ভার্গো আর লিব্রা বাচ্চাদের জন্য সুখবর। অবশ্য খবরটা পড়ে বেশি ভাল লাগবে বাবা-মার। বিজ্ঞান বলছে সেপটেম্বরে জন্মদিন হলে, সেই বাচ্চার জীবনে সফল হওয়ার সম্ভাবনা অন্যদের চেয়ে অনেক বেশি। সবাই মোটামুটি জানেন যে বাচ্চা বড় হয়ে কেমন হবে, তার পিছনে জিন এবং যে পরিবেশে সে বড় হচ্ছে, তার বিশাল ভূমিকা থাকে। এই তথ্য নিয়ে নানা তর্ক-বিতর্ক, আলোচনা আছে। মোটা মোটা বইও লেখা হয়েছে। আমরা সেই সব দিতে যাচ্ছি না। ‘ন্যাশনাল বিউরো অব ইকনমিক রিসার্চ’-এর একটি রিপোর্ট বলছে যে সমস্ত বাচ্চারা সেপটেম্বর মাসে জন্মায়, তাঁদের জীবনের গতি ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।
এই গবেষণা করা হয়েছে ৬-১৫ বছরের বাচ্চাদের উপর। পরীক্ষায় তারা কত নম্বর পেয়েছে বা তাদের গ্রেড হিসেব করে দেখা হয়েছে যে সব বাচ্চারা সেপ়টেম্বরে জন্মেছে, তাদের গ্রেড সহপাঠীদের চেয়ে অনেক ভাল। হিসেবনিকেশ করে ভবিষ্যতে এরা পড়োশানোয় কেমন হবে তা বোঝার চেষ্টা করেছেন গবেষকরা। তাঁদের অনুমান যে যারা ছোটবেলায় ভাল নম্বর পায়, বড় হয়েও তাদের ভাল রেজাল্ট করার সম্ভাবনা অনেক বেশি। জোডিয়াক সিস্টেমেও ভার্গো আর লিব্রাকেই সবচেয়ে বুদ্ধিমান রাশি বলে চিহ্নিত করা আছে।
গবেষকরা মনে করেন এর একটা বড় কারণ স্কুলে ভর্তির কাট অফ ডেট। সাধারণত স্কুলগুলিতে সেশন এমনভাবে প্ল্যান করা হয়, যে সেপটেম্বরে যারা জন্মেছে তারা ক্লাসে বয়সে বড় হয়। ফলে তাদের ম্যাচিওরিটি লেভেলও বেশি হয়। পড়া বোঝার ক্ষমতাও অন্যদের তুলনায় ভাল হয়। ফলে তারা পড়োশানোয় বেশি মন দিতে পারে এবং পরীক্ষায় ভাল ফল করে।
এ ছাড়াও গবেষকদের মতে সেপটেম্বরে যারা জন্মায়, তাদের আয়ুও বেশি হয়। এমনকী ১০০ বছর পর্যন্তও তারা বাঁচতে পারে। আসলে এই সময়ে বাচ্চাদের মরসুমী ইনফেকশন, অ্যালার্জি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। হয়তো সেপটেম্বরে জন্মালে বাচ্চারা প্রথম দিকে একটু বেশি ভোগে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে এদের ইমিউনিটি বেড়ে যায় এবং রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতাও বাড়ে। ফলে এরা অন্যদের তুলনায় বেশি দিন বাঁচে।
এই একই রিসার্চে দেখা গেছে যে সেপটেম্বরে যাদের জন্মদিন, তাদের মাংসপেশি অনেক বেশি শক্তিশালী। বোন মাসও এদের বেশি। এরা খেলাধুলো করতেও খুব ভালবাসে। উচ্চতাতেও এরা সমবয়সিদের ছাপিয়ে যায়। তবে এর কারণটা এখনও পুরোপুরি বুঝতে পারেননি গবেষকরা। তবে এটুকু তারা নিশ্চিত যে সেপটেম্বরে জন্মালে জীবনে সব দিক থেকে এগিয়ে থাকার সম্ভাবনা বেশি।