নামটা পড়ে খুব খুশি হলে, না? আরে আগে পুরো ব্যাপারটা শুনে নাও। দ্যাখো, অন্য অনেক লোকের মতো আমারও নিজেকে মানুষ মনে হয় না। তার একটা উদাহরণ দিই: যে কোনও সাধারণ মানুষের মতো আমার দীপাবলি ব্যাপারটা পছন্দ না।
তার কারণটা খুব বোকাবোকা। আমি আরও ছোট থাকতে একবার আমার হাতে ফুলঝুরির ছ্যাঁকা লেগেছিল। তারপর থেকে আমার বাজি ফাটানো বন্ধ। কেউ বন্ধ করিয়ে দিয়েছে এমনও না। আমি ভীতু বলে আমি নিজেই আর কোনও বাজির আশেপাশে যাই না। তাও ভেবেছিলাম সেই সময় কালীপুজো হয় বলে একটু ঠাকুর দেখতে যাব। এবার যদি রাস্তায় লোকজন বাজি ফাটানো শুরু করে, তাহলে তো খুব সমস্যা। তাই আমি এই সময় বাড়িতে বসেই “হ্যাপি দিওয়ালি” পালন করি।
এই বছর মনে হয় বাজি ফাটানো নিষেধ। তাও তো তোমরা সেটা শুনবে না। একটা বছর বাড়িতে থেকে দীপাবলি কাটিয়ে দ্যাখো না! নিজেও বেঁচে থাকবে আর আরও ক’টা মানুষকেও বাঁচিয়ে রাখতে পারবে। বেশি পাকামি করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেও না। ভাইরাস এসে ঘাড় মটকে দিলে মুশকিল। বারবার হাত ধুতে থাক আর দরকার ছাড়া বাড়ির বাইরে যেও না। শুভ দীপাবলি।
সাউথপয়েন্ট স্কুলের ক্লাস নাইনের ছাত্রী। গান গাইতে আর বিটিএস ব্যান্ডের গান শুনতে দারুন ভালবাসে। বড় হয়ে গায়ক হতে চায়।