আমাদের বাড়িটা একটা লেটারপ্রেসের পাশে। না, এখন সে ছাপাখানা আর নেই। অনেক দিনই তার দেহাবসান ঘটেছে। তবে এখনও সেই টালির চালের প্রেসবাড়িটা রয়েছে, পথভোলা ভূতুড়ে। এই কারখানার ‘ঘটাং’-এ আমার ঘুম ভেঙেছে বহু দিন। একটুও বাড়িয়ে বলছি না! রোগা রোগা পায়ের লম্বা লোকটা, যার নাম দুলাল, তারা তিন ভাই, লেটার প্রেসের মৃত্যুর গান গাইতে গাইতে এক ভাই মারা গিয়েছে। বোধ হয় তা সুইসাইড, আর এক ভাই দেশান্তরী। কোনও ফোন আসে না তার, শূন্য কানেকশন। চ্যাটালো চেহারার দুলালদা বেশ রাগি, রসবোধও আছে। প্রেসযন্ত্রে তার পায়ের ওঠাপড়া দেখতাম হাঁ করে। শৈশব তো বিস্ময়ের আরামকেদারা, তাই চোখ ছানাবড়া হত। কোনও কোনও দিন প্রেসে সারা দিন কেটে যেত। অনেকবার তার প্যাডেলে পা রেখে চাপ দিয়েছি। মুদ্রণ-যন্ত্রের বিরাট হাঁ আলগাভাবে বন্ধ হত মাত্র, ছোট পায়ের হালকা চাপ প্রেস প্রত্যাখ্যান করত হাসতে হাসতে। দুলালদার মেশিন চালানোর আওয়াজটা ছিল, ‘আয় না কাছে, দেখ না এ পা কেমন নাচে, আয় না কাছে, দেখ না এ পা কেমন নাচে’— এই রিদম। আমার পায়ের চাপ পড়লে রিদমটা একেবারেই এলিয়ে পড়ত— আ—য়—নাআআ কাআআ—ছেএএ দ্যাএএএ—খ নাআআ এ পাআআআআ… এবং নাচে পর্যন্ত আর পৌঁছতই না। আর একটা শব্দও আমার মাথায় দানাদার হয়ে রয়েছে এখনও। সেইটা হল, দুলালদা বা তার ভাইদের মধ্যে কেউ বা কম্পোজিটর মনিরুদ্দিনদা প্রেসের ঠিক উঠোনটায় বসে নাম্বারিং করত। ‘ধাঁই ধপাধপ মারব তোকে, ধাঁই ধপাধপ মারব তোকে’— এই সুর। ছোট নাম্বারিং মেশিনে কী জেড স্পিডে যে ওদের হাত চলত! নিমেষে এক বান্ডিল ‘হজম’ করে আরেক বান্ডিল তারা টেনে নিত। আমি নির্নিমেষ তাকিয়ে সেই দিকে, এই দেখে মনিরুদ্দিনদা হাসত, ক্ষণিক মুখ তুলে, আমায় দেখে নিত, হঠাৎ কাজের সামান্য বিচ্ছেদে।
আমাদের বাড়িতে আঠা মানেই ঠিকানা ওই দুলালদার প্রেস। ভাতের আঠা সকাল সকাল তৈরি হয়ে যেত সেখানে। মাটির পাত্রে তা প্রেসের কাঠের এক পুরাতন চৌকিতে বসে ঘ্রাণ ছড়াত। আর ছড়াত পরোপকার। মা মাঝে মাঝে ওই আঠা আনতে বলত। আমিও দৌড়ে গিয়ে হাত পেতে দাঁড়াতাম, ‘আঠা দাও’ বলে। একটা বাতিল কাগজে সেই আঠার এক খামচা দিয়ে আমায় দুলালদা বলত, ‘যা পালা…’।
পালাতে পালাতে তার পর এক দিন বড়। দেখলাম একেবারে চোখের সামনে লেটার প্রেসটার অন্ত্যেষ্টি হল। আসলে দুলালদা প্রাণে ধরে অনেক দিন সেই যন্ত্রটা বেচে দিতে পারেনি। তার পর পেরেছেও একদিন। বাতিল লোহার মূল্যে। বেচার দিনে হাউ-হাউ করে কাঁদতে দেখেছিলাম ওদের পুরো পরিবারকে। ‘ছোট হাতি’-তে ছাপা-যন্ত্রের দেহটা যখন ওঠানো হচ্ছিল, তখন হরিধ্বনি শোনার উপক্রম হয়েছিল মনে আছে। ব্যালকনি থেকে সেই দৃশ্য দেখেছিলাম। সেই সময়ে আমার ছোট মোবাইলে একটা কল এসেছিল, আমার রিংটোন তখন, ‘এক পেয়ার কা নাগমা হ্যায়’, ওই সিনের খাপে এই সুরের তলোয়ার যেন এঁটে গেল।
পরদিনই দুলালদার মেজ ভাই ট্রেনলাইনে পৌঁছে গিয়েছিল ভোর ভোর। বডিটা আধ ঘণ্টা পর পাওয়া গিয়েছিল লাইনের পাশে। বডির দু’হাত ভর্তি ছিল ছাপার লাল-লাল কালো-কালো কালি। ওদের মা-ও রেলে কাটা পড়ে অনেক বছর আগে, সেটা অবশ্য ছিল অ্যাক্সিডেন্ট। রেলপথে প্রাণবিসর্জন করে মায়ের কাছে পৌঁছানোর সহজ রাস্তাটাই কি ধরল ছেলে? ‘মাতৃপ্রেস’ হল দুলালদার প্রেসের নাম। এখনও সাইনবোর্ডটা ঝুলছে।

বেশিরভাগ প্রেসের আসল নাম থাকে অজ্ঞাত। অমুকদার প্রেস, তমুকদার প্রেস— এমনভাবে পরিচিত হয়ে মুখে মুখে নাম ছড়ায়। আর অল্প অলোয় কম্পোজিটাররা সেখানে কী উদ্দীপনায় যে কাজ করে চলেন! করতেই থাকেন। তাঁদের চশমার কাচের গতর বাড়তে থাকে। ‘মাতৃপ্রেস’এর মনিরুদ্দিনদারও তাই হয়েছিল। কাঠের নানা খোপে ছড়ানো লেডের হরফগুলি তুলে তুলে সাজানোর সেই কাজে ভয়ংকর বোরডমকে হাতে-নাতে হত্যা করে মনিদাকে সাবলীল এগিয়ে যেতে হত। শুধু তো টাকার জন্য এমন সম্ভব নয়, অন্য এক প্রেরণাও কাজ করত নিশ্চয়ই। অনেক দিনই গভীর রাতে ঘুম ভেঙে গেলে জানালা দিতে তাকিয়ে দেখতাম প্রেসের ঘরে আলো জ্বলে আছে। ভালো করে নজর করলেই দেখা যেত গোলগাল চেহারার মনিদা, চোখ দুটো নির্ঘুমে টকটকে লাল। তার সারা হাত কালো কুচকুচ করত। লেডের লালা লেগে লেগে, মনিদা বলত, ‘হাতটা পচে গেছে রে বাবু। সাড় পাই না।’
মনিদার মুখে গ্যালি প্রুফ কথাটা প্রথমবার শুনে খুব মজা পেয়েছিলাম। গ্যালিলিও গ্যালিলির কীর্তি তখন পড়েছি সবে। ভাবলাম, মহান বিজ্ঞানী গ্যালিলিওর সঙ্গে এর নিশ্চিত গভীর সম্পর্ক রয়েছে। এমনও মনে হল যে, ওইটির আবিষ্কার গ্যালিলিও-র হাতেই! এই কথাটা মনের গোপন থেকে বাইরে এনে প্রেসে হাসির হিল্লোল তুলে দিয়েছিলাম একদিন। সন্ধেবেলা তখন মুড়ি আর চপ খাওয়া হচ্ছে, সেই সময়ের মহাজাগতিক রীতি অনুযায়ী খবরের কাগজ বিছিয়ে মুড়ির নাতিদীর্ঘ পাহাড়ের জন্ম দিয়ে। পাশে চপ-পেঁয়াজির টিলা। দুলালদা বুঝিয়ে দিয়েছিল, কেন গ্যালি প্রুফ। যে ট্রে-তে টাইপ সেটিং করা হচ্ছে ওইটাকে বলা হচ্ছে গ্যালি। টাইপ সাজানোর পর, এক কলমে লম্বা ম্যাটার সমষ্টি। তাতে ভেজা নিউজ প্রিন্টে তোলা ছাপই গ্যালিপ্রুফ। একদম প্রাথমিক প্রুফ এটা, মেশিনে তোলার আগে মৌলিক মুদ্রণপ্রমাদ শনাক্ত করার উদ্দেশ্যেই এই গ্যালিপ্রুফের জন্ম। ক্রমে দুলালদা-মনিদা’রা গ্যালিপ্রুফের পুরো হাতেগরম এক্সপিরিয়েন্সের জন্মও দিয়েছিল আমার মধ্যে। তার পর আমাদের একটি পত্রিকা বের হতে শুরু করল, নাম— স্ফূলিঙ্গ। বিশীর্ণ পত্রিকা। হলে কী হবে, মহাশ্বেতা দেবী, অন্নদাশঙ্কর রায়দের লেখাও সেখানে ছাপিয়েছিলাম। সেই পত্রিকায় আমি ছিলাম— মহামহিম এডিটর। কত গ্যালিপ্রুফের গলি দিয়ে যে তখন হাঁটতে হয়েছে! ভেজা প্রুফ দেখার সঙ্গে সদ্য জন্ম নেওয়া শিশুকে দেখার তুলনা করলে একটু বাড়াবাড়ি হতে পারে। তবুও একটা কথা বলার একটু লোভ হচ্ছে যে, এই সব মিটেসিটে যাওয়ার বহু বছর পর যখন এক হাসপাতালে আমার কন্যা জন্মাল, জন্মলাভের পর বাচ্চাকে যখন দেখাতে আনলেন ডাক্তার, সেই সময়ে গ্যালিপ্রুফের একটা তুলনা আমার মস্তিষ্কে চলকে উঠেছিল।

লেটার প্রেস তখন গজিয়ে উঠেছিল পাড়ায় পাড়ায় গঞ্জে গঞ্জে শহরের শিহরিত অলিতে গলিতে। বহু জন সেখানে কাজ করে ক্ষুণ্ণিবৃত্তি করতেন। তাঁরা হিমসিম খেতেন। জীবনযন্ত্রণার চাপ বাড়িয়েই যেত ছাপাযন্ত্র, কিন্তু ছাড়তেন না তাঁরা, এমন টান। নিজেদের কাজের ইম্প্রেশন দিকে দিকে না হলেও এদিক-ওদিক রটে যাচ্ছে, মানে ছড়াচ্ছে, হোক না তার পরিসর-পরিধি তালুর মতো ছোট, তবুও তো যাচ্ছে। সে নেশা কি কম নাকি!
লেটার প্রেস উঠে হারিয়ে যাওয়ার পর, সেইসব প্রেসকর্মীদের অনেকেই আধুনিক প্রেসের কাজে নিজেদের বেঁধে নিতে পেরেছেন। অনেকে আবার পারেননি। কম্পোজিটাররা কম্পিউটারে টাইপও শিখে নিয়েছেন কেউ কেউ। তাঁদের একজন সত্যজিৎ দাস। আমার সঙ্গে যাঁর এখন দৈনিক সম্পর্ক। নানা বইয়ের কাজ তিনি করে যাচ্ছেন বাড়িতে, তাঁর ডিটিপি-র থাকবাঁধা ব্যবস্থা রয়েছে।
সত্যজিৎদা অনেক দিনই তাঁর লেটারপ্রেস-কথা বলেছেন আমাকে। ক্ষুধাপ্রেমঈর্ষাঘৃণাদ্বেষের একটি জমজমাট অথচ দুরন্ত শিল্পসাম্রাজ্য-গাঁথা ছবি। আমি সত্যজিৎদাকে বলে থাকি মাঝেমাঝেই, ‘দাদা, ঋত্বিক কুমার ঘটক এই কাহিনি নিয়ে কোমলগান্ধার টাইপের একটা পিকচার বানাতেনই বানাতেন। নাম হয়তো দিতেন— প্রেসের আন্ধার।’ সত্যজিৎদা হাসেন আর হাসেন। হাসতে হাসতে স্মৃতিতে ঢুকে পড়ে একটু উদাসীও হয়ে যান।
‘১৯৯২ সাল। ঘণ্টা-পিছু লেটার প্রেস দিত এক টাকা ২৫ পয়সা।’ বলছিলেন সত্যজিৎদা। আর চাকরি করলে মাসে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা। এক প্রেসে ন-দশ ঘণ্টা মিনিমাম চাকরির পর আমায় ফ্রিল্যান্স করতে হত আর-একটায়, না হলে মাস চালানো যেত না।’ তারপর? ‘শুনুন, হ্যান্ড প্রেসে পাতা কম্পোজ করতে করতে সময় যে কীভাবে চলে যেত সেটা বলে বোঝানো যাবে না। ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাজ করে যাচ্ছি, করেই যাচ্ছি। দিন নেই রাত নেই। কাজ শেষ হচ্ছে না। একবার মনে আছে প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি, তখন উনি সেন্ট্রালে কমার্স মিনিস্টার, ওঁর একটা কাজ করছিলাম। একটা ম্যাগাজিনের কাজ। ডেডলাইন চলে এসেছে, পরদিন সকালেই প্রেসে তুলতে হবে। কিন্তু কম্পোজ অনেক বাকি। অথচ আমরা টানা ৩৬ ঘণ্টা কাজ করছি। আর পারছি না। পারা যাচ্ছে না। সে রাত্তিরে আমরা করেছিলাম কি, একগুচ্ছ অরিজিনাল কপি প্রেসের পিছনের জানালা দিয়ে ফেলে দিয়েছিলাম। যাতে ম্যাটার কমে যায় আর কম্পোজ কম করতে হয়। পরে অনেক হইচই হয়েছিল এ নিয়ে। চাকরি যায়-যায় হয়েছিল। কিন্তু সে সময়ে এটা না করলে মরে যেতাম দাদা।’

এই কাহিনিটার পর দু’জনে একটু হেসে নিলাম। ভাবছিলাম, এটা তো একটা বিরাট প্রতিবাদ। আশ্চর্য কৌশলী প্রতিস্পর্ধা। সত্যজিৎদা বললেন, ‘কোশ্চেন পেপার তৈরির সময়টা ছিল বিরাট ভাইটাল। তখন রাত জেগে কাজ করতে হত, শেষ যেন আর হচ্ছে না। তার পর অঙ্ক প্রশ্ন নিয়ে এক বিস্তর ঝামেলা হত। একটু এদিক ওদিক হলেই গুবলেট। বহু দিনই হয়েছে, ভোররাতে অঙ্কের প্রশ্ন প্রেসে তুলতে গিয়ে দেখি ভেঙে গেছে। এদিকে দশটার মধ্যে কোশ্চেন পৌঁছবে স্কুলে! অসম্ভবকে সম্ভব করার দায়িত্ব তো প্রেসের কর্মীদেরই তাই না।’
তারপর হাত দেখিয়ে, ‘আবার ধরুন সারা হাতে লেড— একটা পিন বা কিছু ফুটে গেলেই রক্তে ধাতুটা তো মিশে যাবে! খাওয়ার আগে হাত ধোয়ার সে এক মহা ঝকমারি, তাও সবটা ওঠে না। কিছুতেই না। এভাবেই তো লেটার প্রেসের কম্পোজিটারদের আয়ু কমে গেছে অনেক, চোখের দৃষ্টি ক্ষীণ হয়ে গেছে। বেশিরভাগ প্রেসেই তো আলোর ব্যবস্থা ভালো ছিল না দাদা। চশমার পাওয়ার বাড়তে বাড়তে প্রায় ব্লাইন্ড হওয়ার জোগাড় অনেকে।’
‘আমি ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত কাজ করেছি হ্যান্ডপ্রেসে, শেষ বেতন পেয়েছি ৬০০ টাকা। অনেক কষ্ট ছিল, কিন্তু তার মধ্যেও এক হয়ে কাজ করে যাওয়া, মিলেমিশে থাকা। তখন লিটল ম্যাগাজিনের যাকে বলে ঝড় উঠেছে। কত ছেলেমেয়ে কাগজ করছে। কত স্বপ্ন। কিন্তু প্রেস মালিককে টাকা দিতে পারে না। বাকি রাখাটাই ছিল স্বাভাবিক। প্রেস মালিকও আমাদের বেতন দিতে দেরি করত। কিন্তু সেই ছেলেমেয়েগুলোকে তাড়িয়ে দেওয়া যায় না। তাগাদা দিতে দেখেছি, কড়া কথাও বলত, কিন্তু সব কিছুতেই একটা প্রশ্রয় মিশে থাকত। এখন আর তেমনটা হয় না, তা সম্ভবও হয়তো নয়। প্রেসের লোকজন তো ঠেকে ঠেকে অনেক শিখেছে। ঘটিবাটি কত চাঁটি হয়েছে।’
আরও পড়ুন: ১৯৭৬-২০২৩: বইমেলার একাল সেকাল
‘নিদয়া’ লেটার প্রেসের এই ‘করুণ কাহিনি’ লিখতে লিখতে এখনকার অফসেট প্রেসগুলোর দিকে তাকিয়ে নেওয়া যেতে পারে ঝটিতি। হ্যান্ড-প্রেসের শেষবেলায় বহু মুদ্রণ ব্যবসায়ীই ছোট-মাঝারি অফসেট মেশিন কিনলেন। কিন্তু বেশিরভাগ প্রেসেরই হাল এখন ভালো নয়। মেশিনগুলো জরাজীর্ণ প্রায়। রক্ষণাবেক্ষণের খরচ জোগাতে গিয়ে মাথাঘোরা। অনেকে তো প্রেস বিক্রিই করে দিয়েছেন। ডিজিটাল প্রিন্টিং এখন বাজার কাঁপাচ্ছে। পিওডি, প্রিন্ট অন ডিমান্ড। যতটুকু প্রয়োজন ছাপিয়ে নিন। তার পর তা শেষ হলে আরও ছাপান! বেশি স্পেস নেই প্রকাশকের, ছাপাখানার, তাতে সমস্যা নেই পিওডি-তে, দ্রুত নয়নসুখ ছাপা, প্লেটের ঝক্কি আর কেন!
অনেক কিছু চলে যায়। তার ছাই পড়ে থাকে। ব্যান্ড মাস্টারদের এগিয়ে যাওয়ার ম্যাজিকটা জানতেই হয়। তালা খুলতেই হয়। ‘শিখার রুমাল নাড়া নিভে গেলে ছাই ঘেঁটে’ দেখতেই হয়। তার পর বলতে হয়, ‘আমার বাঁশির সুরের সুতোয়/ দেহের ফুলে মালা / ট্রা রালা লি রালা লা / ঠিক চাবি হাতে দেখি খুলে যায় তালা…’ প্রেসের তালা খুলে বই না বেরিয়ে এলে বইমেলা ভর্তি হবে কীভাবে!
ছবি সৌজন্য: Britannica, Adobe stock, Public Domain pictures, Istock,
পেশায় সাংবাদিক নীলার্ণব বিভিন্ন বাংলা সংবাদপত্র ও পত্রিকায় নিয়মিত লেখালেখি করেন। গল্প কবিতা ও ফিচার লেখায় সমান আগ্রহ ও দক্ষতা রয়েছে। প্রকাশিত বই রাতের কাহিনী, অসংলগ্ন রিপোর্টাজ, হাওয়ার আওয়াজ।