‘ভূত দেখেছি’ বলেই সাড়ে-সাতবছরের পাপান,
দাদুর দিদার ঘাড়ে চড়ে সে কী লাফান-ঝাঁপান।
বললে হেসে কুঁচকে ভুরু চোখ পাকিয়ে, ভূত,
দেখেছে সে কত্তরকম এবং তাদের পুত।
হ্যাংলা ভূত আর ক্যাংলা ভূতের বাড়ি বরিশালে,
সুযোগ পেলেই ইট ছোড়ে সব খোড়োবাড়ির চালে।
ইলিশমাছের গন্ধ পেলেই রান্নাঘরের ধারে,
কখন সেটি করবে হাপিস, থাকবে চুপিসাড়ে।
ভূতের সঙ্গে শাঁকচুন্নি, পেত্নি, বেম্মদত্যি!
মানুষ ছানাপোনা যত ওদের নাকি পথ্যি।
লিকপিকে ভূত সজিনগাছের সরু ডালে ঝুলবে,
ফুলকো ভূতের ছানাগুলো রাগে কেবল ফুলবে।
হিড়িম্বা ভূত, তিড়িম্বা ভূত, ছানা তাদের একশো,
সন্ধে হলেই ধরবে কাকে, বানাবে তার নকশো।
শুনে সবাই ভীষণ অবাক, বলছে কী সব পাপান?
জানার জন্য সবাই এসে তার দুয়ারে ঝাঁপান…
পাপান বলে, সত্যি বলছি, মিথ্যে কী আর কই?
বলেই প্রমাণ দেওয়ার জন্য খুলল ভূতের বই!
*ছবি সৌজন্য: চিরকালের ছেলেবেলা
মৃত্যুঞ্জয় দেবনাথের ১৯৬৭-তে রানাঘাটে। আশৈশব কেটেছে নবদ্বীপ নিকটবর্তী বর্ধমান জেলার বেতপুকুর গ্রামে। পেশায় শিক্ষক হলেও ভালোবাসা সাহিত্যচর্চা। প্রথম ছোটগল্প প্রকাশিত হয় শুকতারা পত্রিকায়। লিখেছেন আনন্দমেলা, শুকতারা, কিশোর ভারতী, সন্দেশ, আনন্দবাজার পত্রিকা, দেশ, সানন্দা, কৃত্তিবাস, নবকল্লোল, শিলাদিত্য, সুখী গৃহকোণ প্রভৃতি পত্রিকায়। প্রকাশিত বই চোদ্দোটি, যার মধ্যে সিঁধেল চোর, মা কালীর খাঁড়া, ঝিনুক নদীর চর, মানুষ হয়ে ওঠা, বকুল ফুলের গন্ধ প্রভৃতি জনপ্রিয়তা পেয়েছে। ২০২০ সালে কিশোর ভারতী পত্রিকা থেকে পেয়েছেন সাধনা স্মৃতি পুরস্কার।