কথা হয়েছিল ফোনে। বিয়ে ঠিক হয়ে যাবার পরে তখন মাঝেমধ্যেই ফোনে বা সামনা-সামনি গল্পগুজব হয়। হানিমুনে ‘পেরিয়ার ফরেস্ট’ যাব বলায় মল্লিকা খুব একটা খুশি হয়নি। বলেছিল, “বনে, কেন?”
ভেবেছিলাম বলি, রামসীতার হানিমুন কিন্তু বনেই হয়েছিল। সেই ট্র্যাডিশন বজায় রাখছি। তবে এ উত্তরটায় রাবণের প্রসঙ্গ আসতে পারে বলে চেপে গেছিলাম। (Short Story)
আমার নিজের কাছে একটা উত্তর আছে। আমি আরণ্যক পড়েছিলাম ক্লাস টেনে। তা ছিল এক সাংঘাতিক অভিজ্ঞতা। বনের গাছপালার সোঁদা গন্ধ উঠে এসেছিল বইয়ের পাতা থেকে। তারপর থেকেই বন টানে আমাকে। তাই হানিমুনে কেরল ট্যুরের প্রথম বেড়ানোর প্রোগ্রামটাই করেছিলাম পেরিয়ার টাইগার রিজার্ভ ফরেস্টে।
মল্লিকা কলকাতার মেয়ে। মন দিয়ে পড়াশুনা করেছে। বাবা মার সঙ্গে পুরী, দীঘা, দার্জিলিং গেছে। বিয়ের পর নতুন বর প্রথমেই কেরলের জঙ্গলে নিয়ে যাবে শুনে হয়তো ঘাবড়ে গেছিল।
আদর কাড়ানো সুরেলা গলায় বলেছিল, “চল না আমরা কাশ্মীর যাই।”
“কাশ্মীর গেলে আমি অমরনাথ যাব। তুমি রাজি আছো?”
মল্লিকা আঁতকে উঠেছিল, “ওখানে তো গুলিগোলা চলে সারাক্ষণ। প্রাণ হাতে করে বেড়াতে পারব না।”
“তাহলে পেরিয়ারেই চল। কথা দিচ্ছি তোমাকে বাঘ সিংহের হাতে তুলে দেব না।”
মল্লিকা তবু দু’একবার এদিক ওদিক দু’একটা নাম করেছিল। “নৈনিতাল যাবে? গোয়া?আন্দামান?”
ফোনের এপাশে আমি চুপচাপ ছিলাম। শেষে বেচারি মেনে নিয়েছিল পেরিয়ারের কথা। ভাবী বরকে ঘাঁটিয়ে লাভ নেই, বুঝেছিল হয়তো।

সেই বনভ্রমণের শুরু হয়েছে বিয়ের ন’দিনের মাথায়। কলকাতা থেকে প্লেনে কোচি। কোচিতে একরাত কাটিয়ে গাড়িতেই পেরিয়ার টাইগার রিজার্ভ ফরেস্টে চললাম আমরা। সাড়ে পাঁচ ঘণ্টার ধকল সয়ে সরকারি আবাসনের বাড়িটাতে ঢুকে মনে হল সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছি। চারপাশে জঙ্গল তার সবুজ ডালপালায় ভরসা দিল অনেকটা। মল্লিকা মহা খুশি! আমি অবশ্য নাক টানছিলাম। দেখছিলাম, লবটুলিয়ার মতো বুনো গন্ধ নাকে আসে কী না। পরে ভাবলাম ওসব আমাদের জন্য নয়, পাপীতাপী মানুষ!
পরের দিনটা ভীষণভাবেই হতাশ করল। জ্যাকেট পরে পেরিয়ার নদীর বুকে ভেসে দুপাশের জঙ্গলের শোভা আর চরায় কয়েকটা হরিণ ছানার দর্শনে মোটেই খুশি হতে পারলাম না। মল্লিকা লাঞ্চের পরে দিবানিদ্রায় মগ্ন, আমি বাইরের দোলনায় বসে ভাবছি, শুধু আজকের দিনটা। না বনভ্রমণ জমল না। কাল আবার অন্যপথে। “…সকলি ফুরায়ে যায় মা।”
কে জানে কার মনের কথা কে শোনে। ঠিক আমার পাশটায় এসে দাঁড়াল ছাতা হাতে একজন। নেহাতই ছাপোষা লোক! আমি তাকে ভাগাবার মতলবেই ছিলাম। ভাবিনি ওই নেহাত বেচারা লোকটা রীতিমত সাহসী! আমাকে একটা অদ্ভুত প্রস্তাব দিল সে।
“চলিয়ে বাবুজি, মেরা সাথ। আপলোগকো ইয়ে বন ঘুমায়েঙ্গে।”
আমার রক্তে হাতছানি ছিলই তবু মল্লিকা ঝামেলা করলে হয়তো যাওয়া হত না। কিন্তু ও এককথায় রাজি হয়ে গেল। জোঁক যাতে কামড়াতে না পারে তার জন্য বুট পরলাম আমরা। প্যান্ট, শার্ট আর মাথায় টুপি, পায়ে গন্ধমাদন সেই জুতো, চললাম বন সফরে। ওই জুতো মানে বুটটা, জোঁকের জন্য ব্যবহার করতে হচ্ছে। আমাদের সঙ্গে সেই ছাতা হাতে লোকটি। তবে আবাসনের কর্মচারীরাও বলেছে ওকে বিশ্বাস করলে ঠকার চান্স নেই। লোকটা চলেছে আগে আগে। আমি ওর পেছনে। আর মল্লিকা আমার ঠিক পাশে। ততক্ষণে আমি ভালোভাবেই দেখে নিয়েছি ওই লোকটার শুধু ছাতাই সম্বল। আর আমাদের দুজনের সম্বল একটি বিশ্বাস। সেটি হল, ‘যেখানেই যাই না কেন আমাদের কিছু হবে না।’
ঘন গভীর বনের মধ্যে সরু পায়ে চলা পথ। এগিয়ে চলার অসুবিধে একটাই, জোঁক। পায়ে ফিতে বাঁধা হাঁটু পর্যন্ত বুট। তাই হাঁটু অবধি সুরক্ষিত। তার ওপরের অংশে লাফিয়ে লাফিয়ে উঠছে ওরা। বনের ডাল ভেঙে নিয়ে তাই দিয়ে হ্যাট হ্যাট করে ভাগাচ্ছি ওদের। আর বনের মধ্যে? একটা পাকানো শিং ওলা নীল গাই ছাড়া তেমন কিছু চোখে পড়ল না।
মল্লিকা বেশ বিরক্ত! বলছে, “টাকাটাই নষ্ট। না আছে বনের বাহার, না আছে বুনো জন্তু। ধুসস্! এভাবে বনের মধ্যে ঘুরপাক খেয়ে হবে টা কী? চল, ঘরে ফিরে যাই।”
আমার তাতে মত নেই। চারপাশে হাত পা ছড়িয়ে দাঁড়িয়ে থাকা পুরনো দিনের বনস্পতিরা আমাকে ততক্ষণে আবিষ্ট করে ফেলেছে। ঘাসের মধ্যে দিয়ে হেঁটে চলা সরু পথে আমি এগিয়ে যাই লোকটার পিছু পিছু। বাতাসে বনের বুনো গন্ধ ভেসে এসে আমার নাকে ঝাপট মারে। আর কেউ পায় কী না জানি না, আমি সত্যি সত্যিই পাই।
দূরে দূরে আকাশের গায়ে আঁকা ছবির মতো আবছা পেন্সিলের স্কেচে পাহাড়ের ঢেউ চোখে পড়ছে। লেকের ধারে হাঁটার সময় বনের ঘনত্ব কমে আসছিল। ফাঁকে ফাঁকে উঁকি দিচ্ছিল নীল আকাশ। এখানে ওখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মেঘের দল ভেসে বেড়াচ্ছিল সেই আকাশের বুকে।
লোকটা থামেই না। চক্রাকারে ঘুরিয়ে চলেছে আমাদের। আমরাও ওর পিছু পিছু চলেছি বনের পথে। মল্লিকার পায়ে লাগছে, জোঁকের উপদ্রব, মাঝেমাঝেই ও বলছে, “ফিরে চল, আর শুধু শুধু রাস্তায় হাঁটতে পারছি না।”
এবড়োখেবড়ো পথ। একেবারে সবুজ গাছপাতা। মাঝে মাঝে ছোট ছোট টিলার গা গড়িয়ে নেমে আসছে ঝিরঝিরে জলধারা। আমার ফিরতে ভালো লাগছে না। মুখে অবশ্য সেকথা বলছি না।
ঠিক তখনই বনের ঝোপঝাড় ঠেলে কারোর আসার আওয়াজ পেলাম আমরা। কিছু বোঝার আগেই দুদ্দাড়িয়ে আমাদের মাঝখান দিয়ে দৌড়ে গেল দুটো বুনো শুয়োর। আমরা লাফিয়ে দুপাশে সরে না গেলে কী হত বলা মুশকিল!
মল্লিকা হাঁফাচ্ছে। আমি ওর হাত ধরে টেনে আনছিলাম একটা বুনো কুলের গাছের দিকে। ছাতার খোঁচা খেয়ে দুজনে একপাশে সরে যেতেই একটা কালো রঙের হিলহিলে সাপ গাছের ফাঁক থেকে সড়াৎ করে নীচে নেমেই স্বাভাবিক গতিতে সামনের দিকে এগিয়ে গেল।
“ইয়ে কোবরা বহুত জহরিলা হ্যায়। কাটনে পরহি আপ গায়েব হো যাতে।” পাশের মানুষটি বলে উঠল।
পথটা এঁকেবেঁকে গিয়েছে সামনের দিকে। মাথার ওপরে কিচ্কিচ্ আওয়াজে তাকিয়ে দেখি গাছে ভর্তি বাঁদর। মল্লিকা ভয়ে আমার গা ঘেঁষে হাঁটছে।
ঠিক তখনই শোনা গেল গাছের ডাল টেনে নামানোর বিকট আওয়াজ। আমাদের একটানে গাছের পেছনে নিয়ে গেল লোকটা। নিঃশ্বাস না ফেলে আমরা দেখলাম বিশাল এক হাতির পাল, সঙ্গে তাদের দু’একটা বাচ্চাকে নিয়ে পুরো পথ জুড়ে শোভাযাত্রায় চলেছে। পথে যেতে যেতে গাছের ডাল ভেঙে পাতা খাচ্ছে। ওরা চলে যেতে আমরা আবার রাস্তায় নামলাম। কানে তখনও হাতির শুঁড় তোলা ডাক ভেসে আসছে।
ওই পথটা পেরোতেই ফাঁকা মাঠ পড়ল। মাঠের সামনের দিকে ঘন বনভূমি। জঙ্গল কখনও কখনও যে এমন ঘন হয়, আগে জানা ছিল না। ভেতরে আলোর ঢোকা বেরোনোর পথ বন্ধ। নিরেট ওই গাছপালার দেওয়াল ভেদ করে অন্যপাশের কিছুই দেখা যাচ্ছে না। মাঝেমাঝে শুনছি নাম না জানা পাখির টুই টুই ডাক। অনেকক্ষণ হেঁটে ক্লান্ত মল্লিকা ব্যাগ থেকে জলের বোতল বার করে জল খাচ্ছে।
লোকটা বলল, “এবার ফিরব।”
আমি মল্লিকাকে সুখবর দেওয়ার কথা ভাবলাম। ঠিক তখনই খেয়াল হল চারপাশ একেবারেই শব্দহীন। কোনও আওয়াজ শোনা যাচ্ছে না। একটু আগেই যে পাখিগুলো ডাকছিল তারা চুপচাপ। এক অস্বস্তিকর নীরবতা নেমে এসেছে আমাদের চারপাশে। লোকটার দিকে তাকাই, মুখে আঙুল দিয়ে আমাদের চুপ করে থাকতে বলছে।
ভয়ঙ্কর কিছুর আশঙ্কা করে আমি মল্লিকাকে লক্ষ করি। ভয়ে ওর মুখ শুকিয়ে গিয়েছে।
হঠাৎ এক বিচিত্র আওয়াজ পাই। কুব কুব করে একটানা ডেকে চলেছে। লোকটা এবার ফিস্ফিস্ করে হিন্দিতে যা বলে তার মানে হল, এই ডাক ‘বার্কিং ডিয়ারের’। বাঘ এলে ওরা ডাকে। ওরা ডাকছে মানেই আশেপাশে বাঘ আছে।
মল্লিকা সরে আসে আমার কাছে। কাঁদো কাঁদো চোখে ইশারায় বলে, “কী হবে এবার?” আমি কোনও উত্তর দিই না। একহাতে জড়িয়ে ওকে কাছে টেনে নিই। দেখি লোকটা নির্বিকার ভঙ্গিতে ছাতার সুইচ টিপে দেখছে ছাতাটা খোলে কী না।
এতক্ষণে খেয়াল হয় আমাদের কাছে কোনও অস্ত্র নেই। শুধু ওই ছাতাটা আছে লোকটার কাছে। আর সামনের ঝোপটা ঠিক তিনশো গজ দূরে।

পৃথিবীতে নানা ধরণের নীরবতা আছে। তবে নীরবতর ভয়ংকরতা বলে কিছু যদি থাকে, সেদিন বুঝলাম। পেটের মধ্যে পাক দিচ্ছে, যেকোনও মুহূর্তে দুপুরের বিরিয়ানি উঠে আসবে। মল্লিকা কাঁদছে না। শুধুই আওয়াজ করা যাবে না বলে, নাকি ওর গলা শুকিয়ে গিয়েছে? আমি ওর হাতের আঙুলে হাত গলিয়ে রেখেছি, টের পাচ্ছি বাঁধনের কোনও জোর নেই। হাত ছাড়লেই ও ধপ্ করে মাটিতে পড়ে যাবে।
একজায়গায় স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে আছি। লোকটা আমাদের পাশেই, ছাতাটাকে বাগিয়ে ধরে আছে। ঠিক তখনই শুরু হল আওয়াজটা। হেলিকপ্টারের পাখা ঘোরার মতো রীতিমত ভারী গরর, গরর আওয়াজ। ভেসে আসছে ওই ঘন বনের পেছন থেকে। আওয়াজটার গাম্ভীর্য ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। বাঘটা যে আমাদের থেকে খুব বেশি দূরে নেই, সেটা বোঝার অপেক্ষা রাখে না। ওই আওয়াজ সবটাই বুঝিয়ে দিচ্ছে।
কোনও চিন্তাই করা যাচ্ছে না। ঝোপটার দিকে স্থিরভাবে তাকিয়ে দাঁড়িয়ে আমরা। পায়ে ঝিন্ঝিনি ধরেছে, কিন্তু নাড়াবার সাহস নেই। যেন অনন্তকাল ধরে একভাবে কারোর অপেক্ষায় আছি। ওদিকে ওই ভয়ংকর আওয়াজ হয়েই চলেছে।
গল্পের বইতে পড়েছি, মৃত্যুর মুখোমুখি হলে, মায়ের মুখ, বাবার মুখ, মনে পড়ে। আমার কোনও মুখ তখন মনে পড়েনি। আওয়াজটা আসলে আমাদের মৃত্যুর পরোয়ানা শুনিয়ে দিচ্ছিল, তা হজম করে অন্যকথা ভাবার শক্তি ছিল না। বেশ কিছুক্ষণ ওইভাবে দাঁড়িয়ে থাকার পর তিনি আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন। মানে আওয়াজটা একেবারেই থেমে গেল। কিন্তু আমাদের বুকের ধক্ধক্ আওয়াজ তখনও থামেনি।
বাঘটা কী আমাদের করুণা করল? কিংবা আমাদের মোটে দশ দিনের বিবাহিত জীবনকে রক্ষা করা কর্তব্য মনে করল? এসব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যায়নি।
মল্লিকা অবশ্য বলেছিল, “ওই ছাতার জন্যই বাঘটা ঘাবড়ে গিয়ে ফিরে গিয়েছে।”
কথাটা সত্যি হলেও হতে পারে। লোকটা ছাতাটা পুরো খুলে সামনে ধরেছিল। বনের আড়াল থেকে হয়তো ওটাকে দেখেই বাঘ ভয় পেয়েছিল।
সেদিন রাতে ট্যুরিস্ট লজের ব্যালকনিতে বসে আমরা দুজনে কথা বলছিলাম। মল্লিকা আমায় প্রশ্ন করল, “একটা সত্যি কথা বলবে, বাঘটা সামনে এলে কী করতে?”
আমি বললাম, “আমি তো গাছে চড়ার কথা ভাবছিলাম। তুমি বলো, তুমি কী করতে?”
“আমিও ওটাই ভেবেছিলাম। গাছেই উঠতাম।” মল্লিকা হাসে।
রাতে মল্লিকা ঘুমিয়ে পড়ার পর আমি ব্যালকনিতে বসে দেখছিলাম পূর্ণিমার চাঁদের আলো। হঠাৎ ওই বিভৎস ডাকটার কথা মনে পড়ে পেটের মধ্যে পাক দিল। ভালো করে আবার তাকিয়ে দেখি, না কোথাও ভয়ের চিহ্নমাত্র নেই। গাছপালার মাথায় পূর্ণিমার চাঁদের আলোয়, মায়ার সর ভাসছে।
কেমন যেন মনে হল এই ভালো লাগার অনুভূতির মধ্যেই লুকিয়ে আছে পৃথিবী ছেড়ে চলে যাবার ভয়, ভীতি, সবটুকু। অথচ সবটাই কত তাৎক্ষণিক। থাকার মতোই না থাকার সম্ভাবনাটাও যে কোনও সময়, ভীষণ ভাবেই সত্যি হতে পারে।
ঐতিহ্যময় শহর চন্দননগরের স্থায়ী বাসিন্দা সর্বাণী বন্দ্যোপাধ্যায় বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির স্নাতক।১৯৯৬ সালে প্রথম গল্প প্রকাশিত হয়’দিবারাত্রির কাব্য’ পত্রিকায়।২০০১ সালে ‘দেশ’ পত্রিকায় প্রথমে কবিতা পরে গল্প প্রকাশিত হয়।‘আনন্দবাজার’ ও ‘বর্তমান’ পত্রিকার প্রায় সব বিভাগে, ‘আজকাল’, ‘প্রতিদিন’, ‘তথ্যকেন্দ্র’, ‘উত্তরবঙ্গ সংবাদ’ ছাড়াও, ‘অনুষ্টুপ’, ‘কুঠার’, ‘এবং মুশায়ারা’-র মতো বিভিন্ন লিটল ম্যাগাজিনেও তার কবিতা, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ প্রকাশের ধারা অব্যাহত। প্রকাশিত উপন্যাস নটি , গল্পগ্রন্থ চারটি, এবং কবিতার বই দুটি।
কর্মজীবনে তিনি অর্থনীতির শিক্ষিকা হিসাবে চন্দননগরের একটি উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।অবসরের পরে পুরো সময়টাই লেখালেখিতে মগ্ন থাকেন।এখন দেশ বিদেশের বিভিন্ন আন্তর্জালিক পত্রিকাতেও তার লেখা প্রকাশিত হচ্ছে।আপাততঃ অনলাইনে একটি পত্রিকায় একটি উপন্যাস প্রকাশিত হচ্ছে।