১৯ মার্চ, ২০১৫, রাত ২:২০
আমার এক সিনিয়র একবার বলেছিলেন, “পিএইচডি চলাকালীন কোনও একসময় যদি মনে হয়- কোন কুক্ষণে এই ভূত ঘাড়ে চেপেছিল, তবে বুঝবি কাজ ঠিক দিকে এগোচ্ছে।” তিনি নিজেও যেহেতু একই পথের পথিক তাই তাঁর কথাও কড়ায়গণ্ডায় সত্যি, আর আমার এখন ঠিক সেই অবস্থা। মাসখানেকও হয়নি সবে কোয়ালিফায়ারে ইতি টেনেছি। ইউনিভার্সিটির দাবি, তিনটে পেপারেই নাকি ৭০ শতাংশ নম্বর পেতে হবে, তবে পাশ (দিতে হয় হতচ্ছাড়াদের আমাদের হায়ার সেকেন্ডারি পরীক্ষায় বসিয়ে)! তাতেও যদি শান্তি পেতাম! এরপর আরও গুচ্ছখানেক পরীক্ষা, ভাইভার পালা আছে। সে সবে পাশ করলে তবে নিজের মতো করে কিছু গবেষণার অবকাশ পাওয়া যাবে। এ যেন এক অন্ধকার নিশ্ছিদ্র টানেলের মধ্যে দিয়ে অবিরাম অনির্দিষ্ট যাত্রা।
আসলে এই নানা পরীক্ষার চাপ, একমুঠো স্টাইপেন্ড-ভিত্তিক ছাত্র-তথা-সংসার জীবনে এবং সর্বোপরি অ্যাডভাইসারের মানসিক উৎপীড়ন ইত্যাদি মিলিয়ে হাঁফিয়ে ওঠা দুটিতে মিলে বেশ কদিন ধরেই ভাবছিলাম, একটু টেনেটুনে চালিয়ে যদি কোথাও থেকে ঘুরে আসা যায়! সহধর্মিনী এসব ব্যাপারে পাকাপোক্ত, প্ল্যানিং তিনিই সারলেন। আমরা এই প্রথমবার ভূমধ্যসাগর চাক্ষুষ করতে চলেছি। গন্তব্য ঐতিহাসিক “আন্তালিয়া”– এবং মূলত পুরনো আন্তালিয়ার মধ্যবর্তী “কালেচি” অঞ্চল। হাতে দিনতিনেক সময়। আরাম করে খাওয়াদাওয়া ও বিশ্রাম সেরে যতটুকু না ঘুরলে নয় ততটুকুই। মূল লক্ষ্য এ যন্ত্রণা থেকে দিন দুয়েকের মুক্তি- ব্যাস!
আন্তালিয়া, দক্ষিণপশ্চিম তুরস্কের ভূমধ্যসাগরকেন্দ্রিক গালফ অফ আন্তালিয়ায় অবস্থিত একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বন্দর ও শহর। খ্রিস্টপূর্ব দ্বিতীয় শতাব্দীতে পার্গামাম-এর রাজা দ্বিতীয় আট্টালাস ফিলাডেলফাস-এর হাতে স্থাপিত এ শহরের নাম ছিল আট্টালিয়া। পরে অবশ্য রাজা তৃতীয় আট্টালাস সাধের আট্টালিয়াকে রোমানদের হাতে তুলে দেন। আট্টালিয়া বা আধুনিক আন্তালিয়া খ্রিস্টধর্ম প্রবর্তনের দিক থেকেও বেশ গুরুত্বপূর্ণ। খ্রিস্টান ইতিহাসে যে পাদ্রিরা প্রথম ক্রিশ্চান (Christian) নামে পরিচিত হন, সেই সেন্ট পল এবং তাঁর সহচররা আন্তালিয়া থেকেই আন্টিওকের (তুরস্কের আন্তাকিয়া) উদ্দেশ্যে তাঁদের অ্যাভেঞ্জেলিকাল যাত্রা শুরু করেন। ৪৭ থেকে ৫৫ খ্রিস্টাব্দ অবধি অ্যান্টিওক শহর খ্রিস্টধর্মাবলম্বীদের প্রধান পীঠস্থান ছিল।

মধ্যযুগে, আন্তালিয়া শহর পূর্ব রোমান সাম্রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক কেন্দ্র হয়; কারণ বেশ কয়েকটি ক্রুসেডের সময় প্যালেস্টাইনমুখী সৈন্যদের মূল ঘাঁটি ছিল এই শহর। ১২০৭ সালে আন্তালিয়া প্রথম সেলচুকদের (সুলতান কে-খুসরো) অধীনে আসে এবং সেই সময় থেকেই এ শহরের গুরুত্ব অনেকখানি বেড়ে যায়। এরপর ১৩৯১ খ্রিস্টাব্দে সম্রাট বায়েজিদের হাত ধরে অটোম্যান তুর্কিদের অধীনে এলেও সম্রাট তিমুরের আক্রমণকালের বর্বরতা ও অত্যাচারের ফলে মূল ওসমান সাম্রাজ্যের অন্তর্বর্তী হতে আরো প্রায় এক শতাব্দী অপেক্ষা করতে হয় এ শহরকে।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সমসাময়িক কালে ও পরবর্তী অর্থাৎ আধুনিক তুরস্কের বিবর্তনের সুত্রপাতের সময়ে, এক ত্রিমুখি চুক্তিতে অটোম্যান সাম্রাজ্যকে তিন ভাগে বিভক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ১৯১৭ সালের সেই চুক্তিতে ইতালির ভাগে পড়ে আন্তালিয়া শহর। আধুনিক তুরস্কের পিতৃপ্রতিম মুস্তাফা কেমাল আতাতুর্কের অধীনে, লড়াকু জাতীয়তাবাদি তরুণ তুর্কি বাহিনী ১৯১৯ সাল থেকে ১৯২১ পর্যন্ত একটানা লড়াইয়ে ইতালিকে পরাস্ত করার পর আন্তালিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন তুরস্কের অন্তর্ভুক্ত হয়।

বর্তমানে আন্তালিয়া শহর তুরস্কের বিশখ্যাত সামার টুরিজমের অন্যতম আকর্ষণ। আমরা গরম পড়ার আগেই যাচ্ছি বলে তেমন দেখতে পাব না ঠিকই, তবে শুনেছি প্রতি বছর জুলাই-আগস্ট মাসে প্রায় কোটি খানেক পর্যটকের জন্য এলাহি আমোদ-প্রমোদের ব্যবস্থা করে শহর পরিষদ। কাজেই বেশ বোঝা গেছে যে আমরা যতই খাব-দাবো আর আরাম করব বলে ভাব দেখাই না কেন, এমন নিদারুণ ইতিহাসের শহরে গিয়ে পৌঁছতে পারলে দুম করে কিচ্ছুটি না দেখে চলে আসা যাবে না। কিন্তু আরামটাও তো প্রয়োজন। তাই গোটা শহরের কথা না ভেবে আমরা ঠিক করেছি, পুরনো আন্তালিয়া শহরের মধ্যমণি ‘কালেচি’ অঞ্চল লাগোয়া প্রধান ঐতিহাসিক দ্রষ্টব্যগুলোকেই ঘুরে ফিরে দেখব।
জল ও স্থলপথ পরিবহনে সুবিধার ফলে এবং তুরস্কের অন্যান্য জায়গার তুলনায় প্রাকৃতিক প্রাচুর্য থাকার কারণে, প্রাচীন গ্রিক শাসনকাল থেকেই কালেচি একটি বন্দর-নগর হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে এসেছে। এ অঞ্চলে প্রথম বসতি স্থাপনের সময় নিয়ে ঐতিহাসিকদের মধ্যে দ্বন্দ্ব থাকলেও, খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ শতাব্দীকেই মোটামুটিভাবে কালেচির বিবর্তনের শুরু বলে ধরে নেওয়া যায়। রাজা দ্বিতীয় আট্টালাস ফিলাডেলফাস তাঁর আধিপত্য স্থাপনের পর হেলেনিস্টিক যুগের প্রথম দিকে পামফিলিয়া অঞ্চলের সীমানার মধ্যে অবস্থিত এই ক্যালেচি অঞ্চলেরই নাম হয় “অ্যাটালিয়া”।

পরবর্তী শতাব্দীগুলিতে আট্টালিয়া ভূমধ্য সাগরের উপকূলবর্তী অন্যান্য ব্যবসায়িক শহরগুলির তুলনায় এতটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে যে প্রথম ও দ্বিতীয় খ্রিস্টাব্দে রক্ষণাবেক্ষণ ব্যবস্থা পাকা করতে তৎকালীন সম্রাট কালেচিকে একটি দূর্গ-নগরীতে রূপান্তরিত করে চতুর্দিক থেকে প্রাচীর দিয়ে ঘিরে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন। কালেচির প্রধান রোমান স্থাপত্ব যেমন দুর্গের প্রাচীর, হ্যাড্রিয়ানের গেট, যা রোমান সম্রাট হ্যাড্রিয়ানাসের শহর পরিদর্শনের সম্মানে নির্মিত হয়েছিল এবং হাইডারলিক টাওয়ারের (Hıdırlık Tower) মতো ভবনগুলি এই সময়ের মধ্যে নির্মিত হয়েছিল। এছাড়া মধ্যযুগ পরবর্তী সময়ে কালেচির মূল সড়কের দুপাশে যে ওসমান বাড়িঘর তৈরি হয় তার অনেকগুলিকে এখন ছোটো ছোটো বুটিক হোটেলে রূপান্তরিত করা হয়েছে। আমরা তেমনই একটা ছোট্টো মোটেলে থাকছি । কাজেই এই “মিডিয়াভাল স্টে” ব্যপারটা অবশ্যই আমাদের ট্রিপের টি-আর-পি!
***
২১ মার্চ, ২০১৫, রাত ১:০০
আমাদের ফ্লাইট গতকাল সন্ধ্যেয় আন্তালিয়ায় নেমেছে। ইস্তানবুল সাবিহা গোকচেন বিমানবন্দর থেকে আন্তালিয়া মাত্র ঘণ্টাখানেকের আকাশপথ। আধুনিক আন্তালিয়া যেহেতু ইস্তানবুলের থেকে অনেকটাই নতুন, তাই তার রাস্তাঘাট, দোকানপাট, গাড়িঘোড়া কোনওকিছুই সেকেলে নয়। শহরের শরীরে আভিজাত্যের তুলনায় আধুনিক ঝাঁ চকচকে ভাবেরই প্রাচুর্য। এয়ারপোর্টে ট্যাক্সি পেতে সমস্যা হয়নি। জিপিএস জানিয়েছে মিনিট কুড়ির পথ। আশপাশটা ভালো করে দেখতে দেখতেই বেশ কেটে যাবে। তার থেকেও জরুরি যেটা, তা হল বছর দেড়েক পর কুড়িয়ে পাওয়া এই এক পলকের স্বাধীনতায় শরীর-মনে যে জং ধরেছিল তা ধীরে ধীরে মিশে যাচ্ছে মার্চমাসের ভূমধ্য-বসন্ত বাতাসে।
রাস্তার দু’পাশের বিরাট বিরাট ঝকঝকে অট্টালিকা, শপিংমল, রেস্তোরাঁ ও তার মধ্যে হাসিমুখ তুর্কি মেয়েদের চোখে চোখ পড়ার সুখে খেয়াল করিনি কখন মূল সড়ক ছেড়ে আমরা এক চৌকোণা চত্বরে এসে পড়েছি। এলাকা জুড়ে প্রচুর দোকান। বোঝাই যায় এই জায়গাটা মূলত পর্যটকদের জন্যই তৈরি করা হয়েছে। চত্বরজুড়ে দেশবিদেশের মানুষের ভিড়। কেউ গল্পে মত্ত, কেউ প্রেমে, আবার কেউ কেউ বন্ধুবান্ধব নিয়ে গান বাজনায় বিভোর। সব মিলিয়ে বেশ উৎসব উৎসব মেজাজ।
“মেয়দানি”-র এক পাশে বাসস্টপ ও নতুন শহরে যাতায়াতের জন্য আধুনিক ট্রামলাইন। ট্রামলাইনের ঠিক গায়ে দুটো বিরাট বিরাট মধ্যযুগীয় থাম। বোঝা যায় থাম দুটো দেওয়ালের মাঝে গড়ে ওঠা গেটের অঙ্গ। এই গেট পার করলেই কালেচি। দিন দুয়েকের জন্য বেড়াতে আসায় আমাদের সঙ্গে মালপত্র তেমন নেই। তাই গেটের মুখেই ট্যাক্সি ছেড়ে আমরা ঠিক করেছি হোটেল অবধি বাকি ২০০ মিটার পথ হেঁটেই চলে যাব। তাতে জায়গাটার একটা ধারণা যেমন পাওয়া যাবে, সঙ্গে সঙ্গে রাতের খাবারের একটা হিল্লেও হয়ে যাবে। আশপাশটা অন্ধকার হয়ে এলেও ঝকঝকে দূষণমুক্ত আকাশের পড়তি আলোয় বেশ বোঝা যায় যে গেট পার করে সিঁড়ি দিয়ে নীচে নামলেই রাস্তার ওপারে একটা ওসমানলি মসজিদ আর তার বাঁ দিকে ঘড়ি-মিনার।

পাথরে বাঁধানো মধ্যযুগীয় রাস্তা মিনারের পাশ দিয়ে ঢাল বরাবর ডানদিকে নেমে গেছে। সন্ধ্যের আলো ছায়ায় একটা ঘোড়ায় টানা গাড়ি মায়াবি আবেশ এঁকে দিয়ে গেল। আমরা কেমন বিভোর হয়ে হেঁটে চলেছি। আরও খানিকটা এগিয়ে যেতেই রাস্তাটা দুভাগ হয়ে, ডানপাশে হেলে নীচের দিকে নেমে গিয়েছে। এখন সন্ধ্যে। তাই এই এলাকার সমস্ত ব্যবসায়ী দোকান গুটিয়ে বাড়ি ফেরায় উদ্যোগী। বাজারের শেষেই একটা ছোট্টো কেবাপের দোকান থেকে রাতের মতো দুটো দুরুম আর গোটা কয়েক বাকলাভা কিনে নিয়ে হোটেলে পৌঁছনো গেল।
হোটেল বলতে একটা মধ্যযুগীয় ছোট দোতলা বাড়ি। সন্ধ্যের অন্ধকারে রাস্তার আশপাশটা বিশেষ বোঝা যায় না। একতলার বৈঠকখানায় টিম টিম করে জ্বলতে থাকা বাল্বের আলোয় এক বৃদ্ধা ও এক তরুণী বেরিয়ে এসে কাঠের ঘোরানো সিঁড়ি দিয়ে আমাদের উপরে নিয়ে গেলেন। বর্তমানে যা হোটেল, তা যে বিগত কয়েক শতাব্দী জুড়ে আমাদেরই মতো কোনও মধ্যবিত্তের সংসার ছিল, তার স্পষ্ট আভাস বাড়ি জুড়ে ছড়িয়ে আছে। আমরা ঘরে ঢুকতেই চমক! ঘরটা ছোট্ট হলেও ডুপ্লে বা দোতলা। নীচের তলায় আলমারি, বসার চেয়ার আর একটা ছোটো বিছানা। চেয়ারের পাশে একটা জানলা- তা দিয়ে পড়শির রান্নাঘর দেখা যায়। ঘরে ঢোকার দরজার ঠিক পাশে আর একটা সিঁড়ি। সেটা দিয়ে উপরে উঠলে কাঠের মেঝে ও কারুকাজ করা বেড়ার মতো দেওয়াল আর কার্নিশে লাগানো ঝালর দিয়ে তৈরি আলাদা করে শোবার জায়গা।
এমন পুরনো বাড়িতে ঠান্ডাটা বেশ জমিয়েই লাগার কথা, কাজেই আধুনিক হিটারের সঙ্গে লেপ কম্বলের বহুল আয়োজন রয়েছে। আহা! এজন্যেই তো আসা- পকেট সামলে মধ্যযুগীয় বিলাস! হোটেলের মালকিন ও তাঁর কন্যা আমাদের প্রাতরাশের সময় জেনে নিয়ে, এক কেটলি কফি দিয়ে, আবারও একবার স্বাগত জানিয়ে বিদায় নিলেন। আমরাও মিনিট পনেরোয় পরিষ্কার হয়ে খাবার আর কফি নিয়ে উপরে উঠে গেলাম।

সারাদিনের জন্য বেরবো বলে আজ সকাল সাড়ে নটা নাগাদ এক্কেবারে তৈরি হয়ে নীচে নেমে রাস্তায় বেরতেই আশপাশটা ভালো করে বোঝা গেল। জায়গাটা এক্কেবারে আমাদের পাড়ার মতোই। ঠিক যেন পুরনো দিল্লির কোনও মহল্লা। রাস্তার দু’পাশে প্রায় একইরকমের দেখতে ছোট ছোট দোতলা বাড়ির সারি।
প্রতিটা বাড়িকেই এখন হয় হোটেল নয় রেস্তোরাঁ করা হয়েছে। জুলাই-আগস্ট মাসে এই এলাকায় আমাদের মতো মধ্যবিত্তের পক্ষে থাকার জায়গা পাওয়া প্রায় অসম্ভব; নেহাত অফ সিজন, তাই শিকে ছিঁড়েছে। এক কাপ চা আর কফি সহযোগে, তুর্কি পাঁউরুটি-মাখন ও সুজুকলু অমলেট দিয়ে জমপেশ প্রাতরাশ সেরে বেরিয়ে পড়া গেল। আমরা প্রথমে যাব নতুন শহরের এক্কেবারে কোণে ভূমধ্যসাগরের সঙ্গে আমাদের প্রথম সাক্ষাৎ সারতে। ঠান্ডাটা যদি ধাতে সয় তবে বিশ্বখ্যাত “কোনিয়ালতি” তটে বেশ খানিকটা সময় কাটিয়ে তারপর এই চত্বরে ফিরে দুপুরের খাওয়াদাওয়া সারব। তারপর পুরনো কালেচির দু’একটা জায়গা ঘুরে দেখার পালা। হোটেল থেকে বেরিয়ে আমরা বাঁ দিক নিলাম। সেই মেয়দানিতে পৌঁছে ট্রাম ধরে তবে কোনিয়ালতি পৌঁছনো যাবে। (চলবে)
*ছবি সৌজন্য: লেখক, shutterstock, Suitcase Magazine
ড. রূপক বর্ধন রায় GE Healthcare-এ বিজ্ঞানী হিসেবে কর্মরত। ফ্রান্সের নিস শহরে থাকেন। তুরস্কের সাবাঞ্চি বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি করেছেন। বৈজ্ঞানিক হিসেবে কর্মসূত্রে যাতায়াত বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে। লেখালিখির স্বভাব বহুদিনের। মূলত লেখেন বিজ্ঞান, ইতিহাস, ঘোরাঘুরি নিয়েই। এ ছাড়াও গানবাজনা, নোটাফিলি, নিউমিসম্যাটিক্সের মত একাধিক বিষয়ে আগ্রহ অসীম।