিত লেখেন ছোটগল্প, ভ্রমণকাহিনি, রম্যরচনা ও প্রবন্ধ।