হুররে! অবসরের ছ’বছর পর ফের একবার মাঠে ঘাটে সচিন তেন্ডুলকর! শুধু মাঠে ঘাটে কেন? বনে বাদাড়ে ঝোপে ঝাড়ে বললেও এতটুকু অত্যুক্তি হবে না!
না। অবশ্যই ব্যাট হাতে নয়। কারণ এ সচিনের হাত নেই। পা আছে। সংখ্যায় আটটি।
ধরেছেন ঠিক! ইনি মাকড়সা। সদ্য আবিষ্কৃত হয়েছেন।
আবিষ্কারকের নাম ধ্রুব প্রজাপতি। গুজরাট ইকোলজিকাল এডুকেশন এন্ড রিসার্চ ফাউন্ডেশনের জুনিয়র রিসার্চার পদে কর্মরত। ইনি যে ক্রিকেটের ভক্ত, বিশেষত আমাদের একান্ত আপন মাস্টার ব্লাস্টারের, তা কি আর বলে দিতে হয়? অতএব ক্রিকেটের ঈশ্বরকে শ্রদ্ধার্ঘ্য জ্ঞাপনের এই অভাবনীয় পন্থা নিয়েছেন বেছে! মাকড়সা নিয়েই তাঁর কাজ, ডক্টরাল গবেষণা। সদ্য আবিষ্কার করেছেন দুই নতুন প্রজাতির মাকড়সা। তারপরেই সোজা ট্যুইট করে ঘোষণা, একটি প্রজাতির নাম নিজের প্রিয় ক্রিকেটারের নামেই রাখছেন তিনি। অর্থাৎ নব-আবিষ্কৃত অষ্টপদীর নাম হল ‘ম্যারেঙ্গো সচিন তেন্ডুলকার”।
সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়েও বললেন, “দুটি নতুন প্রজাতির মাকড়সার সন্ধান পেয়েছি। এরা ইন্দোম্যারেঙ্গো এবং ম্যারেঙ্গো প্রজাতির এশিয়ান জাম্পিং স্পাইডার। সচিনের খুব ভক্ত আমি। তাই একটি নতুন আবিষ্কৃত মাকড়সা প্রজাতির নাম ওঁর নামে রাখলাম। আরেকটি প্রজাতির নাম রেখেছি কেরলের বিশিষ্ট সমাজসংস্কারক তথা শিক্ষাবিদ সন্ত কুরিয়াকোস এলিয়াস ছাবরার নামে।“
প্রশ্ন এখন একটাই। এই অতিকায় নাম ধরে ডাকবে কে?
লিখতে শিখেই লুক থ্রু! লিখতে লিখতেই বড় হওয়া। লিখতে লিখতেই বুড়ো। গান ভালবেসে গান আর ত্বকের যত্ন মোটে নিতে পারেন না। আলুভাতে আর ডেভিলড ক্র্যাব বাঁচার রসদ। বাংলা বই, বাংলা গান আর মিঠাপাত্তি পান ছাড়া জীবন আলুনিসম বোধ হয়। ঝর্ণাকলম, ফ্রিজ ম্যাগনেট আর বেডস্যুইচ – এ তিনের লোভ ভয়ঙ্কর!!