খুব মানসিক চাপের মধ্যে যাঁদের কাজ করতে হয়, মনস্তত্ত্ববিদেরা তাঁদের পরামর্শ দেন কোনও পোষ্য ঘরে আনতে। কুকুর বা বেড়াল পুষলে মন হালকা করতে সাহায্য করে তারা। পোষ্যদের গায়ে আদরের হাত বুলিয়ে দিলে, তারা গা ঘেঁষে থাকলে প্রাণের আরাম মনের শান্তি হয়।
সেদিক থেকে দেখলে খুবই চাপের মধ্যে থাকতে হয় রাজনৈতিক নেতাদের। বিশেষ করে একটা দেশের বা রাজ্যের দায়িত্ব যাঁদের ওপরে, সেই রাষ্ট্রনেতাদের পোষ্য রাখা খুব স্বাভাবিক। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয়, ভারতে এমন রাজনীতিবিদের সংখ্যা খুব কম। যাঁরা আছেন, তাঁরা কুকুর যদিও বা পোষেন, পোষ্য হিসেবে বেড়াল রাখার চল তেমন দেখা যায় না। বিদেশি রাষ্ট্রনেতারা অনেকেই অবশ্য বাড়িতে পোষ্য রাখেন। সেখানেও বেড়ালের থেকে কুকুর অনেক বেশি এবং সংবাদমাধ্যমের দৌলতে তারা রীতিমতো সেলিব্রেটি হয়ে যায়। কিন্তু আমাদের দেশে তেমন নেতা মুষ্টিমেয়।
ব্যতিক্রমী দুই নমস্য ভারতীয়— স্বামী বিবেকানন্দ ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। যাঁদের রাষ্ট্রনেতা বলা চলে না, কিন্তু তাঁরা তো আমাদের জীবনে বহু দিকনির্দেশ দিয়েছেন, তাই তাঁদের দিয়েই শুরু করি।
স্বামীজির প্রিয় একটি নেড়িকুকুর ছিল। পাটকিলে রঙের, নাম দিয়েছিলেন লালু। আশ্রমে তাঁর গুরুভাইদের অনেকেই কুকুর পছন্দ করতেন না। কিন্তু স্বামীজিকে তাঁরা বাধা দেননি। তাঁর দেহান্তের পর বেলুড় মঠে স্বামীজির সমাধির কাছে সেই কুকুরটিও ঠাঁই পেয়েছিল।

রবীন্দ্রনাথের জীবনে কোনও পোষ্যের কথা আমরা শুনিনি। কিন্তু ঠিক পোষা না হলেও শান্তিনিকেতন আশ্রমে একটি কুকুর তাঁর খুব ন্যাওটা হয়ে পড়েছিল। তারও নাম ছিল লালু। দেশি কুকুর, তবে স্বভাবটি বেশ অভিজাত। সকালবেলা লেখার ফাঁকে কবিগুরু যখন জলখাবার খেতেন, সময় বুঝে লালু ঠিক তাঁর কাছাকাছি এসে বসত। কবি তাকে নিজের খাবারের থেকে কিছু কিছু ভাগ দিতেন, লালু খেয়ে দেয়ে খুশি হয়ে চলে যেত।
অথচ রবীন্দ্রনাথ যাঁকে মহাত্মা উপাধি দিয়েছিলেন, সেই গান্ধীজি কিন্তু কুকুর পছন্দ করতেন না। তাঁর কাছে কুকুর ছিল নোংরা জীব, রোগের বাহন, বিপজ্জনক, কামড়ে দিলে জলাতঙ্ক। কাজেই মানবদরদি মানুষটি কুকুরদের সবসময় এড়িয়ে চলতেন। গান্ধীজির কাছের মানুষ রাজকুমারী অমৃত কাউর একবার তাঁর কুকুরের অসুখে বিচলিত হয়ে পড়ায় গান্ধীজি তাঁকে ভর্ৎসনা করে বলেন, “মানুষ আর কুকুরকে তুমি একইভাবে সেবা করতে পারো না। মানুষের থেকে কুকুরকে বেশি ভালবাসা উচিত নয়। মানুষের জীবন অনেক বেশি দামি। তাই কুকুর পোষা আমি পছন্দ করি না।”

ওয়ার্ধা আশ্রমে এক সময় অনেকগুলো কুকুর হয়ে যাওয়ায় তাদের উৎপাতে গান্ধীজি খুবই বিরক্ত হন। তবে তাঁর মতে, সব কুকুর সমান নয়। ১৯২৬ সালে ‘ইয়ং ইন্ডিয়া’ ম্যাগাজিনে তিনি লিখেছেন, “গ্রামের কুকুর আর রাস্তার বেওয়ারিশ কুকুরের মধ্যে তফাৎ আছে। গ্রামের কুকুর গ্রাম পাহারা দেয়, চোর ডাকাত ঢুকলে তারা চেঁচিয়ে সবাইকে সাবধান করে দেয়। সস্তায় এমন পাহারাদার পাওয়া যায় না। কিন্তু রাস্তার কুকুরকে বিশ্বাস নেই। হঠাৎ ক্ষেপে গিয়ে কামড়ে দিলেই ইঞ্জেকশন।”
পরিচ্ছন্নতার প্রবক্তা এই মানুষটিই আবার বেড়ালের ব্যাপারে অনেক বেশি সহনশীল। ১৯৩২ সালে পুণের ইয়েরাভেরা জেলের একটা সেলে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল আর গান্ধীজিকে রাখা হয়েছিল। সেলের কাছে এক কোনায় একটা বেড়াল বাচ্চা দেয়। এসময় প্যাটেলকে গান্ধীজি বলেছিলেন, “দেখেছ, এই মা বেড়ালটি কত পরিচ্ছন্ন স্বভাবের! বাচ্চাদের ট্রেনিং দিচ্ছে, কীভাবে দূরে গিয়ে তারা পটি করবে, তারপর নিজেদের পরিষ্কার করবে, সব শিখিয়ে দিচ্ছে।”

ইসলাম মতেও কুকুর নোংরা প্রাণী। সাচ্চা মুসলমান কখনও কুকুরের ধারে-কাছে যায় না, পোষা তো দূরের কথা। পুণেতে আমার ছেলের বাড়িতে একটি ল্যাপডগ আছে, নাম কোকো। লোমওয়ালা, ছোট্ট মিষ্টি, আশপাশের সব বাচ্চারাই তাকে আদর করতে ভালোবাসে। কিন্তু আমার নাতির বন্ধু প্রতিবেশী মুসলিম ঘরের একটি ছেলে কোকোকে দূর থেকে দেখে। বোঝা যায় তার ভীষণ চটকাতে ইচ্ছে করছে, কিন্তু কাছে নিয়ে গেলেই আঁতকে উঠে বলে, “নেহি! সাত বার নাহানা পড়েগা!” কুকুরকে আদর করার আনন্দের থেকে সাত বার স্নানের আতঙ্কটা বলাই বাহুল্য ওর কাছে অনেক বেশি।
আরও পড়ুন: পোষ্য কোলকাতার সেকাল একাল
‘অপরিচ্ছন্ন জীব’ কুকুরের জন্য ইসলামে এমন কঠোর অনুশাসন থাকলেও মুসলমানদের জন্য আলাদা দেশের প্রবক্তা মুহম্মদ আলি জিন্না কিন্তু কুকুর পুষতেন। একাধিক কুকুরের সঙ্গে বেশ পোজ দিয়ে ছবি তুলতেও তাঁর কোনও দ্বিধা হয়নি। পাকিস্তানের দাবি আদায় করে ছেড়েছিলেন তিনি। তবে পাশ্চাত্য শিক্ষাপ্রাপ্ত ব্যারিস্টার জিন্না ব্যক্তিগত জীবনে কোনওদিনই ইসলামি রীতিনীতির তোয়াক্কা করেননি।
তার বহু পরে পাকিস্তানের জঙ্গি শাসক পারভেজ মুশারফও যে কুকুর ভালবাসতেন, তার প্রমাণ হিসেবে দেখা যায় দুই কাঁখে দুটি পিকনিজ ডগ নিয়ে হাসিমুখে তাঁর ছবি। তিনি ছবির ক্যাপশন দিয়েছিলেন বেশ অর্থবাহী— ‘চাইনিজ কানেকশন’। মুশারফের মৃত্যুর পর ‘দ্য ইকনমিস্ট’ পত্রিকা লিখেছিল, ”পাকিস্তানের একনায়কদের মধ্যে মুশারফ ছিলেন কিছুটা প্রগতিশীল চিন্তাধারার মানুষ।” কারণ? ”তিনি রক মিউজিক ভালবাসতেন, কুকুর পছন্দ করতেন, পরিমিত মাত্রায় মদ্যপানেও তাঁর আপত্তি ছিল না।”
‘অপরিচ্ছন্ন জীব’ কুকুরের জন্য ইসলামে এমন কঠোর অনুশাসন থাকলেও মুসলমানদের জন্য আলাদা দেশের প্রবক্তা মুহম্মদ আলি জিন্না কিন্তু কুকুর পুষতেন। একাধিক কুকুরের সঙ্গে বেশ পোজ দিয়ে ছবি তুলতেও তাঁর কোনও দ্বিধা হয়নি। পাকিস্তানের দাবি আদায় করে ছেড়েছিলেন তিনি। তবে পাশ্চাত্য শিক্ষাপ্রাপ্ত ব্যারিস্টার জিন্না ব্যক্তিগত জীবনে কোনওদিনই ইসলামি রীতিনীতির তোয়াক্কা করেননি।
এ হেন পারভেজ মুশারফ তাঁর প্রিয় ক্রিকেটার ইমরান খানকে উপহার হিসেবে একটি কুকুর দেবেন এ আর বেশি কী! তবে ইমরানের কুকুরের শখ তার আগেও ছিল, পরেও ছিল। ইমরান নিজেই জানিয়েছেন, তাঁর পাঁচ পাঁচটি কুকুর। পাকিস্তানি মোল্লাতন্ত্র কায়েদে আজম জিন্নাকে কিংবা জেনারেল মুশারফকে না ঘাঁটালেও ক্রিকেটার থেকে রাজনীতিবিদ হওয়া ইমরান খানকে রেয়াৎ করেনি। তিনি যখন দেশের প্রধানমন্ত্রী, তখন পাকিস্তান সংসদে বিরোধীপক্ষ অভিযোগ করেছে, “যে ইসলাম কুকুরকে নোংরা জীব হিসেবে এড়িয়ে চলতে বলেছে, সেই জন্তুদের বাড়িতে পুষে ইমরান খান ইসলামের অবমাননা করছেন।” ইমরান জবাবে বলেছিলেন, “আমি কুকুর পুষি বাড়ি পাহারা দেওয়ার জন্য।” যদিও পোষা কুকুরের সঙ্গে ইমরানের ছবিগুলো কিন্তু অন্য কথা বলে।

পাকিস্তানের কট্টর মৌলবাদীদের মতো ধর্মীয় কারণে না হলেও ভারতের সংসদেও কিন্তু বিরোধীরা স্রেফ কুকুরের জন্যই প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছিলেন। নেহরুর কুকুরপ্রীতি ছিল সুবিদিত। রাজধানী দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি আবাস ‘তিনমূর্তি ভবন’-এ পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর মুহূর্তেও তাঁর প্রিয় গোল্ডেন রিট্রিভারটি পাশে থাকত। নেহরুকে আক্রমণের জন্য বিরোধীপক্ষ কুকুরের প্রতি এই ভালবাসাকেই অস্ত্র হিসেবে বেছে নিয়েছিল। নেহরুর জীবনের প্রায় শেষ দিকে সংসদে বিরোধীরা তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনে। সমাজবাদী নেতা রামমোহন লোহিয়া অভিযোগ করেন, ‘ভারতের সত্তর শতাংশ মানুষের গড় দৈনিক আয় যখন মাত্র কুড়ি পয়সা, তখন দেশের প্রধানমন্ত্রী নেহরুর পোষা কুকুরের পেছনেই প্রতিদিন খরচ হয় তিন টাকা।’ নেহরু এর কোনও জবাব দেননি। রাজনৈতিক তির যখন ব্যক্তিগত লক্ষ্য স্থির করে নেয়, তখন সংসদে তা নিয়ে বিতর্কে প্রবৃত্ত হতে নেহরুর রুচিতে বেধেছিল। যাঁরা পোষ্য রাখেন তাঁরা জানেন, আসলে পোষ্যের প্রতি ভালবাসার মাপ টাকা দিয়ে হয় না।

নেহরু-মন্ত্রিসভার আর একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য, ভারতের সংবিধান রচয়িতাদের অন্যতম এবং স্বাধীন ভারতের প্রথম আইন ও বিচারমন্ত্রী ভিমরাও রামজি আম্বেদকরও কুকুর পুষতেন। তাঁর পোষা কুকুরটি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে থাকাকালীন শত ব্যস্ততার মধ্যেও রোজ দুবেলা করে তিনি কুকুরটিকে দেখতে যেতেন। তার মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর আম্বেদকর শোকে এমনই মূহ্যমান হয়ে মুখ গুঁজে বসে পড়েন যে তাঁর জীবনীকার লিখেছেন, ‘ওঁকে দেখে মনে হচ্ছিল যেন সদ্য সন্তানহারা মা।’
জওহরলাল নেহরুর কুকুরপ্রীতি বংশের ধারা অনুযায়ী বর্তেছে কন্যা ইন্দিরা গান্ধী এবং ইন্দিরার ছেলে ও নাতি-নাতনিদের ভেতরে। রাহুল গান্ধী তো মনে হয় কুকুর ছাড়া থাকতেই পারেন না। প্রিয়ঙ্কা গান্ধীর প্রিয় কুকুর লুনাকে কিছুদিনের জন্য ধার করে রাহুল তাঁর ‘ভারত জোড়ো’ যাত্রায় নিয়ে গিয়েছিলেন। তবে রাহুলের নিজের প্রিয় কুকুর আছে পিডি। তা ছাড়াও এই সেদিন তিনি গোয়া থেকে একটি কুকুর নিয়ে এসেছেন।

পোষ্যপ্রেমের ব্যাপারে ইউরোপ আমেরিকার রাষ্ট্রনেতাদের নামের তালিকা বলে শেষ করা যায় না। কুকুরের প্রতি ভালবাসায় এঁরা কেউ কারও থেকে কম যান না। তবে ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের তুলনা নেই এ ব্যাপারে। তাঁর দীর্ঘ ষাট বছরের রাজত্বকালে অন্তত ত্রিশটি কুকুর পুষেছেন তিনি। তাদের মধ্যে রানির সবচেয়ে পছন্দের ছিল কর্গি জাতের কুকুর। দুই কোলে রাজকীয় মুকুট পরানো দুটি পোষা কর্গিকে নিয়ে রানির হাসিমুখের ছবি একসময় ব্রিটিশ পত্রপত্রিকায় রীতিমতো সাড়া ফেলে দিয়েছিল। বাকিংহাম প্যালেসে রানির খিদমতগারের কোনও অভাব ছিল না। কিন্তু প্রিয় কুকুরদের পরিচর্যা তিনি অন্য কারও হাতে ছাড়তে পছন্দ করতেন না। নিজের হাতে যাঁকে কোনওদিন দাঁত মাজতেও হয়নি, সেই রানি তাঁর প্রিয় কুকুরদের কিন্তু নিজের হাতেই খাইয়ে দিতেন।
রাশিয়ায় সেই ১৯৯৯ সাল থেকে আজ পর্যন্ত সিকি শতকব্যাপী সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর ব্যক্তি ভ্লাদিমির পুতিনের কুকুরপ্রীতিও কম নয়। বুলগেরিয়ার প্রেসিডেন্টের উপহার দেওয়া একটি কুকুরছানাকে কোলে নিয়ে পুতিনের গদগদ মুখের ছবি দেখলে কে বলবে, লৌহহৃদয় এই মানুষটিই ইউক্রেনে একের পর এক জনপদ বোমা মেরে উড়িয়ে দিতে দ্বিধা করেন না।

মার্কিন প্রেসিডেন্টদের প্রায় প্রত্যেকেই কুকুর পুষতেন। জর্জ ডব্লিউ বুশের প্রিয় কুকুর ছিল দুটি স্কটিশ টেরিয়ার। এছাড়া একটি মিশকালো বেড়ালও ছিল। দীর্ঘ আঠেরো বছর বুশ পরিবারের সঙ্গে কাটিয়েছে ‘ইন্ডিয়া’ নামের সেই বেড়ালটি। তবে প্রচারের আলোর সিংহভাগই পড়ত কুকুরদুটির ওপর।
আর এক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে মেয়েদের আবদারে কুকুর পুষতে হয়েছিল। কিন্তু তাঁদের বড় মেয়ের অ্যালার্জি থাকায় অনেক ভেবেচিন্তে ওবামা দম্পতি এমন জাতের দুটি কুকুর বেছেছিলেন, যাদের লোম কম ঝরে— পর্তুগিজ ওয়াটার ডগ। নাম ‘বো’ আর ‘সানি’। প্রেসিডেন্ট ওবামা মাঝে মাঝে হোয়াইট হাউসের লনে কুকুর নিয়ে হাঁটতে বেরোতেন। ফটোগ্রাফাররা সেই ছবি তুলতে এমনই হুড়োহুড়ি লাগিয়ে দিতেন, বাধ্য হয়ে মিশেল ওবামা তাঁদের জন্য রুটিন তৈরি করে সময় বেঁধে দেন।

কুকুর নিয়ে হাঁটতে বেরোনোর কথায় একটা বিলিতি রসিকতা মনে পড়ে গেল। প্রবাসী এক বন্ধুর কাছে শুনেছি, মেমসাহেবদের কার কেমন হাঁটার ছন্দ, সেটা নাকি নির্ভর করে কার কী ধরনের কুকুর— বড়, না ছোট, তেজি, না শান্ত, এইসবের ওপর। কেউ যদি হিলপরা জুতো খটখটিয়ে দ্রুত পায়ে হেঁটে যান, বুঝতে হবে তাঁর কুকুরটি বেশ বড়সড় আর তেজি। চেন বাঁধা সেই কুকুর সামলাতে গিয়ে মেমসাহেবের হাঁটাও প্রায় দৌড়ের পর্যায়ে পৌঁছেছে। আবার যিনি ধীরে সুস্থে হাঁটছেন, ধরে নেওয়া যায় তাঁর কুকুর বেশ শান্তশিষ্ট স্বভাবের। তাই পোষ্যটির মনিবানিও দিব্যি নিশ্চিন্তে হাঁটতে পারেন।
দুই পুরুষের সাংবাদিক দীপংকর চক্রবর্তীর চার দশকের পেশাগত জীবনের শুরু ও শেষ আনন্দবাজার পত্রিকায়। মাঝে এক দশক বেতার সাংবাদিকতা জার্মানিতে ডয়চে ভেলে, আর ওয়াশিংটন ডিসিতে ভয়েস অফ আমেরিকায়। প্রিন্ট মিডিয়া থেকে অবসর নিলেও মাল্টিমিডিয়ায় এখনও পুরোপুরি সক্রিয়। করেছেন বই সম্পাদনার কাজও। দেশে বিদেশে তাঁর অভিজ্ঞতার ভাণ্ডারও বিচিত্র ও চিত্তাকর্ষক।