দেখতে দেখতে ৮ বছরে পড়ল জি বাংলার অন্যতম জনপ্রিয় শো ‘দাদাগিরি’। আর সেই শো- এর হোস্ট যখন স্বয়ং সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, তখন তাকে ঘিরে উন্মাদনা থাকাটাই স্বাভাবিক। শো-এর ফরম্যাট বা সঞ্চালকের ভূমিকা গত সাত বছরে বিশেষ না পাল্টালেও শো- এর থিম নিয়ে নির্মাতারা যথেষ্ট সচেতন। সৌরভ জানিয়েছেন, এ বছর ‘দাদাগিরি’তে তাঁদের থিম দিন বদলের দাদাগিরি সেই কারণেই এ বছর এমন প্রতিযোগীদের নিয়ে আসা হবে, যাঁরা সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তাঁদের গল্প দর্শকদের উৎসাহ দেবে বলেই আমরা আশা করছি,” বলছিলেন সৌরভ।
আর দাদার দাদাগিরিতেও কি নতুনত্ব দেখা যাবে? কী বলছেন ক্রিকেট মাঠের মহারাজ? হাসি মুখে সৌরভের উত্তর, “দাদার দাদাগিরিতে নতুন কিছু নেই। আমি তো সেই পুরনো মানুষটাই। কিন্তু শো এর প্রতিযোগী এবং শো-কে সফল করতে তাঁদের যে প্রচেষ্টা, সেটাই সফল করেছে ‘দাদাগিরি’কে ওঁদের ইনভলভমেন্ট দেখে আমিও মাঝে মাঝে অবাক হয়ে যাই।” একটি পুরনো ঘটনার কথাও উল্লেখ করলেন তিনি। “এক শিক্ষকের কথা মনে আছে, যাঁকে শো-এ জিজ্ঞেস করা হয়, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল কোথায়। তিনি ভুলবশত উত্তর দেন, দিল্লিতে। তাঁর ছাত্ররা তার পরে এত ঠাট্টা করে বিষয়টাকে নিয়ে, যে তিনি পেরে উঠছিলেন না তাদের সঙ্গে। তিন বছর পর তিনি আবার শো-এ যোগ দেন এবং সে বার জেতেনও। তার পরে ছাত্রদের উদ্দেশ্য় করে বলেছিলেন, ‘এ বার আর তোরা আমার পিছনে লাগতে পারবি না!’ তা হলে বুঝুন, জেতাটা কত গুরুত্বপূর্ণ,” বলছিলেন সৌরভ।
প্রতিযোগীদের উৎসাহ দিতে আর দর্শকের কাছে শো-কে আরও বিনোদনমূলক করে তুলতে দাদার ‘ইনভলভমেন্ট’ও কিন্তু অবাক করারই মতো!