আকারে ছোট ওরা। কিন্তু খাবারে নয়! তবে খালি চোখে গড়গড়িয়ে হেঁটে গেলে সব সময় ওদের ক্ষুধার রাজ্য চোখে পড়ে না, এ কথা ঠিকই। অবাধ্য মানুষশাবকের মতো লকডাউনের বাজারে স্বাস্থ্যবিধি এড়িয়ে বাজারে কিংবা রেস্তোরাঁয় তো আর ভিড় জমায় না ওরা। ওদের দেখতে গেলে আপনাকে হতে হবে সাবধানী, সতর্ক, নিঃশব্দ। চোখ রাখতে হবে বাইনাকুলারের গোল গোল গর্তে কিংবা ডিএসএলআর-এর ভিউ ফাইন্ডারে! বিশাল বট, অশ্বত্থ কিংবা আম-জাম-জারুল-ছাতিমের পাতার আড়ালে নিঝুম কর্মকাণ্ডে রসনাতৃপ্তির বন্দোবস্ত চলেছে ওদের। আমার ক্যামেরায় ধরতে চেয়েছি ওদের এই একান্ত হ্যাংলামির গোপন ছবি।
কেউ পাকা আমে মজেছে। কেউ বা আমিষের ভক্ত। পোকামাকড় ধরছে আর মুখে পুরছে। জলে পা ডোবানো প্রজাতিদের পছন্দ শ্যাওলা কিংবা জলের প্রাণি। কেউ আবার দানাশস্যের ভক্ত। ধানের খেতে রোদ্দুর-ছাওয়া যা-ই থাক না কেন, কুটকুট করে খানা চলে ছোট্ট ছোট্ট ঠোঁটে। কেউ প্রজাপতির জাতভাই। ফুলের মধু ভারি পছন্দ। কখনও কৃষ্ণচূড়া কখনও জারুলের মগডালে ফুটে থাকা ফুলের থোকা থেকে শুষে নিচ্ছে মধু। এদিকে আবার বাসায় সর্বগ্রাসি হাঁ করে চিঁ চিঁ করছে এক দঙ্গল ছানা। খাবার দানা চিবিয়ে চিবিয়ে থেঁতো করে তাদের হাঁ ভরাট করার ঝক্কি কি কম? নিজের পেট ভরিয়ে তাই হ্যাংলা খেচরের দল ঠোঁটে ভরে বাসায় নিয়ে আসে আরও খানিক খাবার। পেট শান্তি তো জগৎ শান্তি!!