আত্মহত্যা এক একক কবিতাপাঠ। যেখানে অন্য কারও অংশগ্রহণ নেই, আপনি মঞ্চে, বাকিরা নীরব দর্শক। মানুষ কেন করে আত্মহত্যা? পৃথিবীর জটিলতম প্রশ্নগুলির মধ্যে একটি এটি। পরিচিতির পরিধিতে আত্মহত্যার উদাহরণ নেই এমন মানুষ পাওয়া বিরল! কারা করে, কেন করে, অন্য কোনও রাস্তাই কি বেঁচে থাকে না তাদের কাছে? বলা মুশকিল! কেউ লিখে রেখে যান, কেউ সমস্ত রহস্য নিয়ে চলে যান নিজের সঙ্গেই। তবে কি কেবলই হতাশা? পিছিয়ে পড়া বা হার মেনে নেওয়া? আজ থেকে দশবছর আগে বসে করলে আলোচনা হয়তো এমনই হত। তবে আজকের যুগে বসে এই বিধান দিয়ে দেওয়া অত্যন্ত কুরুচিকর এবং বোকামি। বরং বলা যায় এ এক মুক্তির পথ, শান্তিরও। হয়তো বা, খানিক শায়েস্তা করা সে সমস্ত কিছুকে যা ক্রমশ কঠিন করে তোলে রোজ আমাদের বেঁচে থাকাকে। আত্মহত্যা কি তাহলে স্বাধীনতা? তেমনই কি মনে করেন একজন মানুষ এই পথ বেছে নেওয়ার আগে?
পাঠক ভুল বুঝবেন না… আত্মহত্যাকে স্বাধীনতা বলার ধৃষ্টতা করার জায়গায় আমরা নেই। আমাদের আইনও অনুমতি দেয় না স্বেচ্ছামৃত্যুর। তবে যিনি মুক্তি দিচ্ছেন নিজেকে তাঁর কাছে কি স্বাধীনতাই নয় এই পদক্ষেপ? হয়তো বা। (Cover Story)
‘মৃতরা জীবিতের শোক বহন করে না’
আর তাই এমন সিদ্ধান্তে পরাজয় নয় বরং ফুটে ওঠে মুক্তিরই চিন্তা। এই নিয়ে একটুআধটু লেখাপড়া করলে জানা যায়, মৃত্যুকে নিয়ে স্বপ্ন দেখেন অনেকেই। আত্মহত্যার জন্য খুঁজে বেড়ান পছন্দের জায়গা, প্রিয় অথবা সহজতম কৌশল। রীতিমত রেকি করেন এক-দুবছর। আপনার আমার এবং ভিড়ের মাঝেই ব্যস্ততম কোনও একটি দিন, একজন মানুষ খুঁজে বেড়াচ্ছেন তাঁর মৃত্যুর শ্রেষ্ঠতম উপায় এবং অবস্থান। ভাবতে অবাক লাগে না?
প্রতিটা মানুষ আলাদা, তাই তাদের মৃত্যু চেতনাও ভিন্ন। একদিকে দাঁড়িয়ে কবি ও শিল্পীরা, মৃত্যুর আগেই যাঁরা মৃত্যুকে লিখে অথবা এঁকে ফেলেছেন নিজেদের সৃষ্টিতে। তাঁদের অধিকাংশই মৃতদেহের পাশে নয়, বরং বছরের পর বছর ধরে লিখে গেছেন আত্মহত্যার চিঠি। আমরা ভেবেছি কবিতা, গান বা ছবি…
কখনও সুযোগ হলে একটি সংকলন করা যেতে পারে এই সমস্ত লেখা নিয়ে। একজন কবি বা লেখক তাঁর পরিবার ফেলে, সৃষ্টি ফেলে, ভালোবাসা অথবা তাঁর পৃথিবী ফেলে চলে যাচ্ছেন। ভাবছেন না কোনও পিছুটানের বিষয়ে। অথবা আমাদের থেকে কিছুটা বেশিই ভাবছেন বলে বেছে নিচ্ছেন এই পথ। বেঁচে থাকা যদি কঠিন হয়, স্বেচ্ছায় চলে যাওয়া হয়তো তার চেয়েও বেশি কঠিন। কেবল এই যুক্তি প্রতিরোধ করার জন্য উপস্থিত নেই তারা কেউ।
আত্মহত্যা কি খুব আত্মকেন্দ্রিক? নিজের স্বার্থের দিকে তাকিয়েই কি নেওয়া হয় সিদ্ধান্ত? অভিজ্ঞতা বলে, না। বরং অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তাঁরা আমাদের চেয়ে বেশি সংবেদনশীল। তাঁরা সমাজ নিয়ে চিন্তিত এবং সরবও। লেখায় বারবার ফিরে আসে সে-কথা। ফিরে আসে রাজনীতি, সামাজিক অবক্ষয়। সমাজের ব্যাধি নিয়ে লিখে গেছেন তাঁরা সময় সুযোগ মতো। অতএব এ দাগে দাগিয়ে দেওয়া অন্যায় যে কেবল নিজের মুক্তি, নিজের স্বাধীনতার লোভ কাউকে এই সিদ্ধান্তে এগিয়ে আনতে পারে…
“আগ্রহ শুধু প্রতিশোধে। যারা তার বাড়ি এসে তার শরীর মাড়িয়ে একটা অপমান সৃষ্টি করেছিল, ইন্দিরা গান্ধি হয়ে তার বদলা নেবে। তাই কণ্ঠস্বরে তীব্রতা বাড়ে, ভাষ্য একই থাকে। সারাদিন, সারারাত লীলাবতী এখন আর অন্য কিছু না করে একটাই বাক্য বলে যায়।”

অদ্রীশ বিশ্বাস। একজন লেখক, শিক্ষক, তাত্ত্বিক এবং একজন গুরুত্বপূর্ণ সম্পাদক। অদ্রীশবাবু কতটা মেধাবী ছিলেন তা তাঁর পরিচিতদের সঙ্গে কথা বললেই জানা যায়। ২০১৭ সালের ১৪ জুন অদ্রীশ বিশ্বাস আত্মহত্যা করেন। এর বেশ কিছুদিন আগে থেকেই এক প্রবল মানসিক দুর্যোগে ভুগছিলেন তিনি। ২০১৫ সালে ‘সেবক’ মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। একমাস বা তার কিছু বেশি সময় থেকে ফিরে আসেন। কিন্তু ফিরে আসেন এক প্রবল ক্ষোভ নিয়ে। এই সময় থেকে প্রায় আগামী দু’বছর সোশ্যাল মিডিয়াতে নিজের বিভিন্ন ব্যক্তিগত ও সাংসারিক ক্ষোভ প্রকাশ করে গেছেন তিনি। সমাজের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করেছেন, অকথ্য ভাষায়। নিজের উপর হামলার কথা জানিয়েছেন, জানিয়েছেন নিজের সন্দেহের কথা। এবং শেষ অব্দি একদিন আত্মহত্যা করেছেন। সাতবছর পেরিয়ে আজ সেসব স্মৃতি প্রায় মুছেই গেছে ভার্চুয়াল জগত থেকে। রয়ে যাওয়ার মধ্যে তাঁর লেখা। শুরুর অংশের উক্তিটি তাঁর লেখা ‘লীলাবতী’ উপন্যাস থেকে। লীলাবতী এক উদ্বাস্তু মেয়ে, যে বিশ্বাস করে স্বপ্নও এমন দেখা উচিত নয় যা কোনওদিন সত্যি হবে না। আর তাই সে কেবল তার প্রিয় আমগাছের একটা আঁটি নিয়ে দেশ ছেড়ে চলে আসে ইন্ডিয়ায়। এই দৃশ্যকল্প অদ্রীশের দেখা নয়। তিনি জন্মেছেন ১৯৬৮-র শ্রীরামপুরে। এ তাঁর শ্রুতি, পাঠ ও কল্পনার ফসল। অথচ এ উপন্যাস পড়লে মনে হবে যেন লেখকের খুব কাছের কারুর ঘটনা এসব।

আস্যাইলামে যাওয়ার আগের এবং ফেরার পরের অদ্রীশ বিশ্বাস যে এক মানুষ নন তা বোধহয় জানেন পরিচিতরা, তবে পাঠকের কাছে এই বিষয় আরও পরিষ্কার করে দেয় তাঁর শেষ বই, অ্যাসাইলামের ডায়ারি। বাংলায় এমন বই বিরল।
‘পাগলের
এঁটোকাঁটা খেয়ে
যে কুকুরেরা বাঁচে
তারাও কি একদিন
পাগল হয়ে যাবে?’
লিখছেন
‘ওয়ার্ডে
কোথায়ও
কোনো
আয়না নেই।’
অদ্রীশবাবুর মানসিক অস্থিরতা বহুদিন ধরেই জনসমক্ষে থেকেছে। আমরাই হয়তো এড়িয়ে গিয়েছি অথবা করুণা করেছি সেসব দেখে। প্রকাশ্যে নিজের ব্যক্তিগত কথা তুলে এনেছেন, সমাজের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। হয়তো নিজেকে একঘরে করে নেওয়াই উদ্দেশ্য ছিল তাঁর। অদ্রীশ বিশ্বাস মেধাবী ছিলেন, জনপ্রিয় নন তাই তাঁর মৃত্যুর পর আর তেমনভাবে আলোচনা হয়নি বাংলা সাহিত্যে…
‘উঠোনের রোদে এসে বোসো।
শ্বাস নাও, জুড়াও শরীর।
ছায়ার স্বপ্ন দেখো।
যেইভাবে দশতলা বাড়ির স্বপ্ন দেখে
তৃতীয় বিশ্বের এক ক্লান্ত নাগরিক।’

সৌম্য চক্রবর্তী। কবি ও সাংবাদিক। আজকালের শিলিগুড়ি অফিসে চাকরি করতেন তিনি। পরে চলে আসেন কলকাতায়। ফিরে গিয়ে অন্য একটি পোর্টালে কাজ করেন কিছুদিন। সৌম্য কবি হিসাবে সেলিব্রেটেড ছিলেন না। প্রচারও যে খুব পেয়েছেন তা নয়। ওঁর মেলামেশার গণ্ডিতেও জনপ্রিয় কবি প্রায় কেউ ছিলেন না বললেই চলে। ২০১৯ সালে, তবে জুন মাসেই আত্মহত্যা করেন সৌম্য। ৩৯ বছর বয়সে। ১২ জুন, অদ্রীশ বিশ্বাসের ঠিক একদিন আগে। তিনটি প্রকাশিত কবিতার বই ছিল তাঁর। ‘বসন্তের বৈকুণ্ঠপুর’, ‘আরশিনগরে একা’ এবং ‘কবির জীবন’।

বলে রাখা ভালো সৌম্য চক্রবর্তী ছিলেন একজন প্রতিভাবান চিত্রশিল্পীও। এই ঘটনার কিছুদিন আগে তিনি মা’কে হারান। সৌম্যর ছবির কাজে এক অদ্ভুত জিনিসের উল্লেখ না করলেই নয়। সমস্ত আঁকায় নিজের সইটিকে আঙুল দিয়ে মুছে তোলার মতো করে ঘেঁটে দিতেন তিনি। এ এক অদ্ভুত স্টাইল তাঁর। পাশে লেখা থাকত সাল। জানলে অবাক হতে হয়, আত্মহত্যার আগের দিন রাত্রে একটি ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেন তিনি। পোকামাকড়ের এই ছবি দিয়ে কিছু হয়তো বোঝাতে চেয়েছিলেন তিনি। আমরা সেসব বুঝতে পারিনি। ঠিক যেমন বুঝতে পারিনি তাঁর কবিতা আসলে এক সুইসাইড লেটার।
“এখানে কোথাও নেই আমি,
বাকি সব যেমন তেমনই।
আকাশের চাঁদ-তারা,
আঙিনায় উনুনের আঁচ,
সকালের ঘুম ভাঙা,
চায়ের রেওয়াজ!
একই আছে সবকিছু,
একই থেকে যায়,
আমার না-থাকা শুধু
আমাকে ভাবায়।”
সৌম্য চলে গেছেন পাঁচবছর হতে চলল। আত্মহত্যা যদি স্বাধীনতা হয় তবে সৌম্যর এই পাঁচবছরের স্বাধীন জীবন থেকে তিনি কি দেখতে পাচ্ছেন সমাজের অবস্থা? তাঁরই কোনও এক আত্মীয় তাঁর মৃত্যু সংবাদে এসে লিখে গেছিলেন ‘আত্মহনন তো ব্যর্থতাকে মেনে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার নাম’…
‘আমি আমার জন্ম দেখতে চাই
আমি আমার মৃত্যু দেখব না বলে’

অরিত্র সোম, তুলনায় অনেক বেশি চর্চিত। বন্ধুদের দৌলতে অথবা নিজের সিদ্ধান্ত যে কারণেই হোক, যে প্রচার জীবিত অবস্থায় সে পায়নি তার খানিকটা অন্তত চলে যাওয়ার পর পেয়েছে বলে মেনে নেওয়াই যায়। তবে সেই প্রচার কোনও আর্তি থেকে নয়। বরং বলা ভালো লেখার যোগ্যতায়, অসময়ে নিজের জায়গা খুঁজে পেল অরিত্র সোম। আমাদের এই অনুজপ্রতিম কবির বয়স হয়েছিল ২৮ বছর। ১৯৯৫ সালে জন্ম তার। ২০২৩ সালের ১৪এপ্রিল অরিত্র আত্মহত্যা করে বাড়ির একমাত্র ঘরে এবং আশ্চর্যের বিষয়, দুপুরবেলায়। মা বাবাকে ট্যাক্সি ধরে চোখের ডাক্তার দেখাতে পাঠিয়ে ফাঁকা ঘরে এই সিদ্ধান্ত নেয় অরিত্র। সিদ্ধান্ত নেয় বলা ভুল, এসব ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত বহুদিন আগেই নেওয়া হয়। চেষ্টাও চলে একাধিকবার। তারপর অনেকগুলি বিফল চেষ্টার পর জেদ হয়ে ওঠে এই সিদ্ধান্ত। কিন্তু অবশেষে যখন সাফল্য আসে, তখন তা উদ্যাপনের জন্য বেঁচে থাকেন না মানুষটি। অরিত্র একাধারে ভালোবাসা চেয়েছিল, চেয়েছিল শান্তি, প্রশংসা। আরেকদিকে মুক্তিও চেয়েছিল নিশ্চয়। এই সমাজের প্রতি কতখানি বিরক্ত ছিল ও তা হয়তো না মিশলে বোঝা যেত না, অথচ এই সমাজের কাছেই প্রতিষ্ঠাও চেয়েছিল কবি হিসাবে। এই দ্বিধাই কি কোথাও চিন্তায় ফেলেছিল কবিকে? জিজ্ঞাসার অবসর নেই। তবে দীর্ঘ ছ-সাতবছর ধরে একটি হাসিমুখের যে বিবর্তন আমরা দেখেছি, বলতেই পারি এই মুক্তি, এই স্বাধীনতা বা সাফল্যই ওর গন্তব্য ছিল। এবারটাও বাঁচিয়ে ফেলতে পারলে হয়তো আরও একবার, আরও ভালো পরিস্থিতিতে গিয়ে কিছু ঘটিয়ে ফেলত অরিত্র।

অরিত্রর জীবনে দুটি বই, ‘রামকৃষ্ণ হার্ডওয়্যারস লেন’ এবং ‘অরিত্র সোমের কবিতা’। দ্বিতীয়টি ওর মৃত্যুর পর প্রকাশিত। একটি প্রায় সমগ্র কবিতার বই। এই বইয়ের সম্পাদনা করতে গিয়ে আমরা দেখি গত বেশ কয়েকবছর ধরে কেবল সুইসাইড নোটই লিখে গেছে অরিত্র তার অধিকাংশ কবিতায়। সেসব কবিতা রয়ে গেছে তার ডায়রিতেই। যদিও প্রকাশ্যে এলে হয়তো তার কাব্যগুণ নিয়ে আলোচনা হত, মানসিক স্বাস্থ্যের কথা ভুলেও মাথায় আসত না আমাদের… অরিত্র খুব কম বয়সে প্রচুর লিখেছে। ডায়রি লেখার অভ্যাসে লিখে গেছে পাতার পর পাতা। ঘরের দরজা বন্ধ করে মৃত্যুর সঙ্গে ওর এই যাপনে ও ঢুকতে দেয়নি বাবা-মাকেও। আর এই একান্ত যাপন থেকে উঠে এসেছে একের পর এক সাংঘাতিক সব লেখা
‘আমি লালচোখেই দেখতে চেয়েছিলাম, সংসার
ইয়োর অনার, এবার তবে
দড়ি দিন একটা; বেশ শক্ত, পাকানো দড়ি’
২০১৮ সালে, আত্মহত্যার পাঁচ বছর আগে বসে একজন লিখছে এই প্রস্তুতির কথা। হয়তো এরও আগের কোনও কবিতায় উল্লেখ পাওয়া যাবে ওর মৃত্যুচেতনার। অরিত্র আমাদের বন্ধুও। আমাদের থেকে সে এগিয়ে রইল দু’জায়গায়, প্রথমত জীবনের সবচেয়ে সুন্দর বয়সটি ধরে রেখে দিল। বয়স বাড়ার ঝামেলায় পা মেলাল না। রোগে ভোগা বা ক্লান্তিকর জীবন থেকে অনেক দূরে দাঁড়িয়ে আমাদের দেখে হাসবে ও… দ্বিতীয়ত জীবনের শেষ বই দিয়ে গুটিয়ে ফেলল নিজের লেখক জীবন…
আত্মহত্যা যদি স্বাধীনতা না হয়, তাহলে যুগ যুগ ধরে ভিড়ের মাঝের এই মানুষগুলিকে আমরা ধরে রাখতে অক্ষম কেন? স্বাধীন হওয়ার উত্তেজনায় সবার চোখের আড়ালে এঁরা এক অন্য জীবন যাপন করে চলেছেন কীভাবে… আর যদি স্বাধীনতা বলে স্বীকার করেই নিই, তাহলে এ কথাও মাথায় রাখার, স্বাধীনতা কখনও একদিনে আসে না… অতএব কারুর আত্মহত্যায় ‘কেন করল?’ এ প্রশ্ন বরং আমরা নিজেদের করি…
আকাশ লিখতে ভালোবাসে, ভালোবাসে গাছপালা আর বাইক রাইড! একসময় খেলাধুলার সঙ্গে কাটিয়েছে এক দশকেরও বেশি সময়। গত বেশ কয়েক বছর ধরে বাংলা পোর্টালে কর্মরত। যদিও মন থেকে ব্যবসার প্রতি এক অদ্ভুত টান আছে তার!
One Response
emonkolyan@gmail.com