Generic selectors
Exact matches only
Search in title
Search in content
Post Type Selectors

‘দাহপত্র’ নিয়ে দু-চার কথা

বাংলালাইভ

জুন ২১, ২০২৪

Dahapatra
Bookmark (0)
Please login to bookmark Close

দাহপত্রকথা(Little Magazine)
জুন ২০২৩

“সুফিবাদের রহস্যপুরুষ শামস-ই-তাবরিজী-র ‘কথা’ পড়ছিলাম। এক জায়গায় বলছেন— ‘… আমি অক্ষর ছাড়া কথাকে বলি— তুমি যদি কথা হও, তাহলে এগুলো কী?

সে বলে— আমার কাছে এগুলো খেলনা।

আমি বলি— তাহলে তুমি আমাকে খেলনার কাছে পাঠিয়েছ?

সে বলে— না, তুমি এটা চেয়েছিলে। তুমি পানি ও কাদার তৈরি একটি বাড়ি চেয়েছিলে, যা আমি জানি না, দেখতেও পাই না।’…

ধরতে-ছুঁতে পারার মতো কিছু, জল ও কাদার এক নির্মাণ আমাদের আশ্বস্ত করে। আমরা তাকে বুঝতে পারি। আর, বুঝতে পারি বুঝলে এক ধরনের তৃপ্তি হয়। কিন্তু যে কথা বলতে চেয়েছিলাম তা নির্মাণে এসে, নানা কারুকার্যময় খেলনায় এসে, ব্যর্থ হয়ে যায়। খেলনা অর্থে শব্দ ও বাক-বিন্যাস, সেসব আমরা এড়াব কী করে! কবি অমিতাভ মৈত্র বলেছেন, কবিতার শব্দকে হতে হবে আত্মবিস্মৃত, অ্যালজাইমারগ্রস্ত। কবিতার জন্য ব্যবহার্য শব্দ তার আভিধানিক অর্থকে ভুলে যাবে। এও কি সম্ভব? অমিতাভ মৈত্র এটা সম্ভব করার চেষ্টা করে গেছেন জীবনের শেষ পর্যন্ত। এই চেষ্টা আমরা দেখেছি কবি শম্ভু রক্ষিতের কবিতায়। তিনি বলেছেন যে পাঠককে তিনি সেইসব জায়গায় নিয়ে যেতে চান, গাড়ি-ঘোড়া-বিমান যে জায়গায় পৌঁছে দিতে পারে না। বলেছেন যে তিনি ভূতেদের জন্য লেখেন।

ভূত তাড়িয়ে ‘কবি’ তার কবি-ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে যা যা করণীয় তা কোমর বেঁধে করছে এমনও দেখতে পাই চারপাশে তাকালে। একটি মঞ্চ ও মুখের সামনে একটা মাইক্রোফোন পেতে তাদের জীবনের অনেকটা সময় ও প্রাণশক্তি ক্ষয়ে যাচ্ছে, দেখি! ‘কবিসম্মেলন’-এর মতো এক কিমাকার শব্দের দিকে ছুটে গিয়ে মোয়া বাঁধতে দেখছি তাদের। এসব করতে করতে জীবনানন্দের কণ্ঠ, ‘পৃথিবীর সমস্ত জল ছেড়ে দিয়ে যদি এক নতুন জলের কল্পনা করা যায়…’, কোথায় ভেসে যায়! জেগে থাকে শুধু মঞ্চ, মাইক্রোফোন, ছাপা-ছাপা-ছাপা, আর ‘দাদা’ নামক ইষ্টদেব। এই জপতে জপতে ‘জপাৎ সিদ্ধি’ ঘটে, কবি বিখ্যাত কবি হয়ে উঠতে থাকেন। তখন তো তিনিই বলবেন, আর যখন-তখন খাতার পাতায় নামিয়ে আনবেন ‘কবিতা’! তখন তিনি যা-ই লিখবেন তা কবিতা হতে বাধ্য।

ভূতগ্রস্ত, চারপাশের ফক্কিকারির সঙ্গে মিলতে না-পারা, স্বগতোক্তির মতো একা মানুষের বড়োই আকাল এখন।

যাক সে কথা। আপাতত বলার, দাহপত্রের আরও একটি সংখ্যা বেরিয়ে গেল। এ সংখ্যা কবিতা ও অনুবাদ-সহ বুকে ধরে আছে একটি ক্রোড়পত্র ও একটি স্মরণাক্ষর, অল্পদিন আগে প্রয়াত দুই কবি উজ্জ্বল সিংহ এবং অমিতাভ মৈত্রকে নিয়ে।

প্রিয় পাঠক, আপনাকে লক্ষ করছে দাহপত্র।’’

কমলকুমার দত্ত, সম্পাদক: দাহপত্র

১৯৯৫ সালের ডিসেম্বরে ‘দাহপত্র’ নামে একটি কবিতামনস্ক কাগজ পাঠকের সামনে হাজির হয়েছিল। ৩০ বছরে পড়তে চলল, কাগজটি এখনও হাজিরা দিয়ে চলেছে। ২৯ বছরে ৪০টি সংখ্যা। ঘোষিতভাবে ষাণ্মাসিক, পাঠকের ৫৮টি সংখ্যা প্রাপ্য হয়, ১৮টি কম পড়িয়াছে। যা হয় আর কি। সম্পাদক সাময়িক হতাশায় চলে গেলে কাগজ চলে গেছে স্লিপমোডে। কখনো বছরে দুটোর আয়োজন লেগে গেছে একটা সংখ্যার পেছনে।

মনে পড়ে প্রথম সংখ্যা প্রস্তুতির উত্তেজনার কথা। কতবার যে ডামি তৈরি করেছিলাম! দাহপত্রের নামলিপি করে দেবার জন্যে পূর্ণেন্দু পত্রীকে ক্রমাগত পোস্টকার্ডে দাবি জানিয়েছি। না পেয়ে শেষপর্যন্ত গৌতম ঘোষ দস্তিদারের কাছে। গৌতমদা করে দিলেন। কাগজ ছাপতে দিতে যাব এমন একদিন ডাকে একটা বড়ো খাম এসে পৌঁছোল। খুলে দেখি পূর্ণেন্দু পত্রীর করা মলাট, সঙ্গে ধমক দিয়ে চিঠি, যে, কোনো সভ্য দেশে কেউ শিল্পীকে বলে না আপনি আঁকুন এবং আপনিই ডাকখরচ করে পাঠিয়ে দিন। আর বললেন, তবু যে পাঠালাম তার কারণ আপনার চিঠিগুলি পড়ে মনে হয়েছে আপনারা নতুন কিছু করতে চান। শেষে লিখেছিলেন, যেহেতু নাম ‘দাহপত্র’ তাই নামের উপরে ও নীচে কিছু আম আর তেঁতুল কাঠ বিছিয়ে দিলাম। গৌতমদা বললেন পূর্ণেন্দু পত্রীরটাই ছাপো। ছাপা হল। তবে মনে একটা অপরাধবোধ থেকে গিয়েছিল। পরে কয়েকটি সংখ্যা গৌতমদার করা নামলিপি দিয়েই ছাপা হয়েছিল দাহপত্র।

ভেবেছিলাম দাহপত্রে কোনো সম্পাদকীয় থাকবে না, যুক্তি ছিল এক-একটি সংখ্যাই তো সেই সেই সংখ্যায় সম্পাদকের দৃষ্টিকোণ, আর সেটাই তো প্রকৃত সম্পাদকীয়। তবে কয়েকজনের অনুরোধে সে প্রতিজ্ঞা রাখা যায়নি। প্রথম সংখ্যায় সম্পাদকীয় ছিল দুটি বাক্যে, ‘পরবর্তী সাদা পৃষ্ঠাগুলি জুড়ে ছড়ানো রইল আমাদের দাহচিহ্ন। পাঠক, আপনি নিজেকে শনাক্ত করুন।’ আর এর মাথায় ছিল ঈশ্বর গুপ্তর বাইশ পঙ‌্ক্তির কবিতা ‘সৃষ্টি’। প্রথম সংখ্যায় বিনয় মজুমদার, গৌরাঙ্গ ভৌমিক, পার্থপ্রতিম কাঞ্জিলাল, জয় গোস্বামী, চৈতালী চট্টোপাধ্যায়, পিনাকী ঠাকুর,উত্তর বসু, রণবীর দত্ত, দেবব্রত চৌধুরী, পরেশ দাসের গুচ্ছ কবিতা ছিল। ছিল পূর্ণেন্দু পত্রী, তারাপদ রায়, নবনীতা দেবসেনের কবিতা। পছন্দের ‘অন্য গদ্য’ না পাওয়ায় পুনর্মুদ্রিত হয়েছিল গোপালচন্দ্র ভট্টাচার্য, মিখাইল ইলিন ও ইয়েলেনা সেগাল, পিওতর মান্তেইফেল, উৎপলকুমার বসু, বাল্মিকী, কমলকুমার মজুমদারের লেখার অংশবিশেষ। ‘আমাদের কথা’ শিরোনামে ছিল পত্রিকার নিজস্ব ঘোষণা:

*‍ ‘দাহপত্র’ কবিতাপ্রধান কাগজ। পাশাপাশি পরীক্ষা-নিরীক্ষাধর্মী গল্প, প্রবন্ধ, ব্যক্তিগত গদ্য ছাপা হবে।

*‍ আপনি যেখানেই থাকুন, যে-কোনো দশকে বা সাহিত্যবলয়ে, ‘দাহপত্র’-এর কিছু এসে যায় না। আপনার প্রকৃত দহনজাত কবিতা ও অন্যগদ্যের জন্য ‘দাহপত্র’ অপেক্ষা করে আছে।

*‍ পাণ্ডুলিপি ফেরত পাঠানো সম্ভব নয়, কপি রেখে লেখা দেবেন।

*‍ ‘দাহপত্র’-এর পাঠক হিসেবে আপনার প্রতিক্রিয়া আমাদের লিখিতভাবে জানতে দিন।

*‍ এই মুহূর্তে গ্রাহক করার কোনো পরিকল্পনা আমাদের নেই।

*‍ ‘দাহপত্র’ বছরে দু-বার বেরোবে। সাধ ও সাধ্যের ব্যবধানের কারণে আপাতত প্রতি সংখ্যায় এক জন লেখক/ কবিকে আমরা সামান্য সাম্মানিক দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

দ্বিতীয় সংখ্যার ‘দাহপত্রকথা’-য় লেখা হল, ‘প্রথম সংখ্যার দু-লাইনের সম্পাদকীয় কেউ-কেউ পছন্দ করেননি। যাঁরা পত্রিকার দৃষ্টিভঙ্গী সম্পাদকীয় থেকে বুঝে নিতে চান আমরা তাঁদের সঙ্গে সহমত নই। আমাদের মনে হয়েছে পত্রিকার একটি সংখ্যা সমগ্রভাবে সেই সংখ্যার সম্পাদকীয়। পৃথকভাবে পত্রিকার পক্ষে কিছু বলতে চেষ্টা করা অর্থহীন, যদি সংখ্যাটি নিজে সেই কথা বলতে না পারে। ফলে, এখানে রইল দু-একটি নেপথ্য-সংবাদ ও তথ্যসূত্র, যা পত্রিকা থেকে পাঠকের জানবার কথা নয়।…’

এ সংখ্যায় পুনর্মুদ্রিত হয়েছিল ‘সৃজনী’ প্রকাশিত ‘শিকড়ের খোঁজে গ্রন্থমালা’ সিরিজের ছয় নম্বর পুস্তিকা পবিত্রকুমার ঘোষের ‘বুদ্ধদেব বসু: সাহিত্যে প্রতারিত ও প্রতারক’ থেকে অংশবিশেষ। পত্রিকার পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, ‘এই সমালোচনার বিপ্রতীপ যুক্তিপূর্ণ বক্তব্য পেলে তা ছাপতেও সমান আগ্রহী আমরা’। এ সংখ্যাতেও ছাপা হয়েছিল বিনয় মজুমদারের কবিতাগুচ্ছ। প্রথম সংখ্যা পড়ে মণীন্দ্র গুপ্ত যে-চিঠিটি লিখেছিলেন তা ছাপা হয়েছিল এই দ্বিতীয় সংখ্যায়। চিঠির অংশ, ‘‘আপনার পাঠানো ‘দাহপত্র’ পেয়েছি। আমিও তো এককালে কাগজ করেছি, সুতরাং দেখেই বুঝতে পারছি কতখানি চেষ্টা যত্ন আশা পরিকল্পনা ও অর্থব্যয় জড়িয়ে আছে এই কাগজটির প্রথম সংখ্যার সঙ্গে। দশ টাকা দামও নামমাত্র। কিন্তু ৬০ জন কবি ১০০টিরও বেশি যে কবিতা দিয়েছেন সেগুলি ছেপে সম্পাদক হিসেবে আপনি কি খুশি? পাঠক হিসেবে আমি কিন্তু এদের মধ্যে কোনো ‘দহন প্রক্রিয়ার’ আভাস পেলাম না। আগুন জল বাতাস— কোনো মৌলেরই ক্রিয়াশীলতার দেখা নেই। মনের চেয়ে যেন কবিতা লেখার অভ্যাসটাই বেশি কাজ করেছে এদের মধ্যে। যাক, আগামী সংখ্যাগুলি তো আপনার হাতে আছে। নিশ্চয় আপনি আরও একটু কঠোর হবেন। পুনরুদ্ধারগুলি interesting।… বিনয় মজুমদারের কবিতা বা গানগুলির একটা অন্য মূল্য আছে।…’’

জুন ২০২৩ সংখ্যার প্রচ্ছদ

গদ্য চেয়ে চিঠি দিয়েছিলাম অমিয়ভূষণ মজুমদারকে। তিনি উত্তর দিলেন, ‘‘… আপনাদের পত্রিকার নাম ‘দাহপত্র’। এই ‘দাহ’টা কি কাব্যের অথবা রাজনীতির? আমার এই ৭৯ বৎসরে কোন ‘দাহ’র সঙ্গে সুর মিলবে কি? এখন অঙ্গার ধৌত করে শান্তিজলের বয়স। আমাকে জানান (১) আপনার পত্রিকার সার্কুলেশন কত হাজারের, (২) লেখক কারা কারা, (৩) চন্দননগরের বাইরে কোন কোন শহরে আপনাদের পত্রিকা পৌঁছোয়, (৪) আমাকে আপনারা কী সূত্রে চিনলেন, (৫) যেকোনো লেখা প্রকাশ হলে লেখক ও প্রকাশকের উভয়পক্ষে লাভ, এক্ষেত্রে আপনাদের কী লাভ হবে, আমার কী লাভ হবে? (টাকার কথা নয়)। সব শেষের প্রশ্ন, ‘ব্যক্তিগত গদ্যরচনা’ বলতে আপনারা কী বোঝাচ্ছেন; এবং ‘কবিতামনস্ক’ শব্দযৌগের দ্যোতনা কী?’’

গৌরাঙ্গ ভৌমিক লিখলেন, ‘‘আমি মে মাসের মধ্যে একটা ব্যক্তিগত লেখা লিখে দেব। সেটা কবিতা- বিষয়ক হতে পারে, আবার নাও পারে। দেখা যাক, শেষপর্যন্ত মেজাজ-মর্জি কেমন থাকে। আমি তো আর এখন আমার হুকুমে চলি না। মনে হচ্ছে, ‘দাহপত্র’ একদিন সম্পাদকীয় সুরুচির ভালো দৃষ্টান্ত হয়ে উঠবে। পত্রিকাটি যাঁরা দেখেছেন, তাঁরাই এর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন।’’ এই দ্বিতীয় সংখ্যায় তাঁর একটি ব্যক্তিগত গদ্য, যা কবিতার বেশি কাছাকাছি, ছাপা হয়েছিল; নাম ‘জীবন বৃত্তান্ত’।

উৎপলকুমার বসুর পোস্টকার্ড পেলাম,

‘যতদূর মনে পড়ে আগে তোমায় একটা চিঠি দিয়েছি— তোমাদের কাগজ বিষয়ে। আমার হাতে এখন কোনো লেখা নেই, অদূর ভবিষ্যতে লিখে উঠতে পারবো বলেও মনে হচ্ছে না। এই মাসের শেষে আমি চাকরী জীবনকে বিদায় জানাচ্ছি। তারপর, কিছুদিন ঘোরাঘুরি খরে, আলসেমিতে সময় কাটাবো। তখন যদি কিছু লেখা হয়।’

এই দ্বিতীয় সংখ্যায় আর যাঁদের চিঠি ছাপা হয়েছিল: অরুণ মিত্র, আলোক সরকার, অতীন্দ্রিয় পাঠক, পার্থপ্রতিম কাঞ্জিলাল, উত্তর বসু, অজিত বাইরী, অমিত নাথ, মানসকুমার চিনি, দিলীপ মিত্র, বিশ্বজিৎ পাল (বনগাঁ), রুদ্র পতি, অর্ণব সাহা, সুব্রত সিন‌্হা, তপন ভট্টাচার্য (রানাঘাট), সমীর মজুমদার (মাইথন), লালমোহন ঘোষ।

এইভাবে শুরু হয়েছিল ‘দহন প্রক্রিয়ার পত্ররূপ দাহপত্র’। এরপর কেটে গেছে ২৯ বছর। এই সময়ের মধ্যে দাহপত্র যাঁদের নিয়ে ক্রোড়পত্র বা সংখ্যা করেছে: মানিক চক্রবর্তী, কৃষ্ণগোপাল মল্লিক, দীপক মজুমদার, সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়, বিনয় মজুমদার,অরুণ কোলাতকার, অরুণেশ ঘোষ, মণীন্দ্র গুপ্ত, তুষার চৌধুরী, উৎপলকুমার বসু, ভূমেন্দ্র গুহ, অমিতাভ মৈত্র, নিত্যব্রত দাস, শম্ভু রক্ষিত, সোমক দাস, উজ্জ্বল সিংহ। যেসব পত্রিকা নিয়ে ক্রোড়পত্র হয়েছে: গল্পকবিতা, শতভিষা, কৃত্তিবাস, অচলপত্র, ক্রুসেড, পুনর্বসু, কবিতাদর্পণ। ভারতের বিভিন্ন ভাষার কবিতার অনুবাদের পাশাপাশি অনূদিত হয়েছে ভ্যান গগের চিঠি; দালির ডায়েরি; ফ্রিদা কাহলোর ডায়েরি; পাবলো নেরুদা, টম গান,জর্জ সেফেরিস, অক‌্তাভিয়ো পাস, গার্থিয়া লোরকা, কাহ‌্লিল জিব্রান, মিরোস্লাব হোলুব, শিম্বোর্স্কা, অ্যাড্রিয়েনে রিচ, বোদল্যের, আঁদ্রেই ভজ‌্নেসেন‌্স্কি, সেসার ভ্যালেহো, প্যাট্রিক লেন, এমিল চিওরণ, পল সেলান, এডভার মুংক, রঞ্জিত হসকোট— এঁদের কবিতা, জার্নাল, ডায়েরি, সাক্ষাৎকার, চিঠিপত্র। অনূদিত হয়েছে সাম্প্রতিক অ্যাফ্রো-আমেরিকান কবিতা, মেক্সিকান-আমেরিকান কবিতা, স্পেনের কবিতার ইতিহাস। হেনরি মিলারের ‘The Time of the Assassins: A study of Rimbaud’ বইটির সম্পূর্ণ অনুবাদ বিস্তৃত টীকা-ভাষ্য-চিঠিপত্রসহ দাহপত্রের তিনটি সংখ্যায় ধারাবাহিকভাবে ছাপা হয়েছিল। এইসব আন্তরিক অনুবাদের জন্য আমরা কৃতজ্ঞ মানবেন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়, উজ্জ্বল সিংহ, ভূমেন্দ্র গুহ, অমিতাভ মৈত্র, শৌভ চট্টোপাধ্যায়, মাহীন হক, নিত্যব্রত দাস, দেবাশিস গুপ্ত, তাপস রায়, প্রদীপ্ত সরকার, অয়ন মুখোপাধ্যায়, পিনাকী ঘোষের কাছে। যদি কারও নাম বাদ পড়ে গিয়ে থাকে সেজন্য আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী। দাহপত্রের সম্পাদকও বিভিন্ন সময়ে অল্প-বিস্তর অনুবাদ করার চেষ্টা করেছেন।

লেখা বাহুল্য যে দাহপত্রের প্রতিটি সংখ্যা ধারণ করে আছে এই সময়ের বাংলা কবিতাকে, দশক বা গোষ্ঠীনিরপেক্ষভাবে।

এইভাবে চল্লিশটি সংখ্যা পেরিয়ে এসে দাহপত্র একচল্লিশ নম্বর সংখ্যার দিকে পা বাড়িয়েছে।

সম্পাদক: দাহপত্র
চন্দননগর, ১৭ মে, ২০২৪

Banglalive.com Logo

বাংলালাইভ একটি সুপরিচিত ও জনপ্রিয় ওয়েবপত্রিকা। তবে পত্রিকা প্রকাশনা ছাড়াও আরও নানাবিধ কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে থাকে বাংলালাইভ। বহু অনুষ্ঠানে ওয়েব পার্টনার হিসেবে কাজ করে। সেই ভিডিও পাঠক-দর্শকরা দেখতে পান বাংলালাইভের পোর্টালে,ফেসবুক পাতায় বা বাংলালাইভ ইউটিউব চ্যানেলে।

Picture of বাংলালাইভ

বাংলালাইভ

বাংলালাইভ একটি সুপরিচিত ও জনপ্রিয় ওয়েবপত্রিকা। তবে পত্রিকা প্রকাশনা ছাড়াও আরও নানাবিধ কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে থাকে বাংলালাইভ। বহু অনুষ্ঠানে ওয়েব পার্টনার হিসেবে কাজ করে। সেই ভিডিও পাঠক-দর্শকরা দেখতে পান বাংলালাইভের পোর্টালে,ফেসবুক পাতায় বা বাংলালাইভ ইউটিউব চ্যানেলে।
Picture of বাংলালাইভ

বাংলালাইভ

বাংলালাইভ একটি সুপরিচিত ও জনপ্রিয় ওয়েবপত্রিকা। তবে পত্রিকা প্রকাশনা ছাড়াও আরও নানাবিধ কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে থাকে বাংলালাইভ। বহু অনুষ্ঠানে ওয়েব পার্টনার হিসেবে কাজ করে। সেই ভিডিও পাঠক-দর্শকরা দেখতে পান বাংলালাইভের পোর্টালে,ফেসবুক পাতায় বা বাংলালাইভ ইউটিউব চ্যানেলে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Subscribe To Newsletter

কথাসাহিত্য

সংস্কৃতি

আহার

বিহার

কলমকারী

ফোটো স্টোরি

উপন্যাস

Banglalive.com/TheSpace.ink Guidelines

Established: 1999

Website URL: https://banglalive.com and https://thespace.ink

Social media handles

Facebook: https://www.facebook.com/banglaliveofficial

Instagram: https://www.instagram.com/banglalivedotcom

Twitter: @banglalive

Needs: Banglalive.com/thespace.ink are looking for fiction and poetry. They are also seeking travelogues, videos, and audios for their various sections. The magazine also publishes and encourages artworks, photography. We however do not accept unsolicited nonfiction. For Non-fictions contact directly at editor@banglalive.com / editor@thespace.ink

Time: It may take 2-3 months for the decision and subsequent publication. You will be notified. so please do not forget to add your email address/WhatsApp number.

Tips: Banglalive editor/s and everyone in the fiction department writes an opinion and rates the fiction or poetry about a story being considered for publication. We may even send it out to external editors/readers for a blind read from time to time to seek opinion. A published story may not be liked by everyone. There is no one thing or any particular feature or trademark to get published in the magazine. A story must grow on its own terms.

How to Submit: Upload your fiction and poetry submissions directly on this portal or submit via email (see the guidelines below).

Guidelines:

  1. Please submit original, well-written articles on appropriate topics/interviews only. Properly typed and formatted word document (NO PDFs please) using Unicode fonts. For videos and photos, there is a limitation on size, so email directly for bigger files. Along with the article, please send author profile information (in 100-150 words maximum) and a photograph of the author. You can check in the portal for author profile references.
  2. No nudity/obscenity/profanity/personal attacks based on caste, creed or region will be accepted. Politically biased/charged articles, that can incite social unrest will NOT be accepted. Avoid biased or derogatory language. Avoid slang. All content must be created from a neutral point of view.
  3. Limit articles to about 1000-1200 words. Use single spacing after punctuation.
  4. Article title and author information: Include an appropriate and informative title for the article. Specify any particular spelling you use for your name (if any).
  5. Submitting an article gives Banglalive.com/TheSpace.ink the rights to publish and edit, if needed. The editor will review all articles and make required changes for readability and organization style, prior to publication. If significant edits are needed, the editor will send the revised article back to the author for approval. The editorial board will then review and must approve the article before publication. The date an article is published will be determined by the editor.

 

Submit Content

For art, pics, video, audio etc. Contact editor@banglalive.com