পুজোর বাজার শেষে বাড়ির গিন্নি পা ছড়িয়ে কাঁদতে বসলেন, বিমূঢ় কর্তার প্রতি অনুযোগ — ” তুমি জানো ও বাড়ির মানসীর বর এবার পুজোয় ওর জন্য স্পন্ডিলাইটিস (Spondylitis) কিনে এনেছে! তুমি আমার জন্যে আনলে কই?” তড়িদাহত কর্তা অনিলবাবু, অর্থাৎ মানসীর বরকে জিজ্ঞেস করে জানতে পারলেন, মানসীর ঘাড়ে খুব ব্যথা হওয়ায় স্ত্রীকে নিয়ে উনি ডাক্তারবাবুর কাছে গিয়েছিলেন। দেখেশুনে প্রেসক্রিপশন করে রসিক মানুষটি বলেছিলেন, “- আপনাকে একটা দারুণ নামের অসুখ দিচ্ছি। স্পন্ডিলাইটিস (Spondylitis)। এবার প্রতিবেশীদের গিয়ে বললে তারা যখন চোখ গোলগোল করে তাকাবে, সেই তৃপ্তিতেই দেখবেন আপনার ব্যথা পালিয়ে গেছে। আর সঙ্গে এই বকলসটা দিন দশেক পড়বেন। সঙ্গে কটা ওষুধ দিলাম, দিন পাঁচেক চলুক।” প্রতিবেশীদের ঈর্ষার পাত্র হবার এত বড় সুযোগটা ছাড়ার পাত্রী নন মানসী। সবটা চেপে গিয়ে কলারটা সকলের নাকের সামনে দুলিয়ে বললেন, এটার নাম স্পন্ডিলাইটিস ((Spondylitis)। আমার বর পুজোয় দিয়েছে।
এ গল্প গত শতকের সত্তরের দশকের। রোগের নামটার সঙ্গে তখন সদ্য সদ্য পরিচয় হচ্ছে মানুষের। ডাক্তার, রোগী কারোরই সম্যক ধারণা নেই কি থেকে কি হয়।তারপর পঞ্চাশ বছরে জল বয়েছে অনেক। রোগের চরিত্র অনেকটাই চেনা হয়ে গেছে, যদিও সাধারণের মনে তেত্রিশ কোটি দেবতার মত তেত্রিশ কোটি বিভিন্ন ছবি ঝুলছে এ রোগের।
রোগটি কী?
এটা মেরুদণ্ডের হাড়ের একটি অসুখ, যা প্রধানত ব্যথা, নাড়াতে কষ্ট, আড়ষ্টতা আর কখনও আশপাশে ছড়িয়ে পড়া ব্যথার (radiation pain) সঙ্গে দেখা দেয়। আমাদের মেরুদন্ড ৩৩টি কশেরুকা বা ভার্টিব্রার সমন্বয়ে তৈরি হওয়া একটি স্ট্রাকচার, যা শরীরের কেন্দ্রীয় অক্ষটি নির্মাণ করে। তাছাড়া সুষুম্নকান্ড (Spinal Cord), যা শরীরের সমস্ত নার্ভ সংক্রান্ত কর্মকাণ্ডের উৎস, তাও সুরক্ষিত থাকে এই মেরুদণ্ডের গহ্বরে। ঘাড়, পিঠ আর কোমরের গভীরে থাকা এই মেরুদণ্ডের অংশবিভাগ ও নামকরণও যথাক্রমে সারভিক্যাল(৭টি ভারটিব্রা), থোরাসিক(১২টি ভারটিব্রা) আর লাম্বার(৫টি ভারটিব্রা) ভার্টিব্রাল কলাম।
এদের মধ্যে বুকের অংশটি সামনে ১২টি পাঁজরের একটি বন্ধ খাঁচার সঙ্গে যুক্ত থাকার কারণে সেভাবে নড়াচড়া করে না। বাকি দুটি অংশের প্রত্যেকটি ভার্টিব্রা তার ওপরের বা নিচের ভারটিব্রার সাপেক্ষে তিনটি অক্ষে নড়তে পারে। এই নড়াচড়ার কারণে যে ঘর্ষণজনিত চাপ তৈরি হয়, যা একটা নির্দিষ্ট সীমা অতিক্রম করলে প্রদাহের সৃষ্টি হয়, তাতেই যে উপসর্গগুলো দেখা দেয়, তার একত্র করা নামটি স্পন্ডিলাইটিস বা স্পন্ডাইলোসিস। ঘাড়ে হলে সারভিক্যাল স্পন্ডাইলোসিস, কোমরে হলে লাম্বার। স্থবিরতার কারণে থোরাসিক ভারটিব্রার এই রোগ নিতান্তই বিরল।
এই চাপের সীমা নির্ধারণে সময় একটা সূচক। অর্থাৎ যত বেশিদিন ধরে ঘটনা ঘটবে, ঘর্ষণের ফল তত প্রকট হবে। তাই বয়স এখানে একটি নিয়ন্ত্রক। তাছাড়া বয়সের সঙ্গে সঙ্গে ঘর্ষণের তলগুলো অসমান, কখনো কখনো পঞ্চায়েতের রাস্তার মত এবড়োখেবড়ো হয়ে যায়। সেখানে হওয়া নাড়াচাড়া আরও প্রদাহের জন্ম দেয়। তাতে অতিরিক্ত ব্যথা হয়। এ ছাড়া যে রাস্তায় বেশি গাড়ি চলে, সেখানে ক্ষয় বেশি হয়। অর্থাৎ অতিরিক্ত ভার যে মেরুদণ্ডের ওপর পড়েছে, যেমন কায়িক পরিশ্রম যার বেশি, বা খেলাধুলোর সঙ্গে যুক্ত যে মানুষ, তারা এই অসুখের শিকার হন বেশি।
শরীরের অতিরিক্ত ওজন এই প্রক্রিয়ায় চাপ বাড়ানোর কাজটি করে যায়, যা লাম্বার স্পন্ডাইলোসিসের ক্ষেত্রে বেশি প্রযোজ্য। আর ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের মত মানুষদের ক্ষেত্রে সারভিক্যাল স্পন্ডাইলোসিসেও তার একটা ভূমিকা থাকতে পারে। তবে আজ ওজনদার মাথার মানুষ নিতান্তই বিরল। তাই ঘাড়ের ক্ষেত্রে এই বিষয়টির অবলুপ্তি ঘটেছে। এছাড়া পারিবারিক গঠন, জিনঘটিত প্রবণতা এগুলোও বিচার্য বিষয়।
সেই ঘর্ষনজনিত ব্যথা ও তার পরিমাণ কমাতে শরীরের প্রতিরক্ষা কিছু ব্যবস্থা নেয়। যেমন সেই অঞ্চলের পেশীকে সংকুচিত করে রাখা। তাতে হাড়ের নড়াচড়ার পরিমাণ আর ব্যথা, দুইই কমে। আর সেটাই প্রতিফলিত হয় আড়ষ্টতা হিসেবে। এটা আপতকালীন ব্যবস্থা। দীর্ঘমেয়াদী প্রতিরক্ষার অঙ্গ হিসেবে শরীর দুটি কশেরুকার সন্ধিতে ছোট ছোট হাড়ের কুচি তৈরি করে যা সন্ধিতে নড়াচড়ায় বাধা সৃষ্টি করে প্রদাহ কমায়। এদের বলে osteophytes। একবার তৈরি হলে এরা চিরকালের জন্য থেকে যাবে।
এক্স-রে তুললে এরাই দেখা দেবে ছোট ছোট হাড়ের খোঁচার আকারে। এক্স রে-তে এদেরই সম্মিলিত রূপটিকে বলা হয় spondylotic changes. একবার তৈরি হলে পরবর্তী প্রত্যেকটি এক্স রে তে এদের দেখা যাবে। তার মানেই আপনি উপসর্গে আক্রান্ত হয়েছেন এমনটা নয়।
অর্থাৎ ব্যথা, ঘাড় কোমরে শক্ত ভাব, ঝুঁকতে কষ্ট বা ঘাড় উঁচুনিচু করতে কষ্ট না হলে, ঘাড় থেকে পিঠ বা হাতের দিকে ব্যথা বা কোমর থেকে পায়ের দিকে ব্যথা না গেলে আপনার এক্স–রে স্পন্ডিলাইটিস বললেও আপনি সেই মুহূর্তে তাতে ভুগছেন না। তবে কিনা আমার অভিজ্ঞতায় দেখা, অনেক মানুষ এই সব রোগে না ভুগলে স্ট্যাটাস খোয়ানোর আতঙ্কে ভোগেন। অতএব মানসী দেবীদের দেখা পাওয়া যায় ভিন্ন ভিন্ন রূপে।
কী করবেন?
১) বিশ্রামঃ ব্যথা একটা প্রতিরক্ষামূলক প্রক্রিয়া। শরীর ব্যথা দিয়ে জানান দেয়, এখন কাজ বন্ধ করতে হবে। সুতরাং বিশ্রাম নিন। এটা মানুন যে আপনাকে ছাড়াও পৃথিবী কয়েকটা দিন দিব্যি চালিয়ে নিতে পারবে (অভিজ্ঞতা বলে প্রচুর মানুষ বিশ্রামের নামে আর্তনাদ করে ওঠেন – অফিস/ইস্কুল/কারখানায় যেতেই হবে, নইলেই সব শেষ হয়ে যাবে)। যে কোন ধরনের যানবাহন চড়া থেকে কয়েকদিনের বিরতি নিতে হবে। বিশেষত আজকের দিনের রাস্তায় যেখানে গাড়ি চড়লে ঝাঁকুনি ফ্রি, সেখানে অন্য সমাধান এখনো অধরা।
২) বেল্ট/কলারঃ ডাক্তার বাবুর পরামর্শ মত কয়েকদিনের জন্য ঘাড়ে কলার বা কোমরে বেল্ট পড়াটা যুক্তিযুক্ত। কলার মাথার ওজনকে ঘাড়ের মেরুদন্ডকে বাইপাস করে শরীরের নিচের অংশে পাঠিয়ে দেয়। তাতে সারভাইক্যাল স্পাইনে চাপ কমে। আর কোমরের বেল্ট সংকুচিত পেশীর কাজের ভাগ নিয়ে উপসর্গের উপশমে সাহায্য করে। মারাত্মক ব্যথায় যখন আপনি অসহায়, এদের সাহায্য নেওয়াটা সঠিক পদক্ষেপ।
৩) শোয়ার বিছানা/বালিশঃ তুলতুলে গদিতে শুয়ে কোমরের ব্যথায় ভুগেছেন অনেকেই। সারারাত যদি ঘাড় কোমরের হাড়ের সাপোর্টের কাজটা বিছানার গদির বদলে নিজের শরীরের পেশীদের করে যেতে হয়, তবে অচিরেই তাদের ক্ষমতার সীমা অতিক্রান্ত হয়ে ব্যথা শুরু হবে। তাই অমনতরো আরামের বন্যা হারাম হ্যায়।
এই পাপের প্রায়শ্চিত্তে যে পরামর্শ সবচেয়ে বেশি পাবেন তা হল কাঠের বোর্ডে বালিশ ছাড়া শুয়ে পড়ুন। আপনি জানলেন না আপনাকে ফায়ার থেকে ফ্রাইং প্যানে নিক্ষেপ করার ব্যবস্থা হচ্ছে। শরীরের একটা স্বাভাবিক বক্রতা আছে। শোবার সময় সেটা বজায় রেখে তার সঠিক অংশে সঠিক সহায়ক চাপ রাখার ব্যবস্থা জরুরি। বালিশহীন কাঠের পাটাতন ঠিক এর বিপরীত ব্যবস্থা, তাই তাকে ত্যাগ করুন। কোমরের জন্য আজকের কয়ার ফোমের গদি, যার কয়ার অংশ সাপোর্টের কাজ আর ফোম অংশ বক্রতার স্বাভাবিকত্ব বজায় রাখে, তাকেই শয্যাসঙ্গী করুন।
মানুষের ঘাড়ের মেরুদন্ড সামনের দিকে বেঁকানো। শোবার সময় একে বজায় রাখার দায়িত্ব নেওয়া বিশেষ নকশার বালিশটির নাম সারভাইক্যাল পিলো। এটির ব্যবহারে ঘাড়ের হাড় ও পেশি সঠিক বিশ্রাম পায়, ওরাও নিশ্চিন্তে ঘুমোতে পারে আপনার সঙ্গে।তাই স্পন্ডাইলোসিসে আক্রান্ত মানুষজনই শুধু নয়, দলমতসম্প্রদায় নির্বিশেষে সকলেই ব্যবহার করুন সঠিক গদি ও বালিশ। এই জুড়ির জুড়ি নেই।
৪) ওষুধ; স্পন্ডাইলোসিসের রোগী প্রচন্ড ব্যথায় কাতর হয়ে দেখাতে এসেছেন। প্রেসক্রিপশনের পাতায় কলম ছোঁয়াতেই রেড ফ্ল্যাগ দেখিয়ে দিলেন –‘ব্যথার ওষুধ দেবেন না কিন্তু’। শিব্রাম হলে হয়ত বলতেন, ব্যথার চিকিৎসা পেট খারাপের ওষুধ দিয়ে কী করে করতে হয়, তা তো শেখায়নি আমাদের বইতে, কী করি বলুন তো? এখন বাঁকা কথা ফেসবুকে রিপোর্ট হয়। তাই সোনামুখ করে বলি এগুলো painkiller নয়, এগুলো Non Steroidal Anti Inflammatory group এর ওষুধ। অশ্বত্থামা হত ইতি গজ।
আজ লেখার সুযোগে এটা জানাই, এই সব ওষুধের যে সব পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার কথা আপনি আপনার প্রতিবেশী আর গুগুল জ্যাঠার কাছ থেকে জেনেছেন, সেগুলো এই ওষুধের যারা প্রণেতা, সেই বিজ্ঞানীরা এই নিয়ে আপনার থেকে কয়েক হাজার গুণ বেশি জেনেছেন, মাথা ঘামিয়েছেন, বিভিন্ন পর্যায়ের ট্রায়ালের শেষে তাদের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার বিস্তারিত বিশ্লেষণ করে মানুষের ক্ষেত্রে তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছেন, আর তবেই তা ব্যবহারের ছাড়পত্র দিয়েছেন। মেধার অনুশীলনের এই প্রয়োগকে ‘কাকে কান নিয়ে গেল’-র অজ্ঞতার অনুপ্রেরণায় নস্যাৎ করার নির্বুদ্ধিতায় মাতবেন না। তাতে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষেরই লাভ।
৫) মাথা ঘোরার মিথে বিশ্বাস/অবিশ্বাস; মাথা ঘুরছে, আমার যে স্পডিলাইটিস আছে। আজ অব্দি যতজন একথা আমার চেম্বারে এসে বলেছেন, তার সংখ্যা আকাশের তারাদের থেকে অল্প কিছুই কম। কিন্তু ঘটনা এটাই যে মাথা ঘোরার একশো জন রোগীর আটানব্বুই জনেরই মাথা ঘোরার কারণ কান সংক্রান্ত সমস্যা বা অন্য কিছু। ক্রমাগত মাথা ঘুরে যাওয়াটা ঘাড়ের স্পন্ডাইলোসিসের লক্ষণ নয়। হঠাৎ করে মাথা ঘোরালে কয়েক সেকেন্ডের জন্য মাথা ঘুরে যাওয়া, যার মূলে আছে মেরুদন্ডের মধ্যে দিয়ে যাওয়া রক্তবাহী নালীতে রক্ত চলাচলের মুহূর্তের ব্যাঘাত্, তাকেই স্পন্ডাইলোসিসের মাথাঘোরা বলে ভাবা যেতে পারে।
তবে স্পন্ডিলাইটিসকে নিয়ে মাথা ঘুরিয়ে দেওয়া কথা আজকের চর্চার মধ্যে এসে গেছে। Human Development-এর সেই বিখ্যাত কার্টুন চিত্রে মাথানিচু সদ্য দ্বিপদ হয়ে ওঠা মানুষ থেকে আজকের মাথা উঁচু করে চলা মানুষের চিত্রে আর একটি মানুষ যোগ হয়েছে। সেটি মোবাইলের স্ক্রিনে ঘাড় গুঁজে থাকা আধুনিক মানুষের ছবি। এইভাবে আঁতুড়ঘর থেকে শ্মশানভূমি পর্যন্ত মাথা নিচু করে থাকার অভ্যাস আর কয়েক প্রজন্ম বজায় থাকলে অভিযোজন (adaptation) নিয়মেই মানুষের ঘাড়ের হাড়ের গঠনে পরিবর্তন আসবে। তখন লাম্বার না হোক, সারভাইক্যাল স্পন্ডাইলোসিস-এর উৎপত্তি ও বিস্তার যে এক নতুন রাস্তায় হাঁটবে, সেটা আজকেই আমাদের কাছে স্পষ্ট।
ছবি সৌজন্য: ডাঃ ভাস্কর দাস
ডাঃ ভাস্কর দাস পেশায় অস্থিশল্য চিকিৎসক। নেশা ফোটোগ্রাফি, লেখালেখি। ভ্রমণ ও বাংলার অতীত কৃষ্টি ও সংস্কৃতির খোঁজ প্রিয় বিষয়।
লেখা প্রকাশিত দেশ, হরপ্পা, কৃত্তিবাস, সাপ্তাহিক বর্তমান, ইত্যাদি পত্রিকায়। প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা পাঁচ। ২০২২ সালে ভ্রমণআড্ডা সংস্থার 'কলম' সম্মান প্রাপক।
7 Responses
কি সুন্দর করে এ যুগের সবচেয়ে দাপুটে হাড়ের রোগের উপযুক্ত উপদেশগুলো দেওয়া হয়েছে! নিঃসন্দেহে প্রচুর বাঙালি পাঠক উপকৃত হবেন।
ধন্যবাদ। উৎসাহিত হলাম।
সাবলীল, পূর্ণাঙ্গ লেখা তড়তড়িয়ে এগিয়েছে। সাধারন মানুষের কাছে Spondylitis (inflammation) আর Spondylosis (wear and tear) একই। তফাৎ টার উল্লেখ থাকলে সর্বাঙ্গ সুন্দর হতে।
হ্যাঁ, পরের বার আর একটু সতর্ক হব।
সাবলীল, পূর্ণাঙ্গ লেখা তড়তড়িয়ে এগিয়েছে। সাধারন মানুষের কাছে Spondylitis (inflammation) আর Spondylosis (wear and tear) একই। তফাৎ টার উল্লেখ থাকলে সর্বাঙ্গ সুন্দর হতে।
দাদা, একটা খটোমটো জিনিসকে খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। আমার খুব ভালো লেগেছে। পুরোটা পড়ে সমৃদ্ধ হলাম। অনেকেই উপকৃত হবেন আশা করি। অযথা স্পণ্ডাইলাইটিসের মিথ থেকে অনেকে রেহাই পাবেন।
সূক্ষ্ম পরামর্শ গুলো দৈনন্দিন জীবনে অনুসরণ করলে অনেকে উপশম পাবেন।
মেডিকেল বই এর রুক্ষ শুষ্ক খচখচানি থিওরী কে, সাহিত্য রস দিয়ে এত সুন্দর ও সাবলীল ভাবে সাধারণ মানুষের পান যোগ্য করে পরিবেশন করলেন যা এক কথায় অতুলনীয়।
আগামীতে আমাদের আরও আবদার আশা থাকলো।
ধন্যবাদ দাদা। অনেক অনেক ভালো থাকবেন।
Ramesh C. Das
দেরিতে হলেও জানতাম ওটা পড়তে হবে। আপনার মত রসবোধ খুব-ই কম লেখকের মধ্যে দেখা যায়। যার ফলে অনেক কঠিন বিষয়বস্তুর সহজ সমাধান হয়।
ভাল থাকবেন ।