আমার নাম আরণ্যক। আমি শহরে থাকি। কিন্তু গ্রাম আমার খুব ভাল লাগে। এমন গ্রাম, যেখানে চারপাশে পাহাড় দেখা যায়। গ্রামে কত সবুজ, কতরকম গাছপালা আর মাঠ।
তোমরা কখনও পাহাড়ের ফাঁক দিয়ে সূর্য উঠতে দেখেছ? আমি দেখেছি একবার বেড়াতে গিয়ে। পাহাড়ের ফাঁক দিয়ে যখন সূর্যটা প্রথম দেখা যায়, কী রকম নরম নরম একটা আলো হয়। কমলা রঙের। ওটাকে কি রোদ্দুর বলে? আমার মনে হয় না। রোদ্দুরের খুব তেজ। ওই আলোতে তেজ নেই। কী সুন্দর রং।
ভোর হলেই পাহাড়ে সব পাখিরা কিচির মিচির করে বেরিয়ে পড়ে। ওরা আসলে খাবার খুঁজতে যায়। আমার পাখিদের উড়তে দেখতে খুব ভাল লাগে। আমি চাই একদিন পাহাড়ের কোলে আমার একটা ছোট্ট হলদে বাড়ি হবে।
বইতে দেখেছি বিদেশে বাড়ির মাথায় লাল টুকটুকে চিমনি থাকে। সেখান দিয়ে শীতকালে স্যান্টাক্লস এসে ঘরে ঢুকে পড়ে। তাই আমিও আমার বাড়ির মাথায় চিমনি লাগাব। আর দরজা জানালায় লাল রং করে দেব। রোজ সকালে বাড়ির সামনের মাঠে দাঁড়িয়ে আমি সূর্য ওঠা দেখব আর পাখিদের গান শুনব। তোমরাও আমার বাড়িতে বেড়াতে এস, কেমন?
আরণ্যক দোলনা ডে স্কুলের ক্লাস ওয়ানের ছাত্র। প্রিয় খেলার সঙ্গী নানারকম গাড়ি। সুযোগ পেলে ক্যারম আর কার্টুন নিয়ে কাটিয়ে দিতে পারে সারাদিন! খেতেও খুব ভালোবাসে আরণ্যক। চাইনিজ, বিরিয়ানি আর অবশ্যই মায়ের রান্না করা বাসন্তী পোলাও আর চিকেন মাটন। বড় হয়ে কখনও ডাক্তার, কখনও অ্যাস্ট্রোনট, কখনও ভলভো বাসের ড্রাইভার সবই হবার ইচ্ছে।