গাথা
পায়ের নীচে বিদ্যুৎ নেচে যায়
স্বর্গ ছুঁয়েছে মাথার ওপরে ওই
পতঙ্গ, তার আগুনে মরণঝাঁপ–
সেই গল্পটি লেখা হোক শীঘ্রই।
বিস্মরণ
ভুলে গিয়েছিলে কোন কথা হয়েছিল
তার সাথে, যার ভালনাম- ও স্বজন,
অপেক্ষারত দু‘টি চোখ কুয়াশায়
লিখে রেখে গেছে আত্মসমর্পণ।
খেয়া
এর আগে কিছু মুহূর্ত বেঁচে নিক-
ভেসে গেছে এই চিরচেনা ঘরবার,
জোয়ার ভাটার চেনা ছক ভুলে গিয়ে
সময়ের স্রোতে বিস্ময়-পারাপার।
গ্রহণ
আহুতির মতো নিজেকেই ঢেলে দিই
বিফল করোনা এই দান হে পাবক,
স্থিত রেখো তাকে নিভৃত প্রতিষ্ঠায়
আনন্দঘন, বীতভয়, বীতশোক।
দাহ
পুড়ছিল যখন একটু একটু মন
শিখাটির দিকে চেয়ে ছিলে একবারও?
শান্ত আলোর আনবিক বিকীরণ–
এখন নিজেকে আগুন বলতে পারো!