গল্পে চলচ্চিত্রে এমন ঘটনা হামেশাই ঘটে। কিন্তু বাস্তবে?
সামাজিক মাধ্যমের জেটগতির যুগে তেমনই এক তাক লাগানো ঘটনা এসেছে সংবাদ শিরোনামে।
জানাজানিও হয়েছে সেই সামাজিক মাধ্যমেই। উনিশ বছরের তরুণ, ম্যাক্স ভ্রেডেনবার্গ ট্যুইটারে জানিয়েছেন তাঁর সেই রোমহর্ষক অভিজ্ঞতার কথা। ২০১০ সালের ২১ অগস্ট, তাঁর দশ বছর বয়সে ম্যাসাচুসেটসের রকপোর্ট সমুদ্র সৈকতে বোতলের মধ্যে চিঠি ঢুকিয়ে সমুদ্রে ছুড়ে ফেলেছিলেন ম্যাক্স। নিছকই মজা করার জন্য। কল্পনা করেছিলেন, কেউ যদি কোনওদিন এই চিঠি খুলে পড়ে, কেমন হবে ব্যাপারটা?
ছোট্ট ম্যাক্স তার পেনসিলে লেখা চিঠিতে আঁকাবাঁকা অক্ষরে নিজের পরিচয় দিয়ে লিখেছিল “আমি ম্যাক্স। আমার বয়স দশ। যে এই চিঠি পড়বে, আমার সঙ্গে অবশ্যই যোগাযোগ কোরো। আমি আপেল খেতে ভালোবাসি। সমুদ্র ভালোবাসি। জীবজন্তু ভালোবাসি। গাড়ি ভালোবাসি। আর ভালোবাসি মহাকাশের গল্প। আমার প্রিয় রঙ নীল। প্লিজ আমাকে চিঠি লিখো।“তারপর যথারীতি কালের নিয়মে ছোট্ট ছেলেটি ভুলে গিয়েছে সেই ছেলেমানুষির কথা। জীবন এগিয়ে গিয়েছে। সেদিনের সেই বালক এখন তারুণ্যের দোরগোড়ায়।
কিন্তু সমুদ্র কিচ্ছুটি ভোলেনি। ছোট্ট ম্যাক্সের চিঠি সে পৌঁছে দিয়েছে ৬০০০ মাইল দূরে ফ্রান্সের এক সমুদ্রসৈকতে। শুধু সময় লেগে গিয়েছে ন’টি বছর। চলতি বছরের ১০ অক্টোবর সেই চিঠি হাতে পেয়েছেন জি দুবোয়াঁ নামে জনৈক ফরাসি নাগরিক। বোতলবন্দি বার্তা পড়ে মিষ্টি একটি চিঠি পাঠিয়েছেন ম্যাক্সকে, তাঁর ইন্সটাগ্রাম একাউন্ট খুঁজে বের করে। লিখেছেন, “আমাদের মধ্যেকার এই ছ’হাজার কিলোমিটারের ব্যবধান পেরতে তোমার পাঠানো বোতলের লাগল ন’টি বছর। তুমি নিশ্চয়ই এতদিনে বড়ো হয়ে গিয়েছ। দশ বছরের বালক থেকে উনিশের তরুণ। আমি সঙ্গে একটি মানচিত্রের ছবি পাঠালাম। তাতেই চিহ্ন দিয়ে দেখালাম কোথায় খুঁজে পেয়েছি তোমার বোতল-বার্তা।“
এতেই আকাশ থেকে পড়েছেন ম্যাক্স। তাঁর কাছে স্বভাবতই অবিশ্বাস্য ঠেকছে গোটা ব্যাপারটা। তিনি সঙ্গে সঙ্গে দুটি চিঠির ছবিই ট্যুইটারে পোস্ট করে ঘটনাটি লেখেন। নেটিজেনরা হামলে পড়ে তাঁর পোস্টে। উত্তেজনায় ফুটছেন সবাই। কেউ লিখেছেন, “একমাত্র শিশুরাই এত ইতিবাচক হয় যে বোতলে চিঠি লিখে সমুদ্রে ফেলে দিতে পারে উত্তরের আশায়। তাই ওরা আমার প্রিয়।“ আবার কেউবা লিখেছেন, “আমিও এমন করতে চাইতাম ছোটবেলায়। কিন্তু ভয় হত বোতল যদি তিমির পেটে চলে যায়?” অনেকে এও বলছেন, “সমুদ্রে বোতল ফেলা সমুদ্রকে দূষিত করা। এটা উচিত কাজ নয়।“
তবে প্রতিক্রিয়া যেমনই হোক, নেটিজেনদের উৎসাহের আতিশয্যে ভেসে গিয়েছেন ম্যাক্স নিজেও। ট্যুইট করেই জানিয়েছেন, এ বিষয়ে আর যা যা ঘটবে সবই জানাবেন সামাজিক মাধ্যমে। আপাতত অপেক্ষা, ম্যাক্সের পরবর্তী পদক্ষেপের!
লিখতে শিখেই লুক থ্রু! লিখতে লিখতেই বড় হওয়া। লিখতে লিখতেই বুড়ো। গান ভালবেসে গান আর ত্বকের যত্ন মোটে নিতে পারেন না। আলুভাতে আর ডেভিলড ক্র্যাব বাঁচার রসদ। বাংলা বই, বাংলা গান আর মিঠাপাত্তি পান ছাড়া জীবন আলুনিসম বোধ হয়। ঝর্ণাকলম, ফ্রিজ ম্যাগনেট আর বেডস্যুইচ – এ তিনের লোভ ভয়ঙ্কর!!