রাজকীয় পঞ্চচুল্লি ও মেদিনীপুরি কুক
উত্তর ভারতের কুমায়ুন অঞ্চলের লোকেরা (ওরা বলে কুমায়ুঁ) তাদের লাগোয়া সমতলভূমির দেশোয়ালি ভাইদের চাইতে শিক্ষাদীক্ষা আর আচার ব্যবহারে অনেক বেশি উন্নত, এ কথা অনেকের কাছেই শুনেছিলাম। এর মধ্যে আমার আর্ট কলেজের বাঙালি সহপাঠী চিত্রাও আছে।
ও বহুকাল যাবত আলমোড়া থেকে আরও ভেতরে জালনা গ্রামের এক স্কুলে বাচ্চাদের ছবি আঁকা, হাতের কাজ ইত্যাদির মধ্যে দিয়ে প্রকৃতিকে ভালবাসতে শেখায়। ওখানে গিয়ে টানা কিছুদিন কাটিয়ে আসার প্রস্তাব চিত্রা দিয়েই রেখেছিল। যাওয়া আর হচ্ছিল না।
সেবার ঠিক করলাম যাব।
চিত্রাকেও জানালাম। কিন্তু মাসটা ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ স্কুলে শীতের ছুটি আর চিত্রাও তখন বেড়িয়ে বেড়ায় এখানে সেখানে। অথবা চলে আসে কলকাতায়।
কী আর করি… গিন্নিকে বললাম, তাহলে চল দু’জনে মিলেই ঘুরে আসা যাক কুমায়ুনের একেবারে শেষপ্রান্ত মুন্সিয়ারি পর্যন্ত।
আমাদের দূরপাল্লার রেলযাত্রা ইদানীং দুঃস্বপ্নের মতো হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অথচ কুমায়ুনে যাবার চালু ট্রেন বলতে একটাই এবং দু’ দু’টো রাতের মামলা। ভাবলেই গায়ে জ্বর আসে।
খবর পেলাম সপ্তাহে মাত্র একটা ট্রেন আছে। লালকুঁয়া এক্সপ্রেস। ২৪ ঘণ্টায় পৌঁছে দেয় সোজা লালকুঁয়া, কুমায়ুনের একেবারে দোরগোড়ায়।
[the_ad id=”266918″]
চিত্রাকে আর একটু জ্বালাতন করতেই হল।
ভালো গাড়িওলা চাই। সাতদিন আমাদের নিয়ে ঘুরবে। তারও বন্দোবস্ত হয়ে গেল।
জালনারই একজন আসবে। নাম গোপাল কিরি।
ফোনেই দরদস্তুর সেরে নিলাম। এবার যাত্রা শুরু।
চিত্রা বহুকাল যাবত আলমোড়া থেকে আরও ভেতরে জালনা গ্রামের এক স্কুলে বাচ্চাদের ছবি আঁকা, হাতের কাজ ইত্যাদির মধ্যে দিয়ে প্রকৃতিকে ভালবাসতে শেখায়। ওখানে গিয়ে টানা কিছুদিন কাটিয়ে আসার প্রস্তাব চিত্রা দিয়েই রেখেছিল। যাওয়া আর হচ্ছিল না। সেবার ঠিক করলাম যাব।
নিজের এবং অন্য দু’ একজনের মতামত মিশিয়ে মোটামুটি একটা ছক করাই ছিল। প্রথমে বিনসর হয়ে সোজা মুন্সিয়ারি। তারপর ফিরতি পথে দু’দিন চৌখোরি। ট্রেন আমাদের ডোবায়নি। সকাল আটটায় ছেড়ে পরদিন ঘড়ি ধরে সকাল আটটায় লালকুঁয়া পৌছে দিল।
ড্রাইভার অল্টো নিয়ে হাজির ছিল। তবে গোপাল নয় এসেছে ওর ভাই রাকেশ।
গোপালকে ফোন লাগাতে বলল ‘স্যার, দেখবেন ও আমার থেকেও ভালো।’
ভাবলাম তুমি যে নিজে কতটা ভালো তাই তো জানি না!
ঠিক ৯টায় আমরা রওনা দিলাম। পথে আলমোড়ায় গাড়ি থামিয়ে একটা মিষ্টির দোকানে আলুর পরোটা সহযোগে ব্রেকফাস্ট হল। সঙ্গে খোয়া দিয়ে তৈরি বরফি গোছের কুমায়ুনের স্পেশাল মিষ্টি ‘বাল মেঠাই’।
বিনসর অভয়ারণ্যের মধ্যে কে.এম.ভি.এন-এর লজে আমরা থাকব।

ঢোকার মূল ফটকের মুখেই বন দফতরের ঝাঁ চকচকে অফিস। ওখানে যাবতীয় ঠিকুজি কুষ্ঠি লিখিয়ে, টাকা জমা দিয়ে (অঙ্কটা মন্দ নয়) তবে গাড়ি সমেত ভেতরে যাবার ছাড়পত্র পাওয়া গেল।
পাইন আর রডোডেন্ড্রন গাছের জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে আরও মিনিট পনেরো গিয়ে আমাদের টুরিস্ট লজ। পাহাড়ের একেবারে ধার ঘেঁষে সাদা দোতলা বাড়ি। পাশাপাশি টানা ঘর। আপাতত অতিথি বলতে শুধু আমরাই।
দুপুর একটা বেজে গেছে। লাঞ্চ সেরে সামনের ঘাসজমির ওপর হেলানো চেয়ারে বসে অলস দুপুরটা কাটালাম।
লজের নিষ্কর্মা ছেলেগুলোর তখন ক্রিকেট খেলার অবসর। পাণ্ডববর্জিত নিঝুম জংলি পরিবেশ। ভালোই লাগছিল। তবে ছবি আঁকার মতো সুবিধেজনক কিছু পেলাম না।
সন্ধের আগে গাড়ি করে রাকেশ আমাদের সুর্যাস্ত দেখাতে নিয়ে গেল পাহাড়ের ওপর। তারপর ফিরে এসেই ঘরের মধ্যে সেঁধিয়ে যেতে হল। এখানে ব্যালকনি বলে কিছু নেই। জানলাগুলোতেও মোটা জাল লাগানো। বাইরেটা দেখাই যায় না।
লজের চৌহদ্দি ছাড়ানোও নিষেধ। ভালু বা শের বেরিয়ে পড়ে বলে।
[the_ad id=”266919″]
পরদিন খুব সকালে উঠে লজের লাগোয়া বিরাট খোলা চাতালে গিয়ে উত্তরমুখো হয়ে দাঁড়াতেই দেখলাম সামনে জ্বলজ্বল করছে পর্বতমালা। বাঁদিক থেকে এক এক করে চৌখাম্বা, ত্রিশুল, নন্দাদেবি,মৃগথুনি। ঝটপট ক্যামেরা বের করে গিন্নিকে বললাম সামনে কায়দা করে দাঁড়াও। সবাইকে দেখানোর মতো একটা ছবি তুলে রাখি।
রোদ ঝলমলে দিন। তাই ঠিক করলাম ব্রেকফাস্ট সেরে আজই মুন্সিয়ারি রওনা হব। যেতে অনেকটা সময় তো লাগবেই। তাছাড়া মনে হচ্ছিল বিনসরে ঠিক তেমন জমছে না।

মুন্সিয়ারির রাস্তায় আকর্ষণ অনেক। চল্লিশ কিলোমিটার আগে বিরথিতে থামতেই হবে বিরাট ঢ্যাঙা পাহাড়ের মাথা থেকে হুড়মুড়িয়ে নেমে আসা ঝরনা দেখার জন্য। জায়গাটা দারুণ। কে.এম.ভি.এন-এর লজও রয়েছে একেবারে মুখোমুখি। ঘরে বসে হাত পা ছড়িয়ে ঝর্ণার সৌন্দর্য দেখ যত খুশি। সবই খালি পড়ে আছে। আমরা ইচ্ছেমতো ঘুরে ফিরে দেখলাম।
হাতে সময় থাকলে এখানে এক আধ দিন দিব্যি কাটানো যায়।
এরপর অনেকটা চড়াই উঠে সাড়ে ন’হাজার ফিট উঁচু পাহাড়ের মাথায় কালিমুনি টপ ডিঙিয়ে তবে মুন্সিয়ারি পৌঁছতে হয়।
এখানে রয়েছে খুব জাগ্রত কালীমন্দির। গাড়ী থামিয়ে ড্রাইভাররা ঢুকে একবার মাথা ঠেকাবেই।
চারদিকে ছড়ানো বরফ পাড়িয়ে আমরাও নেমে এদিক ওদিক করলাম।

নাকের সামনে তখন বিকেলের রোদ্দুর পড়ে ঝলসে উঠছে আকাশের আধখানা জুড়ে থাকা পঞ্চচুল্লি রেঞ্জ। যাকে বলে মারকাটারি চেহারা নিয়ে। মন্দিরেও একবার ঢুঁ মারলাম।
ঢোকার মুখেই মেটে লাল রঙের দেওয়ালে বিশাল এবং বিকট দেখতে মা কালীর রিলিফ। দেখে প্রায় আঁতকে ওঠার মতো।
ভেতরের অবস্থা সদ্য শীতের পর বেশ ভাঙাচোরা, লন্ডভন্ড। এখানে ওখানে বরফের স্তুপ। কোথাও জনপ্রাণির দেখা নেই। অন্ধকার ঘুপচির মধ্যে বিগ্রহ আছে কি নেই দূর থেকে কিছুই আন্দাজ করা গেল না। বুঝলাম এটা ঠিক ভক্তিরসের মরসুম নয়।
[the_ad id=”270084″]
বেচারা রাকেশ ওদিকে আমাদের জন্য তখন প্রাণপণে চায়ের খোঁজ চালাচ্ছে। কাছেপিঠে দোকান বলতে কিছুই নেই। থাকলেও সবার ঝাঁপ বন্ধ। একটা আধখোলা টিনের চালাঘর থেকে এক মহিলাকে মুখ বার করতে দেখে যেই রাকেশ এগিয়েছে ওমনি সে থুক করে খানিক থুতু ফেলে আবার ডালা নামিয়ে ভেতরে সেঁধিয়ে গেল।
বললাম, বাদ দাও। মুন্সিয়ারিতে গিয়েই হবে ওসব। তাছাড়া ওখানে সবাই অপেক্ষা করছে আমাদের জন্য।
কথাটা নেহাতই ঠাট্টার ছলে বলেছিলাম। কিন্তু কে.এম.ভি.এন-এর টুরিস্ট লজে ঘর চাইতে যাওয়ায় রিসেপশনের ছোকরা দু’জন এমন লাফালাফি শুরু করল, যেন আমরা কোনও কেষ্টবিষ্টুর রেফারেন্স নিয়ে এসেছি।
মিনিটের মধ্যে সাফসুফ করা চমৎকার নিরিবিলি একটা ওপরতলার ঘর দিয়ে দিল। বলতে না বলতেই গরম কফি আর আন্ডা পকৌড়া এসে গেল।

সরকারি লজ। তাই বানিয়েছে সব থেকে সুবিধেজনক জায়গায়।
চারদিক এত খোলামেলা যে সামনের ছোট্ট ঝুল বারান্দায় বসলে মনে হবে যেন হাওয়ায় ভাসছি।
উঁচু থেকে দু’ধারে ঢেউ খেলানো পাহাড়ের গায়ে মুন্সিয়ারি শহরটাকে ছাড়িয়ে বহুদূর অবধি চোখ চলে যায়। আর সামনেই দেওয়াল তুলে দাঁড়িয়ে বরফে ঢাকা রাজকীয় পঞ্চচুল্লি যেন হাত বাড়ালেই ছোঁয়া যাবে।
এর আগে কেবল পেলিং থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা আর কল্পা থেকে কিন্নর কৈলাশ পর্বত দেখে বোধহয় এতটাই রোমাঞ্চ হয়েছিল।
পরদিন সকালবেলা দু’জনে শহর পরিদর্শনে বেরোলাম পায়ে হেঁটে।
[the_ad id=”270085″]
একটা রাস্তা ধরে কিছুটা নিচের দিকে নামলেই এখানকার জিপ স্ট্যান্ড। ছড়িয়ে ছিটিয়ে এক আধটা গাড়ি, মামুলি কিছু দোকানপাট, টুকটাক অলস লোকজন। টুরিস্টের আনাগোনা কম তাই সব কেমন ঝিমন্ত হয়ে আছে।
এ দৃশ্য আমার পরিচিত। ফলে একটা বন্ধ দোকানের দাওয়ায় দাঁড়ালাম আঁকতে।
ভেতর থেকে খুটখাট আওয়াজ আসছিল।
পাল্লা সরিয়ে ঢুকে ঘরে এক মহিলাকে পেলাম আর কোনায় একটা কাঠের মজবুত টেবিলের দিকে চোখ গেল।
আমার চিরাচরিত কায়দায় মহিলা কিছু বোঝার আগেই টেবিলটাকে টেনে বাইরে বার করতে করতে বললাম ‘এখানে রেখে ছবি আঁকব তাই সরাচ্ছি।’

নাঃ এরপর কোনও গোলমাল হয়নি। আমি আমার সরঞ্জাম গুছিয়ে দিব্যি জিপ স্ট্যান্ড আঁকতে লাগলাম। আর সেই মহিলা হাসি হাসি মুখে পাশে দাঁড়িয়ে দেখে গেলেন।
এই পুরো সময়টা আমার গিন্নি সামনে এগিয়ে গিয়ে একটা বেঞ্চে বসে কানে হেডফোন গুঁজে মোবাইল বাজিয়ে ওঁর আগামী অনুষ্ঠানের গানগুলি ঝালিয়ে নিচ্ছিলেন।
দুপুরের পর রাকেশ আমাদের নিয়ে গেল প্রথমে নন্দাদেবীর মন্দিরে।
[the_ad id=”270086″]
শহরের বাইরে একটা ছড়ানো ন্যাড়া পাহাড়ের শেষ মাথায় লাল বর্ডার দেওয়া সাদা ধবধবে মন্দির। দূরে দূরে ছাউনি দেওয়া বসার জায়গা। কিছু স্থানীয় ছেলেমেয়ে নিভৃত আলাপে ব্যস্ত। কয়েক পা গেলেই পাহাড় ঢালু হয়ে তলিয়ে গেছে কোন গভীরে।
পাশের উঁচু পাহাড়টার সারা গা বরফে মাখামাখি। রাকেশ জানাল ওখানে স্কি করা হয় গোটা শীতকাল। এরপর রাকেশ আমাদের নিয়ে চলল ট্রাইবাল হেরিটেজ মিউজিয়াম দেখাতে। দেখলাম, তবে শুধু দোতলা পাথুরে বাড়ির খোলসটা। সময়ের মধ্যেই গিয়েছিলাম। কিন্তু এখন ভিজ়িটর কম বলে কাজ করা কাঠের দরজায় ডবল তালা ঝোলানো। দেখাশোনা করার লোকটি বেমালুম হাওয়া।
বেচারা রাকেশ লজ্জায় অধোবদন। ওকে বোঝালাম, ‘কীই বা এমন হাতি ঘোড়া দেখার আছে। মাঝখান থেকে আমাদের দশ টাকা করে তো বাঁচল! তবে তোমাদের কুমায়ুঁদের সুনাম এতে কিঞ্চিৎ খর্ব হয়ে গেল এই যা।’

বিদেশ বিভুঁইয়ে বেড়াতে এসে বাঙালি-দর্শন হয়নি, এমন অঘটন কমই ঘটেছে। এখানেও বাজারের কাছে দেখা পেলাম। বেহালা না বসিরহাট কোথা থেকে যেন এসেছে তিনটি পরিবার। উঠেছে সামনেই পান্ডে হোটেলে। ‘আরে মশাই সরকারি লজের খাবার না খেয়ে এখানে আসুন। আহা সুক্তো আর লাউঘন্ট যা বানায়, খাস মেদিনিপুরের কুক, বুঝলেন?’
মাতব্বর গোছের একজন আমাদের জোর ফিরিস্তি দিয়ে ছাড়ল। কী ভাগ্যি হোটেলের মালিক স্বয়ং পাণ্ডেজিরও সাক্ষাৎ পেয়ে গেলাম। তিনি তো রাস্তার মাঝখানেই টানা হেঁচড়া শুরু করলেন – দেখে যান একবার হোটেলটা, বাঙালিলোগ সব এখানেই থাকে। আপনিও বন্ধুদের জানাবেন। বললাম, দেখার কী দরকার? তার চেয়ে বরং একটা স্কেচ করে নিয়ে যাই। তাতেই জোর পাবলিসিটি হবে।

মুন্সিয়ারির আর এক আকর্ষণ হল একটি হেলিপ্যাড। পঞ্চচুল্লির ওপর সুর্যাস্তের আলোর খেলা দেখার এটাই নাকি আদর্শ জায়গা। লজ থেকে আঁকাবাঁকা রাস্তা ধরে খানিক চড়াই উঠলেই এই হেলিপ্যাড। সন্ধ্যে পর্যন্ত হত্যে দিয়ে পড়ে থেকেও তেমন চমৎকৃত হবার মতো কিছু দেখলাম না। তবে অত ওপর থেকে গোটা মুন্সিয়ারি শহরটা প্রায় হাতের মুঠোয় চলে আসে। দৃশ্যটা যথেষ্ট উপভোগ্য। আর একটু উঠলেই লম্বা জায়গা জুড়ে এখানকার ইন্টারমিডিয়েট কলেজ। আপাতত বন্ধ বলে চারদিক সুনসান। আশপাশের কয়েকটি ছোট ছেলে এসে সামনের মাঠটায় জমিয়ে ক্রিকেট খেলছে।
অন্ধকার হয়ে আসছে। এবার ফেরা দরকার। কাল খুব সকালে চৌখোরি রওনা দেওয়া আছে। লজে এসে দেখলাম একদল কলেজের ছেলেমেয়ের ভিড়। একপাশে ডাঁই করা স্কি-এর সাজ সরঞ্জাম। সবাই কাল স্কি করতে যাবে খালিয়া টপে। ক্যামপিং হবে বেশ ক’দিনের।অ্যাডভেঞ্চার দলটার গাইড মেজর পন্থের সঙ্গে আলাপ হল। গিন্নিকে বললাম ‘কী গো, ভিড়ে যাবে নাকি এদের সঙ্গে?’
শান্তভাবে উত্তর এল ‘যদি আর একবার…।’
স্বনামধন্য এই অঙ্কনশিল্পী নিজেই এক সম্পূর্ন প্রতিষ্ঠান | তাঁর হাত ধরে নতুন করে প্রাণ পেয়েছে বাংলার কার্টুন শিল্প | সিগনেচার বেড়াল আর স্ব-নেচারটি কোমল, আত্মবিশ্বাসী, রসিক | বেড়ানো তাঁর নেশা | তাই ঝুলিতে রয়েছে বহু গল্প, সঙ্গে অসাধারণ সব স্কেচ | সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে তাঁর নিরলস সাধনার অমর ফসল ‘রঙ তুলির সত্যজিৎ’ |
One Response
Khub bhalo laglo.