ছুটে যাই অফিস পাড়ায়—
উত্তাল তরঙ্গে, গোলদিঘি ঢেউমাখা
সমুদ্র উচ্ছ্বাসে ওড়ে সিগাল টিট্টিভ
কোর্টপাড়া, বাবুঘাটে আছড়ায় ঢেউ
উদাসীন হাটবাট, ফাঁকা ফাঁকা পথ
ধীরগতি চার্চ ঘড়ি ,থমকায় দৌড়—
কী যেন ভুলতে থাকে মন
আর কী কী লেখা ছিল নোটপ্যাডে
জরুরি দাখিল!
যদি সে হঠাৎ ডাকে…
ধুলোমাখা দেবদারু, জারুল, পলাশ
স্নান সারে ভাগীরথী তটে
ঝরা পাতা শীতঘুম ছাড়ে
পুনরায় রং পেয়ে,
সবুজ পাতার ঝিলমিলন—
ফুটি ফুটি দু একটা রাঙা কিংশুক
শীতের দোসুতি আলোয়ান
হাত ঢাকা জামা, গলায় জড়ানো স্কার্ফ
ভার বোধ হয়,
বাতাসে জুড়তে চায় দেহ
সে যদি আবার ডাকে—
দুপাশে ছুটতে থাকে, বিকেলের আলো
রেলিংয়ের ফাঁকে ফাঁকে সেই নদী
আবার জোয়ারে টলোমলো
ভেসে আসে দু একটা জাহাজ
আর কিছু দলছুট দিশেহারা গান—
লেকের ঘেরিতে ফাঁকা বেঞ্চ
ছায়া ছায়া অশরীরী না-দূর সময়
কাকগুলোকেও যেন মনে হয় পাখি
ডানা ভরে স্নান মাখে, প্রতিটি পালকে
লাল লাল কুসুম পাতারা যেন ফুল
যেন এক প্রাচীন স্থপতি ঝুঁকে হাসে
পাশে এসে বলে, সেই চোখ সেই মন
একই তো আছে সব, আগের মতন…
যখন সে একবার ডাকে—
শরীরের অন্ধকারে আলো দেয় মন।
ছবি সৌজন্য: Pexels
আড্ডা আর একা থাকা,দুটোই খুব ভাল লাগে।
লিখতে লিখতে শেখা আর ভাবতে ভাবতেই খেই হারানো।ভালোবাসি পদ্য গান আর পিছুটান। ও হ্যাঁ আর মনের মতো সাজ,অবশ্যই খোঁপায় একটা সতেজ ফুল।