রাজত্ব জুড়ে নাগরিক সুখদুঃখ শোনার যে প্রাঙ্গণ তৈরি থাকে খুব, সেখানে রাজা আসেন না, পারিষদেরা থাকেন।
হাতে হ্যারিকেন নাকি সংবিধান– অজ্ঞাত অক্ষোভ বীতস্পৃহ কিছু মানুষ, অল্পভাষ শিষ্টাচারী অন্নদাস আর চাটুকার যেমন রাজা-রাজড়াদের সর্বকালিক, বন্দিত্বের নিজস্ব উৎসবে প্রাঙ্গণ ভরায়। রাজ-সন্দেহ বুদবুদ তাদের ড্রোনের মতন খোঁজে রাখে।
সুখদুঃখ যত রাজার স্বস্তি অনুসারী– পারিষদেরা মিথ্যা দস্তাবেজ ভর্তি রাজদরবারে পৌঁছে দেয় অহরহ।
সাজানো প্রাঙ্গণের বাইরে রাজপথ, বেয়াদব কারা উপপ্লবী বিক্ষোভে সামিল?
বিমর্ষ রাজা! অশ্বত্থামা হতঃ ইতি গজ– চাঙানো অর্ধসত্য রাজসান্নিধ্যে কানে কানে। মিথ্যার পাহাড়চূড়ায় বসে ভবিতব্য-অজ্ঞান রাজা নিজস্ব নিয়মে প্রত্যেকদিন ক্ষয়প্রাপ্ত জরৎকারু হোন।
গৌতম ভরদ্বাজের ছাত্রজীবন থেকে কবিতাচর্চার শুরু। বর্তমানে রাজ্য পুলিশের অফিসার। কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০০৫ এবং ২০১৮-তে দু'বার রাষ্ট্রপতি পদক পান। কবিতা আজও তাঁর প্রথম প্রেম। ২০০৩ বইমেলায় মডেল পাবলিকেশন থেকে প্রকাশিত হয় তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ "তুমিই সম্রাজ্ঞী পাপ ও ঈশ্বরী।" ২০১৬, ২০১৮ এবং ২০২০ সালের বইমেলায় সিগনেট প্রেস থেকে প্রকাশ পায় তিনটি কাব্যগ্রন্থ যথাক্রমে " জলরং মায়ার তালুক", "নিজস্বী উজাড়া শেষ রাত" ও "স্বপ্নাবেশ ও আত্মদ্রোহী অনর্গল ঘরোয়া ঈশ্বর।" তাছাড়া ২০১৯ বইমেলায় প্রতিভাস থেকে প্রকাশিত হয় আর একটি কাব্যগ্রন্থ "অন্য পদ্যকথা।"
One Response
খুব ভালো পরিবেশন। এই উদ্যোগ সফল হোক।