আমাজনের বৃষ্টি বনানীর বিরাট অংশ পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে ব্যপক অগ্নিকাণ্ডে। ব্রাজিল সরকার আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার দাবি করলেও বাস্তবে এখনও আমাজনের বিভিন্ন অংশে আগুন জ্বলছে। এই অভূতপূর্ব প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের জন্য ব্রাজিলের দক্ষিণপন্থী প্রেসিডেন্ট জাইর বোলসোনারোকে দায়ী করেছে আর্ন্তজাতিক মহলের একাংশ। এই পরিস্থিতিতে আমাজন রক্ষার্থে নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে বোলসোনারোর সরকার। বিভিন্ন আর্ন্তজাতিক সংবাদ সংস্থা সূত্রের খবর, আগামী দু’মাস দেশের সর্বত্র আগুন জ্বালানোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে।
ব্রাজিল সরকারের এক প্রতিনিধি জানিয়েছেন, আমাজন রক্ষার্থেই এমন উদ্যোগ নিতে চলেছেল বোলসোনারো। কয়েক দিনের মধ্যে এই সংক্রান্ত ডিক্রি জারি করবেন তিনি। তাতে বলা হবে, পর্যাপ্ত সরকারি অনুমতি না নিয়ে কোথাও আগুন জ্বালানো নিষিদ্ধ। কেবলমাত্র কৃষি দফতর এবং বন বিভাগ বিশেষ প্রয়োজনে অনুমতি পেতে পারে। তবে সেক্ষেত্রেও যাবতীয় নথিপত্র এবং আগুন জ্বালানোর কারণ খতিয়ে দেখবে সরকার।
চলতি সপ্তাহের শেষে আমাজনের বৃষ্টি বনানী পরিদর্শনের কথা রয়েছে ব্রাজিলের রাষ্ট্রপতির। আগুন নিয়ন্ত্রণে তাঁর সরকার কতখানি সফল তা খতিয়ে দেখার পাশাপাশি আমাজন রক্ষার নতুন পরিকল্পনা তৈরি করা হবে ওই সফরে। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ব্রাজিল সরকার দাবি করেছে, আমাজনের আগুন প্রায় সম্পূর্ণই নিয়ন্ত্রণে। আগুন নেভাতে হেলিকপ্টার দিয়ে সাহায্য করায় পেরু ও চিলে সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছে রিও। এই সংক্রান্ত একটি স্যাটেলাইট চিত্রও প্রকাশ করেছে ব্রাজিল। পরিবেশ কর্মীদের অবশ্য দাবি, পুরনো কিছু আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও গত কয়েকদিনে বহু নতুন জায়গায় আগুন জ্বলতে শুরু করেছে।
আমাজনের আগুন নিয়ে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে জড়িয়েছে ব্রাজিল। ফ্রান্সের সাহায্য-প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন বোলসোনারো। বৃহস্পতিবার অবশ্য ব্রাজিল জানিয়েছে, প্রয়োজনে বৈদেশিক সাহায্য নেওয়া হতে পারে। কিন্তু তা সম্পূর্ণভাবেই প্রেসিডেন্টের অনুমতি সাপেক্ষ। রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব আন্তোনিয়া গুতেরেস এই প্রসঙ্গে জানান, আগামী মাসে সাধারণ সভার বৈঠকে কী ভাবে আমাজনের পাশে দাঁড়ানো যায়, তা নিয়ে আলোচনা করা হবে।