‘মিশিমাখা শিখিপাখা আকাশের কানে কানে
শিশি বোতল ছিপিঢাকা সরু সরু গানে গানে’
নেড়ার এই গান শুনে ‘ভারি শক্ত’ বলেছিলেন হিজিবিজ্বিজ্, ছাগল মতবিরোধ জানায়। বলে ‘শক্ত আবার কোথায় ? ঐ শিশি (glass) বোতলের (bottle) (interior) জায়গাটা একটু শক্ত ঠেকল, তাছাড়া তো শক্ত কিছু পেলাম না।’
আরও পড়ুন: নববর্ষের অন্দরসজ্জায় ফেলনা টুকিটাকি
হ য ব র ল –এর এই স্মৃতি এখনও উজ্জ্বল আমাদের মনে। মজার বিষয়, ব্যাঙ্গের মধ্যে দিয়ে আসলে এক চরম সত্য তুলে ধরেছেন সুকুমার রায়। মধ্যবিত্ত ঘরে শিশি বোতলের জায়গাটা সত্যিই কঠিন। জীবনের প্রায় আধখানা জুড়ে আমাদের এই দ্বিধা, খালি বোতল ফেলে দেব নাকি কাজে লাগবে কোনও… আজ ভালোথাকা (Lifestyle) বিভাগের এই লেখায় হয়তো খানিকটা হলেও দ্বিধা দূর হবে আমাদের। আসুন দেখে নেওয়া যাক শিশি বোতলের জায়গাটা সহজ হতে পারে কী না…
সসের বোতলে কর্ক লাইট
উপকরণ – সসের কাঁচের বোতল, স্পঞ্জ, ২ নং ও ৪ নং তুলি, এক্রেলিক কালার (আমি এখানে লাল, সাদা, সবুজ ব্যবহার করেছি) কর্ক লাইট।

প্রণালীঃ বোতল ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিয়ে শুকিয়ে নিতে হবে। এরপর এক টুকরো স্পঞ্জ নিয়ে তাতে সাদা রং নিয়ে বোতলের গায়ে ট্যাপ করে অর্ধেক সাদা রং করে নিতে হবে, আর অন্য আর এক টুকরো স্পঞ্জ দিয়ে বাকি বোতল টা লাল রং করে নিতে হবে। এবার বোতলের রং ভালো করে শুকিয়ে নিয়ে ওই বোতলের গায়ে তুলি দিয়ে পছন্দ মতো নকশা করে নিতে হবে। ভালো করে শুকিয়ে গেলে তার মধ্যে একটা কর্ক লাইট জ্বালিয়ে দিন।
কফির শিশিতে মানি প্ল্যান্ট
উপকরণ – কফির কাচের শিশি, এক্রেলিক কালার, ১ নং তুলি, লেস, কৃত্রিম মানি প্ল্যান্ট।

কফির শিশিতে মানি প্ল্যান্ট
প্রণালীঃ শিশি ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে শুকিয়ে নিতে হবে। শিশির গায়ে এক্রেলিক কালার দিয়ে পছন্দ মতো ডিজাইন করতে হবে। এবার লেস দিয়ে শিশির মুখের দিকে ভালো করে পেঁচিয়ে দিতে হবে এবং ওর মধ্যে কৃত্রিম মানি প্ল্যান্ট সাজিয়ে দিতে হবে।
শিশির পুতুল
উপকরণ – কাচের সরু বোতল, ছোটো ছোটো রঙিন পাথর, পেস্তাবাদামের খোসা, লেস, ছোট নেট, আলপিন ৫/৬ টা, ছোট পুতুল, ফেভিকল।

প্রণালীঃ প্রথমে বোতল ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে শুকিয়ে নিতে হবে। বোতলের মধ্যে ছোটো ছোটো রঙিন পাথর, পেস্তাবাদামের খোলা ভরে দিতে হবে। এবার বোতলের মুখ দিয়ে পুতুলটা বোতলের ভিতরে ঢুকিয়ে দিতে হবে। এবার লেস দিয়ে বোতলের অর্ধেক অংশ থেকে মুড়ে দিতে হবে এবং ফেভিকল ও আলপিন দিয়ে লেসটা আটকে দিতে হবে। নেট দিয়ে পুতুলের মাথায় সাজিয়ে দিতে হবে।
হ য ব র ল –এর এই স্মৃতি এখনও উজ্জ্বল আমাদের মনে। মজার বিষয়, ব্যাঙ্গের মধ্যে দিয়ে আসলে এক চরম সত্য তুলে ধরেছেন সুকুমার রায়। মধ্যবিত্ত ঘরে শিশি বোতলের জায়গাটা সত্যিই কঠিন।
বাহারি জলের বোতল (১)
উপকরণ- স্টিলের বোতল, এক্রেলিক কালার (কালো, বিভিন্ন রকম কালার),(৮, ২, ০ নং) তুলি।

প্রণালীঃ বোতল ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে শুকিয়ে নিয়ে ওই বোতলের গায়ে কালো রং করে নিতে হবে। রং শুকিয়ে গেলে তার মধ্যে বিভিন্ন রং দিয়ে এঁকে নিলে বোতল তৈরি।
বাহারি জলের বোতল (২)
উপকরণ- কাঁচের বোতল, এক্রেলিক কালার (আমি এখানে লাল, হলুদ, কালো আর সিলভার কালারের ব্যবহার করেছি) ,তুলি (৮ নং , ২ নং, ০ নং)।

প্রণালীঃ বোতল ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে শুকিয়ে গেলে পুরো বোতল হলুদ রং করে নিতে হবে। এই রঙের উপর কালো আর সিলভার কালার দিয়ে পছন্দ মতো ডিজাইন করতে হবে।
নৃত্যশিল্পী- ছোটোবেলায় তনুশ্রী শঙ্কর ও পরে মমতা শঙ্করের কাছে তালিম নিয়েছেন। প্রধান শখ রান্নাবান্না, অন্দরসজ্জা আর পোশাক পরিকল্পনা।