বলো হে কালী বলো, বলো হে কালী কালী
অমানিশার চাঁদ জেগেছে একফালি।
পরমা প্রকৃতি, ও বিভাবে লীলাময়ী
নগ্ন শৃঙ্গারে করো হে দ্বিষোজহি।।
দেখো হে নরনারী নৃত্যে সার সার
শব্দ দ্রিমি দ্রিমি শরীরে ডংকার।
নাচে ও কালো মেয়ে অনাদি রঙ্গে সে
কোটি নিতম্বের দোদুল অনিমেষে।।
নিম্নে শুয়ে আছে দেবাদি মহাদেব
এক পা বুকে ফেলে রাখলো অতএব।
রতি সে বিপরীত লাস্যে অভিলাষ
যে নারী ব্রীড়াহীন যে নারী অনায়াস।।
ত্রিভুজ থেকে যার ঝরছে অবিরল
পুরুষ পান করে স্বচ্ছতোয়া জল।
হেমন্তের গায়ে জড়ালো উত্তাপ
মেয়েটি ক্রিয়াশীল ছেলেটি চুপচাপ।।
ছড়িয়ে যায় সুখ ক্রমশ রাত্রির
কামের পূজা এই, এ পূজা শক্তির।
ছন্দে সঙ্গমে বাজুক করতালি
বলো হে কালী বলো, বলো হে কালী কালী।।
জন্ম ১৭ জুন ১৯৮৬। জে.বি.রায় স্টেট আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজ ও হসপিটাল থেকে আয়ুর্বেদ চিকিৎসাশাস্ত্রে স্নাতক। মানসিক স্বাস্থ্যে স্নাতকোত্তর। কবিতা, সংগীত ও নাট্যচর্চার সঙ্গে নৈকট্য আশৈশব। জনস্বাস্থ্য, সমাজবিজ্ঞান, মানবাধিকার প্রভৃতি বিষয়ে প্রবন্ধচর্চা করেন নিয়মিতভাবে৷ তাঁর 'অরুণা শানবাগ নিষ্কৃতিমৃত্যু ও ভারত' (২০১৭) বইটি এদ্যবধি ইউথেনেসিয়া প্রসঙ্গে লেখা একমাত্র পূর্ণাঙ্গ বাংলা বই যা মনোজ্ঞ পাঠকমহলে প্রশংসিত। সিএএ-বিরোধী আন্দোলনের সময়ে কবি ফৈজ আহমেদ ফৈজ-এর সর্বজনবিদিত 'হম দেখেঙ্গে' (দেখে নেবো আমরাই) কবিতাটির বাংলা অনুবাদ করে অবন্তিকা জাতীয় স্তরেও জায়গা করে নিয়েছেন।
3 Responses
বেশ ভালো লাগলো । শুভেচ্ছা জানবেন কবি ।
পড়লাম
বেশ
এরই সন্ধান
অবিরত!
Chomotkar lekha. Bhalo laglo