হামবার্তো আক’আবল। কবি পরিচিতি:

হামবার্তো আক’আবল (Humberto Ak’abal) গুয়াতেমালার কবি, যিনি ১৯৫২ সালে মোমোস্টেনাংগো অঞ্চলে জন্মগ্রহণ করেন। মায়া সভ্যতার সমৃদ্ধ উত্তরাধিকার প্রতিফলিত হয় তাঁর দর্শন ও সাহিত্যে। তিনি মেসো-আমেরিকান ভাষা ‘কিয়েশে’-তে রচনা করেছেন তাঁর কবিতাগুলি। তাঁর লেখায় পার্থিব ঘ্রাণ, প্রতিবেশ থেকে আহৃত উপকরণ, অপার সারল্য ও সাংস্কৃতিক আদর্শের এক অনুপম মেলবন্ধন দেখতে পাওয়া যায়। এই কবিতাটিতে আধুনিকতার আগ্রাসনে মায়া সভ্যতার দেশজ চরিত্র নষ্ট হয়ে যাওয়া ও সেই সংক্রান্ত লড়াইয়ের করুণ আভাস বিমূর্তভাবে ধরা পড়েছে।
অনূদিত কবিতা:
অশ্রুবিন্দু
জন্মের সময়
দু’ফোঁটা অশ্রুবিন্দু স্থান পেল
আমার দু’চোখে
যাতে আমার দৃষ্টিতে স্পষ্ট হয়ে ওঠে
মানুষের অব্যক্ত যন্ত্রণা।
[the_ad id=”266918″]
গ্যাব্রিয়েলা মিস্ত্রাল। কবি পরিচিতি:

গ্যাব্রিয়েলা মিস্ত্রালের আসল নাম (Gabriela Mistral) লুসিলা গোডোয় আলকাইয়াগা (Lucila Godoy Alcayaga)। তিনি ১৮৮৯ সালে চিলিতে জন্মগ্রহণ করেন। কবিতা লিখেছেন স্প্যানিশ ভাষায়। ১৯৪৫-এ সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান। তাঁর কবিতায় মানবহৃদয়ে ভালবাসার অনুভূতির বিবিধ প্রকাশ দেখতে পাওয়া যায়। এই কবিতাটিতে দান্তের সাহিত্যপ্রভাব লক্ষণীয়। ধর্ম, অধ্যাত্মিকতা, সংস্কৃতির মধ্যে সূক্ষ্মতম মিশ্রণের সংবেদী প্রকাশ ঘটেছে এখানে।
অনূদিত কবিতা:
আলেক্সান্দ্রাইন পংক্তিগুচ্ছ
বাইবেল, মহান বাইবেল, রাজকীয়তার বিস্তীর্ণ দৃশ্যবাহার
স্পষ্ট হয়ে ওঠে দীর্ঘ অপেক্ষার প্রহর পেরিয়ে
দাহ্য লাভার মত স্তব এবং
আগুনের নদী সাঁতরে হৃৎকমল উদ্ভাসিত হল
তোমার তীব্র সুধা পান করে অর্জিত স্থিতি
মানবজন্মে লেখে দার্ঢ্যের রূপ
উচ্চারণে লব্ধ অলীক তেজে
তোমারই উৎস থেকে উদ্ভূত হয়ে নিয়তিকে অস্বীকার করেছি
ফ্লোরেন্টাইনের আর্তি ধেয়ে আসে
বিঁধে যায় আমার অস্থিমজ্জায়
*ছবি সৌজন্য: worldliteraturetoday, facebook, britannica.com
জন্ম ১৯৭১ সালে কলকাতায়। বর্তমানে রাজ্য সরকারের কর্মচারী। রাজেশ গঙ্গোপাধ্যায়ের গল্প ও কবিতা দুই বাংলার একাধিক ছোট ও বড় পত্রপত্রিকায় নিয়মিত প্রকাশ পায়।