খবরটা পিকু আগেই পেয়েছিল। পি এম, মানে প্রফেসার প্রনব মিত্র কদিন আগেই বলছিলেন “বুঝলে পিনাকী তোমার রিসার্চ প্রপোজালটা মনে হচ্ছে মিলরোজ সাহেব অ্যাকসেপ্ট করে নিচ্ছেন।”
পিকু কাউকেই বলেনি। এমনকি মেঘনাকেও না। তবে আজ কলেজে এসে ফাইনালি চিঠিটা পাওয়ার পরে দুপুরে বটুদার ক্যান্টিনে বসে মেঘনাকে বলেই ফেলল। মেঘনা তো শুনে পারলে তক্ষুণি চেঁচিয়ে সবাইকে বলে দেয়। মেঘনার বক্তব্য মিলরোজ ডেকেছে পিকুকে কাজ করার জন্যে, অবিশ্বাস্য! ভাবাই যায় না। অনেক কষ্টে মেঘনাকে থামাল পিকু। বিকেলে বাড়ি যাওয়ার পথে এ ডি কেবিনে কবিরাজী খাওয়ানোর আশ্বাস দেওয়ার পর মেঘনা থামল। (Bengali Story)
কুট্টিদাদুর মিস্ট্রি : অরূপ দাশগুপ্ত
বিকেলে পাঁচটা নাগাদ কলেজ থেকে বেরোল পিকুরা। এ ডি কেবিনে এসে একটা চিকেন ব্রেইজড কাটলেট আর একটা কবিরাজী সাথে দুকাপ চা অর্ডার দিল। কিছুক্ষণের মধ্যেই কাটলেট দুটো দিয়ে গেল। ততক্ষণে মেঘনা কি, কেন, কবে, কেমন করে, এইসব মিলিয়ে গোটা পনেরো প্রশ্ন করে ফেলেছে। কবিরাজীর একটা টুকরো কাসুন্দিতে ডিপ করে সঙ্গে একটু সালাড নিয়ে টুকরোটা মুখে চালান করে পিকু বলতে শুরু করল –
“বেশ কয়েক মাস আগে একদিন প্রনব স্যারের সাথে হিউম্যান কনসাশনেসের ম্যাথেমেটিক্যাল মডেলিং নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল। আমি বলছিলাম আমিও এরকম একটা মডেলিং-এর কথা ভাবছিলাম। স্যার বললেন একটা সিনোপ্সিস লিখে প্রফেসার মিলরোজকে পাঠিয়ে দিতে। প্রফেসার মিলরোজ, রজার মিলরোজ, অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির এমিরিটাস প্রফেসার। আমার সিনোপ্সিস দেখে উনিই আমাকে ওনার আন্ডারে রিসার্চ করার জন্য ইনভাইট করেছেন। রিসার্চের টপিকটা কম্পিউটেশনাল থিংকিংয়ের আন্ডারে পড়লেও এর আন্ডারলাইং সায়েন্সটা হচ্ছে ম্যাথেমেটিক্যাল ফিজিক্সের জিওমেট্রিক্যাল ফেনোমেনালিজম। মানুষের মস্তিষ্কে নানান চিন্তা করার সময় যে কমপ্লেক্স নিউরাল নেটওয়ার্ক তৈরি হয় তার জিওমেট্রিক্যাল অ্যানালাইসিস। মিলরোজ সাহেব এটাকে কনফরমাল জিওমেট্রি দিয়েও বোঝার চেষ্টা করছেন। মিলরোজ হচ্ছেন কনফরমাল জিওমেট্রির শেষ কথা। এই কনফরমাল জিওমেট্রি ব্যবহার করেই উনি ম্যাথেমেটিক্যালি প্রমাণ করার চেষ্টা করছেন যে বিগ ব্যাংয়ের ঠিক আগে বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের আগেও জিওমেট্রিক্যাল শেপ কিরকম ছিল। যদি কোনও শেপ থেকে থাকে তার মানে আমাদের অবসার্ভেবল ইউনিভার্সের টাইম বিগ ব্যাং থেকে শুরু হয়নি।
কিন্তু তা করতে যে কমপ্লেক্স অংক কষতে হবে সেটা আজকালকার কম্পিউটারের পক্ষে কয়েক যুগ লেগে যেতে পারে। তবে কোয়ান্টাম কম্পিউটিং যেদিকে এগোচ্ছে তাতে হয়তো ভবিষ্যতে সম্ভব হলেও হতে পারে। তাই এই কম্পুউটেশনটা যেহেতু সময় সাপেক্ষ তাই মিলরোজ সাহেব ওঁর জীবদ্দশায় একজিস্টিং কম্পিউটিং পাওয়ার দিয়েই ম্যাথেমেটিক্যাল মডেলগুলি চালিয়ে নিতে চান।
যাই হোক আসল কথায় ফিরে আসি, প্রফেসার মিলরোজ বলছেন হিউম্যান কনশাসনেস নাকি আর্টিফিশিয়ালি ক্রিয়েট করা যেতে পারে। কারণ কনশাসনেস ব্যাপারটা র্যান্ডাম নয় এর একটা প্যাটার্ন থাকে। যার জন্যে আইনস্টাইন কোয়ান্টাম মেকানিকস্ সম্পর্কে বলেছিলেন “God does not play dice with the Universe!” তাই ঠিকঠাক ম্যাথেমেটিক্যাল মডেল তৈরি করে তাকে প্রপার বাউন্ডারি কন্ডিশনের মধ্যে ফিট করা যায় তাহলে সেই প্যাটার্নের এক্সট্রাপোলেশন করা সম্ভব যা থেকে মানুষের কনশাসনেস কীভাবে কাজ করে তা হয়তো বোঝা সম্ভব। কিন্তু তা করতে যে কমপ্লেক্স অংক কষতে হবে সেটা আজকালকার কম্পিউটারের পক্ষে কয়েক যুগ লেগে যেতে পারে। তবে কোয়ান্টাম কম্পিউটিং যেদিকে এগোচ্ছে তাতে হয়তো ভবিষ্যতে সম্ভব হলেও হতে পারে। তাই এই কম্পুউটেশনটা যেহেতু সময় সাপেক্ষ তাই মিলরোজ সাহেব ওঁর জীবদ্দশায় একজিস্টিং কম্পিউটিং পাওয়ার দিয়েই ম্যাথেমেটিক্যাল মডেলগুলি চালিয়ে নিতে চান। আমার কাজ হচ্ছে সেই মডেলগুলোকে যতটা সম্ভব সহজ করা এবং তার জন্য সারকামস্ট্যানশিয়াল ডেটা তৈরি করে টেস্ট করা যাতে তা এখনকার কম্পিউটার দিয়ে টেস্ট করা যায় আর বলা যায় হোয়াট ট্রিগার্স আনকনশাস মাইন্ড টু ডু থিঙ্গস কনশাসলি।”
“একটু খুলে বলবি!” মেঘনা জানতে চাইল।
ফেসবুকের বেড়াল : সৌরভ হাওলাদার
চায়ের কাপে একটা সিপ দিয়ে পিকু শুরু করল “আসলে জ্ঞানত আমাদের ব্রেন কোনও কাজ অকারণে করে না। আমাদের সব কাজের মধ্যে একটা কারণ থাকে। মানে একটা ইভেন্ট যা ব্রেনের সেই পার্টিকুলার অ্যাকশনটাকে ট্রিগার করে। সেটা আমাদের চিন্তার মধ্যে থেকেও আসতে পারে বা এক্সটারনালও হতে পারে। কনশাসলি কিছু করলে তার একটা ব্যাখ্যা হয় কিন্তু মানুষ যখন সাবকনশাস মাইন্ডে কোনো কাজ করে তখন তার ট্রিগারিং ইভেন্টটা কিভাবে র্যান্ডামলি ডিসাইডেড হয় সেটা বার করাটাই কাজ। যেকোনো একটা সময়ে আমাদের কাছে কয়েক হাজার বা তার থেকেও বেশি পসিবল ট্রিগার ইভেন্ট থাকতে পারে। তার মধ্যে থেকে মোস্ট পসিবল বা প্রোবাবল ইভেন্টটা বার করা।”
এতটা বলে পিকু কবিরাজীর প্লেটের দিকে তাকিয়ে দেখে মেঘনা ততক্ষণে সেটা শেষ করে দিয়েছে।
“সরি পিকু! আসলে আমি খেতে খেতে শুনছিলাম তো তাই আর খেয়াল করিনি!” মেঘনা খুব অ্যাপলোজ্যাটিক স্বরে বলল।
“হ্যাঁ আর তাই তুমি শুনতে শুনতে সবটা খেয়ে ফেললে! দারুণ। চিকেন কাটলেটটায় একটুও ভাগ বসাবি না।” পিকু ধমক লাগাল।
“একটু ভেঙে দে! ওটা আমার ভীষণ প্রিয়। প্লিইইইজ!”
“তাই তো! তোর তো সব কাটলেটই প্রিয়, আর আমার আলু সেদ্ধ।”
কাটলেট দুটো শেষ করে আর এক কাপ করে চা খেয়ে পিকুরা বাড়ির দিকে রওনা দিল।
বাড়িতে ঢুকে পিকু বুঝল সবাই নিজের নিজের কাজে ভীষণ ব্যাস্ত। সামনের বসার ঘরে বাবা দুলাল কাকাদের সাথে তাস খেলছে আর খাওয়ার জায়গায় মা আর ঠাম্মা বসে বড় বড় চোখ করে বাংলা সিরিয়াল গিলছে। বেশ থমথমে সিচুয়েশন।
বাড়িতে ঢুকে পিকু বুঝল সবাই নিজের নিজের কাজে ভীষণ ব্যাস্ত। সামনের বসার ঘরে বাবা দুলাল কাকাদের সাথে তাস খেলছে আর খাওয়ার জায়গায় মা আর ঠাম্মা বসে বড় বড় চোখ করে বাংলা সিরিয়াল গিলছে। বেশ থমথমে সিচুয়েশন। পিকুকে দেখেই ঠাম্মা বলে উঠল “দ্যাখছো ভাই কেমন কোইড়া পোলাডারে মাইরা ফ্যালাইলো!” পিকু বুঝল ওখানে বেশিক্ষণ থাকাটা বিপদজনক। কার্ত্তিকদাকে এক কাপ চায়ের কথা বলে ওপরে চলে গেল।
বিছানায় উপুর হ’য়ে শুয়ে চা খেতে খেতে কাগজ পড়ছিল পিকু, হঠাৎ পায়ের পাতায় মনে হল কে একটা শুড়শুড়ি দিল। চমকে উঠে দ্যাখে সন্তু।
“আরে মামা তুমি? কখন এলে?”
“এই তো এলাম! তা তোর কী খবর! আজকাল মামাবাড়িও যাস না, আমার অফিসেও না! কিছু হ’য়েছে?”
“না না সেরকম কিছু না। একটু ব্যাস্ত ছিলাম। জানো মামা, অক্সফোর্ডের প্রফেসার মিলরোজ আমাকে ওঁর সঙ্গে কাজ করতে ইনভাইট করেছে। আজ সকালেই জানলাম। তোমার কাছে যেতাম। কী করব বুঝতে পারছি না”। এক নিশ্বাসে কথাগুলো বলে গেল পিকু।
বালক বীরের মহাপ্রয়াণ : শরণ্যা মুখার্জী
“মানে! মিলরোজের মতো লোক তোকে কাজ করতে ডেকেছে আর তুই বলছিস কী করব জানি না! নো কোয়েশ্চেনস আস্কড। ইউ মাস্ট অ্যাক্সেপ্ট অ্যান্ড গো। এরকম একটা দারুণ খবর নিয়ে চুপ করে বসে আছিস? বাড়িতে বলেছিস?”
মাথা নীচু করে পিকু উত্তর দিল “না”!
“এক্ষুণি নীচে চল, সবাইকে বলবি।”
নীচে এসে পিকু দেখে মা রসগোল্লা আর মাংসের চপ প্লেটে সাজিয়ে দিয়েছে।
“সন্তু এনেছে!” মা জানাল।
“নিশ্চয় বেহালা বাজারের অজিতদার দোকানের চপ! প্রত্যেক শনিবার রোববার করে মটন চপ বানায়। আমার দারুণ ফেভারিট। এদিকে কোনও কাজে এসেছিলে? নাকি সোজা এখানেই?” খেতে খেতে পিকু জানতে চাইল।
সন্তু আইপিএস। কোলকাতা পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চে আছে।
“না না আলিপুরে একটা কাজে এসেছিলাম। সেখান থেকেই সোজা এলাম। ইনফ্যাক্ট কাজটা তোকে বলতেই পারি।
দেবু মিত্র, বছর পঁয়শট্টির হবে, আলিপুরে একটা বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে একা অসুস্থ বউকে নিয়ে থাকে, হঠাৎ কাল সকাল থেকে বেপাত্তা। কোনও খোঁজ নেই। ভদ্রলোকের স্ত্রী একেবারে বেড রিডেন আর কোনও ছেলেমেয়েও নেই।
কেসটা একটু হাই প্রোফাইল, সিপি নিজে বলল, তাই দেখতে এসেছিলাম। তুই চাইলে একটু নেড়েচেড়ে দেখতে পারিস, যদি সময় থাকে। তবে হ্যাঁ, অফকোর্স মিলরোজ কামস ফার্স্ট।” পিকুকে জানাল সন্তু।
কেসটা একটু হাই প্রোফাইল, সিপি নিজে বলল, তাই দেখতে এসেছিলাম। তুই চাইলে একটু নেড়েচেড়ে দেখতে পারিস, যদি সময় থাকে। তবে হ্যাঁ, অফকোর্স মিলরোজ কামস ফার্স্ট।” পিকুকে জানাল সন্তু।
রহস্যের গন্ধ পেয়ে পিকু তো এক্সাইটেড হয়ে পড়ল।
“একটু খুলেই বল না মামা!”
“আসল নাম দেবাঞ্জন মিত্র, সবাই দেখলাম দেবু মিত্তির বলেই সম্বোধন করে। কাল সকালে আলিপুর থানায় একটা মিসিং পারসন ডায়েরী হয়। সেখান থেকে হাইপ্রোফাইল কেস হিসেবে আমার কাছে আসে। সিপি’র ডাইরেক্ট রিকোয়েস্ট, তাই আমি গিয়েছিলাম। ভদ্রলোক নিঃসন্তান। আলিপুরে দশতলার ওপরে একটা প্রাসাদ প্রমাণ ফ্ল্যাটে বউকে নিয়ে থাকেন। বউ শয্যাশায়ী, দেখাশোনা আর ঘর সংসার চালানোর জন্য নার্স বাদ দিয়ে দুজন আরও হেল্পিং হ্যান্ড। প্রাইমারি ইনভেস্টিগেশন করেছি। তবে কেউ বলতে পারছে না দেবু বাবু কী করেন। সারাদিন বাড়িতেই থাকেন, শুধু ভোরবেলা হর্টিকালচারে হাঁটতে যান। সেখানে যাওয়ার পথেই এই বিপত্তি। মর্নিং ওয়াকের বন্ধুরা কেউ ওঁকে সেদিন দেখেইনি। শুধু বিল্ডিংয়ের সিকিউরিটি গার্ডরা অন্যদিনের মতোই সকাল ছটা নাগাদ ওঁকে বেরিয়ে যেতে দেখে।” এক নিশ্বাসে সবটা বলে বাকি চপটুকু আর রসগোল্লা দুটো খাওয়ায় মন দিল সন্তু।
“তোমার কী মনে হয় মামা, কিডন্যাপাররা দেবু মিত্তিরকে কলকাতাতেই রেখেছে নাকি শহর ছেড়ে পালিয়েছে?”
“বলতে পারবো না। তবে আমরা ঘটনাটা জানার সাথে সাথে কলকাতার সব এক্জিট পয়েন্টে অ্যালার্ট মেসেজ পাঠিয়ে দিয়েছি। তবে কিছুই বোঝা যাচ্ছে না। ভদ্রলোকের প্রফেশনাল লাইফ আর পার্সোনাল লাইফের ব্যাপারে একটু খোঁজখবর নেওয়া দরকার। হুইচ মে লিড আস টু দ্য কজ। কেসটা ইন্টারেস্টিং হতে পারে। তাই তোকে বলছিলাম। আরেকটা ব্যাপার, দেবু মিত্তিরের কিন্তু কোনও মোবাইল কানেকশন নেই। সেটাও একটা মিস্ট্রি।” সন্তু জানাল।
ঠিক হল পরেরদিন দুপুরে পিকু ভবানীভবনে সন্তুর অফিসে যাবে সেখান থেকে সন্তু পিকুকে নিয়ে দেবু মিত্তিরের বাড়ি যাবে।
সন্তুর অফিসে পৌঁছাতে পিকুর প্রায় আড়াইটা বেজে গেল। সন্তু ওয়েট করছিল। রবিবার বলে ভবানী ভবন প্রায় ফাঁকা। লোকজন নেই বললেই চলে। পিকু পৌঁছাতেই সন্তু বলল “চল আগে খেয়েনি তারপর কথা হবে।”
সন্তুর অ্যাসিসটেন্ট স্বপনবাবু পাশের টেবিলে চিকেন স্টু আর বাটার টোস্ট দিয়ে গেল। সাথে দুটো ক’রে ক্ষীরের চপ। এই জন্যেই পিকু সন্তুর এত ভক্ত। পিকু বলে “মামা ঠিক আমার খিদের মুডটা বুঝতে পারে।”
সন্তুর অ্যাসিসটেন্ট স্বপনবাবু পাশের টেবিলে চিকেন স্টু আর বাটার টোস্ট দিয়ে গেল। সাথে দুটো ক’রে ক্ষীরের চপ। এই জন্যেই পিকু সন্তুর এত ভক্ত। পিকু বলে “মামা ঠিক আমার খিদের মুডটা বুঝতে পারে।”
খাওয়াদাওয়া সেরে পিকুদের দেবু মিত্তিরের বাড়ি পৌঁছাতে সাড়ে চারটে বাজল।
অর্কিড অ্যাপার্টমেন্ট! দেখেই বোঝা যায় বিলাসবহুল ফ্ল্যাট বাড়ি। নীচে গ্রুপ ফাইভের সিকিউরিটি। লিফ্টের সামনে বেশ বড় সুন্দর করে সাজান একটা লবি, যেকোনও বিলাসবহুল হোটেলের রিসেপ্শন লবিকে হার মানিয়ে দেবে।
(চলবে)
অলংকরণ: পারমিতা দাশগুপ্ত
পড়াশোনা করেছেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেডিয়ো ফিজিক্স বিভাগে। পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন তথ্য প্রযুক্তিকে। প্রায় এগারো বছর নানা বহুজাতিক সংস্থার সাথে যুক্ত থাকার পর উনিশশো সাতানব্বইতে তৈরি করেন নিজের তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা। বর্তমানেও যুক্ত রয়েছেন সেই সংস্থার পরিচালনার দায়িত্বে। কাজের জগতের ব্যস্ততার ফাঁকে ভালবাসেন গান-বাজনা শুনতে এবং নানা বিষয়ে পড়াশোনা করতে। সুযোগ পেলেই বেড়াতে বেরিয়ে পড়েন আর সেই অভিজ্ঞতা ধরে রাখেন ক্যামেরায়।