Generic selectors
Exact matches only
Search in title
Search in content
Post Type Selectors

ক্যাম্পবস্তির বালকবেলা: পর্ব ২১

মধুময় পাল

মার্চ ৯, ২০২৩

Bengal Politics Camp-bostir Balokbela 21
Bengal Politics Camp-bostir Balokbela 21
Bookmark (0)
Please login to bookmark Close

১৯৬৭-র ভোটের ফল ঘোষণার রাত থেকে মানুষের বাঁধভাঙা উল্লাস শুরু হয়েছিল৷ ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্টের দিনটি কেমন ছিল, আমার অভিজ্ঞতা নেই৷ পড়েছি বড় হয়ে৷ ১৯৬৭-র ফেব্রুয়ারিতে এল যেন দ্বিতীয় স্বাধীনতা। কংগ্রেসের পরাজয়টাই যেন মানুষের জয়৷ শৈবাল মিত্রের লেখা থেকে এক টুকরো উদ্ধৃত করে সেদিনের সমাজ-রাজনীতির আবহাওয়াটা বোঝা যেতে পারে৷ “অতুল্য ঘোষ আর প্রফুল্ল সেনের পরাজয়ের সুখবর যখন সন্ধের দিকে প্রকাশিত হল, কলকাতা ও পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য শহরে রাস্তায় রাস্তায়, অলিতে গলিতে সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত আনন্দে ফেটে পড়েছিলেন৷ খাদ্য আন্দোলনের সময় সাধারণ মানুষকে প্রফুল্ল সেন কাঁচকলা খাওয়ার নিদান দিয়েছিলেন৷ অতুল্য ঘোষের একটি চোখ দৃষ্টিহীন ছিল৷ এই দুই পরাজিতকে বিদ্রুপ করার জন্য শহরের নানা রাস্তায় কাঁচকলা আর কানা বেগুনের মালা ঝোলানো হয়েছিল৷ অসংখ্য মিছিল বের হল৷ অতুল্য ঘোষ আর প্রফুল্ল সেনের কুশপুত্তলিকা তাঁরা পোড়ান৷”

এই উল্লাস, এই উচ্ছ্বাস বেশিদিন স্থায়ী হয়নি৷ ল্যাম্পপোস্ট থেকে লালরঙের সেলোফেন কাগজগুলো স্বাভাবিক নিয়মে কয়েকদিনের মধ্যেই খসে পড়েছে৷
যুক্তফ্রন্ট সরকার ভেঙে গিয়েছে অস্বাভাবিক দ্রুততায়৷ মাত্র ন-মাসের মধ্যে৷

Atulya Ghosh and Prafulla Sen
অতুল্য ঘোষ ও প্রফুল্ল সেন (বাঁ-দিক থেকে)

গোলমাল ছিল গোড়াতেই৷ সরকার গঠন প্রক্রিয়া একেবারেই মসৃণ হতে পারেনি৷ কারণ বিরোধী শক্তি ভোটে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে লড়েছিল দুটো জোটে ভাগ হয়ে৷ সংযুক্ত বাম-মোর্চা বা ইউ এল এফ এবং প্রগতিশীল সংযুক্ত বাম মোর্চা বা পি ইউ এল এফ৷ ১৯৬৪ সালের পর জেনেছিলাম কমিউনিস্ট পার্টিও বাম ও ডান হয়৷ সিপিআই ডান বা দক্ষিণপন্থী৷ সিপিএম বাম৷ ভোটের সময় আমাদের এলাকায় সিপিএমের অফিস বসানো হল ভ্রাতৃ সংঘের গলির বাঁ-দিকে জুয়া খেলে উঠে-যাওয়া বসাকবাবুর সোনার দোকানের বন্ধ ঝাঁপ খুলে৷ আর, ডিহি শ্রীরামপুর রোডে খ্রিস্টান বাড়ির বন্ধ গ্যারেজে সিপিআইয়ের অফিস৷ এই নির্বাচনী অফিস দুটো পরে পাকাপোক্তভাবে দুটো পার্টির আঞ্চলিক অফিস হয়ে যায়৷ সিপিএমের নেতৃত্বে ইউএলএফ ৬৮টি আসনে জেতে৷ কংগ্রেস ভেঙে-আসা বাংলা কংগ্রেস ও সিপিআইয়ের নেতৃত্বে পিইউএলএফ পায় ৬৫টি আসন৷ দুই মোর্চার মিলিত শক্তি ১৩৩৷ ২৮০ আসনের বিধানসভায় কংগ্রেস পেয়েছিল ১২৭ আসন৷ পরাজয় মেনে নিয়ে কংগ্রেস সরকার গড়ার দিকে এগোয়নি৷ দুই মোর্চা মিলিতভাবে সরকার গড়ার প্রশ্নে এগিয়ে থাকলেও তাদের অভ্যন্তরীণ ফারাক ছিল বিস্তর৷ সিপিআই আর সিপিএমের সম্পর্ক ছিল যতটা সম্ভব তিক্ত৷ সিপিএমের কৃষিনীতি আর শ্রমনীতি মোটেও পছন্দ নয় বাংলা কংগ্রেস-পিএসপিদের৷ অবশেষে গোঁজামিল দিয়ে একটা সমঝোতা হল, সাধারণ মানুষের চাপে৷ ৪৩ আসনে জেতা সিপিএম মেনে নেয় ৩৪ আসনে জেতা বাংলা কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রিত্বের দাবি৷ মুখ্যমন্ত্রী হন অজয় মুখার্জি৷ উপমুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু৷

ভোটের সময় আমাদের এলাকায় সিপিএমের অফিস বসানো হল ভ্রাতৃ সংঘের গলির বাঁ-দিকে জুয়া খেলে উঠে-যাওয়া বসাকবাবুর সোনার দোকানের বন্ধ ঝাঁপ খুলে৷ আর, ডিহি শ্রীরামপুর রোডে খ্রিস্টান বাড়ির বন্ধ গ্যারেজে সিপিআইয়ের অফিস৷ এই নির্বাচনী অফিস দুটো পরে পাকাপোক্তভাবে দুটো পার্টির আঞ্চলিক অফিস হয়ে যায়৷

সরকার গড়ার প্রক্রিয়া বিলম্বিত হলে বাংলার মানুষ অস্থির অধৈর্য হয়ে ওঠেন৷ নমুনা হিসেবে একটা ঘটনা বলা যেতে পারে৷ বউবাজার স্ট্রিটে তৎকালীন সিপিআই অফিসে অজয় মুখার্জি, বিশ্বনাথ মুখার্জি, জ্যোতি বসু, হেমন্ত বসু প্রমুখ নেতা রুদ্ধদ্বার আলোচনায় বসেছেন, হাজির হলেন ‘আলোর জাদুকর’ তাপস সেন৷ বললেন, আমি এসেছি রাস্তার লোক হিসেবে৷ রাস্তাঘাটে লোকেরা কী বলে তা কি আপনারা শুনতে পান না? দ্বিতীয় স্বাধীনতার পর বাংলায় অকংগ্রেসি সরকার গড়ার দাবি এতটাই প্রবল হয়ে উঠেছিল৷ 

কথাগুলো বলবার কারণ, পঞ্চান্ন বছর আগেকার সময়টা একবার ফিরে দেখা, যাঁরা নতুন জানছেন তাঁদের একটু বিশদে ধরিয়ে দেওয়া৷ ১৫/১৬ বছর বয়স কতটুকু বুঝতে পারে! এখন স্পষ্ট, ওই সরকার গড়ার মধ্যেই ছিল ভাঙার বীজ৷ মিলহীন মতাদর্শ নিয়ে জোট কীভাবে টেঁকে? তার ওপর জোটের মধ্যে ছিল কয়েকজনের ব্যক্তিগত উচ্চাশা এবং রাজ্যের ও দিল্লির কংগ্রেসের চক্রান্ত৷ আমাদের পাড়া এই ভাঙনকে খুব কাছ থেকে দেখেছে৷

First united left front government West Bengal
প্রথম যুক্তফ্রন্ট সরকার। মুখ‍্যমন্ত্রী অজয় মুখার্জি এবং পাঁচ মন্ত্রী। সূত্র: পালাবদলের পালা

এন্টালি-পদ্মপুকুর পার্কে যুক্তফ্রন্ট সরকারের বিজয় উৎসব ও সংবর্ধনা সভা৷ এলেন খাদ্যমন্ত্রী প্রফুল্লচন্দ্র ঘোষ আর বাংলা কংগ্রেসের কয়েকজন নেতা৷ নেই সিপিআই, সিপিএমের কেউ৷ জিনিসপত্রের দাম তখন রোজ বাড়ছে, বিশেষ করে চালের দাম৷ রেশনে চাল মাঝেমধ্যেই অমিল হচ্ছে৷ কলকারখানায় ধর্মঘট, ঘেরাও অশান্তি ডেকে আনছে৷ প্রফুল্ল ঘোষ স্পষ্টত এসবের জন্য সিপিএম, এসইউসিকে দায়ি করলেন৷ বললেন, যুক্তফ্রন্ট সরকার সংকটের মধ্যে কাজ করছে৷ খাদ্যশস্য সংগ্রহের কাজ বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে৷ পুলিশ সব জায়গায় ঠিক মতো দায়িত্ব পালন করতে পারছে না৷ চাল-গমের কালোবাজারি চলছে৷ তবু তিনি সাধারণ মানুষকে ভরসা দিয়েছিলেন৷ বলেছিলেন, যুক্তফ্রন্ট সরকার পরিস্থিতির দিকে সতর্ক নজর রাখছে৷ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে সংকটের মোকাবিলা করা হবে৷ মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে মর্যাদা দেওয়া হবে৷ এরকম ভাষণ পরে বিস্তর শুনেছি, হেসেছি, কিন্তু সেদিন খদ্দরের ধুতি-পাঞ্জাবি আর পায়ে ক্যাম্বিসের জুতো পরা অতি-সাধারণ চেহারার প্রফুল্ল ঘোষকে গরিবের কাছের মানুষ মনে হয়েছিল৷ তাঁর উচ্চারণে বাঙাল টান পেয়ে তাঁকে আমাদেরই একজন ভেবেছিলাম৷

বাংলার মানুষের আকাঙ্ক্ষায় আবেগে নির্মিত যুক্তফ্রন্ট সরকার ভাঙলেন এই প্রফুল্লচন্দ্র ঘোষ৷ স্বাধীনতার ঊষালগ্নে যিনি পশ্চিমবাংলার প্রথম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন, রসায়নের মেধাবী ছাত্র তিনি, গান্ধীবাদী স্বাধীনতাসংগ্রামী, আপসহীন বাঙালি, কংগ্রেসের অন্তর্দলীয় চক্রান্তের শিকার হয়ে ১৯৪৭-এর ডিসেম্বরে যিনি মুখ্যমন্ত্রিত্বে ইস্তফা দেন, আপসের পথে হাঁটেননি, সেই তিনি কংগ্রেস আর বাংলা কংগ্রেসের একটি গোষ্ঠীর ফ্রন্ট ভাঙার চক্রান্তে জড়িয়ে পড়লেন৷ জড়িয়ে পড়লেন ক্ষমতার লোভে, মুখ্যমন্ত্রী হবেন বলে৷ যুক্তফ্রন্ট ভাঙার চিত্রনাট্য তৈরি করেন হুমায়ুন কবির। এ কাজে সক্রিয় সমর্থন ছিল কেন্দ্রের এজেন্ট রাজ্যপাল ধর্মবীরের৷ এঁদের নির্দেশে কাজটা অতি-গোপনে সম্পন্ন করেন ভান্তু ঘোষ ওরফে আশুতোষ, সংক্ষেপে আশু ঘোষ৷ শোনা যায়, তিনি মোটা অঙ্কের বিনিময়ে কর্মটি সম্পাদন করেছিলেন৷ বাংলা কংগ্রেসের ৯জন, পিএসপি-র ৪জন, ২ নির্দল, ১ স্বতন্ত্র সহ ১৭ বিধায়ককে নিয়ে কংগ্রেসের সমর্থনে প্রোগ্রেসিভ ডেমোক্রাটিক ফ্রন্টের সরকার গড়েন প্রফুল্ল ঘোষ৷ আয়ু মাত্র তিন মাস৷ ২১ নভেম্বর ১৯৬৭ মুখ্যমন্ত্রী হলেন৷ ২০ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৮ ইস্তফা দিলেন৷

প্রফুল্ল ঘোষ স্পষ্টত এসবের জন্য সিপিএম, এসইউসিকে দায়ি করলেন৷ বললেন, যুক্তফ্রন্ট সরকার সংকটের মধ্যে কাজ করছে৷ খাদ্যশস্য সংগ্রহের কাজ বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে৷ পুলিশ সব জায়গায় ঠিক মতো দায়িত্ব পালন করতে পারছে না৷ চাল-গমের কালোবাজারি চলছে৷ তবু তিনি সাধারণ মানুষকে ভরসা দিয়েছিলেন৷ বলেছিলেন, যুক্তফ্রন্ট সরকার পরিস্থিতির দিকে সতর্ক নজর রাখছে৷ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে সংকটের মোকাবিলা করা হবে৷ মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে মর্যাদা দেওয়া হবে৷

রাত আটটা নাগাদ যুক্তফ্রন্ট সরকারকে বরখাস্ত করেন রাজ্যপাল ধর্মবীর৷ এর কিছুক্ষণ বাদেই রাজভবনে শপথ নেন প্রফুল্ল ঘোষ৷ সাংবাদিক বরুণ সেনগুপ্তের লেখায় সেই সময়ের চমৎকার একটা বর্ণনা আছে৷

‘…উঠে দেখি ছোট্ট ঘরে ড. ঘোষ শপথ নিচ্ছেন৷ ড. ঘোষ সেদিন বেজায় খুশি৷ সেই ’৪৮ সন থেকে তিনি আবার পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার চেষ্টা করছিলেন৷ সেই চেষ্টা সফল হল ১৯৬৭ সনে— এতদিন পরে!… তারপর একে একে শপথ নিলেন হরেন মজুমদার ও আমির আলি মোল্লা৷ পাশে সোফায় বসে প্রফুল্ল সেন, হুমায়ুন কবির এবং খগেন দাশগুপ্ত৷ তিনজনই খুব হাসিখুশি ভাব৷ একটু দূরে দাঁড়িয়ে আশু ঘোষ৷ সকালেই আশু ঘোষ তিনটি মালা এনে ঠান্ডি ঘরে রেখে দিয়েছিলেন৷ তিনটি মালা তিন মন্ত্রীকে পরিয়ে দেওয়া হল৷ তারপর আশু ঘোষ রাজ্যপালকে বললেন, স্যার, মাই টাস্ক ইজ ওভার৷ আপনি কি আমাদের একটু চা খাওয়াবেন না?’

Injured Prafulla Ghosh
বিধানসভায় হাঙ্গামায় আহত মুখ‍্যমন্ত্রী প্রফুল্ল ঘোষ। সূত্র: পালাবদলের পালা

রাতের রাজভবনে গোপনে শপথ নেওয়ার পর থেকেই প্রফুল্ল ঘোষের হারিয়ে যাওয়া শুরু৷ হারালেন তাঁর উচ্চতা৷ নানারকম হেনস্থা সইতে হয়েছে, আশু ঘোষের কটুকাটব্য শুনেছেন, বিধানসভায় আক্রান্ত হয়েছেন, প্রকাশ্যে অপমানিত হয়েছেন শারীরিক আঘাতে৷ বাংলার রাজনীতিতে তাঁর ছবি বেশ মলিন, যা হওয়ার কথা ছিল না৷ আর, অন্ধকারের খেলোয়াড় হিসেবে, মিডলম্যান হিসেবে প্রতিপত্তি বাড়তে শুরু করল ভান্তু তথা আশু ঘোষের৷ একটা ছবি কোনওদিন ভুলব না৷ তখন প্রফুল্ল ঘোষের পিডিএফ সরকার ভাঙনের মুখে৷ ডামাডোল চলছে৷ আশু ঘোষের বাড়ির সামনে বাঁধানো চত্বরে পেল্লায় সাইজের কুকুরগুলোকে স্নান করানো হচ্ছে৷ পাশে দাঁড়িয়ে যুক্তফ্রন্টের সেই পদত্যাগী বিধায়কদের কয়েকজন৷ যাঁরা নিজেদের কেন্দ্রে ফেরার সাহস পাচ্ছিলেন না৷ কুকুরস্নান দেখছিলেন৷ এঁদের ‘বন্দি’ রেখেছিলেন আশু ঘোষ৷

বাংলার অস্থির রাজনীতিতে দর কষাকষির জায়গায় নিজেকে হাজির করার মতলবে, মিডলম্যান থেকে কিংমেকার হবার বাসনায় কংগ্রেস আর পিডিএফ-এর লোক ভাঙিয়ে দল করেন আশু ঘোষ৷ ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ডেমোক্রাটিক ফ্রন্ট বা আইএনডিএফ৷ প্রফুল্ল ঘোষের সরকার ফেলে দিয়ে শঙ্করদাস ব্যানার্জিকে মুখ্যমন্ত্রী করে তাঁর দলের সরকার তৈরির চেষ্টা করেন৷ পারেননি৷ ১৯৬৯-এর ভোটে নিজে দাঁড়ান তিনটি কেন্দ্রে৷ এন্টালি, গোসাবা এবং সম্ভবত নদিয়ার একটিতে৷ কোথাও জিততে পারেননি৷ যতদূর জানি, তাঁর দলের একজনও নয়৷ তারপর হারিয়ে যাওয়া…

যুক্তফ্রন্টের শাসনকালেই ঘটে নকশালবাড়ির অভ্যুত্থান৷ ২৪ ও ২৫ মার্চ ১৯৬৭৷ এই ঘটনাও সরকার ভাঙার অন্যতম কারণ ছিল৷ বাংলা কংগ্রেস, এসএসপি চেপে ধরে সিপিএমকে৷ এই সময় শিলিগুড়ি গিয়েছিলেন উৎপল দত্ত৷ তিনি ঘুরে দেখেন নকশালবাড়ি৷ চারু মজুমদারের বাড়িতে যান৷ ফিরে এসে আমাদের পাড়ায় তাঁর অভিজ্ঞতা পেশ করেন৷ সেই প্রথম৷ সময়টা খুবসম্ভব জুলাই মাস হবে৷ লেডিস পার্কে সভার আয়োজন করেছিল অভিযান গোষ্ঠী৷ বামপন্থী ছাত্র-যুবদের সংগঠন৷ এসেছিলেন উৎপল দত্ত আর ঋত্বিক ঘটক৷ নকশালবাড়িতে কৃষকদের আন্দোলন, জোতদার-জমিদারদের বিরুদ্ধে লড়াই আর পুলিশের লাঠি-গুলি-খুন ও চরম নির্যাতনের বিশদ খবর দেন নিজস্ব ভঙ্গিতে৷ ‘কৃষিবিপ্লব’, ‘সশস্ত্র জমিদখল’, ‘মুক্তাঞ্চল’ ইত্যাদি শব্দের সঙ্গে আমাদের সেই প্রথম পরিচয় ৷ ঋত্বিক ঘটক ‘নীলকণ্ঠ’ ছিলেন সেদিনও, বললেন সমাজ বদলানোর কথা কড়া ভাষায়৷ আর বললেন, ভন্তু ঘোষের মতো লোকদের ছুঁড়ে ফেলতে হবে৷ লম্বা লম্বা আঙুল মুঠিবদ্ধ করে আকাশে তুলেছিলেন তিনি৷ 

 

 

গ্রন্থঋণ: ‘জোয়ার-ভাটায় ষাট সত্তর’অমলেন্দু সেনগুপ্ত
‘পালাবদলের পালা’বরুণ সেনগুপ্ত
‘বাংলায় বামেরারাজপথে ও রাজ‍্যপাটে’ অঞ্জন বসু

ছবি সৌজন্য: লেখক

*পরবর্তী পর্ব প্রকাশিত হবের ২১ মার্চ, ২০২৩
Madhumoy Paul

মধুময়ের জন্ম ১৯৫২ সালে পূর্ববঙ্গের ময়মনসিংহে, কিশোরগঞ্জে। লেখাপড়া কলকাতায়। শৈশব-যৌবন কেটেছে স্টেশনে, ক‍্যাম্পে, বস্তিতে। গল্প লিখে লেখালেখি শুরু। পরে উপন‍্যাস। বই আখ‍্যান পঞ্চাশ, আলিঙ্গন দাও রানি, রূপকাঠের নৌকা। অনুসন্ধানমূলক কাজে আগ্রহী। পঞ্চাশের মন্বন্তর, দাঙ্গা-দেশভাগ, নকশালবাড়ি আন্দোলন নিয়ে কাজ করেছেন। কেয়া চক্রবর্তী, গণেশ পাইন তাঁর প্রিয় সম্পাদনা। প্রতিমা বড়ুয়াকে নিয়ে গ্রন্থের কাজ করছেন চার বছর। মূলত পাঠক ও শ্রোতা।

Picture of মধুময় পাল

মধুময় পাল

মধুময়ের জন্ম ১৯৫২ সালে পূর্ববঙ্গের ময়মনসিংহে, কিশোরগঞ্জে। লেখাপড়া কলকাতায়। শৈশব-যৌবন কেটেছে স্টেশনে, ক‍্যাম্পে, বস্তিতে। গল্প লিখে লেখালেখি শুরু। পরে উপন‍্যাস। বই আখ‍্যান পঞ্চাশ, আলিঙ্গন দাও রানি, রূপকাঠের নৌকা। অনুসন্ধানমূলক কাজে আগ্রহী। পঞ্চাশের মন্বন্তর, দাঙ্গা-দেশভাগ, নকশালবাড়ি আন্দোলন নিয়ে কাজ করেছেন। কেয়া চক্রবর্তী, গণেশ পাইন তাঁর প্রিয় সম্পাদনা। প্রতিমা বড়ুয়াকে নিয়ে গ্রন্থের কাজ করছেন চার বছর। মূলত পাঠক ও শ্রোতা।
Picture of মধুময় পাল

মধুময় পাল

মধুময়ের জন্ম ১৯৫২ সালে পূর্ববঙ্গের ময়মনসিংহে, কিশোরগঞ্জে। লেখাপড়া কলকাতায়। শৈশব-যৌবন কেটেছে স্টেশনে, ক‍্যাম্পে, বস্তিতে। গল্প লিখে লেখালেখি শুরু। পরে উপন‍্যাস। বই আখ‍্যান পঞ্চাশ, আলিঙ্গন দাও রানি, রূপকাঠের নৌকা। অনুসন্ধানমূলক কাজে আগ্রহী। পঞ্চাশের মন্বন্তর, দাঙ্গা-দেশভাগ, নকশালবাড়ি আন্দোলন নিয়ে কাজ করেছেন। কেয়া চক্রবর্তী, গণেশ পাইন তাঁর প্রিয় সম্পাদনা। প্রতিমা বড়ুয়াকে নিয়ে গ্রন্থের কাজ করছেন চার বছর। মূলত পাঠক ও শ্রোতা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Subscribe To Newsletter

কথাসাহিত্য

সংস্কৃতি

আহার

বিহার

কলমকারী

ফোটো স্টোরি

উপন্যাস

Banglalive.com/TheSpace.ink Guidelines

Established: 1999

Website URL: https://banglalive.com and https://thespace.ink

Social media handles

Facebook: https://www.facebook.com/banglaliveofficial

Instagram: https://www.instagram.com/banglalivedotcom

Twitter: @banglalive

Needs: Banglalive.com/thespace.ink are looking for fiction and poetry. They are also seeking travelogues, videos, and audios for their various sections. The magazine also publishes and encourages artworks, photography. We however do not accept unsolicited nonfiction. For Non-fictions contact directly at editor@banglalive.com / editor@thespace.ink

Time: It may take 2-3 months for the decision and subsequent publication. You will be notified. so please do not forget to add your email address/WhatsApp number.

Tips: Banglalive editor/s and everyone in the fiction department writes an opinion and rates the fiction or poetry about a story being considered for publication. We may even send it out to external editors/readers for a blind read from time to time to seek opinion. A published story may not be liked by everyone. There is no one thing or any particular feature or trademark to get published in the magazine. A story must grow on its own terms.

How to Submit: Upload your fiction and poetry submissions directly on this portal or submit via email (see the guidelines below).

Guidelines:

  1. Please submit original, well-written articles on appropriate topics/interviews only. Properly typed and formatted word document (NO PDFs please) using Unicode fonts. For videos and photos, there is a limitation on size, so email directly for bigger files. Along with the article, please send author profile information (in 100-150 words maximum) and a photograph of the author. You can check in the portal for author profile references.
  2. No nudity/obscenity/profanity/personal attacks based on caste, creed or region will be accepted. Politically biased/charged articles, that can incite social unrest will NOT be accepted. Avoid biased or derogatory language. Avoid slang. All content must be created from a neutral point of view.
  3. Limit articles to about 1000-1200 words. Use single spacing after punctuation.
  4. Article title and author information: Include an appropriate and informative title for the article. Specify any particular spelling you use for your name (if any).
  5. Submitting an article gives Banglalive.com/TheSpace.ink the rights to publish and edit, if needed. The editor will review all articles and make required changes for readability and organization style, prior to publication. If significant edits are needed, the editor will send the revised article back to the author for approval. The editorial board will then review and must approve the article before publication. The date an article is published will be determined by the editor.

 

Submit Content

For art, pics, video, audio etc. Contact editor@banglalive.com