আসিতেছে আসিতেছে আসিতেছে! না, বায়োস্কোপ নহে। নহে যাত্রাপালা। নহে বাবুবিবিদের থ্যাটার। ধেয়ে আসিতেছে ঢেউ। না, সমুদ্র্রের নহে। ভাইরাসের। কোভিড নামক মারণ জীবাণুর। দ্বিতীয় ঢেউয়ে পুরা দেশকে যৎপরোনাস্তি নাকানি চুবানি খাওয়াইবার পর সবে লোকে কিঞ্চিৎ হাঁফ ছাড়িবার উপক্রম করিতেছে। হেনকালে শুনা গেল ‘আসিতেছে’ রব। তৃতীয় ঢেউ জাগ্রত দুয়ারে! প্রশাসন দ্বিধাগ্রস্ত… বিধিনিষেধ তুলিবে কি তুলিবে না! ব্যবসায়ীরা দ্বিধাগ্রস্ত… বাজার পুরাদমে খুলিবে কি খুলিবে না! জনতা বিধ্বস্ত। বাসের পাদানিতে ঝুলিবে কি ঝুলিবে না! নানা মুনির নানা মত।
রাস্তায় বাস ট্রাম লোকাল ট্রেন অপ্রতুল। এইদিকে কাজকর্ম বন্ধ করিয়া ঘরে বসিবার আর উপায় নাই। পেটের জ্বালা বড় জ্বালা। গুঁতাগুঁতি করিয়া আপিসে গতায়াত আবশ্যক। এদিকে মনে ভয়, এই বুঝি সে আসিছে ফিরিয়া! তৃতীয় ঢেউ। সংবাদমাধ্যম নিত্যদিন নানাপ্রকার সংবাদে জনতার দুশ্চিন্তার পারা চড়াইয়া তোলে। কোভিড ক্রমে বাড়িতেছে বলিয়া রোজই নানা ভীতিপ্রদ সংবাদ পরিবেশিত হয়। বাঁচিবার রাস্তা কী? এ প্রশ্নে সকলেই নিরুত্তর। ব্যাংকে অর্থ নাই, পেটে ভাত নাই, গাড়িতে তেল নাই, আপিসে ছুটি নাই, স্বাস্থ্যকেন্দ্রে টিকা নাই, গিন্নির মুখে হাসি নাই, শিশুদের খেলিবার স্থান নাই… এক ভাইরাসে তামাম জনগণকে নাই-রাজ্যে আনিয়া ছুড়িয়া ফেলিয়াছে। আর সবচেয়ে বড় কথা, ইহা হইতে আশু পরিত্রাণ নাই।
অভিষেক পেশায় সফটঅয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। খুব ছোটবেলা থেকেই কার্টুন-প্রেম। সেই ভালোবাসার টানেই প্রিয় কার্টুনিস্টদের আঁকা খবরের কাগজ থেকে কেটে নকল করতেন। এইভাবেই নিজের ইচ্ছে, উৎসাহ আর অনুসন্ধিৎসা সঙ্গী করেই কার্টুন আঁকা শেখা। ২০১৫ সাল থেকে কলকাতার কার্টুনদলের একনিষ্ঠ সদস্য।