কবিকে সমস্ত জানব মায়ালব্ধ নশ্বর জীবনে। গলাজলে ডুব দিলে যতক্ষণ জানা যায়। যতক্ষণ না মাছেরা এসে পুরোটা ঠুকরে খায় পায়ের আঙুলগুলি। পরিপাটি সাজানো আঙুল আহা, ক্রমাগত নষ্ট হতে হতে, সঙ্গোপনে কী যেন জন্ম নেয় কোটিদেশ থেকে। স্রোতে ভেসে যাওয়া মুহূর্তে বুঝে যাই। ডুবে থাকা, অনায়াস। অথচ জন্মাবধি সাঁতার শিখিনি৷
কবিকে জানব বলে সমগ্র জীবন, অতঃপর এই জলে ঘর, জলেই সঙ্গম। চেনাশোনা শেষ হলে অপরূপকথা কাব্য, তীরে এক নির্জন পাথরে বসে দেখি, কোমরের নিচ থেকে মাছের পুচ্ছখানি রোদেলা সকালে চিকচিক করছে স্রোতে নুয়ে।
এক জন্মে জন্মান্তর যদি শিখি, এবং সাঁতার, তবে নদী নয়, সমুদ্র, তরঙ্গ নয়, কেবল পাথরেই কান রেখে মৎসকন্যার শায়িত শরীরে শুনো আজীবন ধরে লেখা কবির আকুতি।
জন্ম ১৭ জুন ১৯৮৬। জে.বি.রায় স্টেট আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজ ও হসপিটাল থেকে আয়ুর্বেদ চিকিৎসাশাস্ত্রে স্নাতক। মানসিক স্বাস্থ্যে স্নাতকোত্তর। কবিতা, সংগীত ও নাট্যচর্চার সঙ্গে নৈকট্য আশৈশব। জনস্বাস্থ্য, সমাজবিজ্ঞান, মানবাধিকার প্রভৃতি বিষয়ে প্রবন্ধচর্চা করেন নিয়মিতভাবে৷ তাঁর 'অরুণা শানবাগ নিষ্কৃতিমৃত্যু ও ভারত' (২০১৭) বইটি এদ্যবধি ইউথেনেসিয়া প্রসঙ্গে লেখা একমাত্র পূর্ণাঙ্গ বাংলা বই যা মনোজ্ঞ পাঠকমহলে প্রশংসিত। সিএএ-বিরোধী আন্দোলনের সময়ে কবি ফৈজ আহমেদ ফৈজ-এর সর্বজনবিদিত 'হম দেখেঙ্গে' (দেখে নেবো আমরাই) কবিতাটির বাংলা অনুবাদ করে অবন্তিকা জাতীয় স্তরেও জায়গা করে নিয়েছেন।