














(Chinese New Year) ইংরেজি বছর শুরু আর উৎসবের উন্মাদনা কাটিয়ে কলকাতা শহর যখন একটু একটু করে প্রাত্যহিক ছন্দে ফেরার চেষ্টা করছে, তখন এই শহরেরই কিছু মানুষ প্রস্তুত হয়ে উঠছে তাদের নিজস্ব নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর জন্য।
কলকাতা চিরকাল মিলিয়ে দিয়েছে ভিন্ন ভিন্ন ধর্ম ও জাতির মানুষকে।নিছকই ভালোবাসার টানে তারাও থেকে গেছে এই দেশে।অচেনা এই শহরকে অচিরেই আপন করে নিয়েছে। টেরিটি বাজার, ট্যাংরা কিংবা বো-ব্যারাকে এখনও রয়ে গেছে কিছু চাইনিজ কমিউনিটি, যাদের সবচেয়ে বড় উৎসব চাইনিজ নিউ ইয়ার। (Chinese New Year)
চীন দেশে এই নিউ ইয়ার একমাস ধরে পালন করা হলেও, কলকাতায় আগের দিন রাত থেকে নিউ ইয়ারের পুরো দিনটাই তারা উৎসবের আনন্দে মেতে থাকে। এই উৎসবের আকর্ষণ হলো লায়ন ডান্স আর ড্রাগন ডান্স। আগের দিন বিকেল থেকেই ট্যাংরার অন্ধকার গলিগুলো সেজে উঠতে থাকে নিয়ন আলো আর কনফেটি দিয়ে। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আলো আর মানুষের উদ্দীপনা বাড়তে থাকে।আর থাকে বিভিন্ন ধরনের বাদ্যযন্ত্র। (Chinese New Year)
সেদিন শহরের এই প্রান্তে সারারাত ব্যাপী চলে উৎসব উদযাপন। পরের দিন সকালে তাদেরই একটি দল পৌঁছে যায় উত্তর কলকাতার যানজট ভরা রাস্তায়। সেখানেও উৎসবের আনন্দে কোনও খামতি থাকে না। টেরিটি বাজারের ধুলো মাখা, পলেস্তারা খসে যাওয়া বাড়ির মাঝে বিভিন্ন রঙের ড্রাগনগুলোকে দেখতে অদ্ভুত লাগে। বিকেল হতেই সবাই জড়ো হয় সকলের প্রিয় বো-ব্যারাকে। যেখানে লাল দেওয়ালের বাড়িগুলো আজও এই শহরের বুকে আরেকটা কলকাতার সাক্ষী হয়ে দাড়িয়ে আছে।
ডকুমেন্টারি ফটোগ্রাফার। নতুন নতুন জায়গায় বেড়ানো এবং স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে ভালোবাসেন। তাঁর ছবির মাধ্যমে দর্শকদের কাছে কোনও একটি বার্তা পৌঁছে দিতে চান।