Generic selectors
Exact matches only
Search in title
Search in content
Post Type Selectors

গল্প: অন্য মামা 

শতদ্রু মজুমদার

মার্চ ৩১, ২০২৪

Amusing short story Onyo mama
Bookmark (0)
Please login to bookmark Close

সকাল বেলা মামা বলল, ‘ঘন্টি তোর সঙ্গে একটা জরুরি কথা আছে রে’
— ‘কী কথা মামা?’
— ‘তোর মায়ের যে একটা কবিতার খাতা ছিল…’
কেড়ে নিয়ে বললাম, ‘ছিল। আমিও শুনেছি। চোখে কোনোদিন দেখিনি। কেন? কী হবে?’
মামা বলল, ‘আজ গুরুদাস হলে সারাদিনব্যাপী কবিসভা…’
আমি বললাম, ‘তাতে তোমারই বা কী, আমারই বা কী! আমরা তো কেউই কবিতা লিখি না।’
মামা বলল, ‘লিখি না। কিন্তু আজ লিখব। একটা কবিতা পড়লে খেতে দেবে, জানিস!’
— ‘কেন, তুমি কি খেতে পাও না?’
— ‘পাই। কিন্তু কবিসভার ভাত কখনও খেয়েছি কি?’
আমি এক গাল হেসে বললাম, ‘ওও ! ওই জন্য তুমি মায়ের কবিতার খোঁজ করছ? ঐখান থেকে একটা গ্যাঁড়া মেরে নিজের নামে চালাবে?’
সবাই জানে, আমার মামা ভাঙবে কিন্তু মচকাবে না। তাই একটা বিড়ি ধরিয়ে বলল, ‘দূর বোকা! তোর মা’র কবিতা আমার নামে চালাতে যাব কেন? দিদির নামেই পড়ব। স্নেহলতা দেবীর কবিতা এখনকার কজন পড়েছে? বলব, তিনি অসুস্থ, আসতে পারেননি। তাই আমাকে দিয়ে এই কবিতাটা পাঠালেন।’
— ‘এসব কথা মা জানে? আচ্ছা, আমিই গিয়ে জিজ্ঞেস করছি।’

এগিয়ে যাচ্ছিলাম, মামা খপ করে হাতটা ধরল— ‘তোকে কিছু বলাও মুশকিল! মা’কে এসব বলতে হবে না।’

আরও পড়ুন- এই পুস্তক জে চুরি করিবেক

আমি মাকে কিছু বলিনি ! তবে আলমারি খোঁজাখুঁজি করে একটা পুরনো শিশুসাথী পত্রিকা পেলাম। তাতে মা’র একটা কবিতা, নাম— ‘ছোট্ট জিজ্ঞাসা’! মামাকে দেখাতেই বলল, কাজের কাজ করেছিস। এই কবিতাটাই আমি পড়ব। আমার মায়ের কবিতা পাঠ হবে তাতে আমি খুব খুশি। বললাম, এই ভালো খবরটা কিন্তু মাকে জানানো দরকার। মামা রেগেমেগে বলল, ‘এখুনি কিচ্ছু জানানোর দরকার নেই।’
বলেই মামা আমাকে নিয়ে সোজা হলে হাজির ! দেখলাম। সে কী হই হই ব্যাপার রৈ রৈ কাণ্ড! বাড়ির ছাদে দু’মুখো দুটো মাইক, গান বাজছে, ‘অবাক পৃথিবী অবাক যে বার বার!’
অবাক কাণ্ডই বটে ! গাছের ডালে ঝুলছে :
ধুলো ওড়াই কবিতা পাই / বাইবেল-কোরান-গীতা সবই আমার কবিতা / সবার উপরে কবিতা সত্য!

short story Onyo mama Image 1

হলে ঢোকার মুখেই একজন টেবিল চেয়ারে বসে। তার সাদা পাঞ্জাবি ভর্তি কীসব লেখা! মনে হচ্ছে কবিতার লাইন। মাথায় কাগজের লম্বা টুপি। অনেকটা চানাচুরওয়ালার মতো। তাতেও কবিতা! একটা লাইন পড়তে পারলাম, ‘কবিতা তোমায় দিলাম আজকে ছুটি’। অনেক কষ্টে হাসি চাপলাম। ছুটি দিয়েছে তো মাথায় নিয়ে বসে আছে কেন, বুঝলাম না।
মামা নাম সই করল। সঙ্গে সঙ্গে হাতে ধরিয়ে দিল একটা প্যাড আর ডট পেন। চা বিস্কুট খেতে খেতে বললাম, ‘মামা এই প্যাডে কি আমার মায়ের কবিতাটা টুকে নেবে?’
মামা বেশ গম্ভীর হয়ে বলল, ‘না রে, ভাবছি আমি নিজেই একটা কবিতা লিখব। এদের এসব কাণ্ডকারখানা দেখে আমার খুব কবিতা লিখতে ইচ্ছা করছে!’
— “তাই নাকি?’
— ‘পাশাপাশি সময় পেলে তোর মায়ের কবিতাটাও পড়ব।’
আমি বললাম, ‘মায়ের কবিতাটা আমি পড়ি না?’
— ‘না না, তুই পড়বি কী? স্টেজে উঠে ঘাবড়ে যাবি। সে আরেক বিচ্ছিরি কাণ্ড হবে। পড়লে আমিই পড়ব।
আমি আর কি বলব! মামা আজ মায়ের কবিতাই নিজের নামে চালাবে। হলের ভিতরে বসে সেটা ওই নতুন প্যাডে টুকলি করবে। মামা সব পারে!

short story Onyo mama Image 2

বিশাল হল। সারি সারি চেয়ার। রকমারি লোক বসে। জীবনে এই প্রথম এত কবিকে একসঙ্গে দেখলাম। আমার ধারণা ছিল, কবি মানে ধুতি পাঞ্জাবি পরা গোঁফওলা লোক, মাথার চুল বেশ লম্বা, চোখে চশমা থাকবে। আমাদের ইস্কুলে সংস্কৃত মাস্টার বাংলায় কবিতা লিখতেন। তাঁকে ঠিক ওইরকম দেখতে ছিল। এখানে তেমন একজনকেও দেখলাম না। সবাই প্যান্ট শার্ট, লাল নীল গেঞ্জি পরা। কারও মাথায় উল্টো টুপি, কারও এক কানে দুল। একটা লোকের মাথার সব চুল সাদা, তার পরনে কলারঅলা লাল গেঞ্জি। এদের দেখে মনে হচ্ছে, সবাই এখানে যাত্রাপালা বা থিয়েটার দেখতে বা বিজয়া সম্মেলনে এসেছে।
সে যাই হোক গে, একসাইডে বসলাম আমরা। কবিতা শোনায় মন নেই আমার, কবিদের দেখছি মন দিয়ে। দাঁড়িয়ে থাকা একজন, চুন উড়িয়ে দিব্বি খৈনি গুঁজলো ঠোঁটের খাঁজে। লাল চুলের এক মহিলা বললেন, ‘যদি কিছু মনে না করেন, এই জায়গাটা আমার।’ আমি অবশ্যই মনে করেছি। কারণ, ফাঁকা ছিল, বসে পড়েছি। কারও তো কোনও চেয়ার কেনা নয়। তবু কিছু না বলে পেছনের একটা খালি চেয়ারে বসলাম।
মামা কিছু বলল না। ক্লাশের ভালো ছেলের মতো সে তখন মন দিয়ে শুনছে, আবার কীসব লিখছে! একবার দেখতে চেয়েছিলাম, ধমকে উঠল, ‘চুপ করে শোন!’ আমি আর কী বলব! যে লোকটা গল্প-কবিতা থেকে একশো হাত দূরে, সে লিখছে কবিতা? কী ভেলকি দেখাবে কে জানে!

short story Onyo mama Image 3

মাইকে ঘোষণা হল: এখন কবিতা পড়বেন ভারতবর্ষের একমাত্র ভিক্ষুক কবি গণেশ হাওলাদার!
সাদা পাজামা পাঞ্জাবি আর চোখে কালো চশমা একজনকে ধরে ধরে স্টেজে তোলা হল। তাঁর হাতে কোনও কাগজপত্র নেই। মুখে মুখেই তিনি পদ্য বলতে পারেন!
— ‘নমস্কার, আজ আমি স্বাধীন সিরিজের কয়েকটি পদ্য শোনাচ্ছি
স্বাধীন মানেই কারচুপি
স্বাধীন মানেই চাপ
স্বাধীন মানেই চাপে পড়ে
আচ্ছা মরণ-ঝাঁপ ! (যেটা যাদবপুরে হয়েছে !)
হল জুড়ে তুমুল হাততালি। ঘুলঘুলি থেকে কটা গোলাপায়রা বেরিয়ে ফর ফর করে উড়ে গেল।অমনি কবি বলে উঠলেন—
‘সূর্য স্বাধীন চন্দ্র স্বাধীন
সত্যি কি স্বাধীন আমরা?
মুক হলেও হয়তো স্বাধীন
অট্টালিকার পায়রা…’
অনর্গল এমনই ডজনখানেক ছোট ছোট কবিতা শুনিয়ে ফের হাততালি তুলে হাওলাদার স্টেজ থেকে নেমে গেলেন। সত্যি বলতে কি, এখন পর্যন্ত যতগুলো শুনলাম তার মধ্যে ভিক্ষুক কবির কবিতাই আমার মতে শ্রেষ্ঠ, মনেও থাকবে।
আবার ঘোষণা হল: ‘এখন কবিতা পড়তে আসছেন বাঁকুড়া থেকে আগত কবি শুকসারি! আপনাদের অবগতির জন্য জানিয়ে রাখি, এঁরা স্বামী-স্ত্রী মিলে একটি কবিতা রচনা করেন। এটাই ওঁদের কাব্য-বৈশিষ্ট্য।
দুটো মাইকের সামনে দুজন দাঁড়াল। একজন মহিলা, একজন পুরুষ ! দুজনের হাতে দুটো কাগজ। এ একটা লাইন বলে, সে একটা।
‘আছো কেমন?
বেঁচেবর্তে যেমন তেমন!
কী বাহবা শ্বাসে জলে!
পড়েছি খুড়োরকলে!
হায় কী বেহাল জি.টি.রোড?
শেরশাহের ডাউনলোড!’

ভাট বকেই চলেছে, অনেকটা ঠিক তরজা গানের মতো! সেটা হলেও বরং ভালো হত, একটু মজা পাওয়া যেত। ওদের আর একটা বৈশিষ্ট্য লক্ষ করলাম— দাঁড়ি-কমা-ড্যাস -সেমিকোলন-জিজ্ঞাসা চিহ্ন এগুলো সব মুখে মুখে বলে দিল। 

short story Onyo mama Image 4

দুপুর দুটো নাগাদ মামার ডাক এল। আমি নড়েচড়ে বসলাম, মাইকের সামনে তালেবরের মতো মামা দাঁড়াল!
— ‘নমস্কার, আমার কবিতার নাম ‘জগাখিচুড়ি’… বলেই যাত্রা করার ঢঙে, কী যে পড়ল মাথামুন্ডু কিছুই বুঝলাম না! হাততালিও দিল অনেকে! খুব ছোটবেলায় আমাদের পাড়ার কেষ্টা পাগল সাদা কাগজে হাবিজাবি লিখে এনে, মাকে পড়ে শোনাতো, তারপর বলত, ‘বৌদি এবার তালের বড়া খাওয়ান।’ মামার কবিতা অনেকটা সেইরকম।
স্টেজ থেকে নেমে এসে মামা বলল, ‘চ একটা বিড়ি খেয়ে আসি।’ যেন রাজ্য জয় করে এল! পকেটে হাত দিয়ে বিড়ি বের করতে যাবে অমনি একজন এসে বলল, ‘নমস্কার দাদা দারুণ কবিতা লিখেছেন, একটা সিগারেট খান।’
মামা জিজ্ঞেস করল, ‘আপনার নাম?’
ছেলেটা গম্ভীরসে বলল, ‘আমার নাম হারাধন ধারা। কুম্ভকর্ণ ছদ্মনামে আমি কবিতা লিখি।’
মামা বলল, ‘আপনি কি ঘুমোতে খুব ভালোবাসেন?’
— ‘না, এই নামটা এখন পর্যন্ত কেউ নেয়নি তো, তাই !’
মামা বলল, ‘ওরাং ওটাং নামটাও তো এখনও কেউ নেয়নি!’
লোকটা বলল, ‘না আমার বাছাইটা ধর্মগ্রন্থ থেকে!’
— ‘ওহ আচ্ছা!’
তারপর সে বলল, ‘আপনি নিশ্চয়ই আমার কবিতা পড়েছেন?’
এক মুখ ধোঁয়া ছেড়ে মামা বলল, ‘হ্যাঁ পড়েছি তো!’
আসলে পড়েনি !
লোকটা হাসি হাসি মুখ করে বলল, ‘আমার একটা লাইন আর আপনার কবিতার একটা লাইন সেম!’
— ‘কোন লাইনটা বলুন তো?’
— ‘ওই যে, অরাজকতায় শুধুই বিবমিষা!’
— ‘ও আচ্ছা!’
— ‘ঠিকই বলেছেন, আমার আপনার সকলের ভেতরে ভেতরে চলছে বিবমিষা’

short story Onyo mama Image 5

মামা চুপ! কারণ বিবমিষা’র মানেটাই জানে না। অমনি আর এক ভদ্রমহিলা বললেন, ‘হ্যাঁ আমার কবিতার একটা লাইনও মিলে গেছে!’
মামা বলল, ‘আপনার কবিতার লাইন?’
— ‘ওই যে, কেবলই যাতনাময়!’
— ‘কী আশ্চর্য !’
— ‘আশ্চর্যের কী আছে দাদা! আমরা সবাই তো একই যন্ত্রণার শরিক।’
এক বৃদ্ধ বললেন, ‘খুব সুন্দর লিখেছেন ভাই!’
মামা বলল, ‘আমাকে বলছেন?’
— ‘হ্যাঁ আপনাকে বলছি। কী অপূর্ব! উত্তাল তরঙ্গ রে! অবিশ্যি ঐ লাইনটার জন্য আমি রবি ঠাকুর প্রভাবিত।’
আমি মনে মনে বলি, চোরের ওপর বাটপারি !
মামা চুপ।
বৃদ্ধ বললেন, ‘আপনিও নিশ্চয় রবীন্দ্রসংগীত ভালবাসেন?’
— ‘হ্যাঁ, সে আর বলতে!’

short story Onyo mama Image 6

ফের মিথ্যে! সিনেমার হিন্দি গান ছাড়া অন্য কোনও গান মামাকে কোনোদিন শুনতে দেখিনি। সেই লোক নাকি রবীন্দ্রসংগীতের ভক্ত? এ তো দিনকে রাত করে দেওয়া! আমি মামাকে টেনে নিয়ে বাইরে চলে এলাম। আর বেশিক্ষণ থাকলে দুজনেই এক সঙ্গে পাগল হয়ে যাব। তারপর বললাম, ‘সত্যি করে বল তো মামা ব্যাপারটা কী?’
— ‘ব্যাপার কিছুই না, আটজন কবির একটা করে লাইন ঘুরিয়ে ফিরিয়ে লিখে সেটাই গিয়ে পড়ে এলাম মঞ্চে!’
— ‘কিন্তু কবিতার তো একটা মানে থাকে?’
— ‘যে শুনবে সে মানে করে নেবে। এই যে আকাশের চাঁদ — এর কতরকম মানে হয় জানিস?
আমি বললাম, ‘চাঁদের তো একটাই মানে, পৃথিবীর উপগ্রহ!’
মামার সেই এক কথা, ‘একটা পাশ করলে তুই এটা বলতিস না।’
আমি মাধ্যমিক ফেল। এটা সবাই জানে। কিন্তু তার সঙ্গে এসবের কী সম্পর্ক? রাগ হজম করে বললাম, ‘কী বলতে চাইছ বল তো?’
সবজান্তার মতো মামা বলল, ‘ভূগোলের কথা ছাড়! কবিতায় কেউ চাঁদকে বলে প্রিয়ার মুখ, কেউ শিশুর হাসি, কেউ কাস্তে, কেউ পোড়া রুটি, আবার কেউ বলে, উজ্জ্বল ফাঁদ! আধুনিক কবিতাও তাই ! এক একজনের কাছে এক একরকম মানে, কোনোটাই সঠিক নয়, আবার ভুলও নয়।’
বললাম, ‘আমার খিদে পেয়ে গেছে।’
— ‘হ্যাঁ, তা তো পাবেই। জীবনে খাওয়া ছাড়া আর কী করলি! চ খেয়ে নিই! তবে তোকে খেতে দেবে কিনা জানি না!’
আমার পেটে খিদে, মুখে অন্য কথা বললাম, ‘না দিক, তুমি খাবে আমি দেখব।’
— ‘মানে?’
— ‘দুটো পাশ করে তুমি এর মানে জানো না?’
— ‘জানি না বলেই তো বলছি…’
— ‘অন্যের কবিতা নিজের করে যদি তোমার মন ভরে, তা হলে তোমার খাওয়া দেখে আমার পেট ভরবে।’
মামা চুপ। মনে হচ্ছে, উত্তরে কী বলবে তার ভাষা হাতড়াচ্ছে।

 

 

*অলংকরণ: শুভ্রনীল ঘোষ

Author Satadru Majumder

শতদ্রু মজুমদার মূলত গল্পকার। কলেজ জীবন থেকেই লেখালিখি।বাংলা ভাষায় প্রকাশিত প্রতিটি দৈনিক সংবাদপত্রেই তিনি গল্প লিখেছেন, এছাড়াও উল্লেখযোগ্য পত্রপত্রিকা যেখানে গল্প লিখেছেন সেগুলি হল- 'অনুষ্টুপ', 'পরিচয়', 'চতুরঙ্গ', 'গল্পগুচ্ছ', 'একুশ শতক', 'এবং সায়ক', 'গোধূলি মন' প্রভৃতি। 'সানন্দা', 'সন্দেশ', 'শুকতারা', 'নবকল্লোল', 'প্রসাদ', 'শনিবারের চিঠি' ইত্যাদি অজস্র পত্রিকায় ছোটগল্প ও অনুগল্প লিখেছেন। গল্পগ্রন্থ দশটি। তার মধ্যে ছোটদের গল্পসংকলন চারটি, প্রথম প্রকাশিত গল্পগ্রন্থ 'আগাছার জন্ম বৃত্তান্ত'। অনুগল্প সংকলন 'নামমাত্র' মাত্র ছয় মাসেই ২০০ কপি নিঃশেষিত, দ্বিতীয় মুদ্রণ প্রকাশের অপেক্ষায়। এছাড়াও প্রবন্ধ, রম্যরচনা এবং ফিচারও লিখেছেন। তাঁর সৃষ্ট এক বিশেষ চরিত্র কাঁদন পরামানিক যাকে নিয়ে লেখা গল্পের সংখ্যা প্রায় একশো। মুদ্রিত উপন্যাসের সংখ্যা তিনটি, গ্রন্থভুক্ত হয়নি।
পুরস্কার - গল্পমেলা পুরস্কার (২০০০), অন্তর্বীজ কিশোর সাহিত্য (২০০৩)

Picture of শতদ্রু মজুমদার

শতদ্রু মজুমদার

শতদ্রু মজুমদার মূলত গল্পকার। কলেজ জীবন থেকেই লেখালিখি।বাংলা ভাষায় প্রকাশিত প্রতিটি দৈনিক সংবাদপত্রেই তিনি গল্প লিখেছেন, এছাড়াও উল্লেখযোগ্য পত্রপত্রিকা যেখানে গল্প লিখেছেন সেগুলি হল- 'অনুষ্টুপ', 'পরিচয়', 'চতুরঙ্গ', 'গল্পগুচ্ছ', 'একুশ শতক', 'এবং সায়ক', 'গোধূলি মন' প্রভৃতি। 'সানন্দা', 'সন্দেশ', 'শুকতারা', 'নবকল্লোল', 'প্রসাদ', 'শনিবারের চিঠি' ইত্যাদি অজস্র পত্রিকায় ছোটগল্প ও অনুগল্প লিখেছেন। গল্পগ্রন্থ দশটি। তার মধ্যে ছোটদের গল্পসংকলন চারটি, প্রথম প্রকাশিত গল্পগ্রন্থ 'আগাছার জন্ম বৃত্তান্ত'। অনুগল্প সংকলন 'নামমাত্র' মাত্র ছয় মাসেই ২০০ কপি নিঃশেষিত, দ্বিতীয় মুদ্রণ প্রকাশের অপেক্ষায়। এছাড়াও প্রবন্ধ, রম্যরচনা এবং ফিচারও লিখেছেন। তাঁর সৃষ্ট এক বিশেষ চরিত্র কাঁদন পরামানিক যাকে নিয়ে লেখা গল্পের সংখ্যা প্রায় একশো। মুদ্রিত উপন্যাসের সংখ্যা তিনটি, গ্রন্থভুক্ত হয়নি। পুরস্কার - গল্পমেলা পুরস্কার (২০০০), অন্তর্বীজ কিশোর সাহিত্য (২০০৩)
Picture of শতদ্রু মজুমদার

শতদ্রু মজুমদার

শতদ্রু মজুমদার মূলত গল্পকার। কলেজ জীবন থেকেই লেখালিখি।বাংলা ভাষায় প্রকাশিত প্রতিটি দৈনিক সংবাদপত্রেই তিনি গল্প লিখেছেন, এছাড়াও উল্লেখযোগ্য পত্রপত্রিকা যেখানে গল্প লিখেছেন সেগুলি হল- 'অনুষ্টুপ', 'পরিচয়', 'চতুরঙ্গ', 'গল্পগুচ্ছ', 'একুশ শতক', 'এবং সায়ক', 'গোধূলি মন' প্রভৃতি। 'সানন্দা', 'সন্দেশ', 'শুকতারা', 'নবকল্লোল', 'প্রসাদ', 'শনিবারের চিঠি' ইত্যাদি অজস্র পত্রিকায় ছোটগল্প ও অনুগল্প লিখেছেন। গল্পগ্রন্থ দশটি। তার মধ্যে ছোটদের গল্পসংকলন চারটি, প্রথম প্রকাশিত গল্পগ্রন্থ 'আগাছার জন্ম বৃত্তান্ত'। অনুগল্প সংকলন 'নামমাত্র' মাত্র ছয় মাসেই ২০০ কপি নিঃশেষিত, দ্বিতীয় মুদ্রণ প্রকাশের অপেক্ষায়। এছাড়াও প্রবন্ধ, রম্যরচনা এবং ফিচারও লিখেছেন। তাঁর সৃষ্ট এক বিশেষ চরিত্র কাঁদন পরামানিক যাকে নিয়ে লেখা গল্পের সংখ্যা প্রায় একশো। মুদ্রিত উপন্যাসের সংখ্যা তিনটি, গ্রন্থভুক্ত হয়নি। পুরস্কার - গল্পমেলা পুরস্কার (২০০০), অন্তর্বীজ কিশোর সাহিত্য (২০০৩)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Subscribe To Newsletter

কথাসাহিত্য

সংস্কৃতি

আহার

বিহার

কলমকারী

ফোটো স্টোরি

উপন্যাস

Banglalive.com/TheSpace.ink Guidelines

Established: 1999

Website URL: https://banglalive.com and https://thespace.ink

Social media handles

Facebook: https://www.facebook.com/banglaliveofficial

Instagram: https://www.instagram.com/banglalivedotcom

Twitter: @banglalive

Needs: Banglalive.com/thespace.ink are looking for fiction and poetry. They are also seeking travelogues, videos, and audios for their various sections. The magazine also publishes and encourages artworks, photography. We however do not accept unsolicited nonfiction. For Non-fictions contact directly at editor@banglalive.com / editor@thespace.ink

Time: It may take 2-3 months for the decision and subsequent publication. You will be notified. so please do not forget to add your email address/WhatsApp number.

Tips: Banglalive editor/s and everyone in the fiction department writes an opinion and rates the fiction or poetry about a story being considered for publication. We may even send it out to external editors/readers for a blind read from time to time to seek opinion. A published story may not be liked by everyone. There is no one thing or any particular feature or trademark to get published in the magazine. A story must grow on its own terms.

How to Submit: Upload your fiction and poetry submissions directly on this portal or submit via email (see the guidelines below).

Guidelines:

  1. Please submit original, well-written articles on appropriate topics/interviews only. Properly typed and formatted word document (NO PDFs please) using Unicode fonts. For videos and photos, there is a limitation on size, so email directly for bigger files. Along with the article, please send author profile information (in 100-150 words maximum) and a photograph of the author. You can check in the portal for author profile references.
  2. No nudity/obscenity/profanity/personal attacks based on caste, creed or region will be accepted. Politically biased/charged articles, that can incite social unrest will NOT be accepted. Avoid biased or derogatory language. Avoid slang. All content must be created from a neutral point of view.
  3. Limit articles to about 1000-1200 words. Use single spacing after punctuation.
  4. Article title and author information: Include an appropriate and informative title for the article. Specify any particular spelling you use for your name (if any).
  5. Submitting an article gives Banglalive.com/TheSpace.ink the rights to publish and edit, if needed. The editor will review all articles and make required changes for readability and organization style, prior to publication. If significant edits are needed, the editor will send the revised article back to the author for approval. The editorial board will then review and must approve the article before publication. The date an article is published will be determined by the editor.

 

Submit Content

For art, pics, video, audio etc. Contact editor@banglalive.com