১
একটু দূরে একগুচ্ছ অ্যান্টেনায় ভর্তি একটা ছাদ। তার একটু কাছে একটা নারকেল গাছ আর ঠিক তার সামনেই কমপ্লেক্সের পাঁচিলের উপরের পেঁচানো কাঁটাতারগুলো। বাইরের দুনিয়া বলতে পুতাইয়ের এইটুকুই। সকালে তাই ঘুম ভাঙলেই একবার বারান্দাটা ঘুরে যায় পুতাই। বিড়ালগুলো তখনও পাঁচিলের উপর পড়ে পড়ে ঘুমোয়। তারপর মিনুমাসি কলিংবেল বাজালে একদল পাখি আসে। ভীষণ ঝগড়া করে। মিনু মাসি শিখিয়েছে, ওরা সাত ভাই চম্পা। কিন্তু কোন সাতটা ভাই, আর কোনটা ওদের বোন, পুতাই অনেক খুঁজেও বুঝতে পারে না। মিনু মাসিকে জিজ্ঞেস করলেও বলতে পারেনি।
আর একটু আলোর তেজ বাড়লে মা আসে বারান্দায়। দুধ নিয়ে। আট ফুট বাই চার ফুটের গ্রিলে ঘেরা বারান্দার কার্নিশে দুধ খেতে খেতেই একটা মাটির ভাঁড়ে রোজ জল ভরে দেয় পুতাই। জীবনের প্রথম দিকে নেওয়া গুরুদায়িত্বগুলোর এটা একটা। প্রথমে দুটো শালিখ পুতায়ের দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে জল খায়। পুতাই তখন একচুলও নড়ে না। তারপর আসে কতকগুলো চড়ুই। ওরা শালিখদের থেকে একটু সাহসি। পুতাই নড়লেও ভ্রূক্ষেপ করে না। নিজের মনে জল খায়, কার্নিশে খুঁটে খুঁটে খাবার খোঁজে। এই করতে করতেই বাবা অফিসের জন্য বেরিয়ে গেলে মা স্নান করিয়ে দেয় পুতাইকে। আর তারপর, ভাত, পেঁপে, আলু, ডাল মেখে গুনে গুনে ছ’টা গ্রাস। প্রতিটা গ্রাসের উপর সজানো থাকে এক খণ্ড করে ডিম। দেখতে বেশ লাগলেও মুখে পুরলে গা গুলিয়ে ওঠে পুতাইয়ের।
আর ঠিক তখনই আসে কাকটা।
কাকটা যেন রাজা। কাকটা এলে ত্রিসীমানায় আর কোনও পাখি থাকে না। কিন্তু বড্ড ভীতু। সবসময় ভয় চোখে তাকিয়ে থাকে পুতাইয়ের দিকে। একটু নড়লেই হুস্ করে উড়ে যায়।
– মা, পাখি যত বড় হয় তত ভীতু হয়? পুতাই অনেকবার জিজ্ঞেস করেছে। কিন্তু মা কোনওদিনই উত্তর দেয়নি। তবে একদিন আনমনে বলেছিল
– হ্যাঁ বাবু। জীব যত বড় হয়, তার ভয় তত বাড়ে।
– তাহলে আমি বড় হলে আমারও আর এরকম সাহস থাকবে না? মায়ের গালে হাত দিয়ে প্রশ্ন করলে মা পাতের শেষ গ্রাসটা কাকটাকে দিয়ে বলেছিল,
– কী জানি!
আর বারান্দায় ভাল লাগছিল না পুতায়ের। কাকটাকে ‘ভীতু খা’ বলে মায়ের পিছন পিছন ঘরে ঢুকে গিয়েছিল সেদিন।
দুপুরে কিছুক্ষণ ঘুমাতে হয় পুতাইকে। রোজ ভাবে ঘুমাবে না, পাখিগুলো কী করে দেখবে, কিন্তু মা এমন আদর করে দেয়, ঘুম পিছু ছাড়ে না। বিকেলে তাই ঘুম ভাঙলেই বারান্দায় ছোটে। একদল কাঠবিড়ালি তখন অদ্ভুত ব্যস্ততায় সামনের নারকেল গাছটায় ওঠে আর নামে। পুতাইকে দেখে কাকটা আবার আসে। বেশ কয়েকবার ডাকাডাকি করলে পুতাই মায়ের থেকে চেয়ে বিস্কুট, পাঁউরুটি, আর কিছু না থাকলে এক মুঠো মুড়ি দেয়। কাকটা প্রথমে অনেকক্ষণ দেখে নেয় পুতাইকে। তারপর পুতাই “ভীতু খা” বললে লাফিয়ে লাফিয়ে এসে ব্যস্ত হয়ে খেতে থাকে। বিস্কুট দিলে সেটাকে জলে চুবিয়ে ভেঙে ভেঙে খায়। তবে পুরোটা কোনওদিনই খায় না। শেষেরটা মুখে নিয়ে হুস করে উড়ে যায় সামনের নারকেল গাছের উপরে।
– ভীতু কোথাকার!়
বিকেলে রুটি করা হয়ে গেলে মিনুমাসির সঙ্গে সামনের লেকে ঘুরতে যায় পুতাই। বেঞ্চে বসে থাকা বেলুন পিসি রোজ কথা বলে। বেলুনপিসি একসময় রোজ একটা করে বেলুন দিত। কিন্তু এখন আর বেলুনওয়ালা আসে না।
– কী বাবু! আজকে কী করা হল সারাদিন?
প্রশ্নটা পুতাই রোজ শোনে বলে শুধু ইচ্ছে হলেই উত্তর দেয়। লেকের ধারেও একদল কাক, আর তাদের মাঝখানে একটা পলিথিনের প্যাকেট। কী দজ্জাল এরা। সব্বাই ভীতুরই মতো। কিন্তু কী ভীষণ সাহসী!
– কাকেরা কি ভীতু হয়?
আনমনে পুতাই বলে। বেলুন পিসি উত্তর দেয়,
– কাকেরা ভীতু কেন হবে বাবু? গ্রহরাজের বন্ধু ওরা। ওরা খুব সাহসী।
‘গ্রহরাজ’ শব্দটা শুনে বেশ আফসোস হল পুতায়ের।
– ইশ! যদি গ্রহরাজ আমারও বন্ধু হত! তাহলে হয়তো ভীতুর সঙ্গে কথা বলা যেত! ভীতু হয়তো অনেক কিছু জানে। মিনুমাসি, বেলুনপিসি, মা, বাবার থেকেও অনেক বেশি!
মনে মনে ভাবতে ভাবতেই বলল
– আচ্ছা কাকেরা কী কথা বলে, পিসি?
– কাকেরা আর কী বলবে, সারাদিন শুধু খ্যা খ্যা খাওয়াও খাওয়াও করে।
কথাটা মনে ধরল পুতাইয়ের। আসলে ওটা ক্যা ক্যা নয়। খাওয়াও খাওয়াও। বেশ লাগল পুতাইয়ের। যেন একটা অজানা ভাষা আবিষ্কার করে ফেলেছে। ‘ভীতু খা’ বলে ডাকলেই তাহলে ভীতু খাবে। রাত্রে বাবার কাছে সারদিনের দিনলিপি বলতে গিয়ে বাবার কাককে ‘ক্রো’ বলাটা একদম পছন্দ হয়নি পুতাইয়ের। আরও পছন্দ হয়নি কাকদের নামের কোনও স্ত্রীলিঙ্গ না থাকাটা। “ময়ুর-ময়ূরী, কপোত-কপোতী” কতকিছু বলল বাবা। কিন্তু কাকেদের নাকি এরকম কিছু হয়-ই না।
২
তিনদিন হয়ে গেল কাকটা আর আসেনি। সকালে সাতভাই চম্পা, শালিক, চড়ুই সবাই এলেও কাকটা আসেনি। পুতাই সারাদিন “ভীতু খা” বলে ডেকেছে, বারবার করে মাটির ভাঁড়ে জল ভরেছে, ভীতুর জন্য ভাতের থালায় ছ’টা গ্রাসের জায়গায় সাতটা গ্রাস করা করিয়েছে, মা’কে সব খেয়ে নেবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে, তবুও আসেনি। অবশেষে আশা ছেড়ে দিয়ে থালা থেকে মায়ের হাতে অবলীলায় পাঁচটা গ্রাস খেয়ে, শেষ গ্রাসটা মুখে না তোলার জিদটা জাস্ট শুরু করেছে, ওমনি বারান্দায় “খা খা”।
আকাশটা গাঢ় রোদে পুড়তে থাকলেও কোত্থেকে যেন এক ফালি মেঘ এসে মনটাকে নাচিয়ে দিল। যদিও অতশত বোঝে না পুতাই। নিজে থেকেই ওর হাত-পা খুশিতে নেচে উঠল। জোরে জোরে হাততালি দিতে দিতে কখন যে ষষ্ঠ গ্রাসটা মা মুখে পুরে দিয়েছে পুতাই খেয়ালই করেনি। গোগ্রাসে গিলে সপ্তম গ্রাসটা ছুড়ে দিল ভীতুর দিকে। কিন্তু এ তো শুধু একা ভীতু নয়! আরও একজনকে এনেছে সঙ্গে করে! চকচকে গা, কুচকুচে কালো। শুধু গলার নিচে একটা সাদাটে দাগ। ডাকটাও একটু আলাদা, “খা খা” নয়। সোজাসুজি “খাওয়াও, খাওয়াও” বলছে। মুখের ভিতরটা টুকটুকে লাল।
– মা ওই কাকটা কি মিনু মাসির মতো পান খেয়েছে? মাকে জিজ্ঞেস করলেও মা তখন অশ্বমেধ যজ্ঞ শেষে ঘোড়া ফিরে পাবার আনন্দে মাতোয়ারা। তবুও একটু আদর করে বলল,
– তুমি যেমন আমার সোনা, ঠিক সেই রকম ও ওই ভীতুর সোনা।
– ওকে কি ভুতু বলে ডাকব মা? ভীতুর মেয়ে ভুতু।
পুতাই কথাগুলো বললে মায়ের মুখটা কেমন যেন উদাসীন হয়ে গেল।
– আচ্ছা মা, ও মেয়ে না ছেলে?
– দূর ছাই, কাকের আবার ছেলে মেয়ে…। বলে উঠে গেল মা।
ভীতু ততক্ষণে ভুতুর টুকটুকে লাল মুখে ভাত পুরতে শুরু করে দিয়েছে। এক একটা গ্রাস গিলতেই আবার সেই লাল মুখ খুলে “খাওয়াও, খাওয়াও।” পুরোটা খাইয়ে দিলেও যেন খিদে মেটে না।
– আরও খাবি ভুতু?
পুতাই বলতেই ভুতু লাফিয়ে লাফিয়ে এগিয়ে এল। “জীব যত বড় হয়, তার ভয় তত বাড়ে।” মায়ের কথাগুলো মনে পড়ে গেল পুতাইয়ের। ভুতু যেন আর বড় না হয়! ঠিক এভাবেই ভীতুকে হাতের নাগালে পেতে চেয়েছিল পুতাই। ভীতু না আসুক, ভুতু তো এসেছে। এক দৌড়ে একটা বিস্কুট এনে হাতটা বাড়িয়ে দিলে, ভুতু আবার দু লাফে পিছিয়ে গেল কিছুটা। ভুতুর বয়সটা কি কিছুটা বেড়ে গেল তাহলে! অনেকবার চেষ্টা করলেও ভুতু হাত থেকে নিল না বিস্কুটটা। অগত্যা ছুড়েই দিল। মুহূর্তে মুহূর্তে যেন বয়স বেড়ে যাচ্ছে ভুতুর।

শরীরটা সারাদিন নানা জায়গায় ঘুরে বেড়ালেও পুতাইয়ের মনটা পড়ে থাকে ওখানেই। ভোরের আলো ফুটলে আজকাল নিজে থেকেই উঠে পড়ে পুতাই। বারান্দায় ‘খাঁ, খাওয়াও’ শুনে আর বিছানায় থাকতে পারে না। ঝটপট মাটির ভাঁড়টা ভরে দেয়। ভীতু না খেলেও ভুতু চোখের সামনে জল খায়। হয়তো ওরই মতো ছোট বলে। তারপর মিনুমাসি এলে রান্নাঘর থেকে দুটো বিস্কুট জোগাড় করে ভেঙে ভেঙে ছুড়ে দেয়। পুতাই একটু সরে এলে ভীতু বিস্কুটটাকে জলে চুবিয়ে খায়, আর মাঝে মাঝে পুরে দেয় ভুতুর টুকটুকে লাল মুখে।
সকালটা এখন পুরোটাই বারান্দায় থাকে পুতাই, সেই সঙ্গে থাকে ভুতুও। এমনকি ভীতু উড়ে গেলেও, ভুতু থাকে ওখানেই। ‘ভুতু খা’ বললে লাফিয়ে লাফিয়ে এগিয়ে আসে পুতাইয়ের দিকে। মাঝে মাঝে মুখ থেকে নানা আওয়াজও করে ভুতু। পুতাই মন দিয়ে বোঝার চেষ্টা করে কিন্তু কিছুই বুঝতে পারে না। মিনুমাসি বলেছিল, সাহস আর ভালবাসা, দেখলে বাড়ে। বিস্কুট হাতে হাতটা বাড়িয়ে দেয় পুতাই। কিন্তু তাতেও সাহস বাড়ে না ভুতুর। দু’ তিনবার লাফিয়ে পুতাইয়ের কাছে আসে, কিন্তু হাত থেকে খায় না!
তবে সেদিন খেল!
থালা থেকে মায়ের বানানো সপ্তম গ্রাসটা হাতে নিয়ে হাতটা এগিয়ে দিতে দু’পা লাফিয়ে ভুতু এল। তারপর আপন মনে কীসব আওয়াজ করে খুঁটে খুঁটে খেতে শুরু করে দিল। খুশিটা আর ধরে রাখতে পারছিল না পুতাই। মনটা খুশিতে হাততালি, পা-তালি দিতে চাইলেও পুতাই স্থির। শুধু চোখদুটো একবার মায়ের মুখের দিকে আর একবার ভুতুর দিকে ঘুরল কিছুক্ষণ। একটানা এতক্ষণ স্থির পুতাই আগে কোনওদিনও থাকেনি।
অবশেষে খাওয়া শেষ করে ভুতু নিজের মনে কীসব আওয়াজ করতে করতে লাফিয়ে যখন পিছোল, পুতাই আর থাকতে পারেনি। থাকতে পারেনি ভুতুও। ভুতুর মত অবলা জীবের জীবনের প্রথম নিজে থেকে খাওয়াটার সাক্ষী হয়ে থাকল পুতাইয়ের হাতটা। কিন্তু মায়েরা তো অনেক বড়। অনেক ভীতু। তাই বেশিক্ষণ আর আনন্দটাকে উপভোগ করা যায়নি। সাবান জলে হাত ধোয়াতে বারান্দা থেকে টেনে নিয়ে এল মা।
সেদিন সারাটা দুপুর বেলুনপিসির জন্য মনটা ছটফট করছিল পুতাইয়ের। বিকেলে বেরলে পাড়ার আর কেউ জানতে বাকি থাকল না, যে ভুতু পুতাইয়ের হাতে ভাত খেয়েছে। বেলুনপিসি মাথায় হাত বুলিয়ে বলল, – বাঃ! কাকটা তো বেশ সাহসী। একদম তোমার মতো!
এভাবেই চলল কয়েকদিন। ভুতু রোজ আসে। সকালে পুতাইয়ের হাত থেকে বিস্কুট খায়। দুপুরে সপ্তম গ্রাস আর বিকেলে মুড়ি। এখন আর ভুতুর মুখটা টুকটুকে লাল নয়। সেদিন দুপুরেও খেয়ে গেল ভুতু। সপ্তম গ্রাস আর তারপর মায়ের কাছে দুপুরে ঘুমনোর প্রমিস করে পাওয়া একখণ্ড ডিম। কিন্তু বিকেলে আর এল না। মাকে জিজ্ঞেস করলে মাথায় হাত বুলিয়ে মা বলল,
– ভুতু বড় হয়েছে। প্রাণের ভয়ও বেড়েছে।
মায়ের উত্তরটা একদম পছন্দ না হলেও মিনুমাসির উত্তরটা ঠিকঠাক ছিল।
– পাশের কমপ্লেক্সে কার একটা শ্রাদ্ধভোজ। ওখানেই পেটপুজো করছে তোমার ভুতু।
সেদিন সারারাত পুতাইয়ের ঘুম এল না। এরকম অস্বস্তি আগে কোনওদিনও হয়নি। কিন্তু অস্বস্তিটা আরও বাড়ল যখন পরেরদিন সকালেও ভুতু এল না। পুতাই সারাদিন বারান্দায় উঁকি মেরেছে। “ভুতু আয়”, “ভুতু খা” এমনকি “ভুতু খাওয়া”-ও বলেছে। কিন্তু তবুও ভুতু আসেনি। এমনকি অন্য পাখিগুলোও আসেনি।
বিকেলে আর সেদিন বেরয়নি পুতাই। মিনুমাসি জোর করলেও যায়নি। বারান্দাতেই বসে ছিল। যদি ভুতু একবার আসে। কিন্তু আসেনি। সন্ধ্যেবেলা এল শুধু উপরের ফ্ল্যাটের সেনগুপ্তকাকুর কর্কশ গলা। ভীতু, ভুতুর থেকেও কর্কশ আওয়াজ।
– গণেশ, ঝাড়ুদারটাকে ডাক তো একবার। গ্যারেজে গাড়ির নীচে একটা কাক মরে পড়ে আছে। বিড়ালে ছিঁড়ে খেয়েছে।
বুকটা কেমন যেন করে উঠল পুতাইয়ের। নিজের মনেই জিজ্ঞেস করল
– কাকটার গলার নীচে কি একটা সাদা পালক আছে? একবার দেখবে, সেনগুপ্তকাকু?
সেনগুপ্তকাকু দেখে এসে ঘাড় নেড়ে অনেককিছু বললেও পুতাই কানে আঙুল দিয়ে দিয়েছিল। শুনতে চায়নি। মা ঠিকই বলেছিল। জীব যত বড় হয়, তার ভয় তত বাড়ে।
ধ্রুব মুখোপাধ্যায় পেশায় সফটঅয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। নেশা বইপড়া এবং লেখালিখি। আদি নিবাস বীরভূমের সিউড়ি। বর্তমানে কর্মসূত্রে কলকাতাবাসী। ভাললাগা বলতে, মানুষ দেখা আর আড্ডা দেওয়া। প্রথম কবিতার বই ‘চাঁদ নামার শব্দ’।
2 Responses
ভীষণ ভালো গল্প টা তেমনি মন কেমনের। আর স্যামন্তক দাদার আঁকাটাও ভীষণ সুন্দর।
অসংখ্য ধন্যবাদ।