Generic selectors
Exact matches only
Search in title
Search in content
Post Type Selectors

কৃষ্ণভাবিনী ও নারী মুক্তির স্বপ্ন

আলপনা ঘোষ

মে ১, ২০২৫

Alpana Ghosh_Prabandha_Krishnavabini Das_28.4.2025_AG
Bookmark (0)
Please login to bookmark Close
(Krishnabhabini Das)

“বহুদিন হতে হৃদয় আমার/ গোপনে রয়েছে এক আশালতা/ দেখিবার তরে প্রিয় স্বাধীনতা/ যাইব যে দেশে বসতি উহার/ যাইব সেথায় স্বাধীনতা দেবী/ বিরাজে যেথায় প্রতি ঘরে ঘরে”।

উনিশ শতকের এক তরুণীর চোখে স্বাধীন সমাজের স্বপ্ন। সেই ডানায় ভর করে পাড়ি দিলেন বিদেশ। উদ্ধৃত কবিতায় তাঁর সেই বাসনার কথাই প্রকাশ পেয়েছে। এই কবিতা যে বঙ্গ নারীর রচনা, তিনি কৃষ্ণভাবিনী দাস। তাঁর জন্ম আনুমানিক ১৮৬২ সাল নাগাদ, কলকাতা শহরের আধুনিকতা ও শিক্ষার আলো থেকে কয়েক যোজন দূরে অবস্থিত ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির অধীনে মুর্শিদাবাদের এক গণ্ডগ্রামে। অনেকের মতে, তিনি বাংলার প্রথম মহিলা ভ্রমণ কাহিনিকার এবং সে যুগে, পরাধীন ভারতবর্ষের এক সাহসী স্বাধীনতাকামী মানুষ। শুধু দেশ মাতৃকার স্বাধীনতা নয়, বাঙালি নারীর ব্যক্তি স্বাধীনতা থেকে শিক্ষার সহজ পথ, এসবের লক্ষ্যেও লড়াই করেছেন তিনি। (Krishnabhabini Das)

Alpana Ghosh_Prabandha_Krishnabhabini Das_29.4.2025_AG
উনিশ শতকের প্রত্যন্ত গ্রামের মেয়ে কৃষ্ণভাবিনীর শিক্ষার প্রতি ছিল অদম্য আগ্রহ।

(Krishnabhabini Das) উনিশ শতকের প্রত্যন্ত গ্রামের মেয়ে কৃষ্ণভাবিনীর, শিক্ষার প্রতি ছিল অদম্য আগ্রহ। যদিও সামাজিক অনুশাসন নারী শিক্ষার পায়ে বেড়ি পরিয়ে রেখেছিল। এর থেকে মুক্ত করার জন্য এগিয়ে আসেন, তাঁর শিক্ষিত ব্যতিক্রমী পিতা। কৃষ্ণভাবিনীর হাত ধরে অক্ষর পরিচয় করিয়ে দেন।

কৃষ্ণভাবিনীর বিবাহ হয়েছিল মাত্র ন’বছর বয়সে, উচ্চশিক্ষিত, অভিজাত বংশজাত এবং সামাজিক সংস্কারমুক্ত দেবেন্দ্রনাথ দাসের সঙ্গে। এরপর কৃষ্ণভাবিনী যথার্থ শিক্ষা লাভের সুযোগ পেয়েছিলেন স্বামীর উৎসাহ ও সহযোগিতায়। দেবেন্দ্রনাথ বি.এ পাশ করার পর বিলেতে যান সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় অংশ নিতে। বিশেষত ভাষা শিক্ষার প্রতি তাঁর প্রবল আগ্রহ ছিল। তাঁর সংস্পর্শে আসার পরে কৃষ্ণভাবিনীর জীবন সম্বন্ধে ধারণা ও সামাজিক মনোভাবে এসেছিল ব্যাপক পরিবর্তন। পাশ্চাত্য শিক্ষাপ্রাপ্ত স্বামীর যোগ্য হয়ে ওঠার জন্য নিজ উৎসাহে নানা বিষয় নিয়ে তিনি পড়াশোনা শুরু করেন। স্ত্রী শিক্ষা ও সামাজিক স্বাধীনতার প্রতি ছিল তাঁর অকুণ্ঠ সমর্থন। (Krishnabhabini Das)

কৃষ্ণভাবিনী এই সময়ে বাঙালির ঐতিহ্যবাহী শাড়ি ত্যাগ করেন এবং পশ্চিমা পোষাক পরিধান করে স্বামীর সঙ্গে সমুদ্র পেরিয়ে বিলেতের পথে পা দেন।

১৮৮০ সালে দেবেন্দ্রনাথ দেশে ফিরে, ছয় মাস থেকে, স্ত্রীকে নিয়ে বিলেত ফিরে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। এ সিদ্ধান্তে তীব্র বিরোধিতা জানায় তাঁর পরিবার। কৃষ্ণভাবিনী ছিলেন সংস্কারমুক্ত এবং তাঁর চোখে ছিল বিলেত দেখার তীব্র ইচ্ছা। সেই দেশের সমাজ ও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা সম্বন্ধে সম্যক ধারণা পাওয়ার ইচ্ছে ছিল প্রবল। অন্যদিকে তাঁর বিশ্লেষণধর্মী মনোভাব অবাক করে।

সমাজ ও পরিবারের কঠোর অনুশাসন এবং তীব্র বাধা অগ্রাহ্য করে তিনি স্বামীর সঙ্গে বিলেতের পথে পা দেন। বয়স তখন মাত্র ষোল। নাবালিকা কন্যাকে অত্যন্ত গোঁড়া শ্বশুরবাড়ির হেফাজতে রেখে যেতে চাননি স্বামী দেবেন্দ্রনাথ। ‘কালাপানি’ বা সমুদ্র পার হওয়া নিষিদ্ধ ছিল সে যুগে। সেই নিষিদ্ধ কাজ করার অপরাধে এই দম্পতি শুধু যে জাতিচ্যূত হয়েছিলেন তাই নয়, পরিবার থেকেও তাঁদের ত্যাজ্য করা হয়েছিল। কৃষ্ণভাবিনী এই সময়ে বাঙালির ঐতিহ্যবাহী শাড়ি ত্যাগ করেন এবং পশ্চিমা পোষাক পরিধান করে স্বামীর সঙ্গে সমুদ্র পেরিয়ে বিলেতের পথে পা দেন। (Krishnabhabini Das)

আরও পড়ুন: এক গৃহবাসিনীর চোখে গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাক

সেখানে থাকাকালীন দেবেন্দ্রনাথ যখন সিভিল সার্ভিসের জন্য পাঠরত ছাত্রদের শিক্ষাদানে ব্যস্ত, তখন কৃষ্ণভাবিনী ইংরেজ সমাজ পর্যবেক্ষণে নিজেকে ব্যস্ত রাখতেন। তিনি স্বাধীনভাবে শুধু যে লন্ডন শহর ঘুরে বেড়াতেন তাই নয়, ব্রিটিশ মিউজিয়ামে গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা পড়াশুনো করতেন। এছাড়া বিভিন্ন ইংরেজ পরিবারের সঙ্গে মিলিত হওয়ার অভিজ্ঞতার কথা লিখে রাখতেন।  লজ্জাকাতর, অন্তঃপুরের সংকুচিতা, অল্পশিক্ষিত নারী কৃষ্ণভাবিনী বিলেত যাওয়ার স্বল্পকালের মধ্যেই এক পরিবর্তিত ব্যক্তিত্বে পরিণত হন। ইংল্যান্ডের নারীদের সামাজিক স্বাধীনতা এবং শিক্ষায় আলোকপ্রাপ্ত হতে দেখে তিনি মুগ্ধ হন। সেখানকার উচ্চমানের সামাজিক অবস্থানের সঙ্গে তাঁর দেশের মেয়েদের করুণ অবস্থার যে বিশাল পার্থক্য, সে সম্বন্ধে আরও ভালভাবে অবহিত হন। (Krishnabhabini Das)

‘ইংলণ্ডে বঙ্গমহিলা’ গ্রন্থটিকে নিছক ভ্রমণ সংক্রান্ত গ্রন্থ বললে ভুল হবে। এই গ্রন্থে রয়েছে সে কালের পাশ্চাত্য জীবনের একটি সম্পূর্ণ সামাজিক, রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক চিত্র।

বঙ্গ নারীর স্বাধীনতা ও শিক্ষালাভের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে তিনি লেখালিখি শুরু করেন। বিদেশ ভ্রমণের অভিজ্ঞতার ওপর ভিত্তি করে তিনি রচনা করেন ‘ইংল্যান্ডে বঙ্গমহিলা’। সে যুগে একজন নারী বই লিখলে তা নিয়ে সামাজিক প্রতিক্রিয়া কী হতে পারে সে সম্বন্ধে তিনি চিন্তাগ্রস্ত ছিলেন। তাই তিনি অজ্ঞাতনামা হিসেবে নিজের গ্রন্থটি প্রকাশ করেছিলেন। ‘ইংল্যান্ডে বঙ্গমহিলা’ গ্রন্থটিকে নিছক ভ্রমণ সংক্রান্ত গ্রন্থ বললে ভুল হবে। এই গ্রন্থে রয়েছে সে কালের পাশ্চাত্য জীবনের একটি সম্পূর্ণ সামাজিক, রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক চিত্র। (Krishnabhabini Das)

Alpana Ghosh_Prabandha_Krishnavabini Das_28.4.2025_SC
কৃষ্ণভাবিনীর ‘ইংলণ্ডে বঙ্গমহিলা’ ১৮৮৫ সালে কলকাতা থেকে প্রকাশিত হয়।

ইংল্যান্ডের মহিলারা নানা ক্ষেত্রে অগ্রগতির জন্য যে আন্দোলন শুরু করেছিলেন, তার সঙ্গে দেশীয় পাঠকদের পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন তাঁর লেখার মাধ্যমে। তখনও বিলেতে নারীদের ভোটাধিকার ছিল না। কৃষ্ণভাবিনীর আশা ছিল অচিরেই ইংরেজ রমণীরা এই অধিকারও অর্জন করবেন। এর পাশাপাশি বাঙালি সমাজে নারীদের দুর্বল অবস্থানের তিনি তীব্র সমালোচনা করেছিলেন। কৃষ্ণভাবিনীর ‘ইংল্যান্ডে বঙ্গমহিলা’ ১৮৮৫ সালে কলকাতা থেকে প্রকাশিত হয়। গ্রন্থের ভূমিকায় তিনি লিখেছিলেন, এদেশে এসে তিনি স্বাধীন ও পরাধীন দাসত্বের জীবনের মধ্যে যে দুস্তর পার্থক্য আছে তা উপলব্ধি করেছেন। ইংরেজদের অনেক কিছুই তাঁর ভাল লাগেনি। সেসবের তীব্র সমালোচনা করতেও তিনি দ্বিধা বোধ করেননি। (Krishnabhabini Das)

ব্রিটিশ সাম্রাজ্য তার কুক্ষিগত দেশগুলির ওপরে যে অত্যাচার চালায় তারও বিশদ বিবরণ দিয়েছেন তিনি।

তিনি স্পষ্টভাবে ইংরেজদের চরিত্র সম্পর্কে মন্তব্য করেছিলেন। তিনি লিখেছিলেন, “ইংরাজদের দেখিলেই বলিষ্ঠ, সাহসী, পরিশ্রমী ও বুদ্ধিমান বলিয়া মনে হয়। কিন্তু টাকা উহাদের প্রধান আরাধ্য দেবতা। হিন্দুদের মতো ইংরাজদের মধ্যে জাতিভেদ নাই, কিন্তু এখানে ভয়ানক শ্রেণীভেদ দেখিতে পাই…” ইংরেজ পুরুষদের অমিতব্যয়িতা, মদ্যপানের অভ্যাস এবং চরিত্রগত নানা দোষ-ত্রুটির তীব্র নিন্দা করেছেন। তিনি তাঁর লেখায় মেরি কার্পেন্টার, ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল, লেডি বেকারের মতো সমাজের সেবায় নিয়োজিত অসাধারণ সব নারীদের কথা এবং ইংরেজ রমণীরা কীভাবে তাঁদের সমাজের সার্বিক উন্নয়নের জন্য কাজ করে চলেছেন, তার উল্লেখও করেছিলেন। বৃটিশ সাম্রাজ্য তার কুক্ষিগত দেশগুলির ওপরে যে অত্যাচার চালায় তারও বিশদ বিবরণ তিনি দিয়েছেন। এই লেখার মধ্য দিয়ে প্রকাশ পেয়েছে কৃষ্ণভাবিনীর সমাজসচেতনতা ও জাতীয়তাবোধ। (Krishnabhabini Das)

আরও পড়ুন: স্নেহের আশ্রয়, যত্নের ঠিকানা

তিনি ইংরেজ সামাজিক জীবনের গুণ এবং দোষ, এই দুই দিকই অত্যন্ত নিরপেক্ষভাবে তুলে ধরেছেন। ইংল্যান্ডে বসে তিনি তাঁর গ্রন্থে ব্রিটিশ সরকারের সমালোচনা করে যে সাহসের পরিচয় দিয়েছিলেন তাতে আশ্চর্য হতে হয়। তাঁর এই স্পষ্ট লিখনে বিব্রত বোধ করছিল ব্রিটিশ সরকার। তাই ভারতীয় বইয়ের বাজারে এই বইকে শেষ পর্যন্ত নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। (Krishnabhabini Das)

Alpana Ghosh_Prabandha_Krishnavabini Das_28.4.2025_SC
তাঁর রচনায় এই বলে আক্ষেপ করেছেন যে, এককালে ভারতীয়রা যখন উন্নত ছিলেন, ইংল্যান্ডবাসীরা ছিলেন অনুন্নত।

কৃষ্ণভাবিনী বিলেতে স্ত্রী শিক্ষার প্রচলন ও সমাজের সর্বক্ষেত্রে নারী স্বাধীনতার নমুনা দেখে উদ্বুদ্ধ হয়েছিলেন। তারই পাশাপাশি তাঁর লেখায় তুলনামূলকভাবে নিজের দেশের পিছিয়ে পড়া নারীদের দুরবস্থার কথা উল্লেখ করেছেন। সেই লেখার মধ্যে প্রকাশ পেয়েছে তাঁর দেশের নারীদের জন্য তাঁর নিরন্তর দুঃখ ও বেদনা। বাঙালি মহিলাদের গৃহকোণে বন্দী খাঁচার পাখির সঙ্গে তুলনা করেছেন। তাঁর রচনায় এই বলে আক্ষেপ করেছেন যে, এককালে ভারতীয়রা যখন উন্নত ছিলেন, ইংল্যান্ডবাসীরা ছিলেন অনুন্নত। কিন্তু লেখিকার মতে সেই পুরাকালের কথা নিয়ে বাগাড়ম্বর করা অপেক্ষা, বর্তমান ও ভবিষ্যতের চিন্তা করাই ভারতবাসীর পক্ষে সর্বতোভাবে বিধেয়। (Krishnabhabini Das)

স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পরবর্তীকালে তিনি ‘ভারতী’, ‘সাধনা’ ও ‘প্রবাসী’সহ অন্য নানা পত্রিকায় নিয়মিত চিন্তাশীল সব প্রবন্ধ লিখতেন। কৃষ্ণভাবিনী মহিলাদের অন্তঃপুর থেকে মুক্তি দেওয়ার পক্ষে বারবার মত প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, পর্দাপ্রথার অবসান ঘটালে অথবা মহিলাদের পুরুষদের সঙ্গে সমভাবে মেলামেশার সুযোগ করে দিলে তাঁরা অসতী হবেন না।

আরও পড়ুন: প্রাচীন বাঙালির খাদ্যাভ্যাস

যে কৃষ্ণভাবিনী বিলেত যাওয়ার সময়ে বিদেশি পোশাক পরেছিলেন, তিনিই আবার ১৯০৯ সালে তাঁর স্বামীর মৃত্যুর পরে সাদা থান পরিহিত হয়ে, বিধবার সমস্ত নিয়ম কঠোরভাবে পালন করে দিন অতিবাহিত করেছিলেন। সমাজ সচেতক কৃষ্ণভাবিনী, তাঁর এই শোকের মধ্যেও কর্তব্যচ্যূত হননি।

বৈধব্য জীবন যাপনের পিছনেও তাঁর এক সৎ উদ্দেশ্য কাজ করেছিল। খালি পায়ে, থান পরিহিত অবস্থায় তিনি হিন্দু বিধবা বালিকাদের গৃহে গিয়ে তাদের পড়াতে ও শিক্ষা ব্যাপারে উৎসাহ দিতে শুরু করেন। তিনি জানতেন, তাঁর এই বিধবার বেশ, তাঁর বৈধব্যের কঠিন নিয়মানুবর্তিতা পালন তাঁকে বালবিধবাদের গৃহে প্রবেশ করার ছাড়পত্র পেতে সাহায্য করবে। পরবর্তীকালে তিনি নিরাশ্রয় ও দুঃস্থ বিধবাদের জন্য একটি আশ্রমও প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। (Krishnabhabini Das)

Alpana Ghosh_Prabandha_Krishnavabini Das_28.4.2025_SC
তাঁর লেখায় তুলনামূলকভাবে নিজের দেশের পিছিয়ে পড়া নারীদের দুরবস্থার কথা উল্লেখ করেছেন।

স্কুল-কলেজে শিক্ষা লাভ না করেও কৃষ্ণভাবিনী কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষক নিযুক্ত হয়েছিলেন। নারীর অধিকার, স্বাধীনতা ও তাদের শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে তিনি বারবার তাঁর মতামত প্রকাশ করেছেন। শিক্ষাই যে একমাত্র পথ সেকালের নারীর দুঃসহ অবস্থা থেকে মুক্তি পাওয়ার সে সম্বন্ধে তিনি নিশ্চিত ছিলেন। (Krishnabhabini Das)

আজ একবিংশ শতাব্দীতে এসে কৃষ্ণভাবিনী দাসকে অনায়াসে নারী আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা এবং সে যুগের এক বিশিষ্ট প্রগতিশীল নারী বলে চিহ্নিত করা যায়।

তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের নানা সমস্যা, দুঃখ, শোককে অগ্রাহ্য করে তিনি তাঁর সামাজিক দায়িত্ব পালনে অবিচল থেকেছেন। কোনও রকমের সমালোচনা ও সামাজিক বিরুদ্ধাচরণ তাঁকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। তাঁর রচনায় যে মনোভাবটি কাজ করত তা হল, অনুনয়বিনয় অথবা মিনতি করে বা চোখের জল ফেলে নয়, নারী অধিকার প্রতিষ্ঠিত করা সম্ভব শুধুমাত্র সংগঠিত আন্দোলনের পথে। আজ একবিংশ শতাব্দীতে বসে কৃষ্ণভাবিনী দাসকে অনায়াসে আমরা নারী আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা এবং সে যুগের এক বিশিষ্ট প্রগতিবাদী নারী বলে চিহ্নিত করতে পারি। (Krishnabhabini Das)

Author Alpana Ghosh

পেশা শুরু হয়েছিল সাংবাদিকতা দিয়ে। পরে নামী ইস্কুলের বাচ্চাদের দিদিমণি। কিন্তু লেখা চলল। তার সঙ্গে রাঁধা আর গাড়ি চালানো, এ দুটোই আমার ভালবাসা। প্রথম ভালবাসার ফসল তিনটি ব‌ই। নানা রাজ্যের অন্নব্যঞ্জন, মছলিশ আর ভোজনবিলাসে কলকাতা।

Picture of আলপনা ঘোষ

আলপনা ঘোষ

পেশা শুরু হয়েছিল সাংবাদিকতা দিয়ে। পরে নামী ইস্কুলের বাচ্চাদের দিদিমণি। কিন্তু লেখা চলল। তার সঙ্গে রাঁধা আর গাড়ি চালানো, এ দুটোই আমার ভালবাসা। প্রথম ভালবাসার ফসল তিনটি ব‌ই। নানা রাজ্যের অন্নব্যঞ্জন, মছলিশ আর ভোজনবিলাসে কলকাতা।
Picture of আলপনা ঘোষ

আলপনা ঘোষ

পেশা শুরু হয়েছিল সাংবাদিকতা দিয়ে। পরে নামী ইস্কুলের বাচ্চাদের দিদিমণি। কিন্তু লেখা চলল। তার সঙ্গে রাঁধা আর গাড়ি চালানো, এ দুটোই আমার ভালবাসা। প্রথম ভালবাসার ফসল তিনটি ব‌ই। নানা রাজ্যের অন্নব্যঞ্জন, মছলিশ আর ভোজনবিলাসে কলকাতা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Subscribe To Newsletter

কথাসাহিত্য

সংস্কৃতি

আহার

বিহার

কলমকারী

ফোটো স্টোরি

উপন্যাস

Banglalive.com/TheSpace.ink Guidelines

Established: 1999

Website URL: https://banglalive.com and https://thespace.ink

Social media handles

Facebook: https://www.facebook.com/banglaliveofficial

Instagram: https://www.instagram.com/banglalivedotcom

Twitter: @banglalive

Needs: Banglalive.com/thespace.ink are looking for fiction and poetry. They are also seeking travelogues, videos, and audios for their various sections. The magazine also publishes and encourages artworks, photography. We however do not accept unsolicited nonfiction. For Non-fictions contact directly at editor@banglalive.com / editor@thespace.ink

Time: It may take 2-3 months for the decision and subsequent publication. You will be notified. so please do not forget to add your email address/WhatsApp number.

Tips: Banglalive editor/s and everyone in the fiction department writes an opinion and rates the fiction or poetry about a story being considered for publication. We may even send it out to external editors/readers for a blind read from time to time to seek opinion. A published story may not be liked by everyone. There is no one thing or any particular feature or trademark to get published in the magazine. A story must grow on its own terms.

How to Submit: Upload your fiction and poetry submissions directly on this portal or submit via email (see the guidelines below).

Guidelines:

  1. Please submit original, well-written articles on appropriate topics/interviews only. Properly typed and formatted word document (NO PDFs please) using Unicode fonts. For videos and photos, there is a limitation on size, so email directly for bigger files. Along with the article, please send author profile information (in 100-150 words maximum) and a photograph of the author. You can check in the portal for author profile references.
  2. No nudity/obscenity/profanity/personal attacks based on caste, creed or region will be accepted. Politically biased/charged articles, that can incite social unrest will NOT be accepted. Avoid biased or derogatory language. Avoid slang. All content must be created from a neutral point of view.
  3. Limit articles to about 1000-1200 words. Use single spacing after punctuation.
  4. Article title and author information: Include an appropriate and informative title for the article. Specify any particular spelling you use for your name (if any).
  5. Submitting an article gives Banglalive.com/TheSpace.ink the rights to publish and edit, if needed. The editor will review all articles and make required changes for readability and organization style, prior to publication. If significant edits are needed, the editor will send the revised article back to the author for approval. The editorial board will then review and must approve the article before publication. The date an article is published will be determined by the editor.

 

Submit Content

For art, pics, video, audio etc. Contact editor@banglalive.com