আ মরি বাংলা ভাষা
(Songs that weren’t written)
অতুলপ্রসাদ সেন লিখেছিলেন, ‘কী জাদু বাংলা গানে…’। কেটে গিয়েছে বহু যুগ, বাংলা গান নৌকা বেয়ে পার করেছে বহু পথ, ঘাট, মাঠ। জাদু ফুরোয়নি। গানের কথা, সুর আমাদের জানা থাকলে বা লিখিত থাকলে, সে গান গাওয়া হয় যত্রতত্র, কিন্তু যে গান লেখা হয়নি কখনও, যে গানের সুর বদলে যায় এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায়, সেসব গান খোঁজার মধ্যেও এক আলাদা আনন্দ থাকে। সে গান আর নির্দিষ্ট কোনও গীতিকার বা সুরস্রষ্টার মধ্যে সীমিত থাকে না। সে গান আমার, আপনার, সবার। গত ৩৫ বছর ধরে চন্দ্রা মুখোপাধ্যায় এই অবিস্মরণীয় কাজটিই করে চলেছেন। দুই বাংলা ঘুরে তিনি সংগ্রহ করছেন অজস্র বাংলা নারী-সংগীত। (Songs that weren’t written)
আরও পড়ুন: বদলে যাওয়া সংলাপের ভাষা
অধ্যাপক পবিত্র সরকারের এক লেখায় পড়েছিলাম, গত শতাব্দীর শেষ তিরিশ বছর ধরে পৃথিবীর ভাষা তাত্ত্বিকেরা ভাষার বাঁচামরা নিয়ে খুব চিন্তায় পড়েছেন। যদিও বাংলা ভাষার এই মুহূর্তে মৃত্যুর আশঙ্কা নেই। ইউনেস্কোর এক হিসেব বলছে, ভাষার মৃত্যুর সম্ভাবনা যদি শূন্য (০) থেকে একশো (১০০)-র মধ্যে দাঁড় করানো যায়, তাহলে ইংরেজি ভাষার মৃত্যুর সম্ভাবনা শূন্য, আর বাংলা এবং আরও অনেক ভাষা দাঁড়িয়ে আছে ১-এর ঘরে। মনে রাখতে হবে, ১০০-র কাছাকাছি পৌঁছেছে এমন অনেক ভাষাও আছে আমাদের চারপাশে। আবার মার্কিনদেশের ‘এথ্নোলগ্’ ভাষার জন্ম-মৃত্যু প্রসঙ্গে বলেছিল, এখন পৃথিবীতে ৭০০৫টির মতো ভাষা, আর তার অর্ধেক ভাষা এই একুশ শতকেই লুপ্ত হয়ে যেতে পারে। তাতে বাংলা থাকবে নাকি থাকবে না— সবই নির্ভর করছে বাংলা ভাষাভাষী মানুষদের উপর। (Songs that weren’t written)
সেসব গান লেখা হয়নি কখনও, মুখে মুখে নানান সুরে ঘুরেফিরে আসে গানের সুর। চমৎকৃত হতে হয়, যখন জানতে পারি এমন হাজার হাজার গানের স্রষ্টা বাংলার মেয়েরা, যেন আমাদেরই মা-মাসি-ঠাকুমা।
আমরা শহরকেন্দ্রিক ভাষাকেই শুদ্ধ ভাষা হিসেবে মান্যতা দিয়ে এসেছি এতকাল। অথচ ভাবিই না, শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গে, কলকাতা থেকে বেরিয়ে গেলে জেলাভিত্তিক কত কত আঞ্চলিক ভাষা আছে, যা নিয়ে বৃহৎ পরিসরে চর্চা হয় না তেমন। বর্ধমান থেকে বাঁকুড়া, মেদিনীপুর থেকে পুরুলিয়া, মালদা থেকে মুর্শিদাবাদ— ওঁরা কিন্তু বাংলা ভাষাতেই কথা বলছেন। অথচ সেসব ডায়ালেক্ট বইয়ের ভাষা হয়ে উঠতে পারছে না (ব্যতিক্রমী উদাহরণ আছে নিশ্চয়)। ঠিক এই জায়গাটাতেই ঘা মারছেন চন্দ্রা মুখোপাধ্যায়ের মতো গবেষক। বাংলার প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে যে গান তিনি তুলে আনছেন, তা আদ্যোপান্ত বাংলা গান।

সেসব গানই আমাদের শিকড়। সে গানের ভাষাতেই শিশুটি দোল খায়, সে গানের ভাষাতেই মৃত ব্যক্তির সঙ্গী হয় শ্মশানযাত্রী, সে গানের ভাষাতেই নির্মিত হয় প্রসব বেদনার গোঙানি। সেসব গান লেখা হয়নি কখনও, মুখে মুখে নানান সুরে ঘুরেফিরে আসে গানের সুর। চমৎকৃত হতে হয়, যখন জানতে পারি এমন হাজার হাজার গানের স্রষ্টা বাংলার মেয়েরা, যেন আমাদেরই মা-মাসি-ঠাকুমা। (Songs that weren’t written)
আরও পড়ুন: নীরবে নিতান্ত অবনত বসন্তের সর্ব-সমর্পণ
চন্দ্রা মুখোপাধ্যায় বলেন, “উনবিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধ থেকে বিংশ শতাব্দীর প্রথম দশকে মেয়েদের সাক্ষরতার হার চার শতাংশের কাছাকাছি; তার মধ্যে কলম ধরতে পেরেছিলেন অতি সামান্যজন।” কিন্তু হাতে লেখাই কি শিক্ষার একমাত্র পরিচয়? নারীদের অন্তর্বিশ্বে প্রবেশ করলে উপলব্ধি করা যাবে তাঁদের তৈরি হাজার হাজার গান নদীমাতৃক বাংলাকে কীভাবে সুরমাতৃক করে তুলেছে। সেই সুরের বিশ্ব থেকে গিয়েছে খানিক আড়ালে। নারীর জীবনযন্ত্রণা যত বেড়েছে, গান তত দৃপ্ত হয়েছে। গান হয়ে উঠেছে একাকিত্বের প্রিয় বন্ধু। (Songs that weren’t written)

(Songs that weren’t written) দিন যায়, রাত যায়। মেয়েরা গান বেঁধে চলেন সুদীর্ঘদিন ধরে। প্রাত্যহিক দিনযাপনে জীবনের বারোমাস্যা হয়ে সে সব গান বেজে চলে শরীরে, মনে, প্রাণে। দাইমা, কাটুনি, জেলেনি, গোয়ালিনী, মালিনী, কিষাণী থেকে রাঁধুনি, পরিচারিকা, ভানুনি, ভাজানি, ছাতপিটানি— সংসারের জাঁতাকল সামলে প্রত্যেকের কাজই যেন গানের অংশ হয়ে ওঠে। এখনও অসংখ্য গ্রামীণ মেয়ের শুধু বাড়ির মধ্যেই চলে কত কাজ। ঘর-নিকানো, বাসনমাজা, কাপড় কাচা, মশলা কোটা, জ্বালানি জোগাড় করা, রান্না করা, সবাইকে খেতে দিয়ে তারপর নিজের মুখে কিছু তোলা, সন্ধ্যায় আবার প্রদীপ জ্বালা, রাত্রের খাবার তৈরি করা— সব কাজ একা হাতে সামলানো কি মুখের কথা? চন্দ্রা মুখোপাধ্যায় শুধু যে শ্রমগান সংগ্রহ করেছেন তা নয়, সংগ্রহ করেছেন মেয়েদের শরীরের গান, বিয়ের গানও। প্রজন্মের পর প্রজন্ম মেয়েরা স্মৃতি আগলে বাঁচিয়ে রাখছেন সৃজন। তাঁরা কেউ হাস্যময়ী, গুণবতী। প্রয়োজনে তাঁরাই প্রতিবাদী বাংলার মা-মেয়ে। (Songs that weren’t written)
প্রজন্মের পর প্রজন্ম মেয়েরা স্মৃতি আগলে বাঁচিয়ে রাখছেন সৃজন। তাঁরা কেউ হাস্যময়ী, গুণবতী। প্রয়োজনে তাঁরাই প্রতিবাদী বাংলার মা-মেয়ে।
এমনভাবে গান সংগ্রহ তো নিছক কারোর শখ হতে পারে না, এ তো একটা দায়িত্ব। আজ এ-দায়িত্ব একার কাঁধে তুলে নিয়েছেন চন্দ্রা মুখোপাধ্যায়। তাঁরই একটি উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ ‘নারীর গান শ্রমের গান’। এ-বইয়ে চন্দ্রা লিখেছেন, মেয়েদের প্রাত্যহিক জীবনের লড়াই আর সাহসের অফুরন্ত জেদের কথা। নারী শ্রম সংগীত, চাষবাস খেতখামার, শস্য থেকে খাদ্য: নানা রূপ নানা ধাপ, আহার্যের সন্ধান: খালবিল ঝোপজঙ্গল, জল আনা: নদী-পুকুর, ঘর সামলানো হেঁশেল সামলানো, জীবিকা দক্ষতা সৃজনশীলতা, জন পুরোহিত এবং প্রাণের স্ফুরণ ধারণ আর লালন– ৯টি শিরোনামে উজ্জ্বল এই বই। পড়তে পড়তে নিশ্চিতভাবে গানের সুরের কাছে পৌঁছে যাবেন পাঠক। কিন্তু সরাসরি হয়তো ছুঁতে পারবেন না। লেখিকা সুরের পরিচিতির জন্য কয়েকটি গানের, দু-চার পংক্তির স্বরলিপি করে দিয়ে সে কাজ সারতে চাননি। কারণ তাঁর মতে, গানের অন্যতম মূল অংশ ভাবকে এভাবে ফুটিয়ে তোলা সম্ভব নয়। প্রসবযন্ত্রণার গানের সুর কি স্বরলিপিতে ধরা যায়? (Songs that weren’t written)

এ-প্রসঙ্গে বলতে হয় লেখিকার আরও একটি বইয়ের কথা—‘শরীরকথায় মেয়েরা’। দুই বাংলার গ্রামীণ মেয়েদের কণ্ঠে শরীরী উচ্চারণের প্রায় ৮০০ গান এবং তার সমাজ, ইতিহাস ও সাংস্কৃতিক প্রেক্ষিত নিয়ে গবেষণাধর্মী এই গ্রন্থ। প্রজন্মের পর প্রজন্ম গ্রামের সাধারণ মেয়েরা স্মৃতি আগলে বাঁচিয়ে রাখছেন সৃজন। জন্ম, যৌবন, যৌনতার পাশাপাশি খিদে, মার খাওয়ার মতো জীবনের প্রতিটি পর্যায় আর পা থেকে মাথা পর্যন্ত প্রতিটি অঙ্গকে ঘিরে, বাংলার অগণিত সাধারণ মেয়েদের শরীর-যাপনের দলিল এই গ্রন্থ। এ বইয়ে সবচেয়ে আকর্ষণীয় বোধকরি যৌবন: সমাগম পূর্ণতা অধ্যায়টি। যেখানে লেখিকা দেখিয়েছেন মেয়েদের অশুচিতার ধারণা, ছুৎমার্গ, প্রকাশ্যে কথা বলা ইত্যাদি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সব দিক। এই বই মুক্তচিন্তার পাঠ হয়ে উঠেছে। কারণ শরীরের গান গাইতে গাইতে মেয়েরা কখন যেন স্বনির্ভর হয়ে উঠেছেন। আসলে মেয়েরা সেই আদি অনন্তকাল ধরেই স্বনির্ভর। তার দুঃখ আছে, একাকিত্ব আছে– এতকিছুর পরেও তাঁরা ঘুরে দাঁড়াতে জানেন। (Songs that weren’t written)
মেয়েরা সেই আদি অনন্তকাল ধরেই স্বনির্ভর। তার দুঃখ আছে, একাকিত্ব আছে– এতকিছুর পরেও তাঁরা ঘুরে দাঁড়াতে জানেন।
সম্প্রতি বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে চন্দ্রা মুখোপাধ্যায়ের আরেকটি গ্রন্থ— ‘বাংলার বিয়ের গান’। বিয়ের কনের কান্নার সঙ্গে বলির পশুর আর্তনাদের সাদৃশ্য খুঁজে পেয়েছিলেন রাসসুন্দরী দেবী। এই বই তাই খানিক আর্তনাদের সুরও বহন করে। কয়েক দশক ধরে লেখিকা আলাদা করে মেয়েদের বিয়ের গান খুঁজতে গিয়ে আবিষ্কার করেন— এক বাংলায় অনেক বাংলা, বহু স্তর, বহু স্বর। নারীকণ্ঠের বহুস্বর পণবিরোধী, বৈষম্যবিরোধী দৃপ্ততার পাশাপাশি দৃষ্টিভঙ্গির বহুকৌণিকতায়, বৈচিত্র্যের বহুস্বরে ধরা আছে নারীমননের বহুত্বযাপন। এ-বই আসলে এক সমাজ-দর্পণ। (Songs that weren’t written)

মেয়েদের বাংলা গানের ইতিহাস সম্পূর্ণ নতুন মেজাজে উপস্থাপন করে চলেছেন চন্দ্রা মুখোপাধ্যায়। কীভাবে সঙ্গী হলেন এই চলমান ইতিহাসের? চন্দ্রা মুখোপাধ্যায় নিজেই জানান সে-কথা। বলেন, “সত্তর দশকের মাঝামাঝি যখন কলেজে পড়াশোনা করছি, সে-সময় একটি বই হাতে আসে, দেবীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়ের ‘লোকায়ত দর্শন’। যেখানে লেখক বলছেন, উপনিষদেরও আগের যুগে মানুষ অন্নের জন্য অর্থাৎ ভাতের জন্য গান গাইতেন।” সংগীতের প্রতি একটা ঝোঁক চন্দ্রার ছোটো থেকেই ছিল। আমরা যে সংগীত সচরাচর শুনি বা শিখি সেখানে খুব সাধারণ মানুষের কথা সরাসরি সেভাবে উঠে আসে না। ফলে অন্য গান আছে কী না, তার প্রতি একটা সন্ধান ছিল চন্দ্রার। “দেবীপ্রসাদবাবুর বইটিই আমার দৃষ্টিভঙ্গি ঘুরিয়ে দেয়। মনে হতে থাকে, এরকম আরও গান কি খুঁজে বের করা যায়, যেখানে সাধারণ মানুষের সাধারণ যাপনের কথা উঠে আসবে! কোনও বই পাইনি, কিন্তু কিছু মানুষ পেয়েছিলাম। (Songs that weren’t written)
আমরা যে সংগীত সচরাচর শুনি বা শিখি সেখানে খুব সাধারণ মানুষের কথা সরাসরি সেভাবে উঠে আসে না। ফলে অন্য গান আছে কী না, তার প্রতি একটা সন্ধান ছিল চন্দ্রার।
বিজন ভট্টাচার্য, খালেদ চৌধুরী, আমার সংগীত শিক্ষক মৃণাল বড়ুয়া এবং মৃণালদার সূত্র ধরে নীহার বড়ুয়ার কাছে যাওয়া। নীহারদির একটা মেয়েদের গানের বিশাল সংগ্রহ ছিল। ওঁর থেকেই জানতে পারি নিম্ন-মধ্য-উচ্চ সকল শ্রেণির মেয়েদের আলাদা আলাদা গান আছে। নীহারদির পাশে বসে সেসব গান শিখতে শুরু করি। নারীদের নতুন করে আবিষ্কার করি।

সেখানে যেমন স্বাধীনচেতা মনোভাব আছে, অকপটে কথা বলা আছে, এমনকি জীবনযাপনের প্রত্যেকটি অঙ্গ নিয়েই তাঁরা গান বাঁধতে পারেন। ধীরে ধীরে পড়াশোনা করতে করতে জানতে পারি বিভিন্ন জেলাতেই মেয়েদের গান আছে, তার মধ্যে সামান্য কিছু লিখিত ভাবে সংগ্রহ করা হয়েছে মাত্র। যদিও সেগুলি মূলত বাণী। বাণীকে গান কীভাবে বলি!” সেখান থেকেই গান সংগ্রহ করার নেশা চেপে যায় চন্দ্রা মুখোপাধ্যায়ের। মেয়েরা সৃষ্টিশীল, তাঁরা শুধু অন্তঃপুরের কাজই যে করেন তা না, তাঁদের দৈনন্দিন সমস্ত কাজের মধ্যেই মিশে রয়েছে গান। বাংলা গান। (Songs that weren’t written)
মেয়েরা সৃষ্টিশীল, তাঁরা শুধু অন্তঃপুরের কাজই যে করেন তা না, তাঁদের দৈনন্দিন সমস্ত কাজের মধ্যেই মিশে রয়েছে গান। বাংলা গান।
(Songs that weren’t written) নারী শরীরের পূর্ণতাপ্রাপ্তি রজোদর্শনে। তাই নববধূর রজোপ্রাপ্তিতে আনন্দের সাড়া পড়ে ফরিদপুরের মাতৃকাকুলে। আবার কাপড়ে রক্ত দেখে বিব্রতও বোধ করে। স্বামী-সান্নিধ্যের অভাব বোধ করে মেয়েরা গেয়ে ওঠে দু-কলি-
বাড়ির আগে ডালিম গাছ, গোড় কেনে মুটা
হাজারটা ডালিমের কষ পইড়াছে কাপুড়ে
আরে ফুল কী বলিব তোরে?
এমনদিনে ফুটছ ফুল রে
ও আমার স্বামী নাই মোর ঘরে-
আমার স্বামী যদি থাইকতো কাছে রে
আমি মনের কথা বইলতাম তারে রে-
আবার স্বামীর কাছে সরু বেতের বাড়ি জোটে কিছু মেয়ের। উত্তর দিনাজপুরের মেয়েরা মার খেতে খেতে গান বাঁধেন-
বেইছা বেইছা কঞ্চি গোটা বান্দিলেন রে-
এমন মাইরন মারলেন…

(Songs that weren’t written) অবিভক্ত বাংলার গ্রামীণ নারীর বহু অজানা অচেনা গান ও তথ্যকে ঘিরে চন্দ্রা মুখোপাধ্যায় নির্মাণ করেন আকর গ্রন্থগুলি। যেগুলি হয়ে ওঠে বাংলার অগণিত সাধারণ মেয়ের দলিল। কিছু বই থাকে যা বিদ্বেষ, নৃশংসতার বিরোধিতার হাতিয়ার হয়ে ওঠে। হয়ে ওঠে মুক্তচিন্তার পাঠ। গান গাইতে গাইতে মেয়েরা কখন যেন স্বনির্ভর হয়ে ওঠেন। নারীকণ্ঠ মানে এতদিন ছিল শুধু লিখিত ইতিহাস, কিন্তু মেয়েদের যে মৌখিক ইতিহাস— তা যেন নদীর মতোই স্রোতস্বিনী ও অন্তহীন। (Songs that weren’t written)
একজন কবি, গদ্যকার এবং সাংবাদিক। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতকোত্তর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। উল্লেখযোগ্য প্রকাশিত গ্রন্থ: ‘গওহর জান’, ‘উড়তে চললাম কমরেড’, ‘ঘুম হও অজস্র অপরাজিতা’, ‘বিলম্বিত দুপুর’, ‘ও ডার্লিং তুমি শুধু দৃশ্যমান হাওয়া’। একটি দৈনিক অনলাইন মিডিয়ার সহযোগী সম্পাদক ও বিষয়বস্তু প্রধান।