যতকিছু অস্তমিত, ডুবিয়েছি কোপাইয়ের জলে
চাঁদের রাশ্মি ছাড়া কী মনে রাখার মতন আছে?
সিলভার জামদানি আর ওই চেয়ে থাকা মেয়ে
আজো কী আলোর নিচে বসে আছে তরুছায়া হয়ে?
মায়া সে তো মায়া নয় সে তো এক পথ চলা ভুল
কতকি শিখিয়েছিল কত যে তো পাল্টে দিল দিক
তবুও তো চেনা মন ধরা দেয় নাবালিকা হয়ে
ওপরে দেখেছ যাকে, ভেতরে সে হাসে ফিকফিক
এমনিতো কথা ছিল বিষাদের দেখা হলে পরে
ঢেউগুলো মিশে যায় একসাথে একাকার হয়ে
তুমিও যেমন আজ দাঁড়িয়েছ নিঃস্বের মতো
দুহাতে আকাশ নেই, তবুও তা বাড়িয়েছি খুলে
আমিও তো হারিয়েছি। কিসের বাঁধনে তবু বেঁধে?
রাখালের মতো পথে উড়িয়েছি ধুলোবালিকণা
রাতের আড়ালটুকু শুধু সেই কাঙালের ছিল
দিনের আলোয় যার পথচলা বড়ো আমমনা
যতকিছু কেড়ে নাও, দিয়ে দেব, এইটুকু ছাড়া
নিঃস্ব মনের কাছে মুখোমুখি দাঁড়িয়েছে যারা…
*ছবি সৌজন্য: Doodlewash
সবর্ণা শূন্য দশকের কবি। জন্ম, বেড়ে ওঠা চন্দননগরে। কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশনে স্নাতকোত্তর। গান, নাচ, ছবি আঁকার সঙ্গে সঙ্গে গড়ে ওঠে নিজস্ব ভাবনার জগৎ। পরবর্তীতে হঠাৎই কবিতাকে আঁকড়ে ধরা। গদ্য কবিতার পাশাপাশি ছন্দে লিখতেও ভালবাসেন। ২০১৮-তে সিগনেট প্রেস থেকে প্রকাশিত প্রথম কাব্যগ্রন্থ 'চারদেওয়ালি চুপকথারা'। ২০১৯-এ পেয়েছেন সোনাঝুরি সাহিত্যসম্মান। ২০২০-তে বইতরণী থেকে প্রকাশ পায় তাঁর 'সাদা হরফের হাঁসগুলি' ই-বুক। ২০২১ সালে পূর্বা থেকে প্রকাশিত হয় ' রোদসংসার ও তারামন্ডল'। বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় নিয়মিত কবিতা ও প্রবন্ধ লেখেন। কিশোর সাহিত্যেও আগ্রহী।
One Response
ভালো লিখেছেন