Generic selectors
Exact matches only
Search in title
Search in content
Post Type Selectors

পাশের মহল্লা থেকে

আকাশ গঙ্গোপাধ্যায়

আগস্ট ১২, ২০২৪

Akash Ganguly
Bookmark (0)
Please login to bookmark Close

আত্মহত্যা এক একক কবিতাপাঠ। যেখানে অন্য কারও অংশগ্রহণ নেই, আপনি মঞ্চে, বাকিরা নীরব দর্শক। মানুষ কেন করে আত্মহত্যা? পৃথিবীর জটিলতম প্রশ্নগুলির মধ্যে একটি এটি। পরিচিতির পরিধিতে আত্মহত্যার উদাহরণ নেই এমন মানুষ পাওয়া বিরল! কারা করে, কেন করে, অন্য কোনও রাস্তাই কি বেঁচে থাকে না তাদের কাছে? বলা মুশকিল! কেউ লিখে রেখে যান, কেউ সমস্ত রহস্য নিয়ে চলে যান নিজের সঙ্গেই। তবে কি কেবলই হতাশা? পিছিয়ে পড়া বা হার মেনে নেওয়া? আজ থেকে দশবছর আগে বসে করলে আলোচনা হয়তো এমনই হত। তবে আজকের যুগে বসে এই বিধান দিয়ে দেওয়া অত্যন্ত কুরুচিকর এবং বোকামি। বরং বলা যায় এ এক মুক্তির পথ, শান্তিরও। হয়তো বা, খানিক শায়েস্তা করা সে সমস্ত কিছুকে যা ক্রমশ কঠিন করে তোলে রোজ আমাদের বেঁচে থাকাকে। আত্মহত্যা কি তাহলে স্বাধীনতা? তেমনই কি মনে করেন একজন মানুষ এই পথ বেছে নেওয়ার আগে?
পাঠক ভুল বুঝবেন না… আত্মহত্যাকে স্বাধীনতা বলার ধৃষ্টতা করার জায়গায় আমরা নেই। আমাদের আইনও অনুমতি দেয় না স্বেচ্ছামৃত্যুর। তবে যিনি মুক্তি দিচ্ছেন নিজেকে তাঁর কাছে কি স্বাধীনতাই নয় এই পদক্ষেপ? হয়তো বা। (Cover Story)

‘মৃতরা জীবিতের শোক বহন করে না’

আর তাই এমন সিদ্ধান্তে পরাজয় নয় বরং ফুটে ওঠে মুক্তিরই চিন্তা। এই নিয়ে একটুআধটু লেখাপড়া করলে জানা যায়, মৃত্যুকে নিয়ে স্বপ্ন দেখেন অনেকেই। আত্মহত্যার জন্য খুঁজে বেড়ান পছন্দের জায়গা, প্রিয় অথবা সহজতম কৌশল। রীতিমত রেকি করেন এক-দুবছর। আপনার আমার এবং ভিড়ের মাঝেই ব্যস্ততম কোনও একটি দিন, একজন মানুষ খুঁজে বেড়াচ্ছেন তাঁর মৃত্যুর শ্রেষ্ঠতম উপায় এবং অবস্থান। ভাবতে অবাক লাগে না?
প্রতিটা মানুষ আলাদা, তাই তাদের মৃত্যু চেতনাও ভিন্ন। একদিকে দাঁড়িয়ে কবি ও শিল্পীরা, মৃত্যুর আগেই যাঁরা মৃত্যুকে লিখে অথবা এঁকে ফেলেছেন নিজেদের সৃষ্টিতে। তাঁদের অধিকাংশই মৃতদেহের পাশে নয়, বরং বছরের পর বছর ধরে লিখে গেছেন আত্মহত্যার চিঠি। আমরা ভেবেছি কবিতা, গান বা ছবি…

কখনও সুযোগ হলে একটি সংকলন করা যেতে পারে এই সমস্ত লেখা নিয়ে। একজন কবি বা লেখক তাঁর পরিবার ফেলে, সৃষ্টি ফেলে, ভালোবাসা অথবা তাঁর পৃথিবী ফেলে চলে যাচ্ছেন। ভাবছেন না কোনও পিছুটানের বিষয়ে। অথবা আমাদের থেকে কিছুটা বেশিই ভাবছেন বলে বেছে নিচ্ছেন এই পথ। বেঁচে থাকা যদি কঠিন হয়, স্বেচ্ছায় চলে যাওয়া হয়তো তার চেয়েও বেশি কঠিন। কেবল এই যুক্তি প্রতিরোধ করার জন্য উপস্থিত নেই তারা কেউ।
আত্মহত্যা কি খুব আত্মকেন্দ্রিক? নিজের স্বার্থের দিকে তাকিয়েই কি নেওয়া হয় সিদ্ধান্ত? অভিজ্ঞতা বলে, না। বরং অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তাঁরা আমাদের চেয়ে বেশি সংবেদনশীল। তাঁরা সমাজ নিয়ে চিন্তিত এবং সরবও। লেখায় বারবার ফিরে আসে সে-কথা। ফিরে আসে রাজনীতি, সামাজিক অবক্ষয়। সমাজের ব্যাধি নিয়ে লিখে গেছেন তাঁরা সময় সুযোগ মতো। অতএব এ দাগে দাগিয়ে দেওয়া অন্যায় যে কেবল নিজের মুক্তি, নিজের স্বাধীনতার লোভ কাউকে এই সিদ্ধান্তে এগিয়ে আনতে পারে…

“আগ্রহ শুধু প্রতিশোধে। যারা তার বাড়ি এসে তার শরীর মাড়িয়ে একটা অপমান সৃষ্টি করেছিল, ইন্দিরা গান্ধি হয়ে তার বদলা নেবে। তাই কণ্ঠস্বরে তীব্রতা বাড়ে, ভাষ্য এক‌ই থাকে। সারাদিন, সারারাত লীলাবতী এখন আর অন্য কিছু না করে একটাই বাক্য বলে যায়।”

অদ্রীশ বিশ্বাস

অদ্রীশ বিশ্বাস। একজন লেখক, শিক্ষক, তাত্ত্বিক এবং একজন গুরুত্বপূর্ণ সম্পাদক। অদ্রীশবাবু কতটা মেধাবী ছিলেন তা তাঁর পরিচিতদের সঙ্গে কথা বললেই জানা যায়। ২০১৭ সালের ১৪ জুন অদ্রীশ বিশ্বাস আত্মহত্যা করেন। এর বেশ কিছুদিন আগে থেকেই এক প্রবল মানসিক দুর্যোগে ভুগছিলেন তিনি। ২০১৫ সালে ‘সেবক’ মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। একমাস বা তার কিছু বেশি সময় থেকে ফিরে আসেন। কিন্তু ফিরে আসেন এক প্রবল ক্ষোভ নিয়ে। এই সময় থেকে প্রায় আগামী দু’বছর সোশ্যাল মিডিয়াতে নিজের বিভিন্ন ব্যক্তিগত ও সাংসারিক ক্ষোভ প্রকাশ করে গেছেন তিনি। সমাজের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করেছেন, অকথ্য ভাষায়। নিজের উপর হামলার কথা জানিয়েছেন, জানিয়েছেন নিজের সন্দেহের কথা। এবং শেষ অব্দি একদিন আত্মহত্যা করেছেন। সাতবছর পেরিয়ে আজ সেসব স্মৃতি প্রায় মুছেই গেছে ভার্চুয়াল জগত থেকে। রয়ে যাওয়ার মধ্যে তাঁর লেখা। শুরুর অংশের উক্তিটি তাঁর লেখা ‘লীলাবতী’ উপন্যাস থেকে। লীলাবতী এক উদ্বাস্তু মেয়ে, যে বিশ্বাস করে স্বপ্নও এমন দেখা উচিত নয় যা কোনওদিন সত্যি হবে না। আর তাই সে কেবল তার প্রিয় আমগাছের একটা আঁটি নিয়ে দেশ ছেড়ে চলে আসে ইন্ডিয়ায়। এই দৃশ্যকল্প অদ্রীশের দেখা নয়। তিনি জন্মেছেন ১৯৬৮-র শ্রীরামপুরে। এ তাঁর শ্রুতি, পাঠ ও কল্পনার ফসল। অথচ এ উপন্যাস পড়লে মনে হবে যেন লেখকের খুব কাছের কারুর ঘটনা এসব।

‘অ্যাসাইলামের ডায়ারি’ বইয়ের উৎসর্গ পত্র

আস্যাইলামে যাওয়ার আগের এবং ফেরার পরের অদ্রীশ বিশ্বাস যে এক মানুষ নন তা বোধহয় জানেন পরিচিতরা, তবে পাঠকের কাছে এই বিষয় আরও পরিষ্কার করে দেয় তাঁর শেষ বই, অ্যাসাইলামের ডায়ারি। বাংলায় এমন বই বিরল।

‘পাগলের
এঁটোকাঁটা খেয়ে
যে কুকুরেরা বাঁচে
তারাও কি একদিন

পাগল হয়ে যাবে?’

লিখছেন

‘ওয়ার্ডে 
কোথায়ও 
কোনো 
আয়না নেই।’

অদ্রীশবাবুর মানসিক অস্থিরতা বহুদিন ধরেই জনসমক্ষে থেকেছে। আমরাই হয়তো এড়িয়ে গিয়েছি অথবা করুণা করেছি সেসব দেখে। প্রকাশ্যে নিজের ব্যক্তিগত কথা তুলে এনেছেন, সমাজের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। হয়তো নিজেকে একঘরে করে নেওয়াই উদ্দেশ্য ছিল তাঁর। অদ্রীশ বিশ্বাস মেধাবী ছিলেন, জনপ্রিয় নন তাই তাঁর মৃত্যুর পর আর তেমনভাবে আলোচনা হয়নি বাংলা সাহিত্যে…

‘উঠোনের রোদে এসে বোসো।
শ্বাস নাও, জুড়াও শরীর।
ছায়ার স্বপ্ন দেখো।
যেইভাবে দশতলা বাড়ির স্বপ্ন দেখে
তৃতীয় বিশ্বের এক ক্লান্ত নাগরিক।’

সৌম্য চক্রবর্তী

সৌম্য চক্রবর্তী। কবি ও সাংবাদিক। আজকালের শিলিগুড়ি অফিসে চাকরি করতেন তিনি। পরে চলে আসেন কলকাতায়। ফিরে গিয়ে অন্য একটি পোর্টালে কাজ করেন কিছুদিন। সৌম্য কবি হিসাবে সেলিব্রেটেড ছিলেন না। প্রচারও যে খুব পেয়েছেন তা নয়। ওঁর মেলামেশার গণ্ডিতেও জনপ্রিয় কবি প্রায় কেউ ছিলেন না বললেই চলে। ২০১৯ সালে, তবে জুন মাসেই আত্মহত্যা করেন সৌম্য। ৩৯ বছর বয়সে। ১২ জুন, অদ্রীশ বিশ্বাসের ঠিক একদিন আগে। তিনটি প্রকাশিত কবিতার বই ছিল তাঁর। ‘বসন্তের বৈকুণ্ঠপুর’, ‘আরশিনগরে একা’ এবং ‘কবির জীবন’।

সৌম্য চক্রবর্তীর শেষ রাতের আঁকা এবং আঁকার কোণে আঙুলের ছাপ বা মুছে দেওয়া নিজের সই

বলে রাখা ভালো সৌম্য চক্রবর্তী ছিলেন একজন প্রতিভাবান চিত্রশিল্পীও। এই ঘটনার কিছুদিন আগে তিনি মা’কে হারান। সৌম্যর ছবির কাজে এক অদ্ভুত জিনিসের উল্লেখ না করলেই নয়। সমস্ত আঁকায় নিজের সইটিকে আঙুল দিয়ে মুছে তোলার মতো করে ঘেঁটে দিতেন তিনি। এ এক অদ্ভুত স্টাইল তাঁর। পাশে লেখা থাকত সাল। জানলে অবাক হতে হয়, আত্মহত্যার আগের দিন রাত্রে একটি ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেন তিনি। পোকামাকড়ের এই ছবি দিয়ে কিছু হয়তো বোঝাতে চেয়েছিলেন তিনি। আমরা সেসব বুঝতে পারিনি। ঠিক যেমন বুঝতে পারিনি তাঁর কবিতা আসলে এক সুইসাইড লেটার।

“এখানে কোথাও নেই আমি,
বাকি সব যেমন তেমনই।
আকাশের চাঁদ-তারা,
আঙিনায় উনুনের আঁচ,
সকালের ঘুম ভাঙা,
চায়ের রেওয়াজ!
একই আছে সবকিছু,
একই থেকে যায়,
আমার না-থাকা শুধু
আমাকে ভাবায়।”

সৌম্য চলে গেছেন পাঁচবছর হতে চলল। আত্মহত্যা যদি স্বাধীনতা হয় তবে সৌম্যর এই পাঁচবছরের স্বাধীন জীবন থেকে তিনি কি দেখতে পাচ্ছেন সমাজের অবস্থা? তাঁরই কোনও এক আত্মীয় তাঁর মৃত্যু সংবাদে এসে লিখে গেছিলেন ‘আত্মহনন তো ব্যর্থতাকে মেনে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার নাম’…

‘আমি আমার জন্ম দেখতে চাই
আমি আমার মৃত্যু দেখব না বলে’

অরিত্র সোম

অরিত্র সোম, তুলনায় অনেক বেশি চর্চিত। বন্ধুদের দৌলতে অথবা নিজের সিদ্ধান্ত যে কারণেই হোক, যে প্রচার জীবিত অবস্থায় সে পায়নি তার খানিকটা অন্তত চলে যাওয়ার পর পেয়েছে বলে মেনে নেওয়াই যায়। তবে সেই প্রচার কোনও আর্তি থেকে নয়। বরং বলা ভালো লেখার যোগ্যতায়, অসময়ে নিজের জায়গা খুঁজে পেল অরিত্র সোম। আমাদের এই অনুজপ্রতিম কবির বয়স হয়েছিল ২৮ বছর। ১৯৯৫ সালে জন্ম তার। ২০২৩ সালের ১৪এপ্রিল অরিত্র আত্মহত্যা করে বাড়ির একমাত্র ঘরে এবং আশ্চর্যের বিষয়, দুপুরবেলায়। মা বাবাকে ট্যাক্সি ধরে চোখের ডাক্তার দেখাতে পাঠিয়ে ফাঁকা ঘরে এই সিদ্ধান্ত নেয় অরিত্র। সিদ্ধান্ত নেয় বলা ভুল, এসব ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত বহুদিন আগেই নেওয়া হয়। চেষ্টাও চলে একাধিকবার। তারপর অনেকগুলি বিফল চেষ্টার পর জেদ হয়ে ওঠে এই সিদ্ধান্ত। কিন্তু অবশেষে যখন সাফল্য আসে, তখন তা উদ্‌যাপনের জন্য বেঁচে থাকেন না মানুষটি। অরিত্র একাধারে ভালোবাসা চেয়েছিল, চেয়েছিল শান্তি, প্রশংসা। আরেকদিকে মুক্তিও চেয়েছিল নিশ্চয়। এই সমাজের প্রতি কতখানি বিরক্ত ছিল ও তা হয়তো না মিশলে বোঝা যেত না, অথচ এই সমাজের কাছেই প্রতিষ্ঠাও চেয়েছিল কবি হিসাবে। এই দ্বিধাই কি কোথাও চিন্তায় ফেলেছিল কবিকে? জিজ্ঞাসার অবসর নেই। তবে দীর্ঘ ছ-সাতবছর ধরে একটি হাসিমুখের যে বিবর্তন আমরা দেখেছি, বলতেই পারি এই মুক্তি, এই স্বাধীনতা বা সাফল্যই ওর গন্তব্য ছিল। এবারটাও বাঁচিয়ে ফেলতে পারলে হয়তো আরও একবার, আরও ভালো পরিস্থিতিতে গিয়ে কিছু ঘটিয়ে ফেলত অরিত্র।

অরিত্রর ডায়রি থেকে একটি লেখা

অরিত্রর জীবনে দুটি বই, ‘রামকৃষ্ণ হার্ডওয়্যারস লেন’ এবং ‘অরিত্র সোমের কবিতা’। দ্বিতীয়টি ওর মৃত্যুর পর প্রকাশিত। একটি প্রায় সমগ্র কবিতার বই। এই বইয়ের সম্পাদনা করতে গিয়ে আমরা দেখি গত বেশ কয়েকবছর ধরে কেবল সুইসাইড নোটই লিখে গেছে অরিত্র তার অধিকাংশ কবিতায়। সেসব কবিতা রয়ে গেছে তার ডায়রিতেই। যদিও প্রকাশ্যে এলে হয়তো তার কাব্যগুণ নিয়ে আলোচনা হত, মানসিক স্বাস্থ্যের কথা ভুলেও মাথায় আসত না আমাদের… অরিত্র খুব কম বয়সে প্রচুর লিখেছে। ডায়রি লেখার অভ্যাসে লিখে গেছে পাতার পর পাতা। ঘরের দরজা বন্ধ করে মৃত্যুর সঙ্গে ওর এই যাপনে ও ঢুকতে দেয়নি বাবা-মাকেও। আর এই একান্ত যাপন থেকে উঠে এসেছে একের পর এক সাংঘাতিক সব লেখা

‘আমি লালচোখেই দেখতে চেয়েছিলাম, সংসার
ইয়োর অনার, এবার তবে
দড়ি দিন একটা; বেশ শক্ত, পাকানো দড়ি’

২০১৮ সালে, আত্মহত্যার পাঁচ বছর আগে বসে একজন লিখছে এই প্রস্তুতির কথা। হয়তো এরও আগের কোনও কবিতায় উল্লেখ পাওয়া যাবে ওর মৃত্যুচেতনার। অরিত্র আমাদের বন্ধুও। আমাদের থেকে সে এগিয়ে রইল দু’জায়গায়, প্রথমত জীবনের সবচেয়ে সুন্দর বয়সটি ধরে রেখে দিল। বয়স বাড়ার ঝামেলায় পা মেলাল না। রোগে ভোগা বা ক্লান্তিকর জীবন থেকে অনেক দূরে দাঁড়িয়ে আমাদের দেখে হাসবে ও… দ্বিতীয়ত জীবনের শেষ বই দিয়ে গুটিয়ে ফেলল নিজের লেখক জীবন…

আত্মহত্যা যদি স্বাধীনতা না হয়, তাহলে যুগ যুগ ধরে ভিড়ের মাঝের এই মানুষগুলিকে আমরা ধরে রাখতে অক্ষম কেন? স্বাধীন হওয়ার উত্তেজনায় সবার চোখের আড়ালে এঁরা এক অন্য জীবন যাপন করে চলেছেন কীভাবে… আর যদি স্বাধীনতা বলে স্বীকার করেই নিই, তাহলে এ কথাও মাথায় রাখার, স্বাধীনতা কখনও একদিনে আসে না… অতএব কারুর আত্মহত্যায় ‘কেন করল?’ এ প্রশ্ন বরং আমরা নিজেদের করি…

Author Akash Gangopadhyay

আকাশ লিখতে ভালোবাসে, ভালোবাসে গাছপালা আর বাইক রাইড! একসময় খেলাধুলার সঙ্গে কাটিয়েছে এক দশকেরও বেশি সময়। গত বেশ কয়েক বছর ধরে বাংলা পোর্টালে কর্মরত। যদিও মন থেকে ব্যবসার প্রতি এক অদ্ভুত টান আছে তার!

Picture of আকাশ গঙ্গোপাধ্যায়

আকাশ গঙ্গোপাধ্যায়

আকাশ লিখতে ভালোবাসে, ভালোবাসে গাছপালা আর বাইক রাইড! একসময় খেলাধুলার সঙ্গে কাটিয়েছে এক দশকেরও বেশি সময়। গত বেশ কয়েক বছর ধরে বাংলা পোর্টালে কর্মরত। যদিও মন থেকে ব্যবসার প্রতি এক অদ্ভুত টান আছে তার!
Picture of আকাশ গঙ্গোপাধ্যায়

আকাশ গঙ্গোপাধ্যায়

আকাশ লিখতে ভালোবাসে, ভালোবাসে গাছপালা আর বাইক রাইড! একসময় খেলাধুলার সঙ্গে কাটিয়েছে এক দশকেরও বেশি সময়। গত বেশ কয়েক বছর ধরে বাংলা পোর্টালে কর্মরত। যদিও মন থেকে ব্যবসার প্রতি এক অদ্ভুত টান আছে তার!

One Response

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Subscribe To Newsletter

কথাসাহিত্য

সংস্কৃতি

আহার

বিহার

কলমকারী

ফোটো স্টোরি

উপন্যাস

Banglalive.com/TheSpace.ink Guidelines

Established: 1999

Website URL: https://banglalive.com and https://thespace.ink

Social media handles

Facebook: https://www.facebook.com/banglaliveofficial

Instagram: https://www.instagram.com/banglalivedotcom

Twitter: @banglalive

Needs: Banglalive.com/thespace.ink are looking for fiction and poetry. They are also seeking travelogues, videos, and audios for their various sections. The magazine also publishes and encourages artworks, photography. We however do not accept unsolicited nonfiction. For Non-fictions contact directly at editor@banglalive.com / editor@thespace.ink

Time: It may take 2-3 months for the decision and subsequent publication. You will be notified. so please do not forget to add your email address/WhatsApp number.

Tips: Banglalive editor/s and everyone in the fiction department writes an opinion and rates the fiction or poetry about a story being considered for publication. We may even send it out to external editors/readers for a blind read from time to time to seek opinion. A published story may not be liked by everyone. There is no one thing or any particular feature or trademark to get published in the magazine. A story must grow on its own terms.

How to Submit: Upload your fiction and poetry submissions directly on this portal or submit via email (see the guidelines below).

Guidelines:

  1. Please submit original, well-written articles on appropriate topics/interviews only. Properly typed and formatted word document (NO PDFs please) using Unicode fonts. For videos and photos, there is a limitation on size, so email directly for bigger files. Along with the article, please send author profile information (in 100-150 words maximum) and a photograph of the author. You can check in the portal for author profile references.
  2. No nudity/obscenity/profanity/personal attacks based on caste, creed or region will be accepted. Politically biased/charged articles, that can incite social unrest will NOT be accepted. Avoid biased or derogatory language. Avoid slang. All content must be created from a neutral point of view.
  3. Limit articles to about 1000-1200 words. Use single spacing after punctuation.
  4. Article title and author information: Include an appropriate and informative title for the article. Specify any particular spelling you use for your name (if any).
  5. Submitting an article gives Banglalive.com/TheSpace.ink the rights to publish and edit, if needed. The editor will review all articles and make required changes for readability and organization style, prior to publication. If significant edits are needed, the editor will send the revised article back to the author for approval. The editorial board will then review and must approve the article before publication. The date an article is published will be determined by the editor.

 

Submit Content

For art, pics, video, audio etc. Contact editor@banglalive.com