এই বইটা নিয়ে প্রথমেই বেশ কিছুটা কনফিউশন– বইটা কি চিকিৎসাবিভাগে রাখা উচিত, না ইতিহাস? না কি সাহিত্য? বইটা পড়ে বাঙালি হিসেবে আমার সত্যি গর্ব হচ্ছিল। অমিতাভ ঘোষ আছেন, অমিত চৌধুরী আছেন, এবং আছেন নীরদ সি চৌধুরী। কিন্তু বিজ্ঞান নিয়ে এরকম বইয়ের সংখ্যা কম বললে ভুল বলা হয় না। যদিও লেখক সিদ্ধার্থ মুখোপাধ্যায় দিল্লিতে পড়াশোনা করেছেন, কিন্তু প্রবাসী বাঙালিরা বিখ্যাত হয়ে গেলে তাঁরা তো ঘরের লোক হয়ে যান, আর পুলিৎজার প্রাইজ পেলে তো কথাই নেই! মনে আছে এরিক সেগালের ‘ডক্টর্স’ বইয়ের ভূমিকায় লেখক বলছেন:
“এত এত রোগের মধ্যে মাত্র সাতাশটা রোগের চিকিৎসা বেরিয়েছে। এমনকী সর্দিকাশির চিকিৎসা বার করতে পারলে নোবেল প্রাইজ অবধারিত।”
সেখানে সিদ্ধার্থ মুখোপাধ্যায়ের এই বই বিজ্ঞানের বইয়ের মলাটে স্রেফ সাহিত্য হয়ে ধরা দিয়েছে। বিজ্ঞানের বই এরকমভাবে লেখা টানটান উত্তেজনা নিয়ে, তা এই বই না পড়লে বিশ্বাস করা কঠিন।
আমরা এখন রোবট নিয়ে কাজ করছি। কম্প্যুটারে একটা শব্দ টাইপ করতে না করতে পুরো লাইন টাইপ হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু ক্যান্সার এখনও অপরাজেয়– অন্তত বেশিরভাগ ক্যান্সার। একে চেপে রাখা সম্ভব হয়েছে এবং হচ্ছে, রুগি কিছুদিন ভালো থাকছেন বা প্রথম স্টেজে ধরা পড়লে হয়তো বা অপারেশন বা রেডিয়োথেরাপি দিয়ে সারানোও যাচ্ছে। কিন্তু বেশিরভাগ লোক যা বোঝে, যে ক্যান্সার কোনওদিনই পুরো সারে না এবং অকালমৃত্যু এতে অবধারিত।
লেখক সিদ্ধার্থ মুখোপাধ্যায় নিজে ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ, ক্যান্সার নিয়ে গবেষণারত আমেরিকায়। পুরো বইটা একবার রুগির দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখিয়েছেন, একবার ইতিহাসে ডুব দিয়েছেন। প্রথমেই ডুব দিয়েছেন ক্যান্সারে ভোগা এক রোগিণীর জবানবন্দীতে। সেখান থেকে সোজা চলে গেছেন মাইক্রোস্কোপের তলায়। লিউকেমিয়ার কোষগুলো কত কদর্য, ফুলে ফেঁপে ঢোল হয়ে যাওয়া সে কোষগুলোর দিকে নজর ফিরিয়েছেন। তাঁর নিজের ভাষায়
“Normal cells are identically normal; malignant cells become unhappily malignant in unique ways.”
পঞ্চাশ বছর আগেও লিউকেমিয়া, অর্থাৎ ব্লাড ক্যান্সার কত রোগীর প্রাণ নিয়েছে। এখন, অনেক দূর অবধি লড়াই করা যায় এর সঙ্গে। বিজ্ঞানমনস্ক লোকজন ছাড়া বিজ্ঞানের বই পড়ার এবং উপভোগ করার লোক কম।

যেমন ধরা যাক ‘ব্রিফ হিস্ট্রি অফ টাইম।’ স্টিফেন হকিংয়ের এই বই সম্বন্ধে অনায়াসে বলা যায়, যে বইটির দশ শতাংশ ক্রেতাও পড়েননি বইটি। কিন্তু এই বই ঠিক সেরকম বিজ্ঞানের বই নয়। ধরলে ছাড়া খুব কঠিন। এই বইকে ক্যান্সারের ইতিহাস বলা যায় না– এ যেন ক্যান্সারের জীবনী। এ শুধু ক্যান্সারের বিবর্তন নয়, কত সালে কী আবিষ্কার হল তার খতিয়ান নয়। এ এক সামাজিক ব্যাধির বিবর্তনের সাক্ষী। প্রতিটি ক্যান্সার রুগির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে সামাজিক, পারিবারিক, অর্থনৈতিক প্রেক্ষিত। লেখক শুধুমাত্র সন-তারিখ বা উত্থানপতনের ইতিহাসের চেয়ে আরও অনেক ঘনিষ্ঠভাবে দেখেছেন রোগকে।
আরম্ভেই রয়েছে পাই কার্লা রিডের কথা। মাথাব্যথা হচ্ছে কয়েকদিন ধরে, গায়ে ব্যথাও। ভীষণ ক্লান্ত লাগছে তিন বাচ্চার মা কার্লাকে। ডাক্তার দেখালেন। “ও কিছু নয়।” আবার কয়েকদিন পর ডাক্তার দেখালেন– “ও কিছু নয়”। এরপর ক্লিনিকে গিয়ে কার্লা প্রায় চেঁচামেচি জুড়ে দেন। অগত্যা একটি ব্লাড টেস্ট। ক্লিনিক থেকে গিয়ে মাছের দোকানে মাছ কিনছেন, ফোনটা বেজে উঠল। আরও ব্লাড টেস্ট দরকার।
– কখন?
– এখুনি আসতে হবে।
খুব অচেনা ঠেকছে? হোক না আমেরিকা, সব দেশেই হয়ে থাকে। তফাত হল, আমেরিকায় ক্ষুব্ধ হলে লোকে কোর্টে যান, আর আমাদের দেশে তৎক্ষণাৎ বিচার।
ক্যান্সারকে বলা হয় আধুনিক যুগের অসুখ। হয়তো বেদ পুরাণ ঘাঁটলে এরকম কিছু অসুখের বর্ননা পাওয়া যাবে যা অনেকটা ক্যান্সারের মতোই, কিন্তু সত্যি কথা বলতে কী, এর উদ্ভব এবং বাড়বাড়ন্ত সবই আধুনিক যুগে। তার কারণ অবশ্য লেখক সঠিকভাবে বলেছেন, যে আগে এতদিন বাঁচতই না লোকে, সুতরাং অনেকেরই ক্যান্সার ধরা পড়ার আগেই মৃত্যু হত। উদাহরণস্বরূপ: একটি অত্যন্ত প্রচলিত ক্যান্সার হল ব্রেস্ট ক্যান্সার– তার গড় বয়েস হল ৬১ বছর আর ছেলেদের প্রস্টেট ক্যান্সারের গড় বয়েস হল ৬৭। কিন্তু বিংশ শতকের প্রথমদিকে আমেরিকায় গড় আয়ু ছিল সাতচল্লিশের কাছাকাছি। সুতরাং স্বাভাবিকভাবেই অনেক লোকে ডায়াগনোসিসের আগেই মারা যেতেন। সেই প্রেক্ষিত থেকে বলা ভুল নয় যে ক্যান্সার একটি আধুনিক অসুখ।
তাহলে কি এই বই কেবল ডাক্তারদের পড়তে ভালো লাগবে? তাঁদের কাছে তো ক্যান্সারের রুগি এবং চিকিৎসা নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। কিন্তু তাঁদেরও ভালো লাগবে। লাগবে, কারণ সিদ্ধার্থ মুখোপাধ্যায় শুধুমাত্র একটি ক্যান্সারের বই লেখেননি, লিখেছেন ক্যান্সারের জীবনী। তিনি তুলে ধরেছেন ক্যান্সার আক্রান্তদের মানসিক টানাপোড়েন, তুলে ধরেছেন তাঁদের মনস্তত্ব এবং আত্মসম্মান। তিনি লিখে গেছেন, জয় প্রায় অসম্ভব জেনেও ডাক্তার এবং বৈজ্ঞানিকরা লড়ে গেছেন এই অসম যুদ্ধ। যাঁরা ডাক্তার নন, তাঁদের এ বই অনুপ্রেরণা জোগাবে আর যারা ডাক্তার তাঁদের জোগাবে অন্তর্দৃষ্টি। অকারণে এই বইকে নিউ ইয়র্ক টাইমস আর টাইম ম্যাগাজিন বছরের সেরা দশ বইয়ের মধ্যে রাখেনি। একথা বলা বাহুল্যমাত্র নয় যে সিদ্ধার্থ মুখোপাধ্যায় ক্রাইম নভেলের মতো টানটান উত্তেজনায় লিখে গিয়েছেন নিজের পেশেন্টদের গল্প, ক্যান্সারের আর্থসামাজিক প্রভাব এবং ক্যান্সারের ইতিহাস।

ক্যান্সারের ইতিহাসের কিছু স্মৃতি আমাদের সময়ের বহু আগে, অনেক দূরের কথা– যেন মোগল সাম্রাজ্য আর তার পতনের কারণের মতো– কোনও ব্যক্তিগত যোগাযোগ নেই আমাদের সঙ্গে। ডাক্তারি ছাত্রদের পড়তে, মুখস্থ করতে হয়। কিন্তু যে ইতিহাস প্রায় আমাদের সামনে তৈরি হয়েছে এবং প্রতিনিয়ত তৈরি হয়ে চলেছে, তা হল সিগারেটের সঙ্গে ক্যান্সারের সম্পর্ক। সিগারেট যেন মারাত্মক জীবাণুর মতো– সামাজিক প্রেক্ষিতে এর প্রতীক পরিবর্তন হয়েই চলেছে। রাশিয়াতে সিগারেট ব্যবহৃত হত মুদ্রার মতো– বিনিময় মাধ্যম। আমেরিকায় মাচো ভাব আনার জন্যে, ইংল্যান্ডে বিদ্রোহের দ্যোতনা আর ভারতে? বোধহয় ইংরেজ শাসকদের সঙ্গে নৈকট্য দেখানোর জন্যে। সিগারেট ছিল বন্ধুত্বের, এবং বন্ধুদের প্রতি বিশ্বস্ত থাকার এক অনুপম চিহ্ন। আমেরিকা এবং ইংল্যান্ডে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় থেকেই সিগারেটের ব্যবহার প্রচণ্ড বেড়ে যায়। সেই সময় পৃথিবীর বেশিরভাগ দেশে আশি থেকে নব্বই শতাংশ লোক সিগারেট খেত। আর এতলোক সিগারেট খেলে কোনওরকম ক্যান্সারের সঙ্গে সম্পর্ক টানা অসম্ভব।
স্টিফেন হকিংয়ের বই ‘দ্য ব্রিফ হিস্ট্রি অফ টাইম’ সম্বন্ধে অনায়াসে বলা যায়, যে বইটির দশ শতাংশ ক্রেতাও পড়েননি বইটি। কিন্তু এই বই ঠিক সেরকম বিজ্ঞানের বই নয়। ধরলে ছাড়া খুব কঠিন। এই বইকে ক্যান্সারের ইতিহাস বলা যায় না– এ যেন ক্যান্সারের জীবনী। এ শুধু ক্যান্সারের বিবর্তন নয়, কত সালে কী আবিষ্কার হল তার খতিয়ান নয়। এ এক সামাজিক ব্যাধির বিবর্তনের সাক্ষী।
১৯৪৭ সালের প্রথম দিক থেকেই বৈজ্ঞানিকরা কিন্তু চিন্তাভাবনা আরম্ভ করে দিয়েছেন, সিগারেট খেলে ক্যান্সারের সম্ভাবনা আছে বলে। লন্ডনের কাছে একটা কনফারেন্স আয়োজন করা হল– তাতে বস্তুত দূষণ, ঠান্ডা, ইনফ্লুয়েঞ্জা সমস্ত কিছুকেই দোষী ঠাওরানো হল ক্যান্সারের জন্য, শুধু ধূমপানকে বাদ রাখা হল। কিন্তু সেভাবে কি আর গবেষকদের ঠেকিয়ে রাখা যায়? ঠিক সেই সময় ব্রিটেনে জাতীয় স্বাস্থ্য ব্যবস্থা শুরু হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত সে দেশে প্রাইভেট প্র্যাকটিস বেশি ডাক্তার করেন না– সবাই এই জাতীয় স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় চাকরি করেন। এবার ডাক্তারদের একটা বড়ো জনসংখ্যা– তখনকার হিসেবে প্রায় পঞ্চাশ হাজার– সবাইকে পাঠানো হল কয়েকটি প্রশ্ন। কতগুলো সিগারেট খান দিনে? আর ডাক্তার মারা যাবার পর তাঁদের সম্বন্ধে নথি বা পরিসংখ্যান জোগাড় করা সোজা। সুতরাং শুরু হল গবেষণা। গবেষণায় যে একেবারে সরাসরি যোগ পাওয়া গেল তা নয়। কিন্তু এই সব গবেষণার ফলে সেই সময় আমেরিকায় রব উঠল, যে সিগারেট কোম্পানিদের বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ দিতে হবে। কিন্তু কোম্পানিরা স্বীকারই করল না, যে এরকমটা হতে পারে। বিষয়টি গেল কংগ্রেসে। সেখানেও সহানুভূতি ধনকুবের তামাক কোম্পানিদের দিকে। গেল আদালতে– বারবার। সেখানেও বারবার তামাক কোম্পানিদের জাঁদরেল উকিলদের কাছে হার মানতে হল।
আদালতে সরকার বাহাদুর প্রস্তাব আনলেন যে “সিগারেট ক্যান্সারের কারণ” লিখতে হবে সিগারেটের প্যাকেটে। কোম্পানিগুলো রাজি হল আংশিকভাবে। তারা জানাল, এই বিধিবদ্ধ সতর্কীকরন থেকে ‘ক্যান্সার’, ‘কারণ’ আর ‘মৃত্যু’ এই তিনটে কথা বাদ দিতে হবে। তাহলে রইল কী? শুধু ‘ধূমপান স্বাস্থ্যের প্রতি ক্ষতিকারক হওয়া সম্ভব’ এটুকু।

এইভাবে চলতে চলতে ১৯৮৩ সালে এল এক নতুন গল্প। এতদিন কেস চলছিল এই মর্মে, সিগারেট খেলে ক্যান্সার হয় সেটা কি ধূমপানকারীরা জানেন না? তাহলে আমাদের দোষ দিচ্ছেন কেন? তামাক কোম্পানির কর্ণধারেরা নাকি এ বিষয়ে কিছু জানতেনই না। জুরিরাও সেটা বিশ্বাস করতেন। এক নতুন উকিল মার্ক এডেল একটি মামলা করলেন। তিনি প্রথমেই স্বীকার করে নিলেন ‘হ্যাঁ, যাঁরা ক্যান্সারে ভুগছেন, তাঁরা জানতেন, কিন্তু নেশার জন্যে ছাড়তে পারেননি।’ কিন্তু তিনি প্রশ্ন করলেন, আদালতকে বলা হোক কোম্পানির গোপন নথি প্রকাশ করে যে তাঁরা আসলে কী জানতেন? গোপন নথিতে ফাঁস হল, তাঁরা জানতেন যে সিগারেট ক্যান্সারের কারণ। মার্ক এডেলের মক্কেল ক্ষতিপূরণ পেলেন বিরাট অঙ্কের। এবং তারপর একের পর এক মামলা হতে লাগল তামাক কোম্পানির বিরুদ্ধে। ফলে বিধিবদ্ধ সতর্কীকরন যেমন পাই, তেমনই ধীরে ধীরে সিনেমা টেলিভিশন থেকে তুলে নেওয়া হল বিজ্ঞাপন। বছর তিরিশেক আগেও সিগারেটের বিজ্ঞাপন দেখা যেত সিনেমা হলে– হয়তো চারটি চৌখুপি হলুদ বাক্স। এখন সে সব উঠে গেছে এত মামলা মোকদ্দমার চোটে। এই গোটা পরিচ্ছেদটির মধ্যের রাজনীতি যে কোন সিনেমার কোর্টরুম ড্রামাকে হার মানাতে বাধ্য।
সিদ্ধার্থ লিখেছেন, যে আমাকে অনেকে জিগ্যেস করেছিলেন, বইটা শেষ করব কী করে? শেষ পরিচ্ছেদে কী নাটকীয়তা থাকবে? উত্তর দিয়েছিলাম, জানি না। কিন্তু মনে মনে তখনই মোটামুটি নাটকীয়তা ঠিক করে রেখেছিলেন। কার্লা রিড, যাঁর কথা বারবার ফিরে এসেছে এই বইয়ে, তাঁর পরাজয় আর মৃত্যু দিয়ে এই বিশাল বই শেষ হবে। কিন্তু তা হয়নি। এই সময়ে বিজ্ঞানের উন্নতির জন্য কার্লার চিকিৎসা সম্ভব হয়। কার্লা পাঁচ বছর রোগমুক্ত জীবন উপভোগ করতে পেরেছিলেন। ক্যান্সারের পেশেন্টদের আয়ু ঠিক হয় পাঁচ বছর দিয়ে (5 year survival)। এইখানে কার্লা একা শুধু নয়, জয়ী হয়েছে ডাক্তারদের অদম্য মানসিকতা, বৈজ্ঞানিকদের অক্লান্ত পরিশ্রম এবং নার্স এবং পরিবারের হার না মানা মানসিকতা।
“The story of cancer isn’t the story of doctors who struggle and survive. It is the story of patients who struggle and survive”
বই: The Emperor of All Maladies
লেখক: সিদ্ধার্থ মুখোপাধ্যায়
প্রকাশক: Fourth Estate
প্রকাশকাল: নভেম্বর ২০১০
বিনিময়: ২১০৯ টাকা (হার্ডকাভার)
৪০৪ টাকা (পেপারব্যাক)
ডাঃ শুভায়ু বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম আসানসোলে। সেখানে স্কুলের পড়াশোনা শেষ করে কলকাতা মেডিকেল কলেজ থেকে ডাক্তারি পাশ করা। অতঃপর প্রবাসী। কর্মসূত্রে সুদূর স্কটল্যান্ডের বাসিন্দা। স্কটল্যান্ডের অন্যতম বিখ্যাত অ্যাবার্ডিন রয়্যাল ইনফার্মারি হাসপাতালে মহিলা ও শিশুবিভাগে ক্লিনিক্যাল ডিরেক্টর। বইপড়া, বই সংগ্রহ বাতিক! লেখার অভ্যেস ছোট থেকেই। দেশ, আনন্দবাজার, সন্দেশ, সৃষ্টির একুশ শতক, কবিতীর্থ-তে লেখালিখি করেন। বই নিয়ে লিখতে ভালবাসেন।