ট্র্যাফিক জ্যাম। আবছা মাইগ্রেন উঁকি। এই ভিড়ে কি কেউ
স্বপ্ন দেখে ঢুলে অথবা সম্মোহন মুরিদ শিষ্য,
মনোরহিম ওড ভাঙিয়ে একটি দুটি লাইন,
পুনরাবৃত্তি, তারপর নিজস্ব ঘুরপাক,
তারপর চোয়াল শক্ত হয়।
আমার অবশ্য আর নিশ্বাসের কষ্ট নেই এখন,
পেট্রোলের ঝাঁঝে নেই জটিল সময়,
শুধু এক অ্যালকেমিস্ট মুশকিল আসান,
শুধু এক সর্বভেদী ঈথার। এখন দেয়ালে ছবি আঁকে
হরিয়াল পাখি, গানে সুর দিল নিশিপদ্ম, ডান হাতটা তার
রোঁদ্যা স্টাইলে পিয়ানো কী-তে।
তাহলে ওই কথাই রইল মেঘরাজা
প্রিয় অ্যালকেমিস্ট আমার, বানাও তোমার ম্যাজিক পোশ্যন
ব্যারেলভর্তি তরল ধুন, স্বপ্ন দেখুন হারুকি মুরাকামি,
আর সেই স্বপ্নে আমি প্রজাপতি হব নীল,
অথবা জাল হাতে দৌড়ে চারদিকে উজাড়,
ভীরু, রোগা এক ছটফটে বালক।
ছবি সৌজন্য: Pexels
অমিত চক্রবর্তীর জন্ম সোনারপুর অঞ্চলের কোদালিয়া গ্রামে ১৯৫৯ সালে। কবিতা লেখার শুরু ন'বছর বয়সে, স্কুল ম্যাগাজিনে। পড়াশোনার সূত্রে আমেরিকা আসা ১৯৮২-তে। ক্যানসাস স্টেট ইউনিভারসিটিতে পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক ১৯৮৯ থেকে। ২০১৬ থেকে কলেজ অফ আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সের ডিন।