বৃশ্চিক
উথাল মৈথুনকালে মনে হয়
আমি মেঘলা আকাশে একাকী তারা
ডানাহীন, বন্ধুহীন দ্বীপ।
মাংশপেশি শিথিল হয়ে আসে।
স্তনবৃন্তে লেগে থাকা লালা অবহেলা করি
যেমনটা করেছে ঢেউ নিয়ে খেলা
পৃথিবীর শেষতম জাহাজের নাবিক
কোথাও কি পৌঁছনো বাকি?
কিছু কৌতূহল এখনও দেবে কি আশ্চর্য বিস্ময়?
আকাশের মাঝে যেমনটা ফুটেছে বৃশ্চিক।

মথ
হৃদয়ের আশ্চর্য গুটিপোকায় রেশমের সুতো জড়িয়ে রেখেছ
পানাপুকুরের ক্লেদ, সবেদার ডাল বেয়ে নেমেছে বিকেল।
এই গ্রীষ্মের বিকেল
নিভে যাওয়া উনুনের তাপ, মনস্তাপ
সব ছাদের কোণে রেখে ঘরেফেরা পাখি দেখি।
ভাবি, সেই সিল্কের উড়ন্ত আঁচল, ময়ূররঙা,
কদাচিৎ আমার হাত অতিক্রম করে
যা ওড়েনি।
বরং কাশফুল বাদামি হয়েছে রোদে জ্বলে, দৃষ্টিকটু।
হৃদয়ের আশ্চর্য গুটিপোকায় রেশমের সুতো জড়িয়ে রেখেছ।
আর সেই তুঁত মথ! ডানা মেলেনি?
ডা না মেলেনি?
নন্দিনী সঞ্চারী পেশায় স্কুলশিক্ষিকা। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের পড়াশোনা। কবিতা লিখছেন কলেজে পড়ার সময় থেকে। বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় ও অনলাইন ম্যাগাজিনে নিয়মিত কবিতা লেখেন। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ ‘শুভাশিস চেয়েছি কখনও?’ (সপ্তর্ষি প্রকাশন)।
One Response
অপূর্ব লেখনী
পাঠে উল্লসিত ও আপ্লুত হলাম।